সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ১৮

যাকোব হারণে যান

যাকোব হারণে যান

তুমি কি জান, যাকোব এখানে কাদের সঙ্গে কথা বলছেন? বেশ কিছু দিন যাত্রা করার পর, একটা কুয়োর ধারে তাদের সঙ্গে যাকোবের দেখা হয়েছে। তারা তাদের মেষপাল চরাচ্ছিল। যাকোব জিজ্ঞেস করেছিলেন: ‘তোমরা কোথাকার লোক?’

‘আমরা হারণের,’ তারা বলেছিল।

‘তোমরা কি লাবনকে চেন?’ যাকোব জিজ্ঞেস করেছিলেন।

‘হ্যাঁ চিনি,’ তারা উত্তরে বলেছিল। ‘ওই দেখো, তার মেয়ে রাহেল তার মেষপাল নিয়ে আসছে।’ তুমি কি দূরে রাহেলকে আসতে দেখতে পাচ্ছ?

যাকোব যখন তার মামার মেষ নিয়ে রাহেলকে আসতে দেখেছিলেন, তখন তিনি এগিয়ে গিয়ে কুয়োর মুখ থেকে পাথর সরিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে মেষগুলো জলপান করতে পারে। এরপর যাকোব রাহেলকে চুম্বন করেছিলেন এবং তার কাছে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। রাহেল খুবই উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন এবং বাড়িতে গিয়ে তার বাবা লাবনকে তা বলেছিলেন।

লাবন যাকোবকে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য পেয়ে অনেক আনন্দিত হয়েছিলেন। আর যাকোব যখন লাবনের কাছে রাহেলকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন, তখন তিনি খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি যাকোবকে রাহেলের জন্য সাত বছর তার খেতখামারে কাজ করতে বলেন। আর যাকোব যেহেতু রাহেলকে ভালোবাসতেন, তাই তিনি সেই কাজ করেছিলেন। কিন্তু, যখন বিয়ের সময় আসে, তখন কী হয়েছিল জান?

লাবন রাহেলের পরিবর্তে তার বড়ো মেয়ে লেয়াকে যাকোবের কাছে দিয়েছিলেন। যাকোব যখন লাবনের জন্য আরও সাত বছর কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন, তখন লাবন রাহেলকেও তার স্ত্রী হিসেবে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে, ঈশ্বর পুরুষদেরকে একাধিক স্ত্রী রাখতে অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন, বাইবেল যেমন দেখায় যে, একজন পুরুষের কেবল একজনই স্ত্রী থাকবে।

আদিপুস্তক ২৯:১-৩০.