সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ২৯

মোশি পালিয়ে যান

মোশি পালিয়ে যান

দেখো মোশি মিশর থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। তুমি কি লোকেদের তার পিছন পিছন তাড়া করতে দেখছ? তুমি কি জান, কেন তারা মোশিকে মেরে ফেলতে চায়? এসো দেখি, আমরা কারণটা বের করতে পারি কি না।

মোশি মিশরের শাসক ফরৌণের বাড়িতে বড়ো হয়েছেন। তিনি অনেক জ্ঞানী ও বিশিষ্ট একজন ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। মোশি এই বিষয়টা জানতেন যে, তিনি একজন মিশরীয় নন এবং তার আসল বাবা-মা ইস্রায়েলীয় দাস ছিল।

একদিন, মোশির বয়স যখন চল্লিশ বছর, তখন মোশি তার লোকেরা কীরকম অবস্থায় রয়েছে, তা দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে ভীষণ খারাপ আচরণ করা হচ্ছিল। তিনি দেখেন যে, একজন মিশরীয় একজন ইস্রায়েলীয় দাসকে ধরে মারছে। মোশি চারিদিকে তাকান আর যখন বুঝতে পারেন যে কেউ দেখছে না, তখন তিনি সেই মিশরীয়কে আঘাত করেন। এর ফলে ওই মিশরীয় মারা যায়। তখন মোশি তার দেহ বালির মধ্যে লুকিয়ে ফেলেন।

পরের দিন মোশি আবারও লোকেদের দেখতে বের হয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন যে, তিনি তাদের সাহায্য করতে পারবেন, যাতে তাদেরকে আর দাস হিসেবে থাকতে না হয়। কিন্তু, তিনি দু-জন ইস্রায়েলীয় পুরুষকে মারামারি করতে দেখেন আর তাই যে-ব্যক্তি অপরাধী ছিল, তাকে তিনি বললেন: ‘কেন তুমি তোমার ভাইকে মারছ?’

সেই ব্যক্তি তখন বলেছিল: ‘কে তোমাকে আমাদের ওপর শাসক ও বিচারকর্তা করে নিযুক্ত করেছে? তুমি সেই মিশরীয়ের মতো আমাকেও মেরে ফেলবে নাকি?’

তখন মোশি ভয় পেয়ে যান। তিনি বুঝতে পারেন যে, সেই মিশরীয়ের প্রতি তিনি যা করেছেন, তা লোকেরা জেনে গিয়েছে। এমনকী ফরৌণও এই বিষয়ে শুনতে পান আর তিনি মোশিকে মেরে ফেলার জন্য লোক পাঠান। এই কারণেই মোশিকে মিশর থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

মিশর ত্যাগ করে মোশি অনেক দূরে মিদিয়ন দেশে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে যিথ্রোর পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল আর তিনি যিথ্রোর মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। সেই মেয়ের নাম সিপ্পোরা। মোশি একজন মেষপালক হয়েছিলেন আর তিনি যিথ্রোর মেষপাল দেখাশোনা করতেন। তিনি চল্লিশ বছর ধরে মিদিয়নে বসবাস করেছিলেন। তখন মোশির বয়স আশি বছর হয়ে গিয়েছে। এরপর একদিন, মোশি যখন যিথ্রোর মেষপালের দেখাশোনা করছিলেন, তখন এমন একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটে, যেটা তার পুরো জীবনকে পালটে দিয়েছিল। এই পৃষ্ঠাটা উলটাও আর চলো দেখি, সেই আশ্চর্য ঘটনাটা কী।

যাত্রাপুস্তক ২:১১-২৫; প্রেরিত ৭:২২-২৯.