সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

এক অর্থপূর্ণ জীবন সম্ভব!

এক অর্থপূর্ণ জীবন সম্ভব!

এক অর্থপূর্ণ জীবন সম্ভব!

 অনেক লোক টাকাপয়সা এবং এটা দিয়ে যা কেনা যায়, তার জন্য জীবনযাপন করছে। কিছু লোক জগতে খ্যাতি অর্জন করার জন্য জীবনযাপন করে। অন্যেরা তাদের শৈল্পিক দক্ষতাকে আরও নিখুঁত করার জন্য জীবনযাপন করে। এ ছাড়া, এমন লোকেরাও রয়েছে, যারা অন্যদের সাহায্য করার জন্য জীবনযাপন করে। কিন্তু অনেকেই জানে না যে, তারা কীসের জন্য জীবনযাপন করছে অথবা কেন তারা এখানে রয়েছে।

আপনার সম্বন্ধে কী বলা যায়? কেন আপনি এখানে রয়েছেন, তার কারণ সম্বন্ধে আপনি কি কখনো গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করেছেন? মানুষের কিছু সাধারণ লক্ষ্য, আসলেই কোনোকিছু সম্পাদন করার বোধ এবং পরিতৃপ্তিদায়ক কোনো অনুভূতি এনে দেয় কি না, তা দেখার জন্য সেগুলোর বিষয়ে বিবেচনা করে দেখুন না কেন? কোন বিষয়টা এক অর্থপূর্ণ জীবন সম্ভব করে তোলে?

টাকাপয়সা এবং আমোদপ্রমোদের নিজ নিজ স্থান রয়েছে

উপদেশক ৭:১২ পদে বাইবেল বলে: “প্রজ্ঞা আশ্রয়, ধনও আশ্রয় বটে, কিন্তু জ্ঞানের উৎকৃষ্টতা এই যে, প্রজ্ঞা আপন অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।” হ্যাঁ, ধন বা টাকাপয়সার মূল্য রয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য আপনার টাকাপয়সার প্রয়োজন, বিশেষ করে যদি আপনার পরিবারের জন্য চিন্তা বা ভরণপোষণ করার দায়িত্ব থাকে।—১ তীমথিয় ৫:৮.

এমন কিছু আমোদপ্রমোদ যা টাকাপয়সা দিয়ে কেনা যায় সেগুলো ছাড়া জীবন সম্বন্ধে কী বলা যায়? যদিও খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট স্বীকার করেছিলেন যে, তাঁর মাথা রাখার স্থান নেই, তবুও তিনি বিশেষ উপলক্ষে উত্তম খাদ্য ও দ্রাক্ষারস গ্রহণ করা উপভোগ করেছিলেন। অধিকন্তু, তিনি একটা দামি পোশাক পরা থেকেও বিরত ছিলেন না।—মথি ৮:২০; যোহন ২:১-১১; ১৯:২৩, ২৪.

কিন্তু, আমোদপ্রমোদই যিশুর জীবনের প্রধান লক্ষ্য ছিল না। তিনি তাঁর অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে স্পষ্ট এবং যথার্থভাবে স্থাপন করেছিলেন। যিশু বলেছিলেন: “উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের সম্পত্তিতে তাহার জীবন হয় না।” এরপর তিনি এমন একজন ধনী ব্যক্তির দৃষ্টান্ত বলে চলেন, যার ভূমিতে প্রচুর শস্য উৎপন্ন হয়েছিল আর যিনি মনে মনে বিবেচনা বা যুক্তি করেছিলেন: “কি করি? আমার শস্য রাখিবার ত স্থান নাই। . . . আমার গোলাঘর সকল ভাঙ্গিয়া বড় বড় গোলাঘর নির্ম্মাণ করিব, এবং তাহার মধ্যে আমার সমস্ত শস্য ও আমার দ্রব্য রাখিব। আর আপন প্রাণকে বলিব, প্রাণ, বহুবৎসরের নিমিত্ত তোমার জন্য অনেক দ্রব্য সঞ্চিত আছে; বিশ্রাম কর, ভোজন পান কর, আমোদ প্রমোদ কর।” সেই ব্যক্তির চিন্তাভাবনার মধ্যে ভুল কী ছিল? দৃষ্টান্তটি আরও বলে: “ঈশ্বর [ধনী ব্যক্তিকে] কহিলেন, হে নির্ব্বোধ, অদ্য রাত্রিতেই তোমার প্রাণ তোমা হইতে দাবি করিয়া লওয়া যাইবে, তবে তুমি এই যে আয়োজন করিলে, এ সকল কাহার হইবে?” এমনকি সেই ব্যক্তি যদি তার শস্য সঞ্চয় করতেন, তবুও মারা গেলে তার সঞ্চিত ধনসম্পদ তিনি ভোগ করতে পারতেন না। শেষে, যিশু তাঁর শ্রোতাদের এই শিক্ষা দিয়েছিলেন: “যে কেহ আপনার জন্য ধন সঞ্চয় করে, এবং ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনবান্‌ নয়, সে এইরূপ।”—লূক ১২:১৩-২১.

হ্যাঁ, আমাদের কিছু পরিমাণ টাকাপয়সার প্রয়োজন আছে আর আমোদপ্রমোদেরও একটা স্থান রয়েছে। কিন্তু, টাকাপয়সা অথবা আমোদপ্রমোদ কোনোটাই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনী হওয়া অর্থাৎ ঐশিক অনুগ্রহ নিয়ে আসে এমন এক জীবনযাপন করা হল অনুধাবন করার মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

খ্যাতি অর্জন করা কি গুরুত্বপূর্ণ?

অনেক লোক খ্যাতি অর্জন করার জন্য জীবনযাপন করে। খ্যাতি অর্জন করার আকাঙ্ক্ষা, অন্যদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকতে চাওয়াটা দোষের কিছু নয়। “উৎকৃষ্ট তৈল অপেক্ষা সুখ্যাতি ভাল,” বাইবেল বলে, “এবং জন্মদিন অপেক্ষা মরণদিন ভাল।”—উপদেশক ৭:১.

বলতে গেলে, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর দিনে, তার সারাজীবনের কাজের নথি লেখা হয়ে যায়। যদি তিনি ইতিবাচক বিষয়গুলো সম্পাদন করে থাকেন, তা হলে সেই ব্যক্তির মৃত্যুদিন তার জন্মদিনের চেয়ে বহুগুণ ভাল, যে-দিন তার নথি পুরোপুরি ফাঁকা ছিল।

বাইবেলের উপদেশক বইয়ের লেখক ছিলেন রাজা শলোমন। শলোমনের সৎদাদা অবশালোম খ্যাতি অর্জন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তার তিন ছেলে, যাদের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তিনি তার খ্যাতি স্থানান্তরিত করতে পারতেন, স্পষ্টতই অল্পবয়সেই মারা গিয়েছিল। তাই, অবশালোম কী করেছিলেন? শাস্ত্র জানায়: “রাজার তলভূমিতে যে স্তম্ভ আছে, অবশালোম . . . তাহা নির্ম্মাণ করাইয়া আপনার জন্য স্থাপন করিয়াছিল, কেননা সে বলিয়াছিল, আমার নাম রক্ষা করিতে আমার পুত্ত্র নাই; এই জন্য সে আপন নামানুসারে ঐ স্তম্ভের নাম রাখিয়াছিল।” (২ শমূয়েল ১৪:২৭; ১৮:১৮) সেই স্তম্ভের কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। আর বাইবেল ছাত্রদের কাছে অবশালোম একজন কুখ্যাত বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত, যিনি তার পিতা দায়ূদের সিংহাসন দখল করার জন্য চক্রান্ত করেছিলেন।

আজকে অনেকেই তাদের সম্পাদিত কাজের মধ্যে দিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকার জন্য চেষ্টা করে। তারা সেই লোকেদের চোখে গৌরব পেতে চায়, যাদের পছন্দ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু, এইরকম খ্যাতির কী ঘটে? আত্মমগ্নতার সংস্কৃতি (ইংরেজি) নামক বইয়ে ক্রিস্টোফার ল্যাশ লিখেছেন: “আমাদের সময়ে, যখন কিনা সফলতাকে মূলত তারুণ্য, সৌন্দর্য এবং অভিনবত্বের দ্বারা বিচার করা হয়, তখন খ্যাতি যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি ক্ষণস্থায়ী হয় আর যারা জনসাধারণের মনোযোগ লাভ করে থাকে, তারা সবসময় তা হারানোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকে।” এর ফলে, অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য এবং মদের আশ্রয় নিয়ে থাকে, ফলে প্রায়ই তাদের অকালমৃত্যু ঘটে। বস্তুতপক্ষে, খ্যাতি অর্জনের প্রচেষ্টা করা অর্থহীন।

তা হলে, কার চোখে আমাদের সুনাম অর্জন করা উচিত? যারা তাঁর ব্যবস্থা পালন করেছিল, সেই ব্যক্তিদের সম্বন্ধে ভাববাদী যিশাইয়ের মাধ্যমে যিহোবা বলেছিলেন: “তাহাদিগকে আমি আমার গৃহমধ্যে ও আমার প্রাচীরের ভিতরে . . . স্থান ও নাম দিব; আমি তাহাদিগকে লোপহীন অনন্তকালস্থায়ী নাম দিব।” (যিশাইয় ৫৬:৪, ৫) ঈশ্বরের প্রতি তাদের বাধ্যতার কারণে যারা তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য, তারা “স্থান ও নাম” লাভ করবে। ঈশ্বর তাদের নাম বা খ্যাতি ‘অনন্তকাল’ মনে রাখবেন, যাতে তারা লোপহীন বা চিরস্থায়ী হয়। বাইবেল আমাদেরকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা যিহোবার চোখে এইরকমই এক খ্যাতি—সুনাম—অর্জন করার জন্য উৎসাহিত করে।

যিশাইয় সেই সময় সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করছিলেন, যখন বিশ্বস্ত ব্যক্তিরা পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্তজীবন পাবে। সেই পরমদেশে “অনন্ত জীবন” হল “প্রকৃতরূপে জীবন”—যে-ধরনের জীবন সম্বন্ধে মানুষের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল, যখন তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছিলেন। (১ তীমথিয় ৬:১২, ১৯) এক ক্ষণস্থায়ী ও অপরিতৃপ্তিদায়ক জীবনযাপন করার পরিবর্তে, আমদের কি অনন্তজীবনের জন্য প্রচেষ্টা করা উচিত নয়?

শৈল্পিক অথবা জনসেবামূলক লক্ষ্যগুলো যথেষ্ট নয়

অনেক শিল্পী তাদের শৈল্পিক কাজগুলোকে উন্নত করতে চায়, যাতে তারা সেই ক্ষেত্র পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যেটাকে তারা নিখুঁত শিল্পকর্ম বলে মনে করে। তা করার জন্য বর্তমান জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। আগের প্রবন্ধে উল্লেখিত শিল্পী হিডিও ৯০ বছর বয়সে তার শৈল্পিক দক্ষতাগুলোকে আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। একজন শিল্পী যদি সেই ক্ষেত্র পর্যন্ত পৌঁছেও থাকেন, যেখানে তিনি নিজের কাজে পরিতৃপ্ত হন কিন্তু সেই সময়ে তিনি সম্ভবত ততটা কাজ করার জন্য সমর্থ থাকবেন না, যতটা আরও অল্প বয়সে করতে পারতেন। কিন্তু যদি তিনি অনন্তজীবনের অধিকারী হতেন, তা হলে কী? তার শিল্পকর্মকে নিখুঁত করার জন্য সমস্ত সম্ভাবনার কথা একটু চিন্তা করুন!

জীবনে জনসেবামূলক লক্ষ্যগুলো সম্বন্ধে কী বলা যেতে পারে? একজন ব্যক্তির জন্য দরিদ্র লোকেদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং অভাবী লোকেদের সাহায্য করতে গিয়ে তার ধনসম্পদ ব্যয় করা এক প্রশংসনীয় কাজ। বাইবেল বলে: “পাওয়ার চেয়ে দেওয়ারই মধ্যে বেশি সুখ।” (প্রেরিত [শিষ্যচরিত] ২০:৩৫, বাংলা জুবিলী বাইবেল) অন্যদের মঙ্গলের জন্য চিন্তা দেখানো প্রকৃতই পরিতৃপ্তিদায়ক হতে পারে। তা সত্ত্বেও, একজন ব্যক্তি যদি এই লক্ষ্য অর্জন করার জন্য তার সারাজীবন নিয়োজিত করেন, তারপরও তিনি কতটাই বা সম্পাদন করতে পারবেন? অন্যদের দুঃখকষ্ট লাঘব করার ক্ষেত্রে আমরা মানুষেরা যা সম্পাদন করতে পারি, তা সীমিত। এমনকি প্রচুর পরিমাণ বস্তুগত বিষয়ও এমন এক মৌলিক চাহিদাকে মেটাতে পারে না, যেটাকে অধিকাংশ লোকই উপেক্ষা করে থাকে এবং যেটা তাদের জীবনে অপূর্ণ থেকে যায়। সেই চাহিদাটা কী?

এক সহজাত চাহিদা পূরণ করা—আবশ্যক

যিশু তাঁর পর্বতেদত্ত উপদেশে এক সহজাত মৌলিক চাহিদা সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন: “ধন্য [“সুখী,” NW] যাহারা আত্মাতে দীনহীন” বা তাদের আধ্যাত্মিক চাহিদা সম্বন্ধে সচেতন, “কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাহাদেরই।” (মথি ৫:৩) তাই বাইবেল অনুসারে, ধনসম্পদ, খ্যাতি, শৈল্পিক কাজগুলো অথবা জনসেবামূলক প্রচেষ্টাগুলোর ওপর প্রকৃত সুখ নির্ভর করে না। এর পরিবর্তে, এটা আমাদের আধ্যাত্মিক চাহিদার—ঈশ্বরকে উপাসনা করার চাহিদার—ওপর নির্ভর করে।

প্রেরিত পৌল সৃষ্টিকর্তাকে জানে না এমন ব্যক্তিদের তাঁকে খোঁজার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। পৌল বলেছিলেন: “[ঈশ্বর] এক ব্যক্তি হইতে মনুষ্যদের সকল জাতিকে উৎপন্ন করিয়াছেন, যেন তাহারা সমস্ত ভূতলে বাস করে; তিনি তাহাদের নির্দ্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করিয়াছেন; যেন তাহারা ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, যদি কোন মতে হাঁতড়িয়া হাঁতড়িয়া তাঁহার উদ্দেশ পায়; অথচ তিনি আমাদের কাহারও হইতে দূরে নহেন। কেননা তাঁহাতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্তা।”—প্রেরিত ১৭:২৬-২৮.

সত্য ঈশ্বরকে উপাসনা করার চাহিদা মেটানোই হল জীবনে প্রকৃত সুখ অর্জন করার চাবিকাঠি। এ ছাড়া, আমাদের আধ্যাত্মিক চাহিদা পূরণ করা আমাদেরকে “প্রকৃতরূপে জীবন” লাভের প্রত্যাশাও প্রদান করে। টেরিসার উদাহরণটি বিবেচনা করুন, যিনি তার দেশের টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন, যখন তিনি প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী হিসেবে নিজের তৈরি এক ঘন্টার ধারাবাহিক নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু, অল্পসময়ের মধ্যেই তিনি সমস্তকিছু পরিত্যাগ করেছিলেন। কেন? তিনি বলেছিলেন: “আমি এই বিষয়ে দৃঢ়নিশ্চিত যে, ঈশ্বরের বাক্যের পরামর্শে মনোযোগ দেওয়াই হল জীবনযাপনের সর্বোত্তম উপায়।” টেরিসা টেলিভিশনের এমন একটা ধারাবাহিকে অভিনয় করার দ্বারা ঈশ্বরের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ঝুঁকির মুখে ফেলতে চাননি, যেটা যৌনতা এবং দৌরাত্ম্যকে উৎসাহিত করে। তিনি জনসাধারণের চোখের সামনে থেকে সরে এসেছিলেন ঠিকই কিন্তু এক প্রকৃত পরিতৃপ্তিদায়ক জীবন শুরু করেছিলেন কারণ তিনি ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচারের একজন পূর্ণসময়ের প্রচারক হিসেবে সেবা করেছিলেন, লোকেদেরকে ঈশ্বরের সঙ্গে এক উত্তম সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন।

টেরিসার অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তার একজন প্রাক্তন সহযোগী এভাবে বলেছিলেন: “আমি মর্মাহত হয়েছিলাম কারণ তিনি যে তার সফল কেরিয়ারকে পরিত্যাগ করেছিলেন, সেই বিষয়টাকে আমি খুব অপছন্দ করেছিলাম। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই তিনি আরও বড় এবং ভাল কিছু খুঁজে পেয়েছিলেন।” পরে একটা দুর্ঘটনায় টেরিসার মৃত্যু হয়। তা সত্ত্বেও, তার মৃত্যুর পর সেই একই প্রাক্তন সহযোগী মন্তব্য করেছিলেন: “তিনি সুখী ছিলেন আর সেটাই আপনি আপনার জীবনে চাইতে পারেন। আমাদের মধ্যে কজনই বা একই কথা বলতে পারে?” যারা ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে জীবনে প্রথম স্থানে রেখেছে অথচ মারা গিয়েছে, তাদের জন্য রাজ্যের শাসনাধীনে পুনরুত্থানের এক চমৎকার প্রত্যাশা রয়েছে।—যোহন ৫:২৮, ২৯.

পৃথিবী ও এর মানবজাতির জন্য সৃষ্টিকর্তার একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি চান যেন আপনি সেই উদ্দেশ্যটা বোঝেন এবং পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্তজীবন উপভোগ করেন। (গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১, ২৯) স্বর্গ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা যিহোবা সম্বন্ধে এবং তিনি আপনার জন্য যে-উদ্দেশ্য স্থির করেছেন, সেই সম্বন্ধে আরও বেশি করে জানার এখনই সময়। আপনার এলাকার যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে সেই জ্ঞান অর্জন করার জন্য সাহায্য করতে পেরে খুশি হবে। দয়া করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা এই পত্রিকার প্রকাশকদের কাছে লিখুন।

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিশুর দৃষ্টান্তের সেই ধনী ব্যক্তির যুক্তির মধ্যে ভুল কী ছিল?

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি কি পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্তজীবন উপভোগ করতে চাইবেন?