সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

স্মরণীয় এক দিন

স্মরণীয় এক দিন

স্মরণীয় এক দিন

 এই দিনটি মানবজাতির অনন্ত মঙ্গলের জন্য তাদের ভবিষ্যৎকে পুরোপুরি পালটে দিয়েছিল। ইতিহাসে অন্য আর কোনো দিন মানবজাতির ভবিষ্যতের ওপর এরকম প্রভাব ফেলেনি। এটি ছিল সেই দিন যখন যিশু সেই সমস্ত কিছু সম্পাদন করেছিলেন, যেগুলো করতে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। যাতনা দণ্ডে বিদ্ধ অবস্থায় তিনি তাঁর শেষ নিঃশ্বাস নিয়ে এই বলে চিৎকার করে কেঁদেছিলেন: “সমাপ্ত হইল।” (যোহন ১৯:৩০) কোন উদ্দেশ্যে যিশু এসেছিলেন?

বাইবেল বলে, “মনুষ্যপুত্ত্র পরিচর্য্যা পাইতে আইসেন নাই, কিন্তু পরিচর্য্যা করিতে, এবং অনেকের পরিবর্ত্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” (মথি ২০:২৮) যিশু তাঁর প্রাণ বা জীবন দিয়েছিলেন, যাতে মানবজাতি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পাপ ও মৃত্যু থেকে মুক্তি পেতে পারে। হ্যাঁ, “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্ত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।” (যোহন ৩:১৬) যিশুর বলিদান কতই না এক মূল্যবান ব্যবস্থা!

আরেকটা কারণের জন্য যিশুর মৃত্যু দিন হল স্মরণীয় এক দিন। সেই দিনে ঈশ্বরের পুত্র তাঁর প্রেরিতদের কিছু মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছিলেন, যা তাদের বিশ্বস্ত থাকতে সাহায্য করবে। তাঁর শেষ কথাগুলো তাঁর সেই শিষ্যদের হৃদয়কে কতই না স্পর্শ করেছিল! তাঁর সেই শিক্ষাগুলো কী ছিল? যিশু তাদের যা শিখিয়েছিলেন, তা থেকে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি? এই প্রশ্নগুলো পরের প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে।