সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ২৮

শিশু মোশি যেভাবে রক্ষা পেয়েছিল

শিশু মোশি যেভাবে রক্ষা পেয়েছিল

ছোট্ট বাচ্চাটিকে দেখো, যে কাঁদছে এবং ওই মহিলার আঙুল ধরে আছে। এই বাচ্চাটিই মোশি। তুমি কি জান, এই সুন্দরী মহিলাটি কে? তিনি হলেন একজন মিশরীয় রাজকুমারী, স্বয়ং ফরৌণের মেয়ে।

মোশির মা তার বাচ্চাকে তিন মাস পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছিলেন কারণ তিনি চাননি যে, মিশরীয়রা তাকে মেরে ফেলুক। কিন্তু তিনি জানতেন, তারা মোশিকে খুঁজে বের করে ফেলবে আর তাই তিনি তাকে রক্ষা করার জন্য এই কাজটা করেন।

তিনি একটা ঝুড়ি নিয়ে এমন কিছু করেছিলেন, যাতে সেটার ভিতরে জল ঢুকতে না পারে। তারপর, তিনি মোশিকে সেটার ভিতরে রেখে ঝুড়িটা নীল নদের পাশে যে-লম্বা লম্বা ঘাস ছিল, সেখানে রেখে দিলেন। মোশির বোনকে বলা হয়েছিল যেন সে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকে এবং কী হয়, তা দেখে।

কিছুক্ষণ পরেই ফরৌণের মেয়ে নীল নদে স্নান করার জন্য এসেছিলেন। হঠাৎ তিনি সেই লম্বা লম্বা ঘাসের মধ্যে ঝুড়িটা দেখতে পেলেন। তখন তিনি তার একজন দাসীকে বললেন: ‘ঝুড়িটা আমার কাছে নিয়ে এসো।’ রাজকুমারী যখন ঝুড়িটা খোলেন, তখন তিনি কতই-না সুন্দর একটি বাচ্চাকে দেখতে পান! ছোট্ট মোশি কাঁদছিল আর সেই রাজকুমারী তার জন্য খুবই কষ্ট অনুভব করেন। তিনি চাননি যে তাকে মেরে ফেলা হোক।

এরপর মরিয়ম সেখানে আসে। তুমি তাকে এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছ। মরিয়ম ফরৌণের মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছিল: ‘আমি কি গিয়ে এমন একজন মহিলাকে ডেকে নিয়ে আসব, যে আপনার হয়ে এই বাচ্চাকে দুধ পান করাতে পারবে?’

‘দয়া করে ডেকে নিয়ে এসো,’ রাজকুমারী বলেছিলেন।

তাই, মরিয়ম তার মাকে সেটা বলার জন্য খুব তাড়াতাড়ি দৌড়ে গিয়েছিল। মোশির মা যখন রাজকুমারীর কাছে এসেছিলেন, তখন রাজকুমারী তাকে বললেন: ‘এই বাচ্চাকে নিয়ে আমার হয়ে দুধ পান করাও আর এর জন্য আমি তোমাকে বেতন দেব।’

তাই, মোশির মা নিজের সন্তানের দেখাশোনা করেছিলেন। পরে, মোশি যখন বেশ বড়ো হয়ে গিয়েছিল, তখন তিনি তাকে ফরৌণের মেয়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন, যিনি মোশিকে দত্তক নিয়েছিলেন। এভাবেই মোশি ফরৌণের বাড়িতে বড়ো হয়ে উঠেছিলেন।

যাত্রাপুস্তক ২:১-১০.