সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“শেষদশা” বিবেচনা করুন

“শেষদশা” বিবেচনা করুন

“শেষদশা” বিবেচনা করুন

 জীবনের যাত্রাপথে বেছে নেওয়ার মতো অনেক বিষয় রয়েছে। কোনো রাস্তায় প্রথম পা ফেলার আগেই, সেই রাস্তার শেষে কী রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা নিশ্চিতভাবেই প্রজ্ঞার কাজ হবে। কেউ কেউ তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে প্রচণ্ড অনুশোচনা করেছে। সম্ভবত আপনিও বলেছেন, ‘আমি যদি জানতামই যে এইরকমটা হবে, তাহলে আমি কখনোই এভাবে সিদ্ধান্ত নিতাম না।’

একজন অভিজ্ঞ ভ্রমণকারী জানতে চান যে, প্রতিটা রাস্তা কোন দিকে গিয়েছে। তিনি হয়তো একটা মানচিত্র দেখতে পারেন এবং ওই এলাকা চেনে এমন লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তিনি নিশ্চয়ই তার চলার পথে যে-সাইনপোস্টগুলো থাকে, সেগুলো লক্ষ করবেন। কিন্তু, জীবনের যাত্রাপথে কীভাবে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, কোনটা সর্বোত্তম পথ? প্রাচীন ইস্রায়েলের লোকেদের সম্বন্ধে, ঈশ্বর একবার মোশির মাধ্যমে বলেছিলেন: “আহা, কেন তাহারা জ্ঞানবান হইয়া এই কথা বুঝে না? কেন আপনাদের শেষদশা বিবেচনা করে না?”—দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:২৯.

সর্বোত্তম পরামর্শ

জীবনের যাত্রাপথের “শেষদশা” কী হতে পারে, সেই সম্বন্ধে আমাদের সন্দেহ করার প্রয়োজন নেই। ঈশ্বর তাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে, সমস্ত মানব ভ্রমণকারীকে সর্বোত্তম পথ সম্বন্ধে উপদেশ দেওয়ার জন্য অদ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। মানুষ যে-বিভিন্ন পথে যাত্রা করেছে, তিনি সেগুলো দেখেছেন ও এগুলোর পরিণতিও পর্যবেক্ষণ করেছেন। বাইবেল বলে: “মনুষ্যের পথ ত সদাপ্রভুর দৃষ্টিগোচর; তিনি তাহার সকল পথ সমান [“যাচাই,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] করেন।”—হিতোপদেশ ৫:২১.

যারা যিহোবাকে ভালবাসে, তাদের জন্য তিনি চিন্তা করেন। তাঁর বাক্য বাইবেলের মাধ্যমে, তিনি তাদের জন্য যেটা সর্বোত্তম পথ, সেটা জানান। আমরা পড়ি: “আমি তোমাকে বুদ্ধি দিব, ও তোমার গন্তব্য পথ দেখাইব, তোমার উপরে দৃষ্টি রাখিয়া তোমাকে পরামর্শ দিব।” তাই, যেকোনো রাস্তায় প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার আগে, প্রাচীন ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের মতো যিহোবার পরামর্শ জানার চেষ্টা করা বিজ্ঞতার কাজ, যিনি প্রার্থনা করেছিলেন: “আমার গন্তব্য পথ আমাকে জানাও।”—গীতসংহিতা ৩২:৮; ১৪৩:৮.

একজন নির্ভরযোগ্য, অভিজ্ঞ ভ্রমণকারীর দ্বারা নির্দেশিত পথে চলা আপনাকে আস্থা ও নিরাপত্তার এক অনুভূতি এনে দিতে পারে। সেই পথ কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। দায়ূদ যিহোবার পরিচালনা ও নির্দেশনার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন ও তা মেনে চলেছিলেন। ফলে, তিনি মনের শান্তি উপভোগ করেছিলেন, যা গীতসংহিতার সুপরিচিত ২৩তম গীতে সুন্দরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। দায়ূদ লিখেছিলেন: “সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে না। তিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান। তিনি আমার প্রাণ ফিরাইয়া আনেন, তিনি নিজ নামের জন্য আমাকে ধর্ম্মপথে গমন করান। যখন আমি মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা দিয়া গমন করিব, তখনও অমঙ্গলের ভয় করিব না।”—গীতসংহিতা ২৩:১-৪

তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে?

জীবনের যাত্রাপথের একজন ভ্রমণকারী, একজন গীতরচক, যিনি ছিলেন হয় আসফ নতুবা তার কোনো একজন বংশধর, তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি সঠিক পথ থেকে ‘প্রায় টলিয়া গিয়াছিলেন।’ কী ঘটেছিল? তিনি অসৎ ও দৌরাত্ম্যপূর্ণ লোকেদের উন্নতি দেখেছিলেন এবং “দুষ্টদের কল্যাণ” দেখে ঈর্ষান্বিত হয়েছিলেন। তার কাছে মনে হয়েছিল যে, তারা “চিরকাল নির্ব্বিঘ্নে” বাস করছিল। তবে এর চেয়েও খারাপ বিষয়টা হচ্ছে, গীতরচক ধার্মিকতার সেই পথ অনুসরণ করার প্রজ্ঞা নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করেছিলেন, যেটা তিনি বাছাই করেছিলেন।—গীতসংহিতা ৭৩:২, ৩, ৬, ১২, ১৩.

এরপর গীতরচক যিহোবার ধর্মধামে প্রবেশ করেছিলেন এবং দুষ্টদের পরিণতি সম্বন্ধে প্রার্থনাপূর্বক ভেবেছিলেন। ‘আমি তাহাদের শেষ ফল বিবেচনা করিলাম,’ তিনি বলেছিলেন। আসফ সেই ব্যক্তিদের শেষ ফল বা ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে ধ্যান করেছিলেন, যে-ব্যক্তিদেরকে তিনি ঈর্ষা করেছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, এই লোকেরা “পিচ্ছিল স্থানেই” রয়েছে এবং তারা ‘নানা ত্রাসে নিঃশেষে সংহার’ হবে। গীতরচক যে-পথে চলছিলেন, সেটার সম্বন্ধে কী বলা যায়? তিনি স্বীকার করেছিলেন: “শেষে [ঈশ্বর] সপ্রতাপে আমাকে গ্রহণ করিবে।”—গীতসংহিতা ৭৩:১৭-১৯, ২৪.

নীতিবিরোধী হলেও স্বীয়স্বার্থে সুবিধাজনক কিংবা আপত্তিকর আচরণের মাধ্যমে যারা উন্নতি লাভ করে থাকে, তাদের কাজের পরিণতিগুলো নিয়ে চিন্তা করা গীতরচককে এই আশ্বাস দিয়েছিল যে, তিনি সঠিক পথেই ছিলেন। তিনি উপসংহারে বলেছিলেন: “ঈশ্বরের নিকটে থাকা আমারই পক্ষে মঙ্গল।” যিহোবা ঈশ্বরের নিকটবর্তী থাকা সবসময়ই স্থায়ী উপকারগুলো নিয়ে আসে।—গীতসংহিতা ৭৩:২৮.

“তোমার পথ সম্বন্ধে সতর্ক থাক”

আজকে আমরাও একইরকম বাছাইগুলোর মুখোমুখি হতে পারি। আপনাকে হয়তো কোনো লোভনীয় ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য, পদোন্নতির জন্য অথবা কোনো লাভজনক ব্যাবসার অংশীদার হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। অবশ্য, যেকোনো নতুন কাজেই কোনো না কোনো ঝুঁকি রয়েছে। তা সত্ত্বেও, আপনি কি আপনার বাছাইয়ের “শেষদশা” কী হতে পারে, তা প্রথমেই বিবেচনা করার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না? সম্ভাব্য পরিণতিগুলো কী? আপনাকে কি কিছু সময়ের জন্য ঘর থেকে দূরে কোথাও গিয়ে থাকতে হবে, যা হয়তো আপনার বিবাহ সাথি বা এমনকি আপনার নিজের জন্যও বিভিন্ন চাপ নিয়ে আসতে পারে? আপনি কি ব্যবসায়িক সহযোগীদের সঙ্গে অথবা হোটেলে বা অন্য কোথাও যাদের সঙ্গে আপনার দেখা হয়ে থাকে, সেখানে ক্ষতিকর সাহচর্যের মুখোমুখি হবেন? সামনে যে-পথ রয়েছে, তা ভালভাবে পরীক্ষা করার দ্বারা আপনি এক বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। শলোমনের পরামর্শে মনোযোগ দিন: “তোমার পথ সম্বন্ধে সতর্ক থাক।”—হিতোপদেশ (প্রবচনমালা) ৪:২৬, বাংলা জুবিলী বাইবেল।

আমাদের সকলের সেই পরামর্শ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত, তবে বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের তা বেশি করা উচিত। একজন যুবক এমন একটা ভিডিও ক্যাসেট ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল, যেটার সম্বন্ধে সে জানত যে, সেটাতে যৌন উত্তেজক বিভিন্ন দৃশ্য রয়েছে। সে পরে বর্ণনা করেছে যে, সেই ছবি দেখার পর, সে এতটাই উত্তেজনা বোধ করেছিল যে, সে একজন পতিতার কাছে গিয়েছিল, যার সম্বন্ধে সে জানত যে, সে তার কাছাকাছি এলাকাতেই থাকত। এর পরিণতিস্বরূপ তার হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়েছিল, সে দোষী বিবেকের যন্ত্রণা ভোগ করেছিল এবং সম্ভাব্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্নতা বোধ করেছিল। যা ঘটেছিল, সেই বিষয়টা বাইবেলের ঠিক এই বর্ণনার মতো: “অমনি সে তাহার পশ্চাতে গেল, যেমন গোরু হত হইতে যায়।” ইস, সে যদি তার “শেষদশা” বিবেচনা করত!—হিতোপদেশ ৭:২২, ২৩.

সাইনপোস্টগুলোর ওপর নির্ভর করুন

অধিকাংশ লোকই একমত হবে যে, সাইনপোস্টগুলোকে উপেক্ষা করা মূর্খের কাজ হবে। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হচ্ছে, কেউ কেউ জীবনের যাত্রাপথে ঠিক তা-ই করে থাকে, যখন প্রদত্ত নির্দেশনা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দের সঙ্গে মেলে না। যিরমিয়ের দিনের কিছু ইস্রায়েলীয়র কথা বিবেচনা করুন। সেই জাতিকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল আর যিহোবা ঈশ্বর তাদের উপদেশ দিয়েছিলেন: “কোন্‌ কোন্‌টা চিরন্তন মার্গ, তাহা জিজ্ঞাসা করিয়া বল, উত্তম পথ কোথায়? আর সেই পথে চল।” কিন্তু, লোকেরা একগুঁয়েভাবে সাড়া দিয়েছিল যে, তারা সেই পথে ‘চলিবে না।’ (যিরমিয় ৬:১৬) তাদের বিদ্রোহী আচরণের “শেষদশা” কী ছিল? সা.কা.পূ. ৬০৭ সালে, বাবিলীয়রা এসেছিল এবং যিরূশালেম শহরকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়ে এর অধিবাসীদের বন্দি করে বাবিলে নিয়ে গিয়েছিল।

ঈশ্বর যে-সাইনপোস্টগুলো স্থাপন করেছেন, সেগুলোকে উপেক্ষা করা কখনোই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। শাস্ত্র আমাদের জোরালোভাবে বলে: “তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না; তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।”—হিতোপদেশ ৩:৫, ৬.

ঈশ্বরের সতর্কবাণীগুলোর কয়েকটা “প্রবেশ করিও না” বা প্রবেশ নিষেধ সাইনপোস্টের মতো। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেল বলে: “দুর্জ্জনদের মার্গে প্রবেশ করিও না, দুর্বৃত্তদের পথে চলিও না।” (হিতোপদেশ ৪:১৪) এইরকম ক্ষতিকর পথগুলোর মধ্যে একটার বিষয়ে হিতোপদেশ ৫:৩, ৪ পদে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে: “পরকীয়া স্ত্রীর ওষ্ঠ হইতে মধু ক্ষরে, তাহার তালু তৈল অপেক্ষাও স্নিগ্ধ। কিন্তু তাহার শেষ ফল নাগদানার ন্যায় তিক্ত, দ্বিধার খড়্গের ন্যায় তীক্ষ্ণ।” কারো কারো কাছে অনৈতিক সম্পর্ক—তা সেটা একজন পতিতার সঙ্গে বা অন্য কারো সঙ্গে, যার সঙ্গেই হোক না কেন—উত্তেজনাপূর্ণ মনে হতে পারে। কিন্তু, “প্রবেশ করিও না” সাইনপোস্টগুলো, যেগুলো নৈতিক আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, সেগুলোকে উপেক্ষা করা কেবলমাত্র ধ্বংসের দিকেই পরিচালিত করতে পারে।

এই ধরনের এক পথে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘এটা আমাকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে?’ সম্ভাব্য “শেষদশা” নিয়ে চিন্তা করার জন্য একটু থামা হয়তো আপনাকে এমন কোনো পথে যাওয়া থেকে বিরত করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে, যে-পথে যাওয়া গুরুতর পরিণতিগুলো নিয়ে আসতে পারে। যারা এই ধরনের সাইনপোস্টগুলোকে উপেক্ষা করেছে, তাদের পথে এইডস এবং অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ, অবাঞ্ছিত গর্ভ, গর্ভপাত, সম্পর্কে ভাঙন এবং দোষী বিবেক আবর্জনার মতো পড়ে থাকতে পারে। যারা অনৈতিক বিষয়গুলোর অভ্যাস করছে, তাদের পথের শেষদশা সম্বন্ধে প্রেরিত পৌল স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। তারা “ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।”—১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০.

“এই পথ”

মাঝে মাঝে এটা বোঝা কঠিন যে, কোনো পথ আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই, ঈশ্বরের প্রেমময় চিন্তা ও স্পষ্ট নির্দেশনার জন্য আমরা কতই না কৃতজ্ঞ! “এই পথ,” যিহোবা বলেছেন, “তোমরা এই পথেই চল।” (যিশাইয় ৩০:২১) যিহোবা আমাদের যে-পথ দেখাচ্ছেন, সেটার একেবারে শেষে কী রয়েছে? যদিও সেই পথ সংকীর্ণ ও কঠিন কিন্তু যিশু বলেছিলেন যে, এটা অনন্তজীবনের দিকে পরিচালিত করে।—মথি ৭:১৪.

আপনি যে-পথ ধরে যাত্রা করছেন, সেই পথের বিষয়ে চিন্তা করার জন্য এক মুহূর্ত চিন্তা করুন। এটা কি সঠিক পথ? এটা কোন দিকে যাচ্ছে? প্রার্থনায় যিহোবার নির্দেশনা খুঁজুন। ‘পথের মানচিত্র’ বাইবেল থেকে পরীক্ষা করুন। আপনি হয়তো এমনকি কোনো অভিজ্ঞ ভ্রমণকারীর কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করতে পারেন, যিনি ঈশ্বরের পথে চলার জন্য প্রচেষ্টা করছেন। এর ফলে, যদি আপনি নির্দেশনা পরিবর্তন করার প্রয়োজন বুঝতে পারেন, তাহলে দ্রুত তা করুন।

একজন ভ্রমণকারী প্রায়ই উৎসাহিত বোধ করেন, যদি তিনি এমন একটা সাইনপোস্ট দেখতে পান যেটা তাকে আশ্বাস দেয় যে, তিনি সঠিক পথেই আছেন। যদি জীবনের পথ পরীক্ষা করে দেখা প্রকাশ করে যে, আপনি ধার্মিকতার পথে চলছেন, তাহলে সেই পথে ক্রমাগত চলার জন্য উৎসাহ লাভ করুন। যাত্রার সবচেয়ে উপভোগ্য অংশ একেবারে কাছেই।—২ পিতর ৩:১৩.

প্রত্যেকটা পথই কোথাও না কোথাও নিয়ে যায়। আপনি যে-পথ বাছাই করেছেন, আপনি যখন সেটার শেষে গিয়ে পৌঁছান, তখন আপনি কোথায় থাকবেন? খুব সামান্যই অর্জন হবে যদি কিনা সেখানে পৌঁছে আপনি এমনটা প্রকাশ করেন, ‘ইস, যদি আমি অন্য কোনো পথ বেছে নিতাম!’ তাই, জীবনের পথে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আগে, নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘এটার “শেষদশা” কী হবে?’ (w০৮ ৯/১)

[৩০ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]

“শেষদশা” কী হবে?

অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা প্রায়ই জনপ্রিয় বলে মনে হয় এমন বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখার প্রলোভন ও চাপের মুখোমুখি হয়ে থাকে। এখানে কয়েকটা সম্ভাব্য পরিস্থিতির বিষয় জানানো হচ্ছে।

কেউ তোমাকে এই বলে সিগারেট খাওয়ার প্রলোভন দেখাতে পারে যে, তুমি ভীতু।

একজন সদুদ্দেশ্যসম্পন্ন শিক্ষক তোমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্য জোরালোভাবে পরামর্শ দিতে পারেন।

তোমাকে এমন একটা পার্টিতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে, যেখানে মদ ও সম্ভবত মাদকদ্রব্যের ব্যবস্থা থাকবে।

“তুমি কেন ইন্টারনেটে তোমার প্রোফাইল দিচ্ছ না?” কেউ পরামর্শ দিতে পারে।

একজন বন্ধু তোমাকে এমন একটা সিনেমা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারে, যেখানে মারামারি ও অনৈতিক দৃশ্য রয়েছে।

তুমি যদি কখনো এইরকম কোনো একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হও, তাহলে তুমি কী করবে? তুমি কি প্রলোভনের কাছে নতিস্বীকার করবে অথবা তুমি “শেষদশা” কী হতে পারে, তা সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করবে? নিজেকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা তোমার জন্য বিজ্ঞতার কাজ হবে: “কেহ যদি বক্ষঃস্থলে অগ্নি রাখে, তবে তাহার বস্ত্র কি পুড়িয়া যাইবে না? কেহ যদি জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর দিয়া চলে, তবে তাহার পদতল কি পুড়িয়া যাইবে না?”—হিতোপদেশ ৬:২৭, ২৮.