সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

টুথপেস্টের প্রাচীন মিশরীয় পদ্ধতি

“১৮৭৩ সালে প্রথম বাণিজ্যিক নাম নিয়ে বাজারে আসা কোলগেট ব্যবহৃত হওয়ার ১,৫০০ বছরেরও বেশি আগে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো সুপরিচিত টুথপেস্টের পদ্ধতি, ভিয়েনিস সংগ্রাহলয়ের সর্বনিম্নতল অংশে ধুলোভরা এক পাপাইরাসের টুকরোর মধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে,” ইলেকট্রোনিক টেলিগ্রাফ রিপোর্ট করে। “জলে মিশ্রিত ঝুলকালি ও বাবলাজাতীয় গাছ থেকে উৎপন্ন আঠার তৈরি ফ্যাকাশে কালো রংয়ের কালি দিয়ে একজন প্রাচীন মিশরীয় লেখক মনোযোগের সঙ্গে এটার সম্বন্ধে বর্ণনা দিয়েছিলেন, যেটাকে তিনি ‘সাদা ও শক্ত দাঁতের পাউডার’ বলেছিলেন। মুখে যখন এটা লালার সঙ্গে মিশ্রিত হয়, তখন এটা এক ‘পরিষ্কার টুথপেস্ট’ তৈরি করে।” সা.কা. চতুর্থ শতাব্দীর এই নথি উপাদানগুলোর তালিকা দেয় যেমন সৈন্ধব লবণ, পুদিনা, শুকনো আইরিস ফুল ও গোলমরিচের কয়েকটা দানা—সমস্তকিছুকে গুঁড়ো করে এক সঙ্গে মেশাতে হবে। ভিয়েনাতে উদ্‌যাপিত এক দন্ত সম্মেলনে এই আবিষ্কার এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। “দন্ত পেশায় থাকা কারওরই কোনো ধারণা ছিল না যে, এত পুরনো এইরকম এক আধুনিক টুথপেস্টের পদ্ধতি অস্তিত্বে রয়েছে,” বলেছিলেন ডা. হিন্টস্‌ নিউম্যান যিনি এটা ব্যবহার করেছিলেন এবং দেখেছিলেন যে, তার “মুখ সতেজ ও পরিষ্কার বোধ করছে।” প্রবন্ধটি উল্লেখ করে: “দন্ত চিকিৎসকরা সম্প্রতি আইরিস ফুলের উপকারী বৈশিষ্ট্যগুলো আবিষ্কার করেছে, যেটাকে দাঁতের মাড়ির রোগের জন্য কার্যকারী বলে মনে করা হয়েছে আর এখন এটার বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু হয়েছে।” (g০৩ ১১/২২)

পারিবারিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা

“পারিবারিক আলোচনায় অবনতি ঘটে তা ‘রোজকার ঘ্যাঁনঘ্যানানিতে’ পরিণত হয়েছে, যার ফলে ছোট ছেলেমেয়েরা সঠিকভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে না,” লন্ডনের দ্যা টাইমস্‌ রিপোর্ট করে। ব্রিটেনে শিক্ষামূলক মানগুলো বজায় রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত, সরকারের মৌলিক দক্ষতা সংস্থার পরিচালক আ্যলেন ওয়েলস্‌ এই অবনতির কারণ হিসেবে, ছেলেমেয়েদের “টেলিভিশন ও কমপিউটারের সামনে বসে থাকা এবং পরিবারগুলোর একসঙ্গে খাবার খেতে খুব অল্প সময় ব্যয় করার” ওপর আরোপ করেন। এ ছাড়া, ওয়েলস্‌ ঠাকুমা-ঠাকুরদাবিহীন একক পরিবারগুলোর বৃদ্ধিকে দায়ী করেন আর সেইসঙ্গে এই বিষয়টাকেও যে, খুব অল্প সংখ্যক বাবামা এখন তাদের ছেলেমেয়েদেরকে সঙ্গে নিয়ে পড়ে। তিনি মনে করেন যে, এই কারণগুলো সাহায্য করে এটার ব্যাখ্যা দিতে যে, চার বা পাঁচ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়া ছেলেমেয়েরা, কেন আগের ছেলেমেয়েদের থেকে “কম স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে ও নিজেদের মনের কথা কম প্রকাশ করতে সক্ষম হয়।” বাবামারা তাদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কীভাবে ভাববিনিময় করবে, সেই ধরনের শিক্ষা দেওয়ার কার্যক্রমগুলোর বিষয়ে ওয়েলস্‌ সুপারিশ করেন। (g০৩ ৯/২২)

ধর্মে আগ্রহী নয়

“[জাপানের] লোকেরা চলতি বিষণ্ণ পরিস্থিতিগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করার সময় এর উত্তরের জন্য ধর্মের দিকে ফিরছে বলে মনে হয় না,” আইএইচটি আসাহি শিমবুন খবরের কাগজ রিপোর্ট করে। “ধর্মের বা কোনো প্রকারের বিশ্বাসের প্রতি কি আপনার বিশ্বাস বা সামান্য আগ্রহ রয়েছে?” এই প্রশ্নের উত্তরে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে শতকরা মাত্র ১৩ জন হ্যাঁ বলেছিল। এ ছাড়া, পুরুষদের মধ্যে শতকরা আরও ৯ জন এবং মহিলাদের মধ্যে শতকরা ১০ জন বলেছিল যে, তারা “কিছুটা” আগ্রহী। “বিশেষ করে লক্ষণীয় বিষয়টা হল যে, ২০-র কোঠায় থাকা মেয়েদের মধ্যে খুবই অল্প আগ্রহ দেখা যায়, যাদের সংখ্যা শতকরা মাত্র ৬ জন,” খবরের কাগজ আরও বলে। বার্ষিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল যে, জাপানে শতকরা ৭৭ জন পুরুষ এবং শতকরা ৭৬ জন মহিলা বলে যে, ধর্মে বা অন্য কোনো প্রকারের বিশ্বাসে তাদের কোনো আগ্রহই নেই। ধর্মের প্রতি জাপানের লোকেদের আগ্রহের সংখ্যা ১৯৭৮ সালে নেওয়া একই ধরনের একটা হিসাবের থেকে প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। সাধারণত, কিছু বয়স্ক লোক, বিশেষ করে যাদের বয়স ৬০ বছরেরও বেশি তাদের সামান্য আগ্রহ রয়েছে বলে দাবি করে থাকে। (g০৩ ১০/০৮)

শেখার কোনো বয়স নেই

নেপাল যেখানে নিরক্ষরতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, সেখানে একজন বয়স্ক ব্যক্তি যার ১২ জনেরও বেশি নাতিনাতনি রয়েছে তিনি পড়াশোনা করতে তার প্রচেষ্টাগুলোর জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। বাল বাহাদুর কারকি, যিনি লেখক বাঝে নামে পরিচিত, তিনি ১৯১৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ৮৪ বছর বয়সে চারবার প্রচেষ্টা করার পর তিনি তার স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন। এখন ৮৬ বছর বয়সে তিনি কলেজে পড়াশোনা করছেন। তিনি মূলত ইংরেজি ভাষার ওপর অধ্যয়ন করছেন আর এমনকি অন্যদেরকে সেই ভাষা শেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, তার চারপাশে ঘিরে থাকা যুবক-যুবতীদের মাঝে এক ডেস্কে বসা তাকে তার বয়স ভুলিয়ে দেয় আর তিনি আবারও নিজেকে যুবক বোধ করেন। শেষবারের মতো রাজধানী কাঠমন্ডুতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন পুরস্কার এবং তার সম্পাদনগুলোর জন্য প্রশংসার এক উচ্চ জয়ধ্বনি পেয়েছিলেন। তিনি অন্যদের উৎসাহিত করেছিলেন যে, তাদের শুধু বয়স হয়ে গেছে বলে যেন তারা হাল ছেড়ে না দেয়। কিন্তু, লেখক বাঝে একটা অভিযোগ প্রকাশ করেছিলেন। রাজধানীতে যেতে বাস ধরার জন্য তাকে বাধ্য হয়ে তিন দিন হাঁটতে হয়েছিল, কারণ তার ভাড়া কমানো হয়নি এবং নিয়মিতভাবে বিমানে যাত্রার করার মতো ক্ষমতা তার ছিল না। তিনি কাঠমন্ডু পোস্ট খবরের কাগজকে বলেছিলেন: “বিমান ব্যবস্থার উচিত আমার ভাড়া কমিয়ে দেওয়া, কারণ আমিও একজন ছাত্র।” (g০৩ ১২/২২)