সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অধ্যায় ৬

যেভাবে গঠনমূলক আমোদপ্রমোদ বাছাই করা যায়

যেভাবে গঠনমূলক আমোদপ্রমোদ বাছাই করা যায়

“সকলই ঈশ্বরের গৌরবার্থে কর।” —১ করিন্থীয় ১০:৩১.

১, ২. আমোদপ্রমোদের বিষয়ে আমাদের কোন বাছাই করতে হবে?

কল্পনা করুন, আপনি একটা সুস্বাদু ফল খেতে যাচ্ছেন আর এমন সময় লক্ষ করলেন যে, সেই ফলের কিছু অংশ পচা। আপনি কী করবেন? আপনি খারাপ অংশসহ পুরো ফলটা খেতে পারেন; আপনি খারাপ অংশসহ পুরো ফলটা ফেলে দিতে পারেন; অথবা আপনি ফলের খারাপ অংশটা কেটে ফেলে দিয়ে ভালো অংশটা খেতে পারেন। আপনি কোন বাছাইটা করবেন?

এক অর্থে, আমোদপ্রমোদ সেই ফলের মতো। মাঝে মাঝে আপনি একটু বিনোদন উপভোগ করতে চান কিন্তু আপনি বুঝতে পারেন যে, আজকে যে-সমস্ত আমোদপ্রমোদ রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই নৈতিকভাবে খারাপ, এমনকী কলুষিত। তাই, আপনি কী করবেন? কেউ কেউ হয়তো খারাপ বিষয়টাকে মেনে নেয় এবং এই জগৎ যে-আমোদপ্রমোদই দিতে চায় না কেন, তা গ্রহণ করে। অন্যেরা হয়তো সমস্ত ধরনের আমোদপ্রমোদ এড়িয়ে চলে এই বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য যে, তারা যেন ক্ষতিকর কোনো কিছুর সংস্পর্শে না আসে। আবার এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে, যারা হয়তো সতর্কতার সঙ্গে ক্ষতিকর আমোদপ্রমোদ এড়িয়ে চলে কিন্তু মাঝে মাঝে তুলনামূলকভাবে গঠনমূলক আমোদপ্রমোদ উপভোগ করে। ঈশ্বরের প্রেমে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপনার কোন বাছাই করা উচিত?

৩. আমরা এখন কী বিবেচনা করব?

আমাদের মধ্যে অধিকাংশই তৃতীয় বাছাইটা মনোনয়ন করবে। এটা ঠিক যে, আমাদের একটু বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু আমরা কেবল এমন আমোদপ্রমোদ উপভোগ করতে চাই, যা নৈতিকভাবে বিশুদ্ধ। তাই, কোনটা গঠনমূলক ও কোনটা গঠনমূলক নয়, সেটা আমরা কীভাবে নির্ণয় করতে পারি, তা বিবেচনা করতে হবে। তবে, প্রথমে আসুন আমরা আলোচনা করি যে, আমরা যিহোবাকে যে-উপাসনা প্রদান করি, সেটার উপর আমাদের আমোদপ্রমোদ বাছাইয়ের বিষয়টা কোন প্রভাব ফেলে।

“সকলই ঈশ্বরের গৌরবার্থে কর”

৪. আমাদের উৎসর্গীকরণের দ্বারা কীভাবে আমাদের আমোদপ্রমোদ বাছাইয়ের বিষয়টা প্রভাবিত হওয়া উচিত?

উনিশ-শো ছেচল্লিশ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছেন এমন একজন বয়স্ক সাক্ষি কয়েক বছর আগে বলেছিলেন, “আমি প্রতিটা বাপ্তিস্ম বক্তৃতায় উপস্থিত থাকার এবং তা মনোযোগ দিয়ে শোনার বিষয়ে নিশ্চিত থাকি, যেন সেটা আমার নিজেরই বাপ্তিস্ম।” কেন? তিনি ব্যাখ্যা করেন: “আমার উৎসর্গীকরণ সবসময় স্পষ্ট মনে রাখা, বিশ্বস্ত থাকার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়েছে।” নিঃসন্দেহে আপনি এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত হবেন। আপনি যে সারাজীবন যিহোবাকে সেবা করায় ব্যয় করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া আপনাকে ধৈর্য ধরতে অনুপ্রাণিত করে। (পড়ুন, উপদেশক ৫:৪.) বস্তুতপক্ষে, আপনার উৎসর্গীকরণ নিয়ে ধ্যান করা কেবল খ্রিস্টীয় পরিচর্যা সম্বন্ধেই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে—আমোদপ্রমোদ-সহ—জীবনের অন্যান্য কাজ সম্বন্ধেও আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করবে। প্রেরিত পৌল এই সত্যটা তুলে ধরেছিলেন, যখন তিনি তার দিনের খ্রিস্টানদের এই কথা লিখেছিলেন: “তোমরা ভোজন, কি পান, কি যাহা কিছু কর, সকলই ঈশ্বরের গৌরবার্থে কর।”—১ করিন্থীয় ১০:৩১.

৫. কীভাবে লেবীয় পুস্তক ২২:১৮-২০ পদ আমাদেরকে রোমীয় ১২:১ পদের পিছনে বলা পরোক্ষ সতর্কবাণীটা বুঝতে সাহায্য করে?

জীবনে আপনি যা-কিছুই করুন না কেন, সেগুলো যিহোবার প্রতি আপনার উপাসনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই সত্য যেন সহবিশ্বাসীদের উপর প্রভাব ফেলে, সেইজন্য রোমীয়দের প্রতি লেখা তার চিঠিতে, পৌল এক জোরালো অভিব্যক্তি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি তাদেরকে অনুরোধ করেছিলেন: “তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।” (রোমীয় ১২:১) আপনার দেহের অন্তর্ভুক্ত আপনার মন, হৃদয়, ও দৈহিক শক্তি। এই সমস্তকিছুই আপনি ঈশ্বরের সেবায় ব্যবহার করে থাকেন। (মার্ক ১২:৩০) পৌল এই ধরনের পূর্ণহৃদয়ের সেবাকে বলিদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই অভিব্যক্তির মধ্যে এক পরোক্ষ সতর্কবাণী রয়েছে। মোশির ব্যবস্থার অধীনে যে-বলিদান খুঁতযুক্ত থাকত, সেটা ঈশ্বর প্রত্যাখ্যান করতেন। (লেবীয় পুস্তক ২২:১৮-২০) একইভাবে, একজন খ্রিস্টানের আধ্যাত্মিক বলিদান যদি কোনো দিক দিয়ে ত্রুটিযুক্ত হয়, তাহলে সেটা ঈশ্বর প্রত্যাখ্যান করবেন। তাহলে, কীভাবে এমনটা হতে পারে?

৬, ৭. কীভাবে একজন খ্রিস্টান তার দেহকে ত্রুটিযুক্ত করতে পারেন আর এর পরিণতি কী হতে পারে?

পৌল রোমের খ্রিস্টানদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন: “আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ . . . পাপের কাছে সমর্পণ করিও না।” এ ছাড়া, পৌল তাদেরকে ‘দেহের ক্রিয়া সকল মৃত্যুসাৎ করিতে’ বলেছিলেন। (রোমীয় ৬:১২-১৪; ৮:১৩) এর আগে তার চিঠিতে, তিনি ‘দেহের’ এই ধরনের ‘ক্রিয়া সকলের’ কিছু উদাহরণ দিয়েছিলেন। পাপী মানবজাতি সম্বন্ধে আমরা পড়ি: ‘তাহাদের মুখ অভিশাপে পূর্ণ।’ “তাহাদের চরণ রক্তপাতের জন্য ত্বরান্বিত।” “ঈশ্বর-ভয় তাহাদের চক্ষুর অগোচর।” (রোমীয় ৩:১৩-১৮) একজন খ্রিস্টান যদি তার “অঙ্গপ্রত্যঙ্গ” অথবা দেহের কোনো অংশকে এই ধরনের পাপপূর্ণ অভ্যাসের জন্য ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি তার দেহকে খুঁতযুক্ত করবেন। উদাহরণ স্বরূপ, একজন খ্রিস্টান যদি আজকে ইচ্ছাকৃতভাবে পর্নোগ্রাফির মতো নীতিহীন বিষয়বস্তু অথবা নিষ্ঠুর দৌরাত্ম্য দেখেন, তাহলে তিনি ‘[তাহার চোখকে] পাপের কাছে সমর্পণ করিতেছেন’ আর এভাবে তার সম্পূর্ণ দেহকে কলুষিত করছেন। তার প্রদত্ত যেকোনো উপাসনা এমন এক বলি হয়ে উঠবে, যা আর পবিত্র নয় এবং ঈশ্বরের কাছে অগ্রহণযোগ্য। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:২১; ১ পিতর ১:১৪-১৬; ২ পিতর ৩:১১) গঠনমূলক নয় এমন আমোদপ্রমোদ বাছাই করার জন্য কী এক চরম মূল্যই না দিতে হয়!

স্পষ্টতই, একজন খ্রিস্টানের আমোদপ্রমোদ বাছাইয়ের গুরুতর পরিণতি রয়েছে। তাই, নিশ্চিতভাবেই আমরা এমন আমোদপ্রমোদ বাছাই করতে চাই, যা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের বলিকে ত্রুটিযুক্ত নয় বরং ভূষিত করবে। আসুন এখন আমরা আলোচনা করি, কীভাবে আমরা নির্ণয় করতে পারি যে, কোন আমোদপ্রমোদ গঠনমূলক আর কোনটা নয়।

“যাহা মন্দ তাহা নিতান্তই ঘৃণা কর”

৮, ৯. (ক) ব্যাপক অর্থে, আমোদপ্রমোদকে কোন দুটো শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে? (খ) আমরা কোন ধরনের আমোদপ্রমোদ প্রত্যাখ্যান করি আর কেন?

ব্যাপক অর্থে, আমোদপ্রমোদকে দুটো শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে। একটার সঙ্গে এমন আমোদপ্রমোদ জড়িত, যেগুলো খ্রিস্টানরা সুস্পষ্টভাবে এড়িয়ে চলে; অন্যটা এমন আমোদপ্রমোদ নিয়ে গঠিত, যেগুলো খ্রিস্টানরা হয়তো গ্রহণযোগ্য বলে মনে করতে পারে বা না-ও করতে পারে। আসুন আমরা প্রথম শ্রেণীটা দিয়ে শুরু করি আর তা হল, যে-আমোদপ্রমোদ খ্রিস্টানরা এড়িয়ে চলে।

প্রথম অধ্যায়ে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু আমোদপ্রমোদ এমন কার্যকলাপ তুলে ধরে, যেগুলোকে বাইবেলে স্পষ্টভাবে নিন্দা করা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সেইসঙ্গে সিনেমা, টেলিভিশনের অনুষ্ঠান এবং গানবাজনা সম্বন্ধে চিন্তা করুন, যেগুলোতে নির্মম অথবা ভৌতিক বিষয়বস্তু রয়েছে বা যেগুলোতে পর্নোগ্রাফি রয়েছে অথবা যেগুলো জঘন্য ও অনৈতিক অভ্যাসগুলো তুলে ধরে। গ্রহণযোগ্য কার্যকলাপ হিসেবে তুলে ধরা এই ধরনের আমোদপ্রমোদ যেহেতু বাইবেলের নীতি বা বাইবেলের আইনগুলো লঙ্ঘন করে, তাই সত্য খ্রিস্টানদের সেগুলো পরিহার করা উচিত। (প্রেরিত ১৫:২৮, ২৯; ১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০; প্রকাশিত বাক্য ২১:৮) এই ধরনের যে-আমোদপ্রমোদ গঠনমূলক নয়, সেগুলো প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে আপনি যিহোবাকে প্রমাণ দেন যে, আপনি সত্যিই ‘যাহা মন্দ তাহা নিতান্তই ঘৃণা করেন’ এবং নিয়মিতভাবে ‘মন্দ হইতে দূরে যান।’ এভাবে আপনার অকপট বা “অকল্পিত বিশ্বাস” রয়েছে।—রোমীয় ১২:৯; গীতসংহিতা ৩৪:১৪; ১ তীমথিয় ১:৫.

১০. আমোদপ্রমোদ সম্বন্ধে কোন ধরনের যুক্তিতর্ক বিপদজনক আর কেন?

১০ তবে, কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারে যে, সুস্পষ্টভাবে অনৈতিক আচরণ তুলে ধরে এমন আমোদপ্রমোদ দেখা ক্ষতিকর নয়। তারা যুক্তি দেখায়, ‘আমি হয়তো সেটা সিনেমা বা টেলিভিশনে দেখতে পারি কিন্তু আমি নিজে কখনো এই ধরনের কাজ করব না।’ এই ধরনের যুক্তি প্রতারণামূলক ও বিপদজনক। (পড়ুন, যিরমিয় ১৭:৯.) আমরা যদি এমন কোনো কিছুকে উপভোগ্য বলে মনে করি, যেটাকে যিহোবা নিন্দা করেন, তাহলে আমরা কি আসলেই ‘যাহা মন্দ তাহা নিতান্তই ঘৃণা করি’? বার বার মন্দ আচরণের সংস্পর্শে আসা আমাদের অনুভূতিগুলোকে নিস্তেজ করে দেবে। (গীতসংহিতা ১১৯:৭০; ১ তীমথিয় ৪:১, ২) এই ধরনের এক অভ্যাস, আমরা যা করি অথবা অন্যদের পাপপূর্ণ আচরণের প্রতি আমাদের যে-দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তাতে প্রভাব ফেলতে পারে।

১১. আমোদপ্রমোদের বিষয়ে গালাতীয় ৬:৭ পদ কীভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে?

১১ আসলে এমনটা ঘটেছে। কিছু খ্রিস্টান অনৈতিক কাজ করেছে কারণ তারা সেই আমোদপ্রমোদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যেগুলো তারা সাধারণত দেখে থাকত। তারা খারাপ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এটা শিখেছে যে, “মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।” (গালাতীয় ৬:৭) কিন্তু, এই ধরনের দুঃখজনক পরিণতি এড়ানো যেতে পারে। আপনি যদি আপনার মনে সতর্কতার সঙ্গে নৈতিকভাবে শুচি বিষয়বস্তু বোনেন, তাহলে আপনি আপনার জীবনে আনন্দের সঙ্গে গঠনমূলক কিছু কাটবেন।— “ কোন ধরনের আমোদপ্রমোদ আমার বাছাই করা উচিত?” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।

বাইবেলের নীতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত

১২. কীভাবে গালাতীয় ৬:৫ পদ আমোদপ্রমোদের সঙ্গে যুক্ত আর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার জন্য আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা রয়েছে?

১২ আসুন, এখন আমরা দ্বিতীয় শ্রেণী সম্বন্ধে আলোচনা করি আর তা হল, যে-আমোদপ্রমোদ এমন কার্যকলাপ তুলে ধরে, যেগুলোকে ঈশ্বরের বাক্যে সরাসরি নিন্দা করা হয়নি অথবা নির্দিষ্টভাবে অনুমোদনও করা হয়নি। এই ধরনের আমোদপ্রমোদ থেকে বাছাই করার সময় প্রত্যেক খ্রিস্টানকে এই বিষয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তিনি কোনটাকে গঠনমূলক বলে মনে করেন। (পড়ুন, গালাতীয় ৬:৫.) কিন্তু, আমরা যখন এই বাছাইয়ের মুখোমুখি হই, তখন এমন নয় যে আমাদের জন্য কোনো নির্দেশনা নেই। বাইবেলে সেই নীতি অথবা মৌলিক সত্যগুলো রয়েছে, যেগুলো আমাদেরকে যিহোবার চিন্তাভাবনা সম্বন্ধে বুঝতে সাহায্য করে। এই ধরনের নীতিগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমোদপ্রমোদ সম্বন্ধে আমাদের বাছাই-সহ সমস্ত বিষয়ে “প্রভুর [“যিহোবার,” NW] ইচ্ছা কি,” তা বুঝতে পারব।—ইফিষীয় ৫:১৭.

১৩. কী আমাদেরকে সেই আমোদপ্রমোদ এড়িয়ে চলতে পরিচালিত করবে, যা যিহোবাকে অসন্তুষ্ট করে?

১৩ এটা বোধগম্য যে, সমস্ত খ্রিস্টান তাদের নৈতিক উপলব্ধিবোধ অথবা সূক্ষ্মচৈতন্য বা বিচক্ষণতা একই মাত্রায় গড়ে তোলে না। (ফিলিপীয় ১:৯) অধিকন্তু, খ্রিস্টানরা বুঝতে পারে যে, আমোদপ্রমোদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রুচি রয়েছে। তাই, এটা আশা করা যেতে পারে না যে, সমস্ত খ্রিস্টান ঠিক একই সিদ্ধান্ত নেবে। তা সত্ত্বেও, আমাদের মন ও হৃদয়কে যত বেশি ঈশ্বরীয় নীতিগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হতে দেব, তত বেশি আমরা এমন যেকোনো ধরনের আমোদপ্রমোদ এড়িয়ে চলতে পারব, যা যিহোবাকে অসন্তুষ্ট করতে পারে।—গীতসংহিতা ১১৯:১১, ১২৯; ১ পিতর ২:১৬.

১৪. (ক) আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সময় কোন বিষয়টা আমাদের বিবেচনা করা উচিত? (খ) কীভাবে আমরা রাজ্যের বিষয়গুলোকে জীবনে প্রথম স্থানে রাখতে পারি?

১৪ আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সময় বিবেচনা করার মতো আরেকটা বিষয় রয়েছে: আপনার সময়। যদিও আপনার আমোদপ্রমোদের বিষয়বস্তু এটা প্রকাশ করে যে, আপনি কোন বিষয়টাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন কিন্তু সেটার পিছনে আপনি যতটুকু সময় ব্যয় করেন, তা প্রকাশ করে যে আপনি কোনটাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। অবশ্য, খ্রিস্টানদের জন্য আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। (পড়ুন, মথি ৬:৩৩.) তাহলে, রাজ্যের বিষয়গুলো যে আপনার জীবনে প্রথম স্থানে রয়েছে, তা নিশ্চিত করার জন্য আপনি কী করতে পারেন? প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল। সুযোগ কিনিয়া লও।” (ইফিষীয় ৫:১৫, ১৬) বস্তুতপক্ষে, আমোদপ্রমোদের জন্য আপনি যে-সুযোগ বা সময় আলাদা করে রাখেন, তাতে স্পষ্ট সীমা আরোপ করা আপনাকে সেই বিষয়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সময় রাখতে সাহায্য করবে, “যাহা যাহা ভিন্ন প্রকার [“বেশি গুরুত্বপূর্ণ,” NW]”—যে-কাজগুলো আপনার আধ্যাত্মিক মঙ্গলের ক্ষেত্রে অবদান রাখে।—ফিলিপীয় ১:১০.

১৫. আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সময় কেন নিরাপদ সীমারেখা দেওয়া বিজ্ঞতার কাজ?

১৫ এ ছাড়া, আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সময় নিরাপদ সীমারেখা স্থাপন করা বিজ্ঞতার কাজ। এর অর্থ কী? আবারও সেই ফলের উদাহরণটা বিবেচনা করুন। অসাবধানতাবশত পচা অংশটা খেয়ে ফেলা এড়ানোর জন্য আপনি কেবল সেই খারাপ অংশটাই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে এর চারপাশের বেশ কিছুটা অংশ কেটে বাদ দেন। একইভাবে, আমোদপ্রমোদ বাছাই করার ক্ষেত্রে একটা নিরাপদ সীমারেখা দেওয়া বিজ্ঞতার কাজ। একজন বিজ্ঞ খ্রিস্টান কেবল বাইবেলের নীতিগুলোকে স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে এমন আমোদপ্রমোদই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে সেই আমোদপ্রমোদও এড়িয়ে চলেন, যেগুলো আপত্তিকর অথবা এমন বিষয়বস্তুকে অন্তর্ভুক্ত করে বলে মনে হয়, যা আধ্যাত্মিকভাবে ক্ষতিকর। (হিতোপদেশ ৪:২৫-২৭) ঈশ্বরের বাক্যের পরামর্শ দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করা আপনাকে ঠিক তা-ই করতে সাহায্য করবে।

“যাহা যাহা বিশুদ্ধ”

আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সময় ঈশ্বরীয় নীতিগুলো কাজে লাগানো আমাদেরকে আধ্যাত্মিক ক্ষতি থেকে সুরক্ষা করে

১৬. (ক) কীভাবে আমরা দেখাতে পারি যে, নৈতিক বিষয়গুলোতে আমাদের যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে? (খ) কীভাবে বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগানো আপনার জীবনধারা হয়ে উঠতে পারে?

১৬ আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সময় সত্য খ্রিস্টানরা প্রথমে যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবেচনা করে। বাইবেল যিহোবার অনুভূতি ও মানগুলো সম্বন্ধে প্রকাশ করে। উদাহরণ স্বরূপ, রাজা শলোমন বেশ কিছু বিষয় তালিকাভুক্ত করেন, যেগুলো যিহোবা ঘৃণা করেন, যেমন “মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দ্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত, দুষ্ট সঙ্কল্পকারী হৃদয়, দুষ্কর্ম্ম করিতে দ্রুতগামী চরণ।” (হিতোপদেশ ৬:১৬-১৯) যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা কীভাবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত হওয়া উচিত? “হে সদাপ্রভু-প্রেমিকগণ,” গীতরচক মিনতি করেন, “দুষ্টতাকে ঘৃণা কর।” (গীতসংহিতা ৯৭:১০) আমোদপ্রমোদের ক্ষেত্রে আপনি যে-বাছাইগুলো করেন, তাতে দেখাতে হবে যে, যিহোবা যেটাকে ঘৃণা করেন, সেটাকে আপনি সত্যিই ঘৃণা করেন। (গালাতীয় ৫:১৯-২১) এ ছাড়া, এও মনে রাখুন যে, জনসমক্ষের চেয়ে বরং একান্তে আপনি যা করেন, তা প্রকাশ করে যে, আপনি আসলে কেমন ব্যক্তি। (গীতসংহিতা ১১:৪; ১৬:৮) তাই, আপনার যদি নৈতিক বিষয়গুলো সম্বন্ধে যিহোবার অনুভূতিকে আপনার জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে প্রতিফলিত করার এক আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা থাকে, তাহলে আপনি সবসময় বাইবেলের নীতিগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বাছাই করবেন। তা করা আপনার জীবনধারা হয়ে উঠবে।—২ করিন্থীয় ৩:১৮.

১৭. আমোদপ্রমোদ বাছাই করার আগে নিজেদেরকে কোন প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করা উচিত?

১৭ আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সময় আপনি যে যিহোবার চিন্তাভাবনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করবেন, তা নিশ্চিত করার জন্য আপনি আরও কী করতে পারেন? এই প্রশ্নটা নিয়ে চিন্তা করুন, ‘কীভাবে এটা আমাকে ও ঈশ্বরের সামনে আমার অবস্থানকে প্রভাবিত করবে?’ উদাহরণ স্বরূপ, একটা সিনেমা দেখবেন কি না, সেটা নির্ধারণ করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘এই সিনেমার বিষয়বস্তু আমার বিবেককে কীভাবে প্রভাবিত করবে?’ আসুন আমরা বিবেচনা করি যে, কোন নীতিগুলো এই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

১৮, ১৯. (ক) কীভাবে ফিলিপীয় ৪:৮ পদে প্রাপ্ত নীতিটা, আমাদের আমোদপ্রমোদ গঠনমূলক কি না, তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে? (খ) অন্যান্য কোন নীতি আপনাকে উত্তম আমোদপ্রমোদ বাছাই করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে? (পাদটীকা দেখুন।)

১৮ ফিলিপীয় ৪:৮ পদে একটা মূল নীতি পাওয়া যায়, যেখানে বলা আছে: “যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্‌গুণ ও যে কোন কীর্ত্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।” এটা ঠিক যে, পৌল আমোদপ্রমোদ সম্বন্ধে নয় বরং চিত্তের ধ্যান নিয়ে আলোচনা করছিলেন, যা ঈশ্বরকে খুশি করে এমন বিষয়গুলোর উপর কেন্দ্রীভূত হওয়া উচিত। (গীতসংহিতা ১৯:১৪) তা সত্ত্বেও, পৌলের কথাগুলো নীতিগতভাবে আমোদপ্রমোদের বিষয়েও প্রয়োগ করা যেতে পারে। কীভাবে?

১৯ নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘সিনেমা, ভিডিও গেমস্‌, গানবাজনা অথবা অন্যান্য আমোদপ্রমোদ সম্বন্ধে আমার বাছাই কি আমার মনকে “যাহা যাহা বিশুদ্ধ,” সেগুলো দ্বারা পূর্ণ করে?’ উদাহরণ স্বরূপ, একটা সিনেমা দেখার পর, আপনার মনের মধ্যে কোন বিষয়টা চলতে থাকে? তা যদি প্রশান্তিজনক, শুচি ও সতেজতাদায়ক হয়, তাহলে আপনি জানেন যে, আপনার আমোদপ্রমোদ গঠনমূলক। কিন্তু, আপনি যে-সিনেমা দেখেছেন, তা যদি আপনাকে অশুদ্ধ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করতে পরিচালিত করে, তাহলে আপনার আমোদপ্রমোদ অস্বাস্থ্যকর, এমনকী ক্ষতিকর। (মথি ১২:৩৩; মার্ক ৭:২০-২৩) কেন? কারণ, নৈতিকভাবে অশুদ্ধ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা আপনার মনের শান্তিকে বিঘ্নিত করে, আপনার বাইবেল প্রশিক্ষিত বিবেককে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ঈশ্বরের সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে। (ইফিষীয় ৫:৫; ১ তীমথিয় ১:৫, ১৯) যেহেতু এই ধরনের আমোদপ্রমোদ আপনার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সেগুলো এড়িয়ে চলার জন্য সংকল্পবদ্ধ হোন। * (রোমীয় ১২:২) সেই গীতরচকের মতো হোন, যিনি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন: “অলীকতা-দর্শন হইতে আমার চক্ষু ফিরাও।”—গীতসংহিতা ১১৯:৩৭.

অন্যদের মঙ্গল চেষ্টা করুন

২০, ২১. কীভাবে ১ করিন্থীয় ১০:২৩, ২৪ পদ গঠনমূলক আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?

২০ পৌল বাইবেলের একটা প্রধান নীতি সম্বন্ধে উল্লেখ করেছেন, যা ব্যক্তিগত বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেছিলেন: “সকলই বিধেয়, কিন্তু সকলই যে গাঁথিয়া তুলে, তাহা নয়। কেহই স্বার্থ চেষ্টা না করুক, বরং প্রত্যেক জন পরের মঙ্গল চেষ্টা করুক।” (১ করিন্থীয় ১০:২৩, ২৪) কীভাবে এই নীতি গঠনমূলক আমোদপ্রমোদ বাছাই করার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত? নিজেকে আপনার জিজ্ঞেস করতে হবে, ‘আমি যে-আমোদপ্রমোদ বাছাই করি, তা কীভাবে অন্যদের প্রভাবিত করবে?’

২১ আপনার বিবেক হয়তো আপনাকে এমন কোনো আমোদপ্রমোদ উপভোগ করতে অনুমোদন করে, যেটাকে আপনি “বিধেয়” অথবা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন। কিন্তু আপনি যদি লক্ষ করেন যে, অন্যান্য বিশ্বাসী ব্যক্তি সেটাকে আপত্তিকর বলে মনে করে, যাদের বিবেক নির্দিষ্ট ধরনের আমোদপ্রমোদ করা থেকে তাদেরকে বাধা দেয়, তাহলে আপনি হয়তো তা অনুধাবন না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেন? কারণ আপনার সহবিশ্বাসীদের জন্য ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ততা বজায় রাখাকে আরও কঠিন করে তোলার মাধ্যমে আপনি পৌলের কথা অনুসারে, “ভ্রাতৃগণের বিরুদ্ধে পাপ”—অথবা এমনকী “খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে পাপ”—করতে চান না। আপনি এই উপদেশ হৃদয়ে গ্রহণ করে থাকেন: “কাহারও বিঘ্ন জন্মাইও না।” (১ করিন্থীয় ৮:১২; ১০:৩২) আজকে, সত্য খ্রিস্টানরা এমন আমোদপ্রমোদ এড়িয়ে চলার মাধ্যমে পৌলের বিবেচনাপূর্ণ ও বিচক্ষণ পরামর্শে মনোযোগ দেয়, যেগুলো হয়তো “বিধেয়” কিন্তু “গাঁথিয়া তুলে” না।—রোমীয় ১৪:১; ১৫:১.

২২. কেন খ্রিস্টানরা ব্যক্তিগত বিষয়গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে মেনে নেয়?

২২ তবে, অন্যদের মঙ্গল চেষ্টা করার আরেকটা দিক রয়েছে। যে-খ্রিস্টানকে তার বিবেক নির্দিষ্ট ধরনের আমোদপ্রমোদ করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়, তার এইরকম জোর করা উচিত নয় যে, খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর সকলে কোনটা সঠিক আমোদপ্রমোদ, সেই বিষয়ে তার কড়াকড়ি দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলবে। তিনি যদি এইরকমটা করে থাকেন, তাহলে তিনি বড়ো রাস্তার এমন একজন চালকের মতো হবেন, যিনি এই বিষয়ে জোর করেন যে, অন্যান্য যে-চালক সেই একই রাস্তা ব্যবহার করছে, তারা সকলে তিনি যেমনটা চান, ঠিক সেই গতিতে চলবে। এই ধরনের দাবি যুক্তিযুক্ত হবে না। আরেকটু নিয়ন্ত্রণপ্রবণ বিবেক রয়েছে এমন একজন ব্যক্তির, খ্রিস্টীয় প্রেমের দ্বারা চালিত হয়ে সেই সহবিশ্বাসীদের সম্মান করা উচিত, যাদের আমোদপ্রমোদ সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো তার নিজের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে খ্রিস্টীয় নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এভাবে, তিনি তার ‘শান্ত ভাব [“যুক্তিবাদিতা,” NW] মনুষ্যমাত্রের বিদিত হইতে’ দেন।—ফিলিপীয় ৪:৫; উপদেশক ৭:১৬.

২৩. কীভাবে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, আপনি গঠনমূলক আমোদপ্রমোদ বাছাই করেন?

২৩ সংক্ষেপে বললে, আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন যে, আপনি গঠনমূলক আমোদপ্রমোদ বাছাই করছেন? এমন যেকোনো ধরনের আমোদপ্রমোদ প্রত্যাখ্যান করুন, যা স্পষ্টভাবে সেই অধঃপতিত ও অনৈতিক কার্যকলাপকে তুলে ধরে, যেগুলোকে ঈশ্বরের বাক্যে সরাসরি নিন্দা করা হয়েছে। বাইবেলের সেই নীতিগুলো মেনে চলুন, যা এমন ধরনের আমোদপ্রমোদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়, যেগুলো সম্বন্ধে বাইবেলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এমন আমোদপ্রমোদ এড়িয়ে চলুন, যা আপনার বিবেককে ক্ষতিগ্রস্ত করে আর এমন ধরনের আমোদপ্রমোদ ত্যাগ করতে ইচ্ছুক থাকুন, যা অন্যদের বিশেষভাবে সহবিশ্বাসীদের অনুভূতিকে আঘাত করতে পারে। তা করার বিষয়ে আপনার দৃঢ় সিদ্ধান্ত যেন ঈশ্বরের গৌরব নিয়ে আসে এবং আপনাকে ও আপনার পরিবারকে তাঁর প্রেমে রক্ষা করে।

^ অনু. 19 আমোদপ্রমোদের প্রতি প্রযোজ্য এমন আরও কিছু নীতি হিতোপদেশ ৩:৩১; ১৩:২০; ইফিষীয় ৫:৩, ৪; এবং কলসীয় ৩:৫, ৮, ২০ পদে পাওয়া যায়।