সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ১১৪

সমস্ত মন্দতার শেষ

সমস্ত মন্দতার শেষ

এখানে তুমি কী দেখতে পাচ্ছ? হ্যাঁ, একদল সৈন্য সাদা সাদা ঘোড়ায় চড়ে আসছে। কিন্তু, লক্ষ করো যে, তারা কোথা থেকে আসছে। ঘোড়াগুলো স্বর্গ থেকে মেঘের ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে নেমে আসছে! স্বর্গে কি সত্যি সত্যিই ঘোড়া আছে?

না, সেখানে সত্যিকারের ঘোড়া নেই। আমরা তা বুঝতে পারি কারণ ঘোড়া মেঘের ওপর দৌড়াতে পারে না, তাই-না? কিন্তু, বাইবেল স্বর্গে ঘোড়া সম্বন্ধে বলে। তুমি কি জান, কেন?

এর কারণ হল, একটা সময়ে যুদ্ধের জন্য ঘোড়া অনেক ব্যবহার করা হতো। তাই, পৃথিবীর লোকেদের সঙ্গে ঈশ্বরের এক যুদ্ধ হতে যাচ্ছে এই বিষয়টা বোঝানোর জন্য বাইবেল বলেছে, স্বর্গ থেকে ব্যক্তিরা ঘোড়ায় চড়ে নেমে আসছে। তুমি কি জান, সেই যুদ্ধের জায়গাটার নাম কী? আরমাগিদোন। সেই যুদ্ধে পৃথিবী থেকে সমস্ত মন্দতা দূর করে দেওয়া হবে।

যিশু হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি আরমাগিদোনের এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন। মনে করে দেখো, যিশুই হলেন সেই ব্যক্তি, যাঁকে ঈশ্বর তাঁর সরকারের রাজা হওয়ার জন্য মনোনীত করেছিলেন। সেই কারণেই যিশু মাথায় মুকুট পরে আছেন। আর তাঁর খড়্গ দেখায় যে, তিনি ঈশ্বরের সমস্ত শত্রুকে মেরে ফেলবেন। ঈশ্বর যে সমস্ত মন্দ লোককে ধ্বংস করে দেবেন, তাতে কি আমাদের অবাক হওয়া উচিত?

দশ নম্বর গল্পটা আবার দেখো। সেখানে তুমি কী দেখতে পাচ্ছ? হ্যাঁ, এক মহাপ্লাবন মন্দ লোকেদের ধ্বংস করে দিয়েছে। কে এই জলপ্লাবন এনেছেন? যিহোবা ঈশ্বর। এখন পনেরো নম্বর গল্প দেখো। সেখানে কী হচ্ছে? যিহোবার পাঠানো আগুনে সদোম ও ঘমোরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

তেত্রিশ নম্বর গল্পটা দেখো। মিশরীয়দের ঘোড়া ও যুদ্ধরথগুলোর কী হচ্ছে, তা দেখো। কে তাদের ওপর আটকে থাকা জলকে ভেঙে পড়তে দিয়েছেন? যিহোবা। তিনি তাঁর লোকেদের সুরক্ষা করার জন্য তা করেছেন। এখন ছিয়াত্তর নম্বর গল্প দেখো। সেখানে তুমি দেখবে যে, যিহোবা এমনকী তাঁর লোকেদের অর্থাৎ ইস্রায়েলীয়দেরকে তাদের মন্দতার জন্য ধ্বংস হতে দিয়েছেন।

তাই, আমাদের এই বিষয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, যিহোবা পৃথিবী থেকে সমস্ত মন্দতা শেষ করার জন্য তাঁর স্বর্গীয় সৈন্যদলকে পাঠাবেন। কিন্তু, সেটার মানে কী হবে, একটু চিন্তা করো তো! পৃষ্ঠা উলটাও আর চলো দেখি।