‘নিরূপিত কাল’ সন্নিকট
‘নিরূপিত কাল’ সন্নিকট
ভাববাদী হবক্কূকের মতো, যিশুর শিষ্যরাও দুঃখকষ্টের শেষ দেখার জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষী ছিল। পৃথিবীর বিষয়গুলো সংশোধন করার জন্য ঈশ্বরের রাজ্য কী করবে, তা জানার পর তারা যিশুকে জিজ্ঞেস করেছিল: “এই সকল ঘটনা কখন হইবে? আর [রাজ্যের ক্ষমতায়] আপনার আগমনের এবং যুগান্তের চিহ্ন কি?” (মথি ২৪:৩) উত্তরে যিশু বলেছিলেন যে, একমাত্র যিহোবা ঈশ্বরই একেবারে সঠিক সময়টা জানেন যে, কখন রাজ্য পৃথিবীর ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবে। (মথি ২৪:৩৬; মার্ক ১৩:৩২) কিন্তু, যিশু এবং অন্যেরা নির্দিষ্ট কিছু ঘটনা সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, যেগুলো দেখাবে যে, সেই সময় সন্নিকট।—ডান দিকের বাক্সটা দেখুন।
আপনি কি একমত হবেন না যে, এই বিষয়গুলো আজকে খুবই সাধারণ? এ ছাড়া যিশু এও বলেছিলেন যে, পৃথিবীব্যাপী এক শিক্ষামূলক কাজ সম্পাদিত হবে। তিনি বলেছিলেন: “সর্ব্ব জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।”—মথি ২৪:১৪.
আজকে ঠিক এটাই ঘটছে। যিহোবার সাক্ষিরা সেই কাজ করছে। দ্বীপ ও দেশ মিলিয়ে প্রায় ২৩৬টা জায়গায় সত্তর লক্ষেরও বেশি সাক্ষি রাজ্য কী করবে, তা লোকেদেরকে জানাচ্ছে আর তারা তাদেরকে ঈশ্বরের ধার্মিক চাহিদাগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চলতে সাহায্য করছে, যাঁর ইচ্ছা হল দুঃখকষ্ট ও যন্ত্রণার শেষ নিয়ে আসা। ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে শিখে চলুন আর তাহলে আপনার দুঃখকষ্টমুক্ত এক জগতে—চিরকাল—বাস করার প্রত্যাশা থাকবে। (w০৯-E ১২/০১)
[৮ পৃষ্ঠার বাক্স]
যে-শাস্ত্রপদগুলো শেষকালকে নির্দেশ করে
মথি ২৪:৬, ৭; প্রকাশিত বাক্য ৬:৪
• নজিরবিহীন যুদ্ধবিগ্রহ
• বড়ো বড়ো ভূমিকম্প
• দুর্ভিক্ষ
• মহামারী
• অধর্মের বৃদ্ধি
• প্রেম শীতল হয়ে যাওয়া
• পৃথিবীকে নাশ করা
• অত্যধিক অর্থপ্রিয়
• পিতামাতার অবাধ্য
• অতিরিক্ত আত্মপ্রিয়
• স্নেহের অভাব
• ক্ষমাহীন
• সমাজের সর্বস্তরে অজিতেন্দ্রিয়তা বা ইন্দ্রিয়দমনের অভাব
• ব্যাপক মাত্রায় সদ্বিদ্বেষী মনোভাব
• ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয়
• অনেকের কপটভাবে নিজেদেরকে খ্রিস্টান হিসেবে দাবি করা
• অনেক ভাক্ত ভাববাদী
• সত্য খ্রিস্টানদের ওপর তাড়না
• লোকেরা বাইবেলের সতর্কবাণীগুলো বুঝতে পারে না বা তাতে মনোযোগ দেয় না
[৮ পৃষ্ঠার চিত্র]
যিহোবার সাক্ষিরা পৃথিবীব্যাপী অন্যদেরকে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে শিক্ষা দেয়