সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রশ্ন ১০

বাইবেল থেকে আমি কোন সাহায্য লাভ করব?

বাইবেল থেকে আমি কোন সাহায্য লাভ করব?

যে-কারণে এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ

বাইবেল বলে, ‘প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি ঈশ্বর-নিশ্বসিত।’ (২ তীমথিয় ৩:১৬) এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তা হলে বাইবেল তোমাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

তুমি হলে কী করতে?

এই দৃশ্যটা কল্পনা করো: ডেভিড এমন একটা এলাকা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, চারপাশের সব কিছুই তার কাছে অচেনা বলে মনে হচ্ছে। পথ নির্দেশিকা ও বিভিন্ন চিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে, এতক্ষণে তার যেখানে পৌঁছানোর কথা, সেখানে সে পৌঁছায়নি। ডেভিড বুঝতে পারে, সে পথ হারিয়েছে। চলার পথে কোনো এক সময় নিশ্চয়ই সে ভুল দিকে মোড় নিয়েছিল।

তুমি যদি ডেভিডের জায়গায় থাকতে, তা হলে তুমি কী করতে?

একটু থেমে চিন্তা করো!

তোমার সামনে বেশ কয়েকটা বাছাই রয়েছে:

১. কারো কাছে নির্দেশনা চাইতে পার।

২. একটা মানচিত্র দেখতে অথবা জিপিএস ব্যবহার করতে পার।

৩. গাড়ি চালিয়ে যেতে পার, এই আশা নিয়ে যে, একসময় তুমি পথ খুঁজে পাবেই।

স্পষ্টতই তৃতীয় বাছাইটা সবচেয়ে কম কার্যকরী।

প্রথমটার চেয়ে দ্বিতীয় বাছাইটা আরও বেশি কার্যকরী। কারণ, চলার পথে সবসময় তোমার কাছে যদি একটা মানচিত্র অথবা জিপিএস থাকে, তা হলে সেটা তোমাকে যাত্রাপথে নির্দেশনা জোগাবে।

বাইবেলও একইভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।

সবচেয়ে বেশি বিতরিত এই বইটি

  • জীবনের সমস্যাগুলোর সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য তোমাকে নির্দেশনা দেবে

  • নিজেকে জানার এবং আরও ভালো ব্যক্তি হয়ে ওঠার জন্য তোমাকে সাহায্য করবে

  • কীভাবে সর্বোত্তম জীবন লাভ করা যায়, সেই বিষয়ে তোমাকে নির্দেশনা দেবে

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাওয়া

যখন থেকে আমরা কথা বলতে শিখি, তখন থেকে আমরা প্রশ্ন করা শুরু করি।

  • আকাশ কেন নীল?

  • তারাগুলো কী দিয়ে তৈরি?

এরপর আমরা আমাদের চারপাশের জগৎ সম্বন্ধে প্রশ্ন করা শুরু করি।

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ইতিমধ্যেই বাইবেলে থেকে থাকে, তা হলে?

অনেক লোক বলে, বাইবেলের মধ্যে শুধু রূপকথা আর পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে, এটা সেকেলে বই অথবা এটা বোঝা খুবই কঠিন। কিন্তু, সমস্যাটা কি আসলে বাইবেল, না কি বাইবেল সম্বন্ধে লোকেরা যা শুনেছে, সেটা? এমনটা কি হতে পারে যে, তাদের ভুল তথ্য জানানো হয়েছে?

উদাহরণ স্বরূপ, লোকেদের ধারণা হল বাইবেল আসলে বলে, ঈশ্বর জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু, কীভাবে তা সম্ভব? এই জগৎ তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে! এটা দুঃখ আর কষ্টে, অসুস্থতা ও মৃত্যুতে, দরিদ্রতা ও দুর্যোগে পরিপূর্ণ। কীভাবে একজন প্রেমময় ঈশ্বর এমন বিষয়গুলোর জন্য দায়ী হতে পারেন?

তুমি কি সত্য বিষয়টা জানতে চাও? কে জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করছে, সেই বিষয়ে বাইবেলের উত্তর জেনে তুমি হয়তো অবাক হয়ে যাবে!

খুব সম্ভবত তুমি লক্ষ করেছ, এই ব্রোশারে দেওয়া পরামর্শগুলোর ভিত্তি হল বাইবেল। যিহোবার সাক্ষিরা নিশ্চিত, বাইবেল হল নির্দেশনার এক নির্ভরযোগ্য উৎস। কারণ এটি “ঈশ্বর-নিশ্বসিত” এবং “শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের . . . নিমিত্ত উপকারী।” (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭) তোমার একবার এই প্রাচীন অথচ বর্তমান সময়ের জন্য উপযোগী বইটি পড়ে দেখা উচিত!