সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বরকে ভয় করার এবং মানুষকে ভয় না করার পাঁচটা কারণ

ঈশ্বরকে ভয় করার এবং মানুষকে ভয় না করার পাঁচটা কারণ

ঈশ্বরকে ভয় করার এবং মানুষকে ভয় না করার পাঁচটা কারণ

 যুবকটি ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছিল। এইমাত্র যা ঘটল, তা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। দুজন যিহোবার সাক্ষির সঙ্গে তার আলোচনা, তার চোখ খুলে দিয়েছে। ঈশ্বর কেন দুঃখকষ্ট থাকতে দিয়েছেন এই প্রশ্নটা তাকে বছরের পর বছর ধরে বিব্রত করেছে, কিন্তু এখন বাইবেল থেকে স্পষ্টভাবে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। বাইবেলে যে এত মূল্যবান এবং হৃদয়গ্রাহী তথ্য রয়েছে, সেই সম্বন্ধে তার কোনো ধারণাই ছিল না।

যারা সাক্ষাৎ করতে এসেছিল, তারা চলে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরেই তার বাড়িওয়ালি ঝড়ের বেগে ঘরে ঢোকেন ও রাগান্বিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, “ওই লোকেরা কারা ছিল?”

খুবই অবাক হয়ে, যুবকটি কোনো উত্তরই দিতে পারেনি।

“আমি জানি ওরা কারা,” তিনি চিৎকার করে বলেন, “আর তুমি যদি আবারও ওদেরকে ঘরে আসতে দাও, তাহলে তুমি এখান থেকে চলে যেতে পারো এবং অন্য কোনো জায়গায় ঘর দেখতে পারো!”

তিনি সজোরে দরজা বন্ধ করে চলে যান।

খ্রিস্টের সত্য অনুসারীরা বিরোধিতা আশা করে

এই যুবকটি যে-অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল, তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল ব্যাখ্যা করে: “যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।” (২ তীমথিয় ৩:১২) সত্য খ্রিস্টানরা সাধারণত জনপ্রিয় নয় আর কখনো ছিলও না। কেন? প্রেরিত যোহন তার সহখ্রিস্টানদের বলেছিলেন: “আমরা জানি যে, আমরা ঈশ্বর হইতে; আর সমস্ত জগৎ সেই পাপাত্মার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে।” এ ছাড়া, শয়তান দিয়াবলকে একজন ‘গর্জ্জনকারী সিংহ’ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে যে “কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।” (১ যোহন ৫:১৯; ১ পিতর ৫:৮) লোকভয় হল শয়তানের সবচেয়ে কার্যকারী অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটা।

এমনকী যিশু খ্রিস্টকেও উপহাস ও তাড়না করা হয়েছিল, যিনি অনেক ভালো কাজ করেছিলেন এবং কোনো পাপ করেননি। তিনি বলেছিলেন: “তাহারা অকারণে আমাকে দ্বেষ করিয়াছে।” (যোহন ১৫:২৫) তাঁর মৃত্যুর আগের রাতে এই কথাগুলো বলে তিনি তাঁর অনুসারীদের প্রস্তুত করেছিলেন: “জগৎ যদি তোমাদিগকে দ্বেষ করে, তোমরা ত জান, সে তোমাদের অগ্রে আমাকে দ্বেষ করিয়াছে। আমি তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছি, আমার সেই বাক্য স্মরণে রাখিও, ‘দাস আপন প্রভু হইতে বড় নয়;’ লোকে যখন আমাকে তাড়না করিয়াছে, তখন তোমাদিগকেও তাড়না করিবে।”—যোহন ১৫:১৮, ২০.

এই কারণে, অনেকে সত্য উপাসনার পক্ষসমর্থন করতে ইতস্তত বোধ করেছিল। একটা ঘটনায় যিশুকে খুঁজছিল এমন লোকেদের সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “কিন্তু যিহূদিগণের ভয়ে কেহ তাঁহার বিষয়ে প্রকাশ্যরূপে কিছু বলিল না।” (যোহন ৭:১৩; ১২:৪২) সেই সময়ের ধর্মীয় নেতারা, খ্রিস্টের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এমন যেকোনো ব্যক্তিকে সমাজগৃহ থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দিয়েছিল। তাই, লোকভয় অনেককে খ্রিস্টান হতে বাধা দিয়েছিল।—প্রেরিত ৫:১৩.

পরে, খ্রিস্টীয় মণ্ডলী স্থাপিত হওয়ার পর, আমরা যিরূশালেমে মণ্ডলীর প্রতি ‘বড়ই তাড়নার’ বিষয়ে পড়ি। (প্রেরিত ৮:১) বস্তুতপক্ষে, সমগ্র রোমীয় সাম্রাজ্যজুড়ে খ্রিস্টানরা দুর্দশার মুখোমুখি হয়েছিল। রোমের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রেরিত পৌলকে বলেছিল: “এই দলের বিষয়ে আমরা জানি যে, সর্ব্বত্র লোকে ইহার বিরুদ্ধে কথা বলিয়া থাকে।” (প্রেরিত ২৮:২২) হ্যাঁ, প্রকৃত খ্রিস্টানদের ব্যাপকভাবে বিরোধিতা করা হয়েছিল।

এমনকী বর্তমানেও, অনেককে খ্রিস্টের প্রকৃত অনুসারী হতে বাধা দেওয়ার জন্য শয়তান লোকভয়কে এক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। যে-সমস্ত আন্তরিক লোকেরা যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করছে, তারা স্কুলে, কর্মস্থলে, নিজের এলাকায় কিংবা বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে বিরোধিতা অথবা উপহাসের মুখোমুখি হয়ে থাকে। তারা হয়তো সম্মান, বন্ধুবান্ধব বা বস্তুগত সাহায্য হারানোর ভয় পায়। কোনো কোনো গ্রামাঞ্চলে কৃষকরা এই ভয় পেয়ে থাকে যে, প্রতিবেশীরা হয়তো ফসল কাটার কিংবা তাদের পশুপালকে সুরক্ষা করার কাজে তাদেরকে সাহায্য করতে প্রত্যাখ্যান করবে। কিন্তু, এই ধরনের ভয় থাকা সত্ত্বেও, লক্ষ লক্ষ লোক যিশু খ্রিস্টকে অনুকরণ করে ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করার এবং ঈশ্বরের বাক্যের সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হয়েছে। তা করার জন্য যিহোবা তাদেরকে আশীর্বাদ করেছেন।

যে-কারণে মানুষকে নয় কিন্তু ঈশ্বরকে ভয় করবেন

বাইবেল আমাদের মানুষকে নয় কিন্তু ঈশ্বরকে ভয় করতে জোরালো পরামর্শ দেয়। এটি বলে: “সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ।” (গীতসংহিতা ১১১:১০) এটা কোনো ক্ষতিকর ভয় নয়, কিন্তু আমাদের জীবনদাতাকে অসন্তুষ্ট না করার জন্য এক গঠনমূলক ভয়। এটি এমন একটি অভিব্যক্তি, যেটি প্রেমের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তা সত্ত্বেও, কেন আমাদের মানুষকে নয় কিন্তু ঈশ্বরকে ভয় করা উচিত? আসুন আমরা পাঁচটা কারণ বিবেচনা করি।

যিহোবা হলেন সর্বশক্তিমান। যিহোবা যেকোনো মানুষের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। ঈশ্বরকে ভয় করার দ্বারা আমরা সর্বশক্তিমানের পক্ষসমর্থন করে থাকি, যাঁর কাছে “জাতিগণ কলসের একটী জলবিন্দুর তুল্য।” (যিশাইয় ৪০:১৫) যেহেতু ঈশ্বর হলেন সর্বশক্তিমান, তাই যারা তাঁর প্রতি অনুগত তাদের “বিপরীতে গঠিত” ‘যে কোন অস্ত্রকে’ ব্যর্থ করার শক্তি তাঁর রয়েছে। (যিশাইয় ৫৪:১৭) আর কে অনন্তজীবন পাওয়ার যোগ্য সেটা যেহেতু তিনিই নির্ধারণ করবেন, তাই তাঁর সম্বন্ধে শিখতে এবং তাঁর ইচ্ছা পালন করতে কোনো কিছুকেই বাধা না হতে দিয়ে আমরা বিজ্ঞ হই।—প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬, ৭.

ঈশ্বর আমাদেরকে সাহায্য ও সুরক্ষা করবেন। হিতোপদেশ ২৯:২৫ পদে বাইবেল বলে, “লোক-ভয় ফাঁদজনক; কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে উচ্চে স্থাপিত হইবে [“নিরাপদে থাকে,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন]।” লোকভয় হল একটা ফাঁদ, কারণ এর ফলে প্রকাশ্যে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ঘোষণা করা থেকে আমরা পিছিয়ে যেতে পারি। ঈশ্বর তাঁর রক্ষা করার ক্ষমতার বিষয়ে আমাদেরকে এই আশ্বাস দেন: “ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্ম্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।”—যিশাইয় ৪১:১০.

যারা তাঁর নিকটবর্তী হয়, ঈশ্বর তাদের ভালোবাসেন। প্রেরিত পৌল এই হৃদয়গ্রাহী কথাগুলো লিখেছিলেন: “আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল, কি ঊর্দ্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক্‌ করিতে পারিবে না।” (রোমীয় ৮:৩৭-৩৯) আমরা যদি ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করতে এবং তাঁর বাধ্য হতে শিখি, তাহলে আমরা নিখিলবিশ্বের সার্বভৌমের অটুট ভালোবাসা উপভোগ করতে পারব। কী এক বিশেষ সুযোগ!

ঈশ্বর আমাদের জন্য যা-কিছু করেছেন, সেই সমস্তকিছু আমরা উপলব্ধি করি। যিহোবা হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা, সেই ব্যক্তি যিনি জীবনকে সম্ভবপর করেছেন। অধিকন্তু, তিনি শুধু জীবনের জন্য অপরিহার্য বিষয়গুলোই জোগাননি, কিন্তু সেইসঙ্গে যে-বিষয়গুলো জীবনকে উপভোগ্য এবং আকর্ষণীয় করে তোলে, সেগুলোও জুগিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনিই হলেন সমস্ত উত্তম দানের উৎস। (যাকোব ১:১৭) একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি দায়ূদ, যিনি ঈশ্বরের প্রেমপূর্ণ-দয়াকে উপলব্ধি করেছিলেন, তিনি লিখেছিলেন: “সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর, তুমিই বাহুল্যরূপে সাধন করিয়াছ আমাদের পক্ষে তোমার আশ্চর্য্য কার্য্য সকল ও তোমার সঙ্কল্প সকল; . . . কিন্তু সে সকল গণনা করা যায় না।”—গীতসংহিতা ৪০:৫.

যারা আমাদের বিরোধিতা করে, তাদের কেউ কেউ হয়তো পরিবর্তিত হতে পারে। যারা আপনার বিরোধিতা করে, তাদের সঙ্গে আপোশ না করে বরং ঈশ্বরের প্রতি আপনার ভয় ও প্রেম দৃঢ়রূপে বজায় রাখার দ্বারা আপনি তাদেরকে সাহায্য করতে পারেন। যিশুর আত্মীয়স্বজনের কথা বিবেচনা করুন। প্রথমে, তারা তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেনি, বরং তারা বলেছিল: “সে হতজ্ঞান” বা পাগল “হইয়াছে।” (মার্ক ৩:২১; যোহন ৭:৫) পরে, যিশুর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের পর তাদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বাসী হয়েছিল। এমনকী যিশুর সৎভাই যাকোব এবং যিহূদা শাস্ত্রের কিছু অংশ লিখেছিল। আর অত্যন্ত গোঁড়া একজন তাড়নাকারী শৌলও প্রেরিত পৌল হয়েছিলেন। কেউ কেউ যারা এখন আমাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে, তারা হয়তো আমাদের সাহসী অবস্থানের দরুন বুঝতে পারবে যে, আমাদের কাছে বাইবেলের সত্য রয়েছে।—১ তীমথিয় ১:১৩.

উদাহরণস্বরূপ, আ্যবের্‌যাশ নামে আফ্রিকার একজন ভদ্রমহিলা সত্য খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করতেন। যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করার পর, তিনি তার পরিবারের সদস্য এবং ধর্মীয় নেতাদের কাছ থেকে প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তার আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কেউ কেউ যারা তার মতো অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিল, তারা লোকভয়ের কাছে নতিস্বীকার করেছিল। কিন্তু তিনি শক্তি ও সাহসের জন্য ঈশ্বরের কাছে মিনতি করেছিলেন এবং বাপ্তিস্ম নিয়ে একজন যিহোবার সাক্ষি হয়েছিলেন। এর ফল কী হয়েছিল? তার আত্মীয়স্বজনের মধ্যে আট জন সাহসী হয়েছিল, আবারও তাদের অধ্যয়ন শুরু করেছিল আর এখন তারা উত্তম আধ্যাত্মিক উন্নতি করে চলেছে।

আপনি লোকভয় কাটিয়ে উঠতে পারেন

লোকভয়ের শিকারে পরিণত হওয়া এড়াতে, ঈশ্বরের প্রতি আপনার প্রেমকে শক্তিশালী করার জন্য যথাসাধ্য করুন। বাইবেল অধ্যয়ন এবং ইব্রীয় ১৩:৬ পদের মতো শাস্ত্রপদগুলোর ওপর ধ্যান করার দ্বারা আপনি তা করতে পারেন, যেটি বলে: “প্রভু [“যিহোবা,” NW] আমার সহায়, আমি ভয় করিব না; মনুষ্য আমার কি করিবে?” যে-কারণে মানুষকে নয় বরং ঈশ্বরকে ভয় করা সঠিক ও বিজ্ঞতার কাজ, সেই কারণগুলো ভুলে যাবেন না।

এ ছাড়া, বাইবেল থেকে আপনি যা শেখেন, তা প্রয়োগ করার ফলে যে-আশীর্বাদগুলো লাভ করা যায়, সেই বিষয়টাও মনে রাখুন। আপনি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর সন্তোষজনক উত্তর খুঁজে পেতে পারেন। জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আপনি ব্যবহারিক প্রজ্ঞা লাভ করতে পারেন। আজকের জটিল পরিস্থিতিগুলো সত্ত্বেও, আপনি এক অপূর্ব আশা রাখতে পারেন। আর আপনি যেকোনো সময়ে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারেন।

প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন: “জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।” (১ যোহন ২:১৭) এখনই দৃঢ় থাকার এবং ঈশ্বরীয় ভয়ে চলার সময়। লোকভয়ের দ্বারা আপনার বিশ্বাসকে দুর্বল হতে দেওয়ার পরিবর্তে, আপনি ঈশ্বরের এই পরামর্শে সাড়া দেওয়া বেছে নিতে পারেন: “বৎস, জ্ঞানবান হও; আমার চিত্তকে আনন্দিত কর; তাহাতে যে আমাকে টিট্‌কারি দেয়, তাহাকে উত্তর দিতে পারিব।” (হিতোপদেশ ২৭:১১) তা কতই না মহান এক সুযোগ!

মনে রাখবেন, যারা তাঁকে ভয় করে তাদেরকে ঈশ্বর যা দেবেন, তা কোনো মানুষই আপনাকে দিতে পারবে না: “নম্রতার ও সদাপ্রভুর ভয়ের পুরস্কার, ধন, সম্মান ও জীবন।”—হিতোপদেশ ২২:৪. (w০৯ ৩/১)

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্র]

আ্যবের্‌যাশের সাহসের কারণে তার আট জন আত্মীয় ব্যক্তিগতভাবে বাইবেল অধ্যয়ন করা উপভোগ করে চলেছে