সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কি জানতেন?

আপনি কি জানতেন?

আপনি কি জানতেন?

 বাইবেলে বর্ণিত কুষ্ঠরোগ ও বর্তমানে সেই নামে পরিচিত রোগটা কি একই?

বর্তমানে “কুষ্ঠরোগ” হিসেবে ব্যবহৃত চিকিৎসা সংক্রান্ত শব্দটি মানুষের ব্যাকটিরিয়াজনিত সংক্রমণকে নির্দেশ করে। ১৮৭৩ সালে ডা. জি.এ. হ্যানসেন প্রথম এই ব্যাকটিরিয়াকে (মাইকোব্যাকটিরিয়াম লেপ্রি) শনাক্ত করেছিলেন। গবেষকরা আবিষ্কার করেছে যে, এই ব্যাকটিরিয়া দেহের বাইরে নাক থেকে ক্ষরিত পদার্থের মধ্যে নয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তারা এও জানতে পেরেছে যে, যারা কুষ্ঠরোগীদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকে, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে আর রোগীর ব্যবহৃত কাপড়চোপড় হল সংক্রমণের এক সম্ভাব্য উৎস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, ২০০৭ সালে ২,২০,০০০-রেরও বেশি কুষ্ঠরোগের নতুন ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়েছিল।

কোনো সন্দেহ নেই যে, বাইবেলের সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে লোকেরা কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হতো এবং মোশির ব্যবস্থা অনুসারে একজন কুষ্ঠরোগীকে রুদ্ধ বা পৃথক করে রাখতে হতো। (লেবীয় পুস্তক ১৩:৪, ৫) কিন্তু, “কুষ্ঠরোগ” হিসেবে অনুবাদিত ইব্রীয় শব্দ সারাথ্‌ শুধুমাত্র মানুষের দেহে সংক্রমণকে নির্দেশ করে না। সারাথ্‌ কাপড়চোপড় এবং ঘরবাড়িকেও সংক্রামিত করত। লোমের কিংবা মসীনার বস্ত্রে অথবা চামড়ার তৈরি যেকোনো কিছুতে এই ধরনের কুষ্ঠ হতে পারত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, এটা ধুয়ে ফেলার মাধ্যমে দূর করা যেত কিন্তু যদি “ঈষৎ শ্যামবর্ণ কিম্বা ঈষৎ লোহিতবর্ণ কলঙ্ক” লেগে থাকত, তাহলে সেই বস্ত্র বা চামড়াকে পুড়িয়ে ফেলতে হতো। (লেবীয় পুস্তক ১৩:৪৭-৫২) ঘরবাড়ির ক্ষেত্রে, বাড়ির ভিত্তি থেকে “নিম্ন ও ঈষৎ হরিৎ কিম্বা লোহিতবর্ণ” কলঙ্ক দেখা যেত। সংক্রামিত প্রস্তর ও চুনবালির প্রলেপ মানুষের বসবাসের স্থান থেকে দূরে সরিয়ে ফেলতে বা ধ্বংস করে দিতে হতো। যদি পুনরায় কুষ্ঠ হতো, তাহলে সেই ঘরকে ভেঙে ফেলতে এবং এর উপাদানগুলো নষ্ট করে ফেলতে হতো। (লেবীয় পুস্তক ১৪:৩৩-৪৫) কেউ কেউ মনে করে যে, কাপড়চোপড় বা ঘরবাড়ির কুষ্ঠরোগ হয়তো সেই বিষয়ের বর্ণনা করেছে, যেটাকে বর্তমানে ছত্রাক বলা হয়। কিন্তু, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। (w০৯ ২/১)