সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

যুবক-যুবতীরা—তোমাদের জীবনকে তোমরা কীভাবে কাজে লাগাবে?

যুবক-যুবতীরা—তোমাদের জীবনকে তোমরা কীভাবে কাজে লাগাবে?

যুবক-যুবতীরা—তোমাদের জীবনকে তোমরা কীভাবে কাজে লাগাবে?

“আ মি আমার জীবন থেকে সর্বোত্তমটা পেতে চাই।” এক কিশোরী এই কথা বলে। কোন সন্দেহ নেই যে, তুমিও তা-ই চাও। কিন্তু, কীভাবে তুমি তোমার জীবন থেকে “সর্বোত্তমটা” পেতে পার? বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম এবং তোমার বন্ধুবান্ধব, এমনকি হয়তো তোমার শিক্ষকরাও বলতে পারেন যে, প্রচুর টাকা কামানো এবং সম্মানীয় কোন বৃত্তি লাভ করার মাধ্যমেই তুমি তা পেতে পার অর্থাৎ একজন সফল ব্যক্তি হতে পার!

কিন্তু, বাইবেল যুবক-যুবতীদের সাবধান করে যে, বস্তুগত সাফল্যের পিছনে ছোটা মানে “বায়ুভক্ষণ” মাত্র। (উপদেশক ৪:৪) একটা কারণ হল, মাত্র অল্প কিছু যুবক-যুবতী আসলে ধনসম্পদ ও খ্যাতি অর্জন করে। আর যারা সেগুলো অর্জনে সফল হয়, তাদের মোহও একসময় কেটে যায়। সম্মানীয় প্রাতিষ্ঠানিক বৃত্তির পিছনে ছুটেছিল এমন এক ব্রিটিশ যুবক বলে, ‘এটা একটা খালি বাক্সের মতো। ভিতরে তাকিয়ে তুমি দেখতে পাবে যে, আসলে তাতে কিছুই নেই।’ এটা ঠিক যে, চাকরি কখনও কখনও ধনসম্পদ ও খ্যাতি এনে দিতে পারে। কিন্তু, এটা তোমার “আধ্যাত্মিক চাহিদা” মেটাতে পারে না। (মথি ৫:৩, NW) এ ছাড়া, ১ যোহন ২:১৭ পদ সাবধান করে যে, “জগৎ . . . বহিয়া যাইতেছে।” এমনকি এই জগতে তুমি যদি সাফল্য অর্জনও কর, তা হবে ক্ষণস্থায়ী।

তাই, উপদেশক ১২:১ পদ যুবক-যুবতীদের উৎসাহ দেয়: “তুমি যৌবনকালে আপন সৃষ্টিকর্ত্তাকে স্মরণ কর।” হ্যাঁ, যিহোবা ঈশ্বরের সেবায় তোমার জীবনকে কাজে লাগানোই হল সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়। কিন্তু, ঈশ্বরের সেবার জন্য প্রথমে তোমাকে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। কীভাবে তুমি তা করতে পার? আর ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত এক জীবনের সঙ্গে কী কী জড়িত?

যিহোবার একজন সাক্ষি হওয়ার জন্য যোগ্য হয়ে ওঠা

সবচেয়ে প্রথমে তোমার মধ্যে ঈশ্বরকে সেবা করার আকাঙ্ক্ষা গড়ে তুলতে হবে এবং এমনকি তোমার বাবামা যদি খ্রীষ্টানও হন, তবুও সেই আকাঙ্ক্ষা এমনি এমনিই আসবে না। যিহোবার সঙ্গে তোমাকেই কাছের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এক কিশোরী বলে, “যিহোবার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রার্থনা তোমাকে সাহায্য করবে।”—গীতসংহিতা ৬২:৮; যাকোব ৪:৮.

রোমীয় ১২:২ পদ আরেকটা পদক্ষেপের ওপর জোর দেয়, যা তোমাকে নিতে হবে। এটা বলে: “তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।” তোমাকে যে-বিষয়গুলো শেখানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে থেকে কোন কোন বিষয় কি কখনও তোমার কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে? তা হলে, বাইবেলের পরামর্শ মেনে চল এবং সেগুলো আসলেই ঠিক কি না, তা ‘নিজে পরীক্ষা করিয়া জান’! নিজে নিজে গবেষণা কর। বাইবেল এবং বাইবেল-ভিত্তিক প্রকাশনাগুলো পড়। কিন্তু, ঈশ্বর সম্বন্ধে শেখা কেবল বুদ্ধি বাড়ানোর প্রক্রিয়া নয়। তুমি যা পড়, তা নিয়ে ধ্যান করার জন্য সময় করে নাও, যাতে তোমার রূপক হৃদয়ে তা একেবারে গেঁথে যায়। এটা ঈশ্বরের প্রতি তোমার ভালবাসাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।—গীতসংহিতা ১:২, ৩.

এরপর, তুমি যা শিখেছ তা রীতিবহির্ভূতভাবে বলার চেষ্টা কর আর সেটা তোমার সহপাঠীদের কাছেও হতে পারে। এর পরের পদক্ষেপ হল ঘরে-ঘরে প্রচার করা। প্রচার করার সময় মাঝেমধ্যে তোমার এক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে আর প্রথম প্রথম তুমি হয়তো ঘাবড়ে যেতে পার। কিন্তু বাইবেল আমাদের “সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত” না হতে পরামর্শ দেয়। (রোমীয় ১:১৬) তুমি তো জীবন ও আশার বার্তা জানাচ্ছ! তা হলে, কেন লজ্জা পাবে?

তোমার বাবামা যদি খ্রীষ্টান হন, তা হলে তুমি হয়তো ইতিমধ্যেই তাদের সঙ্গে প্রচারে গিয়েছ। কিন্তু, দরজায় কেবল চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার বা শুধু পত্রিকা ও ট্র্যাক্ট দেওয়ার চেয়ে আরও বেশি কিছু কি তুমি করতে পার? তুমি কি দরজায় গিয়ে বাইবেল থেকে গৃহকর্তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজে নিজে কথা বলতে পার? যদি না পার, তা হলে তোমার বাবামা অথবা মণ্ডলীর কোন পরিপক্ব সদস্যের কাছ থেকে সাহায্য নাও। সুসমাচারের একজন অবাপ্তাইজিত প্রকাশক হিসেবে যোগ্য হয়ে ওঠাকে তোমার লক্ষ্যে পরিণত কর!

একসময় তুমি উৎসর্গ করতে প্রেরণা পাবে, যা হল ঈশ্বরের কাছে অঙ্গীকার করা যে, তুমি এখন থেকে তাঁকে সেবা করবে। (রোমীয় ১২:১) কিন্তু, উৎসর্গীকরণ শুধুমাত্র এক ব্যক্তিগত বিষয় নয়। ঈশ্বর চান যেন “পরিত্রাণের জন্য” সবাই “মুখে স্বীকার করে।” (রোমীয় ১০:১০) বাপ্তিস্মের সময়ই তুমি প্রথমে তোমার বিশ্বাসকে মুখে ঘোষণা কর। এরপর জলে বাপ্তিস্ম নাও। (মথি ২৮:১৯, ২০) এটা ঠিক যে, বাপ্তিস্ম একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কিন্তু, তুমি কোন না কোনভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পার ভেবে এর থেকে পিছিয়ে যেও না। শক্তির জন্য যদি তুমি ঈশ্বরের ওপর নির্ভর কর, তা হলে দৃঢ় থাকতে সাহায্য করার জন্য তিনি তোমাকে “পরাক্রমের উৎকর্ষ” দেবেন।—২ করিন্থীয় ৪:৭; ১ পিতর ৫:১০.

বাপ্তিস্মের সময় থেকে তুমি যিহোবার একজন সাক্ষি হয়ে ওঠ। (যিশাইয় ৪৩:১০) তুমি তোমার জীবনকে কীভাবে কাজে লাগাবে, সেই বিষয়ে এটা এক জোরালো প্রভাব ফেলবে। উৎসর্গীকরণের সঙ্গে ‘আপনাকে অস্বীকার করা’ জড়িত। (মথি ১৬:২৪) তুমি হয়তো কিছু ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাদ দিয়ে ‘প্রথমে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে চেষ্টা করিতে’ পার। (মথি ৬:৩৩) আর উৎসর্গীকরণ ও বাপ্তিস্ম, তা করার জন্য অনেক সুযোগ খুলে দেয়। এসো এগুলোর কয়েকটা আমরা বিবেচনা করি।

ঈশ্বরকে পূর্ণ-সময় সেবা করার সুযোগগুলো

অগ্রগামীর কাজ করা  হল এইরকম এক সুযোগ। একজন অগ্রগামী প্রকাশক হলেন উদাহরণযোগ্য এক বাপ্তাইজিত খ্রীষ্টান, যিনি প্রতি মাসে অনন্ত ৭০ ঘন্টা সুসমাচার প্রচার করে থাকেন। ক্ষেত্রে বেশি সময় দেওয়া তোমাকে প্রচার করার ও শিক্ষা দেওয়ার দক্ষতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। অনেক অগ্রগামী তাদের বাইবেল ছাত্রছাত্রীদের বাপ্তাইজিত সাক্ষি হয়ে উঠতে সাহায্য করার আনন্দ উপভোগ করেছেন। জগতের কোন চাকরি কি এতটা রোমাঞ্চকর অনুভূতি ও পরিতৃপ্তি এনে দিতে পারে?

নিজের ভরণপোষণের জন্য বেশির ভাগ অগ্রগামীরা খণ্ডকালীন চাকরি করে থাকেন। অনেকে স্কুল বা তাদের বাবামার কাছ থেকে কোন কারিগরি বৃত্তি শিখে এই দায়িত্বের জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেন। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা নেওয়ার পর তুমি ও তোমার বাবামা যদি মনে কর যে, অতিরিক্ত কোন প্রশিক্ষণ নেওয়া তোমার জন্য উপকারজনক হবে, তা হলে নিশ্চিত হও যে, এই শিক্ষা নেওয়ার পিছনে অনেক টাকাপয়সা রোজগার করা তোমার উদ্দেশ্য নয় কিন্তু তোমার ইচ্ছা হল পরিচর্যাকে সমর্থন করা এবং হয়তো একজন পূর্ণ-সময়ের পরিচারক হিসেবে সেবা করা।

কিন্তু, একজন অগ্রগামীর জীবনের মূল বিষয় তার চাকরি নয় কিন্তু তার পরিচর্যা—জীবন অর্জন করতে অন্যদের সাহায্য করা! অগ্রগামীর কাজ করাকে এক ব্যক্তিগত লক্ষ্য হিসেবে রাখ না কেন? অগ্রগামীর কাজ প্রায়ই অন্যান্য সুযোগ এনে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছু অগ্রগামী সেই এলাকাগুলোতে যান যেখানে প্রচুর রাজ্যের প্রকাশকদের দরকার আছে। অন্যেরা বিদেশি ভাষা শিখে, হয় তাদের দেশের বিদেশি ভাষার মণ্ডলীতে অথবা বিদেশে গিয়ে সেবা করেন। সত্যিই, অগ্রগামীর কাজ হল জীবনের এক পুরস্কারদায়ক পথ!

● মিশনারি সেবা হল সুযোগের আরেকটা দ্বার। ১৯৪৩ সাল থেকে ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অফ গিলিয়েড যোগ্য অগ্রগামীদের মিশনারি সেবার জন্য চমৎকার এক প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। গ্র্যাজুয়েটরা বিদেশে গিয়ে পূর্ণ-সময়ের প্রচারক হিসেবে সেবা করার কার্যভার লাভ করেন। এর মধ্যে অনেক জায়গায় জীবনযাপনের মান খুব কঠিন, তাই মিশনারি সেবার জন্য ভাল স্বাস্থ্য ও মানসিক শক্তি খুবই জরুরি। তা সত্ত্বেও, মিশনারিরা রোমাঞ্চকর, পরিতৃপ্তিদায়ক জীবন উপভোগ করেন।

● মিনিস্টিরিয়াল ট্রেনিং স্কুল, যোগ্য অবিবাহিত প্রাচীন ও পরিচারক দাসদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটানা আট সপ্তা ধরে এই কোর্সে প্রাচীন ও পরিচারক দাসদের দায়িত্ব, সংগঠন এবং জনসাধারণ্যে বক্তৃতা সম্বন্ধে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কেউ কেউ তাদের নিজেদের দেশে সেবা করার জন্য কার্যভার পান। অন্যদের বিদেশে সেবা করার কার্যভার নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

● বেথেল পরিচর্যা মানে যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিসগুলোর কোন একটাতে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেবা করা। বেথেল পরিবারের কিছু সদস্য বাইবেল-ভিত্তিক সাহিত্যাদি তৈরিতে সরাসরি কাজ করে থাকেন। অন্যদের এই কাজকে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন কার্যভার দেওয়া হয়ে থাকে যেমন বিল্ডিং ও সরঞ্জামাদির রক্ষণাবেক্ষণ বা বেথেল পরিবারের শারীরিক চাহিদাগুলোর যত্ন নেওয়া। সব কার্যভারই যিহোবার প্রতি পবিত্র সেবার সুযোগ। এ ছাড়া, যারা বেথেলে সেবা করেন তারা জেনে আনন্দিত যে, তারা যা কিছু করেন, সেটা সারা পৃথিবীতে তাদের যে-প্রচুর ভাইবোন আছেন, তাদের উপকৃত করে।

বিশেষ দক্ষতা আছে এমন ভাইদের মাঝে মাঝে বেথেলে সেবা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু, বেশির ভাগ ব্যক্তিই এখানে এসে প্রশিক্ষণ লাভ করে থাকেন। যারা বেথেলে সেবা করেন, তারা বস্তুগত লাভের জন্য সেবা করেন না কিন্তু তাদের জন্য থাকা-খাওয়ার যে-ব্যবস্থা করা হয় এবং ব্যক্তিগত খরচ চালানোর জন্য যে-স্বল্প ভাতা দেওয়া হয়, তাতে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। বেথেল পরিবারের একজন যুবক সদস্য তার সেবাকে এভাবে বর্ণনা করেন: “এটা খুবই চমৎকার কাজ! নিয়মিত কাজের তালিকা মেনে চলা যদিও খুব সহজ নয় কিন্তু এখানে সেবা করে আমি প্রচুর আশীর্বাদ লাভ করেছি।”

● আন্তর্জাতিক সেবা একজনকে শাখা অফিস ও কিংডম হলগুলো বানানোর কাজে অংশ নিতে সুযোগ করে দেয়। এই ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দাস বলে ডাকা হয় ও তারা এইরকম নির্মাণ কাজে সাহায্য করার জন্য বিদেশে ভ্রমণ করে থাকেন। এটা একধরনের পবিত্র সেবা, ঠিক তাদের মতো যারা শলোমনের মন্দির বানিয়েছিলেন। (১ রাজাবলি ৮:১৩-১৮) আন্তর্জাতিক দাসদের যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থাগুলো বেথেল পরিবারের সদস্যদের মতোই। যিহোবার প্রশংসা করার জন্য কাজের এই ক্ষেত্রে সেবা করার কত বড় এক সুযোগ এই ভাইবোনদের রয়েছে!

যিহোবাকে সর্বান্তঃকরণে সেবা কর

যিহোবাকে সেবা করা হল তোমার জীবনকে কাজে লাগানোর সর্বোত্তম উপায়। ঈশ্বরকে পূর্ণ-সময় সেবা করার জন্য এক ব্যক্তিগত লক্ষ্য স্থাপন করার বিষয়ে চিন্তা কর না কেন? তোমার বাবামা, স্থানীয় প্রাচীনদের এবং সীমা অধ্যক্ষের সঙ্গে পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যার বিষয় নিয়ে আলোচনা কর। তুমি যদি বেথেল, গিলিয়েড বা মিনিস্টিরিয়াল ট্রেনিং স্কুলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হও, তা হলে সীমা অধিবেশন ও জেলা সম্মেলনগুলোতে সম্ভাব্য আবেদনকারীদের জন্য যে-সভাগুলো হয়ে থাকে, তাতে যোগ দাও।

এটা ঠিক যে, সবাই হয়তো পূর্ণ-সময় সেবা করতে পারবে না। কখনও কখনও, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং পারিবারিক দায়িত্বগুলোর কারণে একজন বেশি কিছু করতে পারে না। কিন্তু, সমস্ত উৎসর্গীকৃত খ্রীষ্টানকে বাইবেলের আদেশে মনোযোগ দিতে হবে: “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে [“যিহোবাকে,” NW] প্রেম করিবে।” (মথি ২২:৩৭) যিহোবা চান যেন তুমি তোমার পরিস্থিতি অনুযায়ী সর্বোত্তমটা কর। তাই তোমার পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, যিহোবাকে সেবা করা তোমার জীবনের মূল বিষয় করে তোল। বাস্তবসম্মত ঈশতান্ত্রিক লক্ষ্যগুলো স্থাপন কর। হ্যাঁ, “যৌবনকালে আপন সৃষ্টিকর্ত্তাকে স্মরণ কর” আর তা করলে তুমি চিরকালের জন্য আশীর্বাদ পাবে!

উল্লেখ করা না থাকলে উদ্ধৃত শাস্ত্রপদগুলো বাইবেল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার পবিত্র বাইবেল থেকে নেওয়া হয়েছে। যেখানে NW লেখা আছে সেখানে পবিত্র শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ—প্রাসঙ্গিক বিষয়সহ (ইংরেজি) ব্যবহার করা হয়েছে।