ভবিষ্যৎকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন?
আমাদের জগতের পরিস্থিতি কি . . .
-
একইরকম থাকবে?
-
আরও খারাপ হবে?
-
আরও ভালো হবে?
বাইবেল যা বলে
“ঈশ্বর . . . তাদের চোখের জল মুছে দেবেন। মৃত্যু আর হবে না; দুঃখ, কান্না ও ব্যথা আর থাকবে না, কারণ আগেকার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন।
আপনার জন্য এর অর্থ যা হতে পারে
অর্থপূর্ণ এবং পরিতৃপ্তিদায়ক কাজ।—যিশাইয় ৬৫:২১-২৩.
কোনো ধরনের অসুস্থতা বা দুঃখকষ্ট না থাকা।—যিশাইয় ২৫:৮; ৩৩:২৪.
পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এক সুখী, অন্তহীন জীবন।—গীতসংহিতা ৩৭:১১, ২৯.
বাইবেল যা বলে, তা কি আমরা আসলেই বিশ্বাস করতে পারি?
বিশ্বাস করতে পারি আর তা অন্ততপক্ষে দুটো কারণে:
-
প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ করার ব্যাপারে ঈশ্বরের ক্ষমতা রয়েছে। বাইবেলে একমাত্র যিহোবা ঈশ্বরকেই “সর্ব্বশক্তিমান্” বলা হয়েছে কারণ তাঁর অসীম ক্ষমতা রয়েছে। (প্রকাশিত বাক্য ১৫:৩, পবিত্র বাইবেল) তাই, জগৎকে পরিবর্তন করার ব্যাপারে তাঁর প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার জন্য তিনি পুরোপুরি সমর্থ, যেন আমাদের জগতের পরিস্থিতি আরও ভালো হয়। ঠিক যেমন বাইবেল বলে, “ঈশ্বরের সকলই সাধ্য।”—মথি ১৯:২৬.
-
প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ করার ব্যাপারে ঈশ্বরের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যে-লোকেরা মারা গিয়েছে, তাদের জীবন পুনরুদ্ধার করার জন্য যিহোবা আকুল আকাঙ্ক্ষী।—ইয়োব ১৪:১৪, ১৫.
এ ছাড়া, বাইবেল প্রকাশ করে যে, ঈশ্বরের পুত্র যিশু অসুস্থদের সুস্থ করেছিলেন। কেন তিনি তা করেছিলেন? কারণ সেটা করার ইচ্ছা তাঁর ছিল। (মার্ক ১:৪০, ৪১) যাদের প্রয়োজন রয়েছে, তাদের সাহায্য করার জন্য আকাঙ্ক্ষা দেখিয়ে যিশু নিখুঁতভাবে তাঁর পিতার ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করেছিলেন।—যোহন ৫:১৯.
তাই আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি, যিহোবা এবং যিশু উভয়েরই ইচ্ছা হল, যেন আমরা এক সুখী ভবিষ্যৎ উপভোগ করি!—গীতসংহিতা ৭২:১২-১৪; ১৪৫:১৬; ২ পিতর ৩:৯.
চিন্তা করার মতো বিষয়
জগতের পরিস্থিতি আরও ভালো করার জন্য ঈশ্বর কীভাবে জগৎকে পরিবর্তন করবেন?
বাইবেলে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় মথি ৬:৯, ১০ এবং দানিয়েল ২:৪৪ পদে।