সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

নাটকীয়ভাবে যখন নৈতিক অধঃপতন ঘটে

নাটকীয়ভাবে যখন নৈতিক অধঃপতন ঘটে

নাটকীয়ভাবে যখন নৈতিক অধঃপতন ঘটে

কখন নাটকীয়ভাবে নৈতিক অধঃপতন শুরু হয়েছে বলে আপনি মনে করেন? আপনার জীবনকালেই কিংবা হতে পারে আপনার বয়স্ক আত্মীয়স্বজন অথবা বন্ধুবান্ধবের সময়ে? কেউ কেউ বলে যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, যা ১৯১৪ সালে শুরু হয়েছে, তা নৈতিক অবক্ষয়ের এক তুলনাহীন যুগের সূচনা করেছে। ইতিহাসের অধ্যাপক রবার্ট ভোল তার ১৯১৪ সালের প্রজন্ম (ইংরেজি) বইয়ে লিখেছিলেন: “যারা যুদ্ধের মধ্যে বেঁচেছিল, তারা কোনোভাবেই এটা বিশ্বাস করা বাদ দিতে পারেনি যে, একটা জগতের শেষ হয়েছে এবং ১৯১৪ সালের আগস্ট মাসে আরেকটা শুরু হয়েছে।”

“সমস্ত জায়গায় সামাজিক আচরণের মানগুলো—ইতিমধ্যেই যেগুলোর অধঃপতন ঘটছে—ধ্বংস হয়ে গিয়েছে,” ইতিহাসবেত্তা নরম্যান ক্যানটর বলেন। “রাজনীতিবিদ ও সেনাপ্রধানরা যদি তাদের অধীনস্থ লক্ষ লক্ষ লোকের সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, যেমনটা বধ করার জন্য নিয়ে যাওয়া পশুর সঙ্গে করা হয়, তা হলে ধর্ম অথবা নৈতিকতার কোন অনুশাসনই বা মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে বনের পশুদের মতো হিংস্র আচরণ করা থেকে বিরত করতে পারে? . . . প্রথম বিশ্বযুদ্ধের [১৯১৪-১৮] ব্যাপক হত্যা মানুষের জীবনের মূল্যকে সম্পূর্ণরূপে তুচ্ছ করে দিয়েছে।”

ইতিহাসের রূপরেখা নামক তার বৃত্তান্তমূলক বইয়ে ইংরেজ ইতিহাসবেত্তা এইচ. জি. ওয়েলস বলেন যে, বিবর্তনবাদের মতবাদ গ্রহণ করার পরই “প্রকৃত নীতিভ্রষ্টতার উদ্ভব হয়েছে।” কেন? কেউ কেউ মনে করে যে, মানুষ কেবল পশুপাখির জীবনের এক উন্নত রূপ। ওয়েলস, যিনি একজন বিবর্তনবাদী ছিলেন, তিনি ১৯২০ সালে লিখেছিলেন: “তারা মনে করে যে, মানুষ ভারতীয় শিকারি কুকুরের মতো এক সামাজিক জীব . . . তাই তাদের কাছে এটা সঠিক বলে মনে হয় যে, মানবগোষ্ঠীর বড় বড় কুকুররা ভয় দেখাবে ও নিয়ন্ত্রণ করবে।”

বস্তুতপক্ষে, ক্যানটর যেমন মন্তব্য করেছিলেন যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ লোকেদের নীতিবোধের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন: “বিগত প্রজন্মকে সমস্তকিছুতেই—রাজনীতিতে, পোশাক-আশাকে, যৌনতার প্রতি নৈতিক মনোভাবে—পুরোপুরি ভুল বলে তুলে ধরা হয়েছে।” গির্জাগুলো, যেগুলো বিবর্তনবাদের মতবাদকে খোলাখুলি অনুমোদন করার ও যুদ্ধে লিপ্ত থাকার জন্য দেশগুলোকে প্ররোচিত করার মাধ্যমে খ্রিস্টীয় শিক্ষাগুলোকে কলুষিত করেছে, সেগুলো নৈতিক অধঃপতনের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখেছে। ব্রিটিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ক্রোজার লিখেছিলেন: “খ্রিস্টীয় গির্জাগুলো হল আমাদের মধ্যে বিদ্যমান রক্তলোলুপতার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইন্ধনকারী আর সেগুলোকে আমরা অবাধে ব্যবহার করেছি।”

নৈতিকতার নিয়মাবলি বাদ দেওয়া হয়েছে

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরের দশকে—তথাকথিত ক্ষণস্থায়ী সমৃদ্ধির কুড়ির দশকে—পুরোনো মূল্যবোধ ও নৈতিক বিধিনিষেধগুলোকে সরিয়ে দিয়ে সেগুলোর স্থানে সবকিছুই গ্রহণযোগ্য এক মনোভাব স্থান নেয়। ইতিহাসবেত্তা ফ্র্যাডরিক লুইস আ্যলেন মন্তব্য করেন: “যুদ্ধের পরবর্তী দশ বছর হয়তো সংগত কারণেই অভদ্র আচরণের দশক বলে পরিচিত আছে। . . . পুরোনো নিয়মনীতির সঙ্গে সঙ্গে সেই মূল্যবোধগুলোও হারিয়ে যায়, যা জীবনে উন্নতি ও উদ্দেশ্য এনে দিয়েছিল এবং এর পরিবর্তে বিকল্প মূল্যবোধগুলো আর সহজে পাওয়া যায়নি।”

১৯৩০ এর দশকের চরম অর্থনৈতিক মন্দা অনেককে শোচনীয় দারিদ্রে নিমজ্জিত করার মাধ্যমে আরও সংযমী করে তুলেছিল। কিন্তু, সেই দশকের শেষের দিকে পৃথিবীতে আরেকটা এমনকি আরও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ—দেখা দিয়েছিল। শীঘ্রই, জাতিগুলো ধ্বংসের জন্য ভয়ংকর অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করছিল, পৃথিবীর অর্থনৈতিক মন্দা দ্রুত কাটিয়ে উঠেছিল ঠিকই তবে এটাকে মানুষের কল্পনাতীত দুঃখকষ্ট ও আতঙ্কের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। যুদ্ধের শেষের দিকে, শত শত শহর ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল; জাপানের দুটো শহরই মাত্র একটা পারমাণবিক বোমা দ্বারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল! লক্ষ লক্ষ লোক ভয়াবহ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পগুলোতে মারা গিয়েছিল। সেই যুদ্ধ সব মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি পুরুষ, নারী ও শিশুর জীবন কেড়ে নিয়েছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ানক পরিস্থিতিগুলোর সময়, লোকেরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান পরম্পরাগত ভদ্রতার মানগুলো মেনে চলার পরিবর্তে তাদের নিজেদের আচরণবিধি গড়ে তুলেছিল। প্রেম, যৌনতা ও যুদ্ধ—পরিবর্তিত মূল্যবোধগুলো, ১৯৩৯-৪৫ (ইংরেজি) বইটি বলে: “সেই সময়ে যৌনতার বিষয়ে বিধিনিষেধ সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল বলে মনে হয়েছিল, যুদ্ধক্ষেত্রে যা অনুমোদনযোগ্য ছিল তা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেছিল। . . . যুদ্ধের সময়ের জরুরি অবস্থা ও উত্তেজনা শীঘ্রই নৈতিক বিধিনিষেধগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছিল আর অনেক বাড়িতে জীবন যুদ্ধক্ষেত্রের জীবনের মতো তুচ্ছ ও সংক্ষিপ্ত বলে দেখা গিয়েছিল।”

ক্রমাগত মৃত্যুভয় আবেগগত সম্পর্ক ও এমনকি ক্ষণস্থায়ী সম্পর্কের জন্য মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। সেই নাটকীয় বছরগুলোতে যৌনতা প্রশ্রয়ের সপক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে একজন ব্রিটিশ গৃহিণী বলেছিলেন: “আমরা আসলে চরিত্রহীন ছিলাম না কারণ তখন যুদ্ধ চলছিল।” আমেরিকার একজন সৈন্য স্বীকার করেছিলেন, “অধিকাংশ লোকের মান অনুযায়ী আমরা চরিত্রহীন ছিলাম, কিন্তু আমাদের বয়স কম ছিল এবং আমরা হয়তো পরদিনই মারা যেতে পারতাম।”

সেই যুদ্ধ থেকে রক্ষাপ্রাপ্ত অনেক ব্যক্তি সচক্ষে লোমহর্ষক ঘটনা দেখার কারণে যন্ত্রণা ভোগ করেছে। এখনও পর্যন্ত কিছু ব্যক্তি ও সেইসঙ্গে তখন ছোট ছিল এমন ব্যক্তিরা অতীতের ঘটনা স্মরণ করে কষ্ট পায় এবং মনে করে যে, সেই মানসিক আঘাত আবারও আসতে যাচ্ছে। অনেকে তাদের বিশ্বাস ও সেইসঙ্গে নৈতিক নির্দেশনাবোধ হারিয়ে ফেলেছে। কোনটা ন্যায় এবং কোনটা অন্যায়, সেই বিষয়ে বিভিন্ন মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করতে পারে এমন কোনো কর্তৃত্বের প্রতি সম্মান না থাকায়, লোকেরা সমস্তকিছুইকেই আপেক্ষিক হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।

নতুন সামাজিক আচরণবিধি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, মানুষের যৌন আচরণ সম্বন্ধে নিরীক্ষা প্রকাশ করা হয়। ১৯৪০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের এইরকম একটা নিরীক্ষা ছিল, ৮০০ পৃষ্ঠারও বেশি কিনজি রিপোর্ট। এর ফলে অনেক লোক যৌন সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলতে শুরু করে, যা কিনা আগে সচরাচর আলোচনা করা হতো না। যদিও সেই রিপোর্টে, সমকামিতা ও অন্যান্য অস্বাভাবিক যৌন আচরণে রত ব্যক্তিদের বিষয়ে দেওয়া পরিসংখ্যানকে পরবর্তী সময়ে অতিরঞ্জিত বলে স্বীকার করা হয়েছিল, কিন্তু সেই নিরীক্ষা যুদ্ধের পরে যে-নাটকীয় নৈতিক অঃপতন ঘটেছিল, সেই বিষয়ে প্রকাশ করেছিল।

কিছু সময়ের জন্য ভদ্রতার মুখোশ বজায় রাখার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, রেডিও, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনে অনৈতিক বিষয়বস্তু বাদ দেওয়া হতো। কিন্তু, সেটা দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন এক শিক্ষা সচিব উইলিয়াম বেনেট ব্যাখ্যা করেছিলেন: “যাই হোক, ১৯৬০ এর দশকের মধ্যে আমেরিকার এমন দ্রুত এবং ক্রমাগত অধঃপতন ঘটা শুরু হয়, যেটাকে বলা যেতে পারে অসভ্যতা।” আর তা অন্যান্য অনেক দেশেও প্রতিফলিত হয়েছিল। কেন ৬০ এর দশকে এত দ্রুত নৈতিক অধঃপতন ঘটেছিল?

সেই দশকে প্রায় একই সময়ে নারী মুক্তি আন্দোলন ও তথাকথিত নতুন নৈতিকতা নিয়ে যৌনতার বিষয়ে আমূল পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়া, কার্যকারী জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি উৎপাদন করা হয়েছিল। গর্ভধারণের কোনো ভয় ছাড়াই যখন যৌনসম্পর্ক উপভোগ করা যেতে পারে, তখন “অবাধ সংসর্গ” অথবা “বিবাহ ব্যতিরেকে উভয়ের সম্মতিক্রমে যৌনসম্বন্ধ” সাধারণ হয়ে ওঠে।

একই সময়ে, ছাপাখানা, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন এদের নৈতিক মানকে শিথিল করে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান স্বিগ্‌নিও ব্রিজিনস্কি টিভিতে উপস্থাপিত মূল্যবোধগুলো সম্বন্ধে বলেছিলেন: “সেগুলো স্পষ্টভাবে আত্মতুষ্টির মনোভাবকে উচ্চীকৃত করে, সেগুলো প্রচণ্ড দৌরাত্ম্য ও নিষ্ঠুরতাকে সাধারণ হিসেবে তুলে ধরে [এবং] সেগুলো বাছবিচারহীন যৌনসম্পর্ককে উৎসাহিত করে।”

১৯৭০ এর দশকে ইতিমধ্যেই ভিসিআর জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সেই সময় লোকেরা তাদের ঘরে নিরালায় এমন অনৈতিক ও খোলাখুলিভাবে যৌনতা বিষয়ক বিষয়বস্তু দেখতে পারত, যেগুলো তারা কখনো প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখত না। আরও সম্প্রতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবচেয়ে জঘন্য ধরনের পর্নোগ্রাফি সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের এমন যেকারো পক্ষেই লাভ করা সম্ভব, যার একটা কম্পিউটার রয়েছে।

এর পরিণতি অনেক দিক দিয়েই ভয়াবহ। “দশ বছর আগে,” সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটা জেলখানার কারাধ্যক্ষ বলেছিলেন, “অল্পবয়স্কদের যখন জেলে ঢোকানো হতো, তখন আমি তাদের সঙ্গে কোনটা সঠিক ও কোনটা ভুল সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু, এখন যে-ছোট ছেলেমেয়েরা আসছে, তাদের কোনো ধারণাই নেই যে, আমি কোন বিষয়ে কথা বলছি।”

একজন ব্যক্তি কোথায় যেতে পারেন?

নৈতিক নির্দেশনার জন্য আমরা জগতের গির্জাগুলোর কাছে যেতে পারি না। যিশু ও তাঁর প্রথম শতাব্দীর অনুসারীদের মতো ধার্মিক নীতিগুলো তুলে ধরার পরিবর্তে, গির্জাগুলো নিজেদেরকে এই জগৎ ও এতে বিদ্যমান মন্দতার অংশ করে তুলেছে। একজন লেখক জিজ্ঞেস করেছিলেন: “এমন কোন যুদ্ধই বা হয়েছিল, যেখানে ঈশ্বরকে প্রতিটা পক্ষে রয়েছে বলে দাবি করা হয়নি?” ঈশ্বরের নৈতিক মানগুলো উচ্চীকৃত করার বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির একজন পাদরি কয়েক বছর আগে বলেছিলেন: “পৃথিবীর মধ্যে গির্জাই হল একমাত্র সংগঠন, যেখানে প্রবেশ করার চাহিদাগুলো একটা বাসে প্রবেশ করার চাহিদাগুলোর চেয়েও নিম্নমানের।”

স্পষ্টতই, এই জগতের নাটকীয় নৈতিক অধঃপতন দেখায় যে, জরুরি ভিত্তিতে কিছু করা প্রয়োজন। কিন্তু, কী করা প্রয়োজন? কোন পরিবর্তন প্রয়োজন? কে তা করতে পারে আর কীভাবে তা সম্পাদিত হবে? (g ৪/০৭)

[৫ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“প্রথম বিশ্বযুদ্ধের [১৯১৪-১৮] ব্যাপক হত্যা মানুষের জীবনের মূল্যকে সম্পূর্ণরূপে তুচ্ছ করে দিয়েছে”

[৬ পৃষ্ঠার বাক্স]

সদ্‌গুণ বনাম মূল্যবোধ

সদ্‌গুণ সবসময়ই স্পষ্ট। হয় একজন ব্যক্তি সৎ, অনুগত, বিশুদ্ধ এবং সম্মানীয় ছিল নতুবা ছিল না। এখন “সদ্‌গুণ” শব্দটির জায়গায় “মূল্যবোধ” শব্দটি এসেছে। কিন্তু, এতে একটা সমস্যা রয়েছে, যেমনটা ইতিহাসবেত্তা গেরট্রুড হিমালফার্ব তার সমাজের নৈতিক অবক্ষয় (ইংরেজি) বইয়ে মন্তব্য করেছেন: “একজন ব্যক্তি মূল্যবোধ সম্বন্ধে যেমন বলতে পারেন, তেমনই সদ্‌গুণ সম্বন্ধে একই কথা বলতে পারেন না . . . যে, প্রত্যেকেরই নিজ নিজ সদ্‌গুণ বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে।”

তিনি বলেন যে, মূল্যবোধ “হতে পারে বিশ্বাস, ধারণা, মনোভাব, অনুভূতি, অভ্যাস, প্রচলিত রীতি, অভিরুচি, ভেদাভেদ এমনকি অস্বাভাবিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য—তা যেকোনো ব্যক্তি, দল অথবা সমাজ যেকোনো সময়ে, যেকোনো কারণে যেটাকেই মূল্য দিয়ে থাকুক না কেন।” বর্তমান সংস্কারমুক্ত সমাজে লোকেরা তাদের নিজেদের মূল্যবোধগুলো বেছে নেওয়াকে ন্যায্য বলে মনে করে, ঠিক যেভাবে তারা কোনো সুপারমার্কেট থেকে মুদিখানার পণ্যসামগ্রী বেছে নিয়ে থাকে। কিন্তু, যখন তা-ই হয়ে থাকে, তখন প্রকৃত সদ্‌গুণ ও নৈতিকতার কী অবস্থা হয়?

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

নিম্নমানের আমোদপ্রমোদ আরও বেশি করে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে