সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ৬৬

ঈষেবল—এক দুষ্ট রানি

ঈষেবল—এক দুষ্ট রানি

রাজা যারবিয়াম মারা যাওয়ার পর, ইস্রায়েলের উত্তর অঞ্চলে যে-সমস্ত রাজা শাসন করে, তারা প্রত্যেকেই দুষ্ট ছিল। আর রাজা আহাব তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুষ্ট। তুমি কি জান, কেন? এর একটা বড়ো কারণ হচ্ছে তার স্ত্রী দুষ্ট রানি ঈষেবল।

ঈষেবল ইস্রায়েলীয় নন। তিনি সীদোনের রাজার মেয়ে। তিনি মিথ্যা দেবতা বালের উপাসনা করেন আর তিনি আহাব ও অনেক ইস্রায়েলীয়কে দিয়েও বালের উপাসনা করান। ঈষেবল যিহোবাকে ঘৃণা করেন আর তিনি তাঁর অনেক ভাববাদীকে মেরে ফেলেন। অন্যদেরকে বাধ্য হয়ে গুহায় লুকিয়ে থাকতে হয়, যাতে তারাও মারা না পড়ে। ঈষেবল যদি কিছু পেতে চাইতেন, তাহলে সেটার জন্য তিনি এমনকী একজন ব্যক্তিকে হত্যা করে হলেও তা নিয়ে ছাড়তেন।

একদিন, রাজা আহাব খুবই বিষণ্ণ হয়ে থাকেন। তাই, ঈষেবল তাকে জিজ্ঞেস করেন: ‘তোমার মনটা আজকে এত খারাপ কেন?’

‘নাবোৎ আমাকে যা বলেছে, সেটার জন্য আমার মন খারাপ,’ আহাব উত্তর দেন। ‘আমি তার আঙুরের খেত কিনতে চেয়েছি। কিন্তু, সে আমাকে বলেছে আমি তা নিতে পারব না।’

‘কোনো চিন্তা কোরো না,’ ঈষেবল বলেন। ‘আমি তোমাকে সেটা নিয়ে দেব।’

তাই, ঈষেবল নাবোৎ যে-নগরে থাকতেন, সেখানকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে চিঠি লেখেন। ‘কয়েক জন অলস ও দায়িত্বজ্ঞানহীন লোককে নিয়ে এসো, যারা বলবে যে, নাবোৎ ঈশ্বরকে এবং রাজাকে অভিশাপ দিয়েছে’ তিনি তাদের বলেন। ‘তারপর, নাবোৎকে নগরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলো।’

ঈষেবল যখন জানতে পারেন যে, নাবোৎ মারা গিয়েছে, তখন সঙ্গেসঙ্গে তিনি আহাবকে বলেন: ‘এখন গিয়ে তার আঙুরের খেত নিয়ে নাও।’ তুমি কি এই বিষয়ে একমত নও যে, এইরকম একটা ভয়ানক কাজ করার জন্য ঈষেবলের শাস্তি পাওয়া উচিত?

তাই, পরবর্তী সময়ে যিহোবা তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যেহূ নামে এক ব্যক্তিকে পাঠান। ঈষেবল যখন শুনতে পান যে যেহূ আসছেন, তখন তিনি চোখে কাজল লাগান এবং নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য সাজগোজ করেন। কিন্তু, যেহূ যখন আসেন এবং জানালায় ঈষেবলকে দেখতে পান, তখন তিনি রাজপ্রাসাদের দুজন লোককে ডেকে বলেন: ‘ওকে নীচে ফেলে দাও!’ ওই লোকেরা তার কথা শোনে, যেমনটা তুমি এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছ। তারা ঈষেবলকে ফেলে দেয় আর তিনি মারা যান। দুষ্ট রানি ঈষেবলের কাহিনি এভাবেই শেষ হয়।