সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কি মৃতদের ভয় পান?

আপনি কি মৃতদের ভয় পান?

আপনি কি মৃতদের ভয় পান?

 অনেকেই হয়তো এই প্রশ্নটার এক সহজ উত্তর দেবে, “না। কেন ভয় পাব?” তারা বিশ্বাস করে যে, যারা মারা গিয়েছে তাদের আসলে কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু, লক্ষ লক্ষ লোক এই বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, মৃতেরা আত্মা হিসেবে বেঁচে থাকে।

পশ্চিম আফ্রিকার বেনিনে, অনেকে বিশ্বাস করে যে, মৃতেরা তাদের নিজেদের পরিবারের সদস্যদেরকেই হত্যা করার জন্য ফিরে আসতে পারে। লোকেরা মৃত আত্মীয়দের আত্মাকে সন্তুষ্ট করতে, আচার-অনুষ্ঠান করার অথবা পশুবলি দেওয়ার খরচ মেটানোর জন্য তাদের বিষয়সম্পত্তি বিক্রি করে দেয় অথবা ধারদেনাও করে থাকে। কেউ কেউ প্রেতচর্চা করে, যেটার অন্তর্ভুক্ত এই ধারণা যে, মৃত্যুর পরও মানুষের দেহের একটা অংশ অর্থাৎ আত্মা বেঁচে থাকে আর জীবিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। অন্যদের বিভিন্ন ভীতিকর অভিজ্ঞতা রয়েছে আর তারা মনে করে যে, সেগুলো মৃতদের আত্মার প্রভাবে ঘটেছে।

আগ্বুলা নামে একজন ব্যক্তির এমনই একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল, যিনি বেনিন ও নাইজেরিয়া সীমান্তের কাছে থাকেন। তিনি বলেন: “প্রেতচর্চা আমাদের এলাকার দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ। মৃতদেহগুলোকে আত্মিক রাজ্যের জন্য প্রস্তুত করতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্নান করানো হল একটা সাধারণ রীতি। মৃতদেহকে স্নান করানোর পর, আমি প্রায়ই অবশিষ্ট সাবানগুলো সংগ্রহ করতাম আর সেগুলোকে বিশেষ কিছু পাতার সঙ্গে মেশাতাম। তারপর আমার শিকারের বন্দুকের ওপর সেই মিশ্রণটা লাগানোর সময় আমি যে-পশু শিকার করতে চাই, চিৎকার করে সেটার নাম বলতাম। এইরকম রীতিগুলো খুবই প্রচলিত ও বেশ কার্যকারী বলে মনে করা হতো। কিন্তু, প্রেতচর্চার কিছু দিক ভয়াবহও ছিল।

“আমার দুই ছেলে যখন রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছিল, তখন আমি সন্দেহ করেছিলাম যে, কেউ আমার বিরুদ্ধে প্রেতচর্চা করছে। সেটা খুঁজে বের করার জন্য আমি একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির কাছে গিয়েছিলাম, যিনি তার প্রেততাত্ত্বিক ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তিনি আমার সন্দেহকে নিশ্চিত করেছিলেন। সবচেয়ে দুঃখজনক হল, তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, আমার ছেলেরা এখন আত্মিক রাজ্যে তাদের হত্যাকারীর মৃত্যুর পর তার দাস হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সেই বৃদ্ধ আরও বলেছিলেন যে, আমার তৃতীয় ছেলের ভাগ্যেও একই শাস্তি লেখা রয়েছে। কয়েক দিন পরে সেই ছেলেটিও মারা গিয়েছিল।”

এরপর আগ্বুলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ নাইজেরিয়াতে বসবাসকারী জন নামে একজন যিহোবার সাক্ষির দেখা হয়েছিল। মৃতদের অবস্থা সম্বন্ধে জন যে-ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, তা ছিল বাইবেলভিত্তিক। সেই ব্যাখ্যা আগ্বুলার জীবন বদলে দিয়েছিল। তা আপনার জীবনও বদলে দিতে পারে।

মৃতেরা কি জীবিত?

কে এই প্রশ্নটার সবচেয়ে ভালো উত্তর দিতে পারেন? কোনো মানুষ দিতে পারে না, তা তিনি যত বিখ্যাতই হোন না কেন। পরিবর্তে, “স্বর্গে ও পৃথিবীতে, দৃশ্য কি অদৃশ্য” সমস্ত জীবনের সৃষ্টিকর্তা যিহোবার কাছে এর উত্তর রয়েছে। (কলসীয় ১:১৬) তিনি আত্মিক রাজ্যে থাকার জন্য দূতদের এবং পৃথিবীতে থাকার জন্য মানুষ ও পশুপাখিদের সৃষ্টি করেছিলেন। (গীতসংহিতা ১০৪:৪, ২৩, ২৪) সব জায়গাতেই জীবন তাঁর ওপর নির্ভরশীল। (প্রকাশিত বাক্য ৪:১১) তাই, ঈশ্বরের নিজ বাক্য বাইবেল মৃত্যু সম্বন্ধে কী বলে, তা বিবেচনা করুন।

যিহোবাই প্রথম মৃত্যু সম্বন্ধে বলেছিলেন। তিনি আদম ও হবাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যদি তারা তাঁর অবাধ্য হয়, তাহলে মারা যাবে। (আদিপুস্তক ২:১৭) এর মানে কী ছিল? যিহোবা বর্ণনা করেছিলেন: “তুমি ধূলি, এবং ধূলিতে প্রতিগমন করিবে।” (আদিপুস্তক ৩:১৯) মৃত্যুতে দেহ ক্ষয় পায়; এটা আবার ধূলিতে ফিরে যায়। জীবন লোপ পায়।

আদম ও হবা স্বেচ্ছায় অবাধ্য হয়েছিল আর তাই তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সবচেয়ে প্রথমে তারা মারা যায়নি। তাদের ছেলে হেবল প্রথমে মারা গিয়েছিল। তার দাদা কয়িন তাকে হত্যা করেছিল। (আদিপুস্তক ৪:৮) কয়িন এইরকম ভেবে ভয় পায়নি যে, তার মৃত ভাই তার প্রতিশোধ নিতে পারে। পরিবর্তে, জীবিত লোকেরা তার প্রতি যা করতে পারে, তা ভেবে কয়িন ভয় পেয়েছিল।—আদিপুস্তক ৪:১০-১৬.

বহু শতাব্দী পরে, পণ্ডিত বা জ্যোতিষীরা যখন রাজা হেরোদকে জানিয়েছিল যে, তার রাজ্যে ‘যিহূদীদের রাজা’ জন্মগ্রহণ করেছেন, তখন তিনি উদ্‌বিগ্ন হয়েছিলেন। এই সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিনষ্ট করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে, হেরোদ যিরূশালেমের সমস্ত দুই বছর বা তার চেয়ে কমবয়সি ছেলে শিশুদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু, একজন দূত যিশু ও মরিয়মকে নিয়ে ‘মিসরে পলায়ন করিবার’ জন্য যোষেফকে সাবধান করেছিলেন।—মথি ২:১-১৬.

হেরোদের মৃত্যুর পর, সেই দূত যোষেফকে ইস্রায়েলে ফিরে যেতে বলেছিলেন, “কারণ যাহারা শিশুটীর প্রাণনাশের চেষ্টা করিয়াছিল, তাহারা মরিয়া [গিয়াছিল]।” (মথি ২:১৯, ২০) সেই দূত, যিনি নিজে একজন আত্মিক ব্যক্তি, তিনি জানতেন যে, হেরোদ আর যিশুর কোনো ক্ষতি করতে পারবেন না। মৃত রাজা হেরোদের ব্যাপারে যোষেফের কোনো ভয়ই ছিল না। কিন্তু, যোষেফ হেরোদের নিষ্ঠুর পুত্র আর্খিলায় যা করতে পারেন, সেটার কথা চিন্তা করে ভয় পেয়েছিলেন। তাই যোষেফ আর্খিলায়ের রাজ্যের বাইরে, গালীলে তার পরিবারের সঙ্গে স্থায়ীভাবে বাস করতে শুরু করেছিলেন।—মথি ২:২২.

এই বিবরণগুলো আমাদেরকে এটা দেখতে সাহায্য করে যে, মৃতেরা শক্তিহীন। তাহলে, আগ্বুলা এবং অন্যান্যদের অভিজ্ঞতাগুলোকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে?

“ভূতেরা” বা অশুচি আত্মারা

প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যিশু দুষ্ট আত্মিক প্রাণীদের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তারা যিশুকে শনাক্ত করে তাঁকে “ঈশ্বরের পুত্ত্র” বলে সম্বোধন করেছিল। আর একইভাবে যিশুও জানতেন যে, তারা কারা। তারা মৃত মানুষদের আত্মা ছিল না। পরিবর্তে, যিশু তাদেরকে মন্দদূত বা ‘ভূত’ অথবা অশুচি আত্মা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।—মথি ৮:২৯-৩১; ১০:৮; মার্ক ৫:৮.

বাইবেল সেই আত্মাদের সম্বন্ধে বলে যারা ঈশ্বরের প্রতি অনুগত এবং যারা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। আদিপুস্তক বলে যে, যিহোবা যখন অবাধ্য আদম ও হবাকে এদন উদ্যান থেকে বহিষ্কার করেছিলেন, তখন তিনি সেখানে কারোর প্রবেশ করাকে প্রতিহত করার জন্য উদ্যানের পূর্বদিকে করূবদের বা দূতদের নিযুক্ত করেছিলেন। (আদিপুস্তক ৩:২৪) স্পষ্টতই, এই প্রথমবার দূতেরা মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়েছিল।

এর কিছুসময় পর, বেশ কিছু সংখ্যক দূত পৃথিবীতে নেমে এসেছিল আর মানুষের রূপ ধারণ করেছিল। পৃথিবীতে তাঁর ইচ্ছা সম্পাদন করার জন্য যিহোবা তাদেরকে কোনো কার্যভারই দেননি। বরং তারা আত্মিক রাজ্যে থাকা তাদের “নিজ বাসস্থান ত্যাগ করিয়াছিল।” (যিহূদা ৬) তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বার্থপর। তারা স্ত্রী গ্রহণ করেছিল, যারা সংকর-জাতীয় বংশধরদের জন্ম দিয়েছিল, যাদেরকে “নেফিলিম” বলা হয়। নেফিলিমরা এবং তাদের বিদ্রোহী পিতারা পৃথিবীকে দৌরাত্ম্য এবং অন্যান্য চরম মন্দতায় পরিপূর্ণ করেছিল। (আদিপুস্তক ৬:১-৫, NW) নোহের দিনে পৃথিবীব্যাপী জলপ্লাবন নিয়ে আসার দ্বারা যিহোবা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেন। প্লাবনের জল, দুষ্ট নারী-পুরুষদের ও সেইসঙ্গে তাদের সংকর-জাতীয় বংশধরদেরকেও ধ্বংস করেছিল। দূতদের কী হয়েছিল?

জলপ্লাবন তাদেরকে আত্মিক রাজ্যে ফিরে যেতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু যিহোবা, তাদেরকে ‘আপন আধিপত্যে’ ফিরে যেতে দেননি। (যিহূদা ৬) বাইবেল বলে: “ঈশ্বর পাপে পতিত দূতগণকে ক্ষমা করেন নাই, কিন্তু নরকে [“টারটারাসে,” NW] ফেলিয়া বিচারার্থে রক্ষিত হইবার জন্য অন্ধকারের কারাকূপে সমর্পণ করিলেন।”—২ পিতর ২:৪.

টারটারাস নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নয়; এটা হচ্ছে কারাগারতুল্য, হীন অবস্থা, যা এইরকম বহিষ্কৃতদের কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে। মন্দদূতেরা আর মানুষের রূপ ধারণ করতে পারে না, কিন্তু লোকেদের মন ও জীবনের ওপর তাদের এখনও প্রচণ্ড ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে। তারা মানুষ এবং প্রাণীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। (মথি ১২:৪৩-৪৫; লূক ৮:২৭-৩৩) তারা মৃত ব্যক্তিদের আত্মার ভান করে লোকেদেরকে প্রতারিতও করে থাকে। কেন? যিহোবা যেভাবে চান সেভাবে তাঁকে উপাসনা করা থেকে লোকেদের বিরত রাখার এবং মৃতদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তাদের বিভ্রান্ত করার জন্য।

যেভাবে ভয়কে কাটিয়ে ওঠা যায়

আগ্বুলা মৃত্যু ও আত্মাদের পরিচয় সম্বন্ধীয় বাইবেলের ব্যাখ্যাগুলোর যৌক্তিকতা দেখেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন যে, তাকে আরও কিছু জানতে হবে। তিনি জনের সঙ্গে বাইবেল ও বাইবেলভিত্তিক প্রকাশনা পড়তে শুরু করেছিলেন। তার ছেলেরা যে কবরে ঘুমিয়ে আছে, কোনো আত্মিক রাজ্যে তাদের হত্যাকারীর দাস হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করছে না, তা জেনে আগ্বুলা সান্ত্বনা পেয়েছিলেন।—যোহন ১১:১১-১৩.

আগ্বুলা এটাও বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাকে পুরোপুরিভাবে সম্পূর্ণরূপে প্রেতচর্চার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। তিনি জাদুক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্ত জিনিসপত্র পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। (প্রেরিত ১৯:১৯) তার সমাজের কিছু লোক তাকে সাবধান করে দিয়েছিল যে, আত্মারা তার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। কিন্তু আগ্বুলা ভয় পাননি। তিনি ইফিষীয় ৬:১১, ১২ পদে পাওয়া পরামর্শ অনুসরণ করেছিলন: “ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর . . . কেননা . . . দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।” আধ্যাত্মিক এই যুদ্ধসজ্জার অন্তর্ভুক্ত হল সত্য, ধার্ম্মিকতা, শান্তির সুসমাচার, বিশ্বাস এবং আত্মার খড়্গ অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য। এই ধরনের যুদ্ধসজ্জার উৎস হলেন ঈশ্বর এবং সেই যুদ্ধসজ্জা অত্যন্ত শক্তিশালী!

আগ্বুলা যখন প্রেতচর্চার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রথাগুলো পালন করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তখন তার কিছু বন্ধু ও আত্মীয় তার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল। কিন্তু, যিহোবার সাক্ষিদের স্থানীয় কিংডম হলে তিনি নতুন বন্ধুদের পেয়েছিলেন, যারা বাইবেল যা শিক্ষা দেয় তা বিশ্বাস করত।

আগ্বুলা এখন জানেন যে, যিহোবা শীঘ্র পৃথিবী থেকে দুষ্টতাকে দূর করবেন ও মন্দ দূতদেরকে পুরোপুরিভাবে নিষ্ক্রিয় করবেন। শেষে, তিনি তাদেরকে ধ্বংস করবেন। (প্রকাশিত বাক্য ২০:১, ২, ১০) ঈশ্বর পৃথিবীতে ‘কবরস্থ সকলকে’ পুনরুত্থিত করবেন। (যোহন ৫:২৮, ২৯) যার অন্তর্ভুক্ত হেবল, রাজা হেরোদের দ্বারা হত নির্দোষ শিশুরা এবং অন্য লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি। আগ্বুলা বিশ্বাস করেন যে, তার তিন ছেলেও এর অন্তর্ভুক্ত হবে। আপনার মৃত প্রিয়জনরাও হয়তো তাদের মধ্যে থাকবে। পুনরুত্থিত এই সমস্ত ব্যক্তি এই বিষয়টা নিশ্চিত করবে যে, তাদের মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত তারা সম্পূর্ণরূপে অচেতন অবস্থায় ছিল—তাদের জন্য করা কোনো অনুষ্ঠান সম্বন্ধে তারা কিছুই জানে না।

মৃতদেরকে আপনার ভয় পাওয়ার কোনো কারণই নেই। পরিবর্তে, আপনি আপনার মৃত প্রিয়জনদের সঙ্গে পুনর্মিলিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। এই সময়ের মধ্যে, আপনার বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার জন্য আপনি বাইবেল অধ্যয়ন করছেন না কেন? তাদের সঙ্গে মেলামেশা করুন, যারা বাইবেল যা শিক্ষা দেয় তা বিশ্বাস করে। আপনি যদি প্রেতচর্চার সঙ্গে এমনকী সামান্যও জড়িত থাকেন, তবে এখনই তা বন্ধ করুন। “ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান” করার দ্বারা মন্দ দূতদের থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। (ইফিষীয় ৬:১১) যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত হবে। তারা বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইটি ব্যবহার করে বিনামূল্যে গৃহ বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব দেয়। *

আগ্বুলা এখন মৃতদের ভয় পান না আর মন্দ দূতদের কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, তা তিনি শিখেছেন। তিনি বলেন: “আমি জানি না, কে আমার তিন ছেলের মৃত্যু ঘটিয়েছে। কিন্তু, যখন থেকে আমি যিহোবাকে সেবা করে চলেছি, আমার আরও সাত ছেলে-মেয়ে রয়েছে। আত্মিক রাজ্যের কেউ কখনো তাদের ক্ষতি করেনি। (w০৯ ১/১)

[পাদটীকা]

^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।