সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে

ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে

যিশুর থেকে আমরা যা শিখি

ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে

 ঈশ্বরের রাজ্য কী?

ঈশ্বরের রাজ্য হল এক সরকার, যা সমগ্র পৃথিবীর ওপর শাসন করবে। যিশু বলেছিলেন: “অতএব তোমরা এই মত প্রার্থনা করিও; . . . তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।”—মথি ৬:৯, ১০; দানিয়েল ২:৪৪.

কারা ঈশ্বরের রাজ্যের শাসক হবে?

যিশু ঈশ্বরের রাজ্যের শাসক হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করেছিলেন। একজন দূত যিশুর মাকে বলেছিলেন: “প্রভু ঈশ্বর তাঁহার পিতা দায়ূদের সিংহাসন তাঁহাকে দিবেন; তিনি . . . রাজত্ব করিবেন।” (লূক ১:৩০-৩৩) এ ছাড়া, যিশু তাঁর কিছু অনুসারীকে তাঁর সঙ্গে শাসন করার জন্য বেছে নিয়েছেন। তিনি তাঁর প্রেরিতদের বলেছিলেন: “তোমরাই আমার সকল পরীক্ষার মধ্যে আমার সঙ্গে সঙ্গে বরাবর রহিয়াছ; আর আমার পিতা যেমন আমার জন্য নিরূপণ করিয়াছেন, আমিও তেমনি তোমাদের জন্য এক রাজ্য নিরূপণ করিতেছি [“আমার পিতা যেমন আমার সঙ্গে এক রাজ্যের জন্য চুক্তি করেছেন, তেমনই আমিও তোমাদের সঙ্গে একটা চুক্তি করছি,” NW]।” (লূক ২২:২৮, ২৯; দানিয়েল ৭:২৭) যিশুর অনুসারীদের মধ্যে মোট ১,৪৪,০০০ জন তাঁর সঙ্গে শাসন করবে।—প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০; ১৪:১.

এই সরকার কোথায় স্থাপিত হবে?

ঈশ্বরের রাজ্য স্বর্গ থেকে শাসন করবে। যিশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য [স্বর্গে] স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্ব্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি, তোমরাও সেইখানে থাক। . . . আমি পিতার নিকটে যাইতেছি।”—যোহন ১৪:২, ৩, ১২; দানিয়েল ৭:১৩, ১৪.

ঈশ্বরের রাজ্য মন্দতার বিষয়ে কী করবে?

যিশু পৃথিবী থেকে দুষ্ট লোকেদের দূর করবেন। যিশু বলেছিলেন: “আর যখন মনুষ্যপুত্ত্র [যিশু] সমুদয় দূত সঙ্গে করিয়া আপন প্রতাপে আসিবেন, তখন তিনি নিজ প্রতাপের সিংহাসনে বসিবেন। আর সমুদয় জাতি তাঁহার সম্মুখে একত্রীকৃত হইবে; পরে তিনি তাহাদের এক জন হইতে অন্য জনকে পৃথক্‌ করিবেন, . . . পরে ইহারা [অধার্মিকেরা] অনন্ত দণ্ডে, কিন্তু ধার্ম্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করিবে।”—মথি ২৫:৩১-৩৪, ৪৬.

জ্যের প্রজা হিসেবে কারা পৃথিবীতে বসবাস করবে? 

যিশু বলেছিলেন: “ধন্য যাহারা মৃদুশীল, কারণ তাহারা দেশের অধিকারী হইবে।” (মথি ৫:৫; গীতসংহিতা ৩৭:২৯; ৭২:৮) দেশ বা পৃথিবী সেই লোকেদের দ্বারা পূর্ণ হবে, যারা এমনকি এখনই একে অপরকে ভালবাসতে শিখছে। যিশু তাঁর অনুসারীদের বলেছিলেন: “এক নূতন আজ্ঞা আমি তোমাদিগকে দিতেছি, তোমরা পরস্পর প্রেম কর; আমি যেমন তোমাদিগকে প্রেম করিয়াছি, তোমরাও তেমনি পরস্পর প্রেম কর। তোমরা যদি আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ, তবে তাহাতেই সকলে জানিবে যে, তোমরা আমার শিষ্য।”—যোহন ১৩:৩৪, ৩৫.

ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে মানবজাতির জন্য কী করবে?

যিশু মানবজাতির রোগব্যাধি দূর করবেন। পৃথিবীতে থাকাকালীন, যিশু লোকসমূহের কাছে “ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়” কথা বলেছিলেন ‘এবং যাহাদের সুস্থ হইবার প্রয়োজন ছিল, তাহাদিগকে সুস্থ করিয়াছিলেন।’ (লূক ৯:১১) একটা দর্শনে পুনরুত্থিত যিশুকে দেখার পর, প্রেরিত যোহন বলেছিলেন: “আমি ‘এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী’ দেখিলাম; . . . আমি সিংহাসন হইতে এই উচ্চ বাণী শুনিলাম, দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; . . . আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:১-৪.

ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে পরমদেশ পুনর্স্থাপন করবে। একজন দুষ্কর্মকারী যাকে যিশুর সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তিনি বলেছিলেন: “যীশু, আপনি যখন আপন রাজ্যে আসিবেন, তখন আমাকে স্মরণ করিবেন।” আর যিশু তাকে বলেছিলেন: “আমি তোমাকে সত্য বলিতেছি অদ্যই, তুমি পরমদেশে আমার সঙ্গে উপস্থিত হইবে।”—লূক ২৩:৪২, ৪৩; যিশাইয় ১১:৪-৯. (w০৮ ৫/১)

আরও তথ্যের জন্য বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৮ অধ্যায় দেখুন। *

[পাদটীকা]

^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।