সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমার প্রতি আগ্রহী একজন মেয়ের সঙ্গে আমার কেমন ব্যবহার করা উচিত?

আমার প্রতি আগ্রহী একজন মেয়ের সঙ্গে আমার কেমন ব্যবহার করা উচিত?

যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .

আমার প্রতি আগ্রহী একজন মেয়ের সঙ্গে আমার কেমন ব্যবহার করা উচিত?

“সুজানই প্রথম এগিয়ে এসেছিল আর তাতে আমি বিরক্ত হইনি। সেটা আমার জন্য বেশ ভাল প্রস্তাবই ছিল।”—জেমস। *

“একজন পুরুষ যদি মহিলাদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে সৎ না হন, তা হলে এর ফল ধ্বংসাত্মক হতে পারে।”—রোবার্টো।

সম্প্রতি, একজন যুবতী তোমাকে বলল যে সে তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চায়। তুমি প্রায়ই তাকে বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে দেখে থাকো আর তার সঙ্গে কথা বলতে ও একসঙ্গে কাজ করতে তোমার ভালই লাগে। কিন্তু, সে তোমাকে যা বলল, তা তোমাকে বাক্‌রুদ্ধ করে ফেলে। সে তোমাকে ভালবাসে আর জানতে চায় যে, তুমিও তাকে ভালবাস কি না।

এটা হয়তো তোমাকে অবাক করে দিতে পারে, যদি তুমি এইরকম মনে করে থাকো যে, বিয়ের উদ্দেশ্যে মেলামেশা করার বিষয়টা ছেলেরই প্রথম বলা উচিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যদিও এমনটাই হয়ে থাকে, তবে মনে রেখ যে প্রথম ধাপটা নিয়ে সেই যুবতী কিন্তু বাইবেলের নীতিগুলোকে লঙ্ঘন করেনি। * এই বিষয়টা জানা হয়তো তোমাকে সঠিকভাবে উত্তর দিতে সাহায্য করবে।

বিষয়টা ভালভাবে ভেবে দেখার পর তুমি হয়তো এই সিদ্ধান্তে এসেছ যে, তোমার এখনও ডেটিং করার মতো বয়স হয়নি অথবা এখন সেই মেয়েকে তোমার আকর্ষণীয় বলে মনে হয় না। তুমি হয়তো নিজেকে দোষী মনে করতে পারো, হয়তো এইরকম ভেবে যে তুমি কোনোভাবে তাকে ভুল ইঙ্গিত দিয়েছ কি না। তোমার কী করা উচিত? প্রথমে, তার অনুভূতিকে তোমার বিবেচনা করা উচিত।

তার অনুভূতিকে বিবেচনা করো

এই অবস্থায় একজন মেয়ের মনে কত তোলপাড় হয়েছে, তা একটু ভেবে দেখো। তার সম্বন্ধে তোমাকে ভাল ধারণা দেওয়ার আকুল ইচ্ছুক হওয়ায় সে হয়তো তার মনের কথাগুলো তোমার কাছে গুছিয়ে বলার জন্য অনেক দিন ধরে মহড়া দিয়েছে। সঠিক কথাগুলো মুখে সুন্দর হাসি দিয়ে বলার পর সে এই সম্ভাবনাকেও বিবেচনা করেছে যে, তুমি হয়তো তাকে না বলতে পারো। শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট সাহস সঞ্চয় করে, তার ঘাবড়ে যাওয়া ভাবটা কাটিয়ে উঠেছে এবং তার মনের কথা তোমাকে বলেছে।

কেন সে এইরকম কঠিন ধাপটা নিয়েছে? হতে পারে তোমার প্রতি তার এক মোহ রয়েছে। অন্যদিকে এটাও হতে পারে যে, সে হয়তো তোমার চমৎকার গুণগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছে, যা খুব কম লোকই লক্ষ করে থাকে। তাই, তার কথাগুলোর মধ্যে হয়তো এক অব্যক্ত প্রশংসাবাণী রয়েছে, যা সচরাচর প্রতিদিন তুমি শোনো না।

এই বিষয়গুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তোমার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য নয় কিন্তু তোমাকে সদয় হওয়ার বিষয়টা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। জুলি নামে এক যুবতী বলে: “সেই মেয়ের প্রতি যদি সেই ছেলের কোনোরকম অনুভূতি না-ও থাকে, তবুও তার এটা জেনে খুশি হওয়া উচিত যে, কেউ একজন তাকে লক্ষ করেছে। তাই রুক্ষভাবে না বলার পরিবর্তে, তার অন্তত সুন্দর ব্যবহার করা উচিত এবং তাকে শান্তভাবে বুঝিয়ে বলা উচিত যে, সে আগ্রহী নয়।” এসো আমরা এক মুহূর্তের জন্য ধরে নিই যে, তুমি ঠিক তা-ই করতে চাইছ—‘তাকে শান্তভাবে বুঝিয়ে বলো যে তুমি আগ্রহী নও’ অথবা না বলার জন্য অন্য কোনো মৃদু উপায় খোঁজো।

কী হবে যদি তুমি অতীতে তাকে প্রত্যাখ্যান করে থাকো? তুমি হয়তো এখন তার সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করার জন্য প্রলুব্ধ হতে পারো। সেই প্রলোভনে পা দিও না। হিতোপদেশ ১২:১৮ পদ বলে: “কেহ কেহ অবিবেচনার কথা বলে, খড়্গাঘাতের মত, কিন্তু জ্ঞানবানদের জিহ্বা স্বাস্থ্যস্বরূপ।” কীভাবে তুমি “জ্ঞানবানদের জিহ্বা” দিয়ে কথা বলতে পারো?

সে তার অনুভূতি প্রকাশ করেছে বলে ও তোমার সম্বন্ধে এত উচ্চধারণা পোষণ করার জন্য তুমি হয়তো তাকে শুধু ধন্যবাদ জানাতে পারো। তোমার অজান্তে তাকে কোনো ভুল ধারণা দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাও। স্পষ্ট কিন্তু সদয়ভাবে তাকে বলো যে, এই ব্যাপারে তোমার অনুভূতি ও তার অনুভূতি এক নয়। সে যদি তোমার উত্তরটা বুঝতে না পারে আর তোমাকে আরও দৃঢ়ভাবে কথা বলতে হয়, তখনও তোমার কর্কশভাবে এবং দুঃখ দিয়ে কথা বলা এড়িয়ে চলা উচিত। তুমি তার কোমল অনুভূতির সঙ্গে মোকাবিলা করছ, তাই ধৈর্য ধরো। বিষয়টা যদি উলটো হতো, তা হলে তোমাকে শান্তভাবে তার আগ্রহী না হওয়ার বিষয়টা বুঝিয়ে বলায় তুমি কৃতজ্ঞ হতে, তাই না?

তবে সে হয়তো নাছোড়বান্দাভাবে বলতে পারে যে, তুমি ইচ্ছা করেই তাকে ভ্রান্ত করেছ। সে হয়তো এমন কিছু ঘটনার বিষয় উল্লেখ করতে পারে, যা তার মধ্যে এইরকম অনুভূতির উদ্রেক করেছে। সে হয়তো বলতে পারে, ‘মনে আছে তুমি আমাকে সেই ফুলটা দিয়েছিলে?’ অথবা ‘গত মাসে একসঙ্গে বেড়ানোর সময় তুমি আমাকে যে-কথা বলেছিলে, সেই কথা তোমার মনে নেই?’ তাই, এখন তোমাকে গুরুত্বের সঙ্গে আত্মপরীক্ষা করতে হবে।

সত্যের মুখোমুখি হও

অতীতের আবিষ্কারকরা প্রায়ই তারা যে-দেশগুলোকে আবিষ্কার করেছিল, সেগুলোকে জয় ও শোষণ করার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে দেখত আর আজকে কিছু কিছু পুরুষ, নারীদেরকে সেভাবেই দেখে থাকে। তারা প্রেমের সম্পর্ক উপভোগ করে কিন্তু বিয়ের দায়িত্ব নিতে চায় না। কোনোরকম অঙ্গীকার না করে তারা মেয়েদের আবেগ নিয়ে খেলা করে তাদের আকৃষ্ট করে। এই ধরনের একজন ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে একজন মেয়ের মন পায়। একজন খ্রিস্টান প্রাচীন মন্তব্য করেন: “কিছু কিছু যুবককে দেখে মনে হয় যেন তারা একেক বার একেক জন মেয়ের পিছনে ঘোরে। একজন মেয়ের আবেগ নিয়ে এভাবে খেলা করা ঠিক নয়।” এই ধরনের স্বার্থপরতা কোন দিকে পরিচালিত করে?

“যে পাগল জ্বলন্ত বাণ নিক্ষেপ করে, তীর ও মৃত্যু নিক্ষেপ করে, সে যেমন, তেমনি সেই ব্যক্তি, যে প্রতিবাসীকে প্রতারণা করে, আর বলে, আমি কি খেলা করিতেছি না?” (হিতোপদেশ ২৬:১৮, ১৯) একজন ছেলে যখন স্বার্থপর কারণগুলোর জন্য একজন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করে, তখন শেষ পর্যন্ত সেই মেয়ে তার প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে পারবে। সেই সময়ে তার প্রতারণা সেই মেয়ের হৃদয়ে কাটার মতো বিঁধতে পারে, যেমন নীচের অভিজ্ঞতাটা থেকে দেখা যায়।

একজন যুবক একজন যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সেই মেয়েকে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছাই তার ছিল না। সেই ছেলে তাকে ভাল ভাল রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিল এবং তারা একসঙ্গে বিভিন্ন পার্টিতে গিয়েছিল। সে মেয়েটির সঙ্গ উপভোগ করত আর সেই মেয়ে তার প্রতি ছেলেটির মনোযোগ থাকায় এইরকম ভেবে আনন্দ পেত যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে বিয়ের উদ্দেশ্যে মেলামেলা করছে। মেয়েটি যখন বুঝতে পেরেছিল যে, ছেলেটি শুধু তার সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য তা করছে, তখন সে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিল।

যে-মেয়ে সবেমাত্র তোমার সঙ্গে কথা বলেছে, তাকে যদি তুমি তোমার অজান্তেই কোনো ভুল ধারণা দিয়ে থাকো, তা হলে তোমার কী করা উচিত? আত্মপক্ষ সমর্থন করা এবং নিজেকে সঠিক বলে তুলে ধরার চেষ্টা তাকে কেবল বিরক্তই করবে। বাইবেলের এই নীতিটি বিবেচনা করো: “যে আপন অধর্ম্ম সকল ঢাকে, সে কৃতকার্য্য হইবে না; কিন্তু যে তাহা স্বীকার করিয়া ত্যাগ করে, সে করুণা পাইবে।” (হিতোপদেশ ২৮:১৩) তাই সত্য কথা বলো। যেকোনো ভুল বোঝাবুঝির ক্ষেত্রে তোমার দোষ স্বীকার করো। আর যদি তুমি ইচ্ছা করে তার অনুভূতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকো, তা হলে স্বীকার করো যে তুমি একটা বড় ভুল করেছ। অন্তর থেকে ক্ষমা চাও।

কিন্তু এমনটা আশা করো না যে, তোমার ক্ষমা চাওয়াই বিষয়টাকে শেষ করে দেবে। সেই যুবতী হয়তো কিছু সময়ের জন্য তোমার সঙ্গে রেগে থাকতে পারে। তোমাকে হয়তো তার বাবামার কাছে তোমার আচরণের বিষয় ব্যাখ্যা করতে হতে পারে। এ ছাড়া, তোমাকে হয়তো আরও অন্যান্য পরিণতিও ভোগ করতে হতে পারে। গালাতীয় ৬:৭ পদ বলে: “মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।” কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার দ্বারা এবং বিষয়টাকে মিটমাট করার জন্য তোমার যথাসাধ্য করার দ্বারা তুমি তাকে তার দুঃখ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। আর এই অভিজ্ঞতা তোমাকে জীবনের সমস্ত বিষয়ে ‘ছলনা-বাক্য হইতে তোমার ওষ্ঠকে সাবধানে রাখিতে’ শিক্ষা দেবে, যার মধ্যে বিপরীত লিঙ্গের সদস্যরাও রয়েছে।—গীতসংহিতা ৩৪:১৩.

উত্তর দেওয়ার আগে গম্ভীরভাবে চিন্তা করো

কিন্তু তুমি যদি সত্যিই সেই মেয়েকে আরও ভালভাবে জানতে চাও, তা হলে? যদি তা চাও, তা হলে তোমার উপলব্ধি করা উচিত যে, ডেটিং করা ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা শুধুমাত্র ভাল সময় কাটানোর উপায় নয়। ডেটিং করার সময় ছেলেমেয়ে একে অন্যের প্রতি যে-জোরালো অনুভূতি গড়ে তোলে তা ইঙ্গিত দেয় যে, তারা বিবাহের অঙ্গীকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা বিয়ে করার পর, সেই অনুভূতি তাদেরকে স্বামী ও স্ত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হতে সাহায্য করে। কীভাবে এই জ্ঞান হয়তো এখনই তোমাকে প্রভাবিত করতে পারে?

এই যুবতী সম্বন্ধে চিন্তা করার পর, তুমি হয়তো উপলব্ধি করলে যে, সে বেশ কয়েক দিক দিয়ে আকর্ষণীয়া। সে-ই দরজা খুলে দিয়েছে আর তুমি এটাকে এখন খোলা রাখতে চাও। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে বিয়ের উদ্দেশ্যে মেলামেশা করতে শুরু করার পরিবর্তে, সেই ধাপগুলো এখনই নাও যেগুলো তোমাদের দুজনকে পরবর্তী সময়ে চরম দুঃখের হাত থেকে রক্ষা করবে।

কিছু ক্ষেত্রে তুমি হয়তো কয়েক জন পরিপক্ব ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে চাইতে পারো, যারা তাকে চেনে। তাকেও পরামর্শ দাও যেন সে-ও তোমার চেনাজানা লোকেদের সঙ্গে পরামর্শ করে। তোমাদের প্রত্যেকের সেই পরিপক্ব ব্যক্তিদের জিজ্ঞেস করা উচিত যে, অন্য ব্যক্তিটির কোন উত্তম গুণ ও দুর্বলতাগুলো রয়েছে বলে তারা মনে করে। এ ছাড়া, তুমি হয়তো খ্রিস্টান প্রাচীনদের মন্তব্য জানতে পারো। এটা জানা ভাল যে, যে-ব্যক্তিটি তোমাকে আকৃষ্ট করেছে, খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে তার যথেষ্ট সুনাম আছে কি না।

কিন্তু, তুমি হয়তো বলতে পারো, ‘অন্যেরা কেন আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাবে?’ কিন্তু সত্য বিষয়টা হচ্ছে যে, এমনকি প্রেমের সম্পর্কের মতো ব্যক্তিগত বিষয়েও অন্য ব্যক্তিদের মতামত জানা বিজ্ঞের কাজ। বস্তুতপক্ষে, এটা শাস্ত্রসংগত কারণ হিতোপদেশ ১৫:২২ পদ বলে: “মন্ত্রিরাহুল্যে সে সকল সুস্থির হয়।” যে-প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে তুমি কথা বলো, তারা তোমার হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। কিন্তু, তাদের দেওয়া ‘আন্তরিক মন্ত্রণা’ বা পরামর্শ হয়তো অন্য ব্যক্তি এবং তোমার নিজের সম্বন্ধে বিভিন্ন দিক প্রকাশ করে দিতে পারে, যা তুমি দেখতে পাও না।—হিতোপদেশ ২৭:৯.

শুরুতে উল্লেখিত জেমস তা-ই করেছিল। যদিও সে একাই থাকত কিন্তু সে তার বাবামার সঙ্গে সুজানের বিষয়ে কথা বলেছিল। এরপর তারা দুজনেই সেই পরিপক্ব ব্যক্তিদের সঙ্গে একে অন্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, যারা এক দম্পতি হিসেবে তাদের সম্ভাবনার বিষয়ে মন্তব্য করতে পারত। একে অন্যের বিষয়ে উত্তম মন্তব্যগুলো শোনার পর, জেমস ও সুজান ডেটিং করতে শুরু করেছিল, এটা দেখার জন্য যে তাদের বিয়ে করার সম্ভাবনা রয়েছে কি না। আবেগগতভাবে খুব বেশি জড়িত হয়ে পড়ার আগে তুমি যদি এইরকম ধাপ নাও, তা হলে শেষ পর্যন্ত তুমি যে-সিদ্ধান্তটা নেবে সেই ক্ষেত্রে তুমি অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করবে।

সর্বোপরি, যিহোবার কাছে প্রার্থনা করো। যেহেতু ডেটিং হচ্ছে বিয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক ধাপ, তাই সেই যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা সেই লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে কি না, তা বুঝতে সাহায্য করার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে-সিদ্ধান্তগুলো তোমাদের দুজনকে তাঁর আরও নিকটবর্তী করবে, সেই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চাও। সেখানেই তোমাদের দুজনের প্রকৃত সুখ শায়িত।

[পাদটীকাগুলো]

^ এই প্রবন্ধে নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

^ ২০০৪ সালের ২২শে অক্টোবর এবং ২২শে ডিসেম্বর সচেতন থাক! (ইংরেজি) পত্রিকার “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য” প্রবন্ধগুলো আলোচনা করে যে, কীভাবে একজন মেয়ে তার ভালবাসার কথা একজন ছেলেকে জানাতে পারে।

[১৯ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

তুমি যদি সত্যিই আগ্রহী না হও, তা হলে সাবধান থেক যেন কোনো ভুল ধারণা না দাও