সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

‘এই দেশে পর্য্যটন কর’

‘এই দেশে পর্য্যটন কর’

‘এই দেশে পর্য্যটন কর’

“এই দেশের দীর্ঘপ্রস্থে পর্য্যটন কর।”আদিপুস্তক ১৩:১৭.

১. ঈশ্বর অব্রাহামকে কোন আগ্রহজনক নির্দেশনা দিয়েছিলেন?

 আপনি কি গ্রামাঞ্চলের দিকে বেড়াতে ভালবাসেন, হয়তো সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গাড়িতে করে? অন্যেরা ব্যায়াম করার এবং একটু বেশি সময় নিয়ে দেখার জন্য সাইকেলে চড়ে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। আবার কেউ কেউ এলাকার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এবং সময় নিয়ে প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য পায়ে হাঁটা বেছে নেয়। এই ধরনের বিভিন্ন প্রমোদভ্রমণ সাধারণত সীমিত সময়ের জন্য হয়ে থাকে। কিন্তু কল্পনা করে দেখুন যে, অব্রাহাম কেমন বোধ করেছিলেন, যখন ঈশ্বর তাকে এই কথাগুলো বলেছিলেন: “উঠ, এই দেশের দীর্ঘপ্রস্থে পর্য্যটন কর, কেননা আমি তোমাকেই ইহা দিব”!—আদিপুস্তক ১৩:১৭.

২. মিশর ত্যাগ করার পর অব্রাহাম কোথায় গিয়েছিলেন?

ওই কথাগুলোর পটভূমি বিবেচনা করুন। তার স্ত্রী এবং অন্যদের সঙ্গে অব্রাহাম মিশরে কিছু সময়ের জন্য থেকেছিলেন। আদিপুস্তক ১৩ অধ্যায় আমাদের বলে যে, তারা মিশর ত্যাগ করেছিল এবং তাদের পশুপাল নিয়ে “দক্ষিণাঞ্চলে” বা নেগেবে যাত্রা করেছিল। এরপর অব্রাহাম নেগেব বা “দক্ষিণ হইতে বৈথেলের দিকে যাইতে যাইতে” যাত্রা অব্যাহত রেখেছিলেন। তার এবং ভাইপো লোটের পশুপালকদের মধ্যে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছিল এবং স্পষ্ট হয়েছিল যে, দুজনকেই পৃথক চারণভূমি খুঁজতে হবে, তখন অব্রাহাম উদারভাবে লোটকে প্রথমে বেছে নিতে দিয়েছিলেন। লোট “সদাপ্রভুর উদ্যানের ন্যায়” এক সবুজশ্যামল উপত্যকা, ‘যর্দ্দনের অঞ্চল’ বেছে নিয়েছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে সদোমে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছিলেন। অব্রাহামকে ঈশ্বর বলেছিলেন: “চক্ষু তুলিয়া এই যে স্থানে তুমি আছ, এই স্থান হইতে উত্তর দক্ষিণে ও পূর্ব্ব পশ্চিমে দৃষ্টিপাত কর।” সম্ভবত, বৈথেলের এক উঁচু জায়গা থেকে অব্রাহাম সেই দেশের অন্যান্য অংশ দেখতে পেরেছিলেন। কিন্তু, আরও কিছু করার ছিল। ঈশ্বর তাকে ‘এই দেশ পর্য্যটন করিবার’ এবং এর প্রকৃতি ও অঞ্চলগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

৩. অব্রাহামের ভ্রমণগুলো মনের চোখ দিয়ে দেখা কেন কঠিন হতে পারে?

হিব্রোণে পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত অব্রাহাম যতটুকুই ভ্রমণ করুন না কেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি প্রতিজ্ঞাত দেশের সঙ্গে আমাদের অনেকের চেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন। এই বিবরণে উল্লেখিত জায়গাগুলো সম্বন্ধে চিন্তা করুন—নেগেব, বৈথেল, যর্দ্দনের অঞ্চল, সদোম এবং হিব্রোণ। এই এলাকাগুলো কোথায় ছিল, তা কল্পনা করা কি আপনার জন্য কষ্টকর বলে মনে হয়? অনেকের জন্য এটা কঠিন কারণ যিহোবার লোকেদের মধ্যে অল্প কয়েক জনই বাইবেলে তারা যে-জায়গাগুলোর বিষয়ে পড়েছে, সেই জায়গাগুলোতে গিয়েছে এবং সেই দেশের দীর্ঘপ্রস্থে পর্যটন করেছে। তা সত্ত্বেও, বাইবেলের জায়গাগুলো সম্বন্ধে জানার ব্যাপারে গভীর আগ্রহী হওয়ার কারণ আমাদের রয়েছে। কেন?

৪, ৫. (ক) হিতোপদেশ ১৮:১৫ পদ কীভাবে বাইবেলের দেশগুলো সম্বন্ধে জ্ঞান এবং বোধগম্যতার সঙ্গে যুক্ত? (খ) সফনিয় ২ অধ্যায় কোন বিষয়টা স্পষ্ট করে?

ঈশ্বরের বাক্য বলে: “বুদ্ধিমানের চিত্ত জ্ঞান উপার্জ্জন করে, এবং জ্ঞানবানদের কর্ণ জ্ঞানের সন্ধান করে।” (হিতোপদেশ ১৮:১৫) এমন অনেক বিষয় থাকতে পারে, যেগুলো সম্বন্ধে একজন ব্যক্তি জ্ঞান নিতে পারে কিন্তু যিহোবা ঈশ্বর এবং তাঁর আচরণ সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান নেওয়া হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিশ্চিতভাবে, বাইবেলে আমরা যা পড়ি, তা সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে। (২ তীমথিয় ৩:১৬) কিন্তু লক্ষ করুন যে, এর সঙ্গে বুদ্ধি বা বোধগম্যতা জড়িত। এটা হল একটা বিষয়কে খুঁটিয়ে দেখা এবং এর একেকটা অংশ ও পুরো বিষয়ের মধ্যে সম্পর্কগুলোকে নির্ণয় করা অথবা উপলব্ধি করার ক্ষমতা। বাইবেলে উল্লেখিত জায়গাগুলো সম্বন্ধেও এটা সত্য। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের মধ্যে বেশির ভাগই জানে যে, মিশর কোথায় রয়েছে কিন্তু অব্রাহাম যে মিশর থেকে “দক্ষিণাঞ্চলে” বা নেগেবে ও পরে বৈথেলে এবং এরপর হিব্রোণে গিয়েছিলেন, সেই ঘটনাটা আমরা কতটা বুঝি? সেই জায়গাগুলোর মধ্যে যে-পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে, তা কি আপনি বোঝেন?

অথবা আপনি হয়তো বাইবেল পাঠের তালিকা অনুযায়ী পড়েছেন, যার মধ্যে সফনিয় ২ অধ্যায় ছিল। সেখানে আপনি কিছু শহর, লোক ও দেশের নাম পড়েছেন। ঘসা, অস্কিলোন, অস্‌দোদ, ইক্রোণ, সদোম ও নীনবী এবং সেইসঙ্গে কনান, মোয়াব, অম্মোন ও অশূর, এই সমস্ত জায়গার কথা সেই একটা অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জায়গাগুলো মনের চোখ দিয়ে দেখার ক্ষেত্রে আপনি কতটা সফল হয়েছেন, যে-জায়গাগুলোতে সত্যিকারের লোকেরা বাস করত এবং যে-লোকেরা ঐশিক ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতার সঙ্গে জড়িত ছিল?

৬. কেন কিছু খ্রিস্টান মানচিত্রের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে? (বাক্স দেখুন।)

ঈশ্বরের বাক্যের অনেক ছাত্র-ছাত্রী বাইবেলের দেশগুলোর বিষয়ে মানচিত্র খুঁজে দেখে অনেক উপকৃত হয়েছে। মানচিত্রগুলো আকর্ষণীয় বলেই যে তারা তা করে এমন নয় বরং তারা বুঝতে পেরেছে যে, এগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে তারা ঈশ্বরের বাক্য সম্বন্ধে তাদের জ্ঞান বাড়াতে পারে। এ ছাড়া, মানচিত্রগুলো তাদের বোধগম্যতা বাড়াতে এবং ইতিমধ্যেই তারা যে-বিষয়গুলো জানে, সেগুলো কীভাবে অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা বুঝতেও সাহায্য করতে পারে। কিছু উদাহরণ বিবেচনা করার সময় আপনিও হয়তো যিহোবার প্রতি আপনার উপলব্ধিকে গভীর করবেন এবং তাঁর বাক্যে লিপিবদ্ধ বিবরণগুলো সম্বন্ধে আরও গভীর অন্তর্দৃষ্টি লাভ করতে পারবেন।—১৪ পৃষ্ঠার বাক্স দেখুন।

দূরত্ব জানা আপনার বোধশক্তিকে বৃদ্ধি করে

৭, ৮. (ক) ঘসার সঙ্গে যুক্ত কোন আশ্চর্যজনক বিষয় শিম্‌শোন করেছিলেন? (খ) কোন তথ্য শিম্‌শোনের কৃতিত্বকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে পারে? (গ) শিম্‌শোনের সঙ্গে যুক্ত বিবরণ কীভাবে আমাদের জ্ঞান ও বোধশক্তিকে বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে?

আপনি বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৬:২ পদে বিচারক শিম্‌শোন ঘসাতে এসেছেন বলে পড়তে পারেন। ঘসা (গাজা) নামটা বর্তমানে প্রায়ই সংবাদে আসে, তাই আপনার হয়তো সাধারণ ধারণা থাকতে পারে যে, শিম্‌শোন কোথায় ছিলেন, যা ছিল ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের কাছাকাছি পলেষ্টীয় এলাকা। [১১] এখন বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৬:৩ পদ লক্ষ করুন: “শিম্‌শোন অর্দ্ধরাত্র পর্য্যন্ত শয়ন করিলেন, অর্দ্ধরাত্রে উঠিয়া তিনি নগর-দ্বারের অর্গলশুদ্ধ দুই কবাট ও দুই বাজু ধরিয়া উপড়াইলেন, এবং স্কন্ধে করিয়া হিব্রোণের সম্মুখস্থ পর্ব্বত-শৃঙ্গে লইয়া গেলেন।”

নিঃসন্দেহে, ঘসার মতো দৃঢ়দুর্গের দ্বার ও বাজুগুলো অত্যন্ত বড় ও ভারী ছিল। সেগুলো বহন করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে কল্পনা করুন! শিম্‌শোন বহন করেছিলেন কিন্তু সেগুলো নিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন এবং তাকে কোন ধরনের যাত্রা করতে হয়েছিল? আসলে, ঘসা প্রায় সমুদ্রতল বরাবর উপকূলে অবস্থিত। [১৫] কিন্তু, হিব্রোণ পূর্ব দিকে ৯০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত—প্রকৃতই এক উঁচু জায়গা! আমরা ‘হিব্রোণের সম্মুখস্থ পর্ব্বত-শৃঙ্গ’ ঠিক কোথায় তা নির্ণয় করতে পারি না, তবে সেই শহর ঘসা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে—ও সেইসঙ্গে উঁচুতে—অবস্থিত। দূরত্ব জানা শিম্‌শোনের কৃতিত্বে এক নতুন মাত্রা এনে দেয়, তাই নয় কি? আর স্মরণ করে দেখুন যে, কেন শিম্‌শোন এইরকম কাজ করতে পেরেছিলেন—‘সদাপ্রভুর আত্মা সবলে তাঁহার উপরে আসিয়াছিল।’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৪:৬, ১৯; ১৫:১৪) খ্রিস্টান হিসেবে আজকে আমরা আশা করি না যে, ঈশ্বরের আত্মা আমাদের ব্যতিক্রম ধরনের দৈহিক শক্তি দান করবে। কিন্তু, সেই একই শক্তিশালী আত্মা গভীর আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো সম্বন্ধে আমাদের বোধগম্যতাকে বাড়াতে পারে এবং আমাদের আন্তরিক মনুষ্য অনুসারে আমাদের বলবান করতে পারে। (১ করিন্থীয় ২:১০-১৬; ১৩:৮; ইফিষীয় ৩:১৬; কলসীয় ১:৯, ১০) হ্যাঁ, শিম্‌শোনের বিবরণ বোঝা এই বিষয়টার ওপর জোর দেয় যে, ঈশ্বরের আত্মা আমাদের সাহায্য করতে পারে।

৯, ১০. (ক) মিদিয়নীয়দের ওপর গিদিয়োনের বিজয়ে কী অন্তর্ভুক্ত ছিল? (খ) কীভাবে এর সঙ্গে যুক্ত ভৌগলিক অবস্থান সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান এই বিবরণকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করতে পারে?

মিদিয়নীয়দের ওপর গিদিয়োনের বিজয় হল আরেকটা বিবরণ, যা দূরত্বের বিষয়টাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। বেশির ভাগ বাইবেল পাঠক জানে যে, বিচারক গিদিয়োন এবং তার ৩০০ জনের একটা দল ১,৩৫,০০০ জন হামলাকারীর যৌথবাহিনীকে—মোরি পর্বতের নিকটবর্তী যিষ্রিয়েল সমভূমিতে শিবির স্থাপনাকারী মিদিয়নীয়, অমালেকীয় এবং অন্যদেরকে—পরাজিত করেছিল। [১৮] গিদিয়োনের লোকেরা তূরী বাজিয়েছিল, তাদের মশাল প্রকাশ করার জন্য তাদের ঘট ভেঙেছিল এবং চিৎকার করে বলেছিল: “সদাপ্রভুর ও গিদিয়োনের খড়্গ।” এর ফলে শত্রুরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল এবং তারা ভয় পেয়ে গিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করেছিল। (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৬:৩৩; ৭:১-২২) সেই সম্পূর্ণ ঘটনাটা কি অন্ধকার রাতের এক আকস্মিক কাজ ছিল? বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৭ এবং অধ্যায় পড়ে চলুন। আপনি দেখবেন যে, গিদিয়োন আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছিলেন। উল্লেখিত অনেক জায়গার মধ্যে কয়েকটাকে আজকে পরিচিত জায়গাগুলোর সঙ্গে শনাক্ত করা যায় না, তাই সেগুলো হয়তো বাইবেলের মানচিত্রে আসেনি। তা সত্ত্বেও, যথেষ্ট জায়গা শনাক্ত করা হয়েছে যাতে আমরা গিদিয়োনের পদক্ষেপগুলোকে অনুসরণ করতে পারি।

১০ গিদিয়োন বাকি যৌথবাহিনীকে বৈৎ-শিট্টা পার করে যর্দ্দনের নিকটবর্তী দক্ষিণে আবেল-মহোলা পর্যন্ত তাড়া করেছিলেন। (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৭:২২-২৫) বিবরণ বলে: “গিদিয়োন ও তাঁহার সঙ্গী তিন শত লোক যর্দ্দনে আসিয়া পার হইলেন; তাঁহারা শ্রান্ত হইলেও তাড়া করিয়া যাইতেছিলেন।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) পার হওয়ার পর, ইস্রায়েলীয়রা শত্রুদের দক্ষিণে যব্বোক নদীর নিকটবর্তী সুক্কোৎ এবং পনূয়েল পর্যন্ত এবং এরপর উঁচুতে যগ্‌বিহ (বর্তমান যর্দ্দনের অম্মোনের নিকটবর্তী) পর্যন্ত তাড়া করে। সেটা ছিল প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ পর্যন্ত তাড়া করা এবং লড়াই করা। গিদিয়োন, মিদিয়নীয় দুজন রাজাকে ধরেন এবং তাদের বধ করেন; আর এরপর তিনি যেখানে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল সেটার কাছাকাছি, তার নিজ নগর অফ্রাতে ফিরে যান। (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৮:৪-১২, ২১-২৭) স্পষ্টতই, গিদিয়োনের কৃতিত্ব কয়েক মিনিটের তূরী বাজানো, মশাল নাড়ানো এবং চিৎকার করার চেয়ে আরও বেশি কিছু ছিল। আর বিশ্বাসী পুরুষদের সম্বন্ধে মন্তব্যে এটা আরও কোন মাত্রা দেয়, তা চিন্তা করুন: “গিদিয়োন [এবং অন্যান্য] সকলের বৃত্তান্ত বলিতে গেলে সময়ের অকুলান হইবে [যাহারা] দুর্ব্বলতা হইতে বলপ্রাপ্ত হইলেন, যুদ্ধে বিক্রান্ত হইলেন।” (ইব্রীয় ১১:৩২-৩৪) খ্রিস্টানরাও দৈহিক দিক দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে কিন্তু আমাদের কি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে চলা গুরুত্বপূর্ণ নয়?—২ করিন্থীয় ৪:১, ১৬; গালাতীয় ৬:৯.

লোকেরা কীভাবে চিন্তা করে এবং প্রতিক্রিয়া দেখায়?

১১. ইস্রায়েলীয়রা কাদেশে পৌঁছানোর আগে এবং পরে কোন যাত্রা জড়িত ছিল?

১১ কেউ কেউ হয়তো জায়গা খুঁজে বের করার জন্য বাইবেলের মানচিত্র ব্যবহার করতে পারে কিন্তু আপনার কি মনে হয় যে, মানচিত্র লোকেদের চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে? উদাহরণ হিসেবে ইস্রায়েলীয়দের কথাই ধরুন, যারা সীনয় পর্বত থেকে প্রতিজ্ঞাত দেশের দিকে গিয়েছিল। পথের মধ্যে কিছু জায়গায় থেমে তারা অবশেষে কাদেশে (অথবা কাদেশ-বর্ণেয়তে) পৌঁছেছিল। [৯] দ্বিতীয় বিবরণ ১:২ পদ এটাকে ১১ দিনের ভ্রমণ হিসেবে তুলে ধরে, যার দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার। সেখান থেকে মোশি ১২ জন গুপ্তচরকে প্রতিজ্ঞাত দেশে পাঠিয়েছিলেন। (গণনাপুস্তক ১০:১২, ৩৩; ১১:৩৪, ৩৫; ১২:১৬; ১৩:১-৩, ২৫, ২৬) গুপ্তচররা নেগেবের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল, সম্ভবত বের্‌-শেবা পার হয়েছিল, এরপর হিব্রোণ দিয়ে প্রতিজ্ঞাত দেশের উত্তর সীমান্তে পৌঁছেছিল। (গণনাপুস্তক ১৩:২১-২৪) যেহেতু তারা দশ জন গুপ্তচরের নেতিবাচক তথ্য গ্রহণ করেছিল, তাই ইস্রায়েলীয়দের ৪০ বছর ধরে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল। (গণনাপুস্তক ১৪:১-৩৪) এটা তাদের বিশ্বাস এবং যিহোবার ওপর নির্ভর করার ইচ্ছা সম্বন্ধে কী প্রকাশ করে?—দ্বিতীয় বিবরণ ১:১৯-৩৩; গীতসংহিতা ৭৮:২২, ৩২-৪৩; যিহূদা ৫.

১২. ইস্রায়েলীয়দের বিশ্বাস সম্বন্ধে আমরা কোন উপসংহারে আসতে পারি এবং কেন তা আমাদের জন্য ভেবে দেখার মতো একটা বিষয়?

১২ এই বিষয়টা ভৌগলিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করুন। ইস্রায়েলীয়রা যদি বিশ্বাস রাখত এবং যিহোশূয় ও কালেবের পরামর্শ অনুসরণ করত, তা হলে প্রতিজ্ঞাত দেশে পৌঁছানোর জন্য তাদেরকে কি এতটা পথ ভ্রমণ করতে হতো? কাদেশ বের-লহয়্‌-রোয়ী থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যেখানে ইস্‌হাক এবং রিবিকা বাস করত। [৭] এটা বের্‌-শেবা থেকে ৯৫ কিলোমিটারের কম দূরে অবস্থিত, যা প্রতিজ্ঞাত দেশের দক্ষিণ প্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (আদিপুস্তক ২৪:৬২; ২৫:১১; ২ শমূয়েল ৩:১০) মিশর থেকে সীনয় পর্বতে এবং এরপর ২৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কাদেশে ভ্রমণ করে, তারা যেন ঠিক প্রতিজ্ঞাত দেশের প্রায় দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। আমাদের ক্ষেত্রে আমরা পার্থিব পরমদেশের একেবারে প্রবেশস্থলে রয়েছি। আমাদের জন্য শিক্ষাটা কী? প্রেরিত পৌল ইস্রায়েলীয়দের পরিস্থিতিকে এই পরামর্শের সঙ্গে যুক্ত করেছেন: “অতএব আইস, আমরা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করিতে যত্ন করি, যেন কেহ অবাধ্যতার সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে পতিত না হয়।”—ইব্রীয় ৩:১৬–৪:১১.

১৩, ১৪. (ক) কোন পরিস্থিতিতে গিবিয়োনীয়রা এক চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিয়েছিল? (খ) কী গিবিয়োনীয়দের মনোভাব প্রকাশ করে এবং এটা থেকে আমাদের কোন শিক্ষণীয় বিষয় শেখা উচিত?

১৩ গিবিয়োনীয়দের সঙ্গে জড়িত বাইবেলের কাহিনী থেকে এক ভিন্ন মনোভাব—ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য তাঁর ওপর নির্ভর করার এক মনোভাব—স্পষ্ট হয়। অব্রাহামের পরিবারের কাছে ঈশ্বর যে-দেশ সম্বন্ধে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যিহোশূয় ইস্রায়েলীয়দের যর্দ্দন নদী পার করে সেই দেশে নিয়ে যাওয়ার পর, কনানীয়দের দূর করার সময় এসেছিল। (দ্বিতীয় বিবরণ ৭:১-৩) গিবিয়োনীয়রাও এদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইস্রায়েলীয়রা যিরীহো এবং অয় নগর পরাজিত করেছিল এবং গিল্‌গলের নিকটে শিবির স্থাপন করেছিল। গিবিয়োনীয়রা অভিশপ্ত কনানীয়দের মতো মরতে চায়নি, তাই তারা গিল্‌গলে যিহোশূয়ের কাছে প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিল। তারা যাতে ইব্রীয়দের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্থাপন করতে পারে, সেইজন্য তারা কনানীয় এলাকার বাইরে থেকে এসেছে বলে ভান করেছিল।

১৪ সেই প্রতিনিধিরা বলেছিল: “আপনার দাস আমরা আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম শুনিয়া অতি দূরদেশ হইতে আসিলাম।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (যিহোশূয়ের পুস্তক ৯:৩-৯) তাদের কাপড়চোপড় এবং খাদ্যদ্রব্য দেখে নিশ্চিত মনে হয়েছিল যে, তারা দূর থেকে এসেছে কিন্তু আসলে তারা গিল্‌গল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে গিবিয়োন থেকে এসেছিল। [১৯] তাদের কথা বিশ্বাস করে যিহোশূয় এবং অধ্যক্ষরা গিবিয়োন এবং গিবিয়োনের কাছাকাছি নগরগুলোর সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিল। গিবিয়োনীয়দের কৌশল কি কেবল বিচার এড়ানোর একটা উপায় ছিল? এর বিপরীতে, এটা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাওয়ার ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করেছিল। যিহোবা গিবিয়োনীয়দের “মণ্ডলীর ও সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির নিমিত্ত কাষ্ঠছেদন ও জলবহন” করতে এবং পশুবলির বেদির জন্য কাঠ সংগ্রহের কাজ করতে অনুমোদন করেছিলেন। (যিহোশূয়ের পুস্তক ৯:১১-২৭) গিবিয়োনীয়রা যিহোবার সেবায় ক্রমাগত ছোট কাজগুলো করার এক ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। সম্ভবত, তাদের কেউ কেউ নথীনীয়দের মধ্যে ছিল, যারা বাবিল থেকে ফিরে এসেছিল এবং পূনর্নির্মিত মন্দিরে সেবা করেছিল। (ইষ্রা ২:১, ২, ৪৩-৫৪; ৮:২০) ঈশ্বরের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করে এবং তাঁর সেবায় এমনকি ছোট কাজগুলো করতে ইচ্ছুক হওয়ার মাধ্যমে আমরা তাদের মনোভাব অনুকরণ করতে পারি।

সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা

১৫. খ্রিস্টান গ্রিক শাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ভৌগলিক অবস্থান সম্বন্ধে কেন আমাদের আগ্রহী হওয়া উচিত?

১৫ বাইবেলের দেশগুলোর ভৌগলিক অবস্থান খ্রিস্টান গ্রিক শাস্ত্রের বিবরণগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে, যেমন যিশু এবং প্রেরিত পৌলের ভ্রমণ ও পরিচর্যা। (মার্ক ১:৩৮; ৭:২৪, ৩১; ১০:১; লূক ৮:১; ১৩:২২; ২ করিন্থীয় ১১:২৫, ২৬) পরের বিবরণগুলোতে এর সঙ্গে জড়িত ভ্রমণগুলো কল্পনা করার চেষ্টা করুন।

১৬. কীভাবে বিরয়ার খ্রিস্টানরা পৌলের প্রতি উপলব্ধি দেখিয়েছিল?

১৬ পৌল তার দ্বিতীয় মিশনারি যাত্রার সময় (মানচিত্রের বেগুনি লাইন) ফিলিপীতে, বর্তমানে গ্রিসে এসে পৌঁছেছিলেন। [৩৩] তিনি সেখানে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, বন্দি হয়েছিলেন এবং ছাড়া পেয়েছিলেন আর এরপর থিষলনীকীতে গিয়েছিলেন। (প্রেরিত ১৬:৬–১৭:১) যিহুদিরা যখন গণ্ডগোল বাঁধিয়েছিল, তখন থিষলনীকীর ভাইবোনেরা পৌলকে বিরয়াতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন, যা প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিরয়াতে পৌল এক সফল পরিচর্যা সম্পাদন করেছিলেন কিন্তু যিহুদিরা এসে জনতাকে উসকে দিয়েছিল। তাই, “ভ্রাতৃগণ অবিলম্বে পৌলকে সমুদ্র পর্য্যন্ত যাইবার জন্য প্রেরণ করিলেন” এবং “যাহারা পৌলকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়াছিল, তাহারা তাঁহাকে আথীনী পর্য্যন্ত লইয়া গেল।” (প্রেরিত ১৭:৫-১৫) স্পষ্টতই, কয়েক জন নতুন ধর্মান্তরিত ব্যক্তি ঈজিয়ান সমুদ্র থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ হেঁটে যেতে, জাহাজের ভাড়া দিতে এবং প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ইচ্ছুক ছিল। এই ধরনের ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারত কিন্তু ভাইয়েরা সেই ঝুঁকিগুলো গ্রহণ করেছিল এবং এভাবে ঈশ্বরের এই ভ্রমণ প্রতিনিধির সঙ্গে আরও সময় কাটিয়েছিল।

১৭. মিলীত এবং ইফিষের মধ্যবর্তী দূরত্ব বোঝার পর আমরা কোন বিষয়টা আরও ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারি?

১৭ তৃতীয় যাত্রার সময় (মানচিত্রের সবুজ লাইন) পৌল মিলীত বন্দরে এসে পৌঁছেছিলেন। তিনি ইফিষের প্রাচীনবর্গকে ডেকে পাঠানোর জন্য লোক পাঠিয়েছিলেন, যা প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। কল্পনা করুন যে, সেই প্রাচীনরা পৌলের কাছে যাওয়ার জন্য অন্যান্য কাজ বাদ দিয়েছিল। তারা যেতে যেতে হয়তো উদ্যমের সঙ্গে আসন্ন সভা সম্বন্ধে কথা বলছিল। পৌলের সঙ্গে দেখা করার এবং তার প্রার্থনা শোনার পর, “সকলে বিস্তর রোদন করিলেন, এবং পৌলের গলা ধরিয়া তাঁহাকে চুম্বন করিতে লাগিলেন।” এরপর তারা তাকে যিরূশালেম যাওয়ার জন্য “জাহাজ পর্য্যন্ত তাঁহাকে রাখিয়া আসিতে গেলেন।” (প্রেরিত ২০:১৪-৩৮) ইফিষে ফিরে যাওয়ার পথে তাদের চিন্তা করার এবং বলার অনেক কিছু ছিল। যিনি তাদেরকে তথ্য জানাতে এবং উৎসাহিত করতে পারতেন সেই ভ্রমণ পরিচারকের সঙ্গে থাকার জন্য এতটা দূরের পথ হেঁটে তারা যে-উপলব্ধি দেখিয়েছিল, তা কি আপনাকে প্রভাবিত করে না? এই ঘটনার মধ্যে আপনি কি এমন কিছু দেখতে পারছেন, যা আপনি আপনার জীবনে এবং চিন্তাভাবনায় কাজে লাগাতে পারেন?

সেই দেশ এবং সামনে যা রয়েছে, সেই সম্বন্ধে শিখুন

১৮. বাইবেলের জায়গাগুলোর বিষয়ে আমরা কী করার সংকল্প নিতে পারি?

১৮ উপরোক্ত উদাহরণগুলো সেই দেশের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার গুরুত্ব সম্বন্ধে দেখায়, যা ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের দিয়েছিলেন এবং যা বাইবেলের অনেক বিবরণের প্রধান বিষয়। (আর বাইবেলের বিবরণগুলোতে উল্লেখিত আশেপাশের দেশগুলো সম্বন্ধে জেনে আমরা আমাদের মনের দৃষ্টিকে বাড়াতে পারি।) বিশেষভাবে প্রতিজ্ঞাত দেশ সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান এবং বোধশক্তিকে বৃদ্ধি করার সময় আমরা ইস্রায়েলীয়দের “দুগ্ধমধুপ্রবাহী” দেশে প্রবেশ করার এবং তা উপভোগ করার জন্য যে-মৌলিক চাহিদা ছিল, তা মনে রাখতে পারি। সেটা ছিল যিহোবাকে ভয় করা এবং তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করা।—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:১, ২; ২৭:৩.

১৯. কোন দুটো পরমদেশ আমাদের ক্রমাগত মনোযোগের যোগ্য?

১৯ একইভাবে, আজকেও যিহোবাকে ভয় করে এবং দৃঢ়ভাবে তাঁর পথগুলোতে আসক্ত থেকে আমাদের অংশটুকু করতে হবে। তা করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই আধ্যাত্মিক পরমদেশকে সমৃদ্ধ এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে অবদান রাখব, যা এখন পৃথিবীব্যাপী খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে বিদ্যমান। আমরা এর বিভিন্ন দিক এবং আশীর্বাদ সম্বন্ধে ধীরে ধীরে আরও জ্ঞান লাভ করব। আর আমরা জানি যে, ভবিষ্যতে আরও কিছু রয়েছে। যিহোশূয় ইস্রায়েলীয়দের যর্দ্দন পার করে ফলবান, পরিতৃপ্তিদায়ক এক দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন। এখন আমাদের আস্থা সহকারে সেই আক্ষরিক পরমদেশের জন্য অপেক্ষা করার বৈধ কারণ রয়েছে, যে-উত্তম দেশটি আমাদের সামনেই রয়েছে।

আপনি কি স্মরণ করতে পারেন?

• কেন বাইবেলের দেশগুলোর বিষয়ে আমাদের জ্ঞান এবং বোধশক্তিকে বৃদ্ধি করতে চাওয়া উচিত?

• এই প্রবন্ধে বিবেচ্য কোন ভৌগলিক বর্ণনা বিশেষভাবে আপনার কাছে সাহায্যকারী বলে মনে হয়েছে?

• কিছু ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ভৌগলিক অবস্থান সম্বন্ধে আরও জানার সময় কোন শিক্ষা আপনার কাছে পুরোপুরি স্পষ্ট হয়েছে?

[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]

[১৪ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

“সেই উত্তম দেশ দেখুন”

২০০৩ এবং ২০০৪ সালের জেলা সম্মেলনে, যিহোবার সাক্ষিরা “সেই উত্তম দেশ দেখুন” (ইংরেজি) ব্রোশার পেয়ে আনন্দিত হয়েছিল। এই নতুন প্রকাশনাটি, যেটি প্রায় ৮০টা ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে, সম্পূর্ণ রঙিন মানচিত্র এবং তালিকায় পরিপূর্ণ, যা বাইবেলের সময়ের বিভিন্ন এলাকাগুলো, বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে প্রতিজ্ঞাত দেশকে চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করে।

এই প্রবন্ধটিতে মোটা হরফে লেখা পৃষ্ঠা নম্বর নির্দিষ্ট মানচিত্রকে নির্দেশ করে, যেমন [১৫]। আপনার কাছে যদি এই নতুন ব্রোশারটি থাকে, তা হলে বৈশিষ্ট্যমূলক দিকগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য কিছু সময় বের করে নিন, যা আপনাকে ঈশ্বরের বাক্য সম্বন্ধে আপনার জ্ঞান ও বোঝার ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

(১) অনেক মানচিত্রের মধ্যে সাংকেতিক চিহ্ন অথবা বাক্স রয়েছে, যা মানচিত্রে দেওয়া বিশেষ প্রতীক অথবা চিহ্নের ব্যাখ্যা তুলে ধরে [১৮]। (২) বেশির ভাগ মানচিত্রের মধ্যে মাইল এবং কিলোমিটারের স্কেল রয়েছে, যা আপনাকে আয়তন অথবা দূরত্ব বুঝতে সমর্থ করবে [২৬]। (৩) সাধারণত তীর চিহ্ন উত্তর দিককে নির্দেশ করে, যা আপনাকে দিক নির্দেশনা বুঝতে সাহায্য করে [১৯]। (৪) বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ উচ্চতাকে নির্দেশ করার জন্য মানচিত্রগুলো রঙিন করা হয়েছে [১২]। (৫) মানচিত্রের চারপাশে হয়তো অক্ষর/নম্বর দেওয়া রয়েছে যাতে আপনি ছক দেখতে পারেন, যা আপনি নগর বা নামগুলো নির্দেশ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন [২৩]। (৬) জায়গার নামের দুই পৃষ্ঠার ইনডেক্সে [৩৪-৫] আপনি বড় হরফে পৃষ্ঠা নম্বর দেখতে পারেন, যার পরে প্রায়ই ছকের অবস্থান রয়েছে, যেমন E২. কয়েক মিনিট এই দিকগুলো ব্যবহার করার পর আপনি হয়তো অবাক হয়ে যাবেন যে, বাইবেল সম্বন্ধে আপনার জ্ঞান এবং বোঝার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এটি সত্যিই সাহায্যকারী।

[১৬, ১৭ পৃষ্ঠার তালিকা/মানচিত্র]

প্রাকৃতিক অঞ্চলগুলোর তালিকা

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

A. মহাসমুদ্র উপকূল

B. যর্দ্দনের পশ্চিম সমভূমি

১. আশের সমভূমি

২. দোর উপকূলবর্তী অঞ্চল

৩. শারোণ চারণভূমি

৪. পলেষ্টিয়া সমভূমি

৫. মধ্য পূর্ব-পশ্চিম উপত্যকা

a. মগিদ্দো সমভূমি

b. যিষ্রিয়েল তলভূমি

C. যর্দ্দনের পশ্চিম পর্বতমালা

১. গালীল পর্বত

২. কর্মিল পর্বত

৩. শমরিয়া পর্বত

৪. শিফালাহ্‌ (নিম্ন পর্বত)

৫. যিহূদার পর্বতময় দেশ

৬. যিহূদার প্রান্তর

৭. নেগেব

৮. পারণ প্রান্তর

D. অরবা (গ্রস্ত উপত্যকা)

১. হুলা অববাহিকা

২. গালীল সমুদ্রের এলাকা

৩. যর্দ্দন উপত্যকা

৪. লবণ সমুদ্র (ডেড সি)

৫. অরাবা (লবণ সমুদ্রের দক্ষিণে)

E. পূর্ব যর্দ্দনের পর্বত/অধিত্যকা

১. বাশন

২. গিলিয়দ

৩. অম্মোন এবং মোয়াব

৪. ইদোমের পার্বত্যময় মালভূমি

F. লিবানোনের পর্বতমালা

[মানচিত্র]

হর্মোণ পর্বত

মোরি

আবেল-মহোলা

সুক্কোৎ

যগ্‌বিহ

বৈথেল

গিল্‌গল

গিবিয়োন

যিরূশালেম

হিব্রোণ

ঘসা

বের্‌-শেবা

সদোম?

কাদেশ

[১৫ পৃষ্ঠার মানচিত্র/চিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

কনান

মগিদ্দো

গিলিয়দ

দোথন

শিখিম

বৈথেল (লূস)

অয়

যিরূশালেম (শালেম)

বৈৎলেহম (ইফ্রাথ্‌)

মম্রি

হিব্রোণ (মক্‌পেলা)

গরার

বের্‌-শেবা

সদোম?

নেগেব

রহোবোৎ?

[পর্বতমালা]

মোরিয়া

[জলরাশি]

লবণ সমুদ্র

[নদী]

যর্দ্দন

[চিত্র]

অব্রাহাম সেই দেশ ভ্রমণ করেছিলেন

[১৮ পৃষ্ঠার মানচিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

ত্রোয়া

সামথ্রাকী

নিয়াপলি

ফিলিপী

আম্ফিপলি

থিষলনীকী

বিরয়া

আথীনী

করিন্থ

ইফিষ

মিলীত

রোদঃ