সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিশাল লাল দ্বীপে বাইবেল পৌঁছায়

বিশাল লাল দ্বীপে বাইবেল পৌঁছায়

বিশাল লাল দ্বীপে বাইবেল পৌঁছায়

 আফ্রিকার দক্ষিণপূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাদাগাস্কার হল পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ। মালাগাসি লোকেরা দীর্ঘ সময় ধরে যিহোবা নামের সঙ্গে পরিচিত কারণ ১৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাপ্তিসাধ্য মালাগাসি ভাষায় অনুবাদিত বাইবেলগুলোতে ঈশ্বরের নাম রয়েছে। মালাগাসি ভাষায় অনুবাদিত বাইবেলের প্রকাশ যেভাবে হয়েছিল, সেটা ছিল অধ্যবসায় ও আনুগত্যের এক কাহিনী।

মালাগাসি ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করার প্রচেষ্টা সবচেয়ে প্রথমে মরিশাসের কাছাকাছি দ্বীপে শুরু হয়েছিল। ১৮১৩ সালের একেবারে প্রথমদিকে, মরিশাসের ব্রিটিশ রাজ্যপাল স্যার রবার্ট ফারকুয়ার সুসমাচারের বইগুলো মালাগাসি ভাষায় অনুবাদ করতে শুরু করেন। পরে তিনি মাদাগাস্কারের রাজা রাদামা ১ম-কে লন্ডন মিশনারি সোসাইটি (এলএমএস) থেকে শিক্ষকদের বিশাল লাল দ্বীপে—মাদাগাস্কারকে প্রায়ই যে-নামে ডাকা হয়, সেখানে—আমন্ত্রণ জানানোর জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।

১৮১৮ সালের ১৮ আগস্ট, ডেভিড জোন্স ও থমাস বেভেন নামে ওয়েলস্‌ প্রদেশের দুজন মিশনারি মরিশাস থেকে টোয়ামাসিনা বন্দর নগরীতে এসে পৌঁছায়। সেখানে তারা ধর্মপ্রাণ লোকেদের এক সমাজ খুঁজে পায়, যাদের মধ্যে পূর্বপুরুষদের উপাসনা করা এবং মৌখিক পরম্পরাগত রীতিনীতি দৈনন্দিন জীবনের প্রধান বিষয় ছিল। মালাগাসি লোকেরা বৈচিত্র্যময় ভাষায় কথা বলত, যে-ভাষার উৎস মূলত মালেয়ো-পলিনেশীয় ভাষা।

একটা ছোটো স্কুল খোলার কিছু সময় পর, জোন্স ও বেভেন তাদের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের মরিশাস থেকে টোয়ামাসিনায় নিয়ে এসেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, সেই দলের সকলেই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১৮১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে জোন্স তার স্ত্রী ও সন্তানকে হারিয়েছিলেন। দু-মাস পর সেই রোগ বেভেন পরিবারের জীবনও কেড়ে নিয়েছিল। সেই দলের মধ্যে থেকে একা ডেভিড জোন্সই বেঁচে গিয়েছিলেন।

জোন্স এই দুঃখজনক ঘটনার ফলে দমে যাননি। তিনি মাদাগাস্কারের লোকেদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রাপ্তিসাধ্য করার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। জোন্স তার সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে মরিশাসে যাওয়ার পর, মালাগাসি ভাষা শেখার কঠিন কাজ শুরু করেছিলেন। এর কিছু পরেই, তিনি যোহনের সুসমাচার অনুবাদ করার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছিলেন।

১৮২০ সালের অক্টোবর মাসে, জোন্স মাদাগাস্কারে ফিরে গিয়েছিলেন। তিনি রাজধানী আন্টানানারিভোতে পৌঁছেছিলেন এবং শীঘ্র এক নতুন মিশনারি স্কুল খুলেছিলেন। সেই স্কুলের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ ছিল। কোনো বইখাতা, ব্ল্যাকবোর্ড বা ডেস্ক ছিল না। কিন্তু পাঠ্যক্রম চমৎকার ছিল আর ছেলে-মেয়েরা শেখার ব্যাপারে উৎসুক ছিল।

প্রায় সাত মাস একা কাজ করার পর, জোন্স ডেভিড বেভেনের বদলে গ্রিফিথ্‌স্‌ নামে একজন নতুন মিশনারি সঙ্গী পেয়েছিলেন। এই দুজন মালাগাসি ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করার জন্য অক্লান্তভাবে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছিল।

অনুবাদের কাজ শুরু হয়

১৮২০-র দশকের প্রথম দিকে, মালাগাসির একমাত্র লিখিত লিপিটিকে বলা হতো সুরাবি—আরবি অক্ষরে লেখা মালাগাসি শব্দ। খুব কম লোকই এই লিপি পড়তে পারত। তাই, মিশনারিরা রাজা রাদামা ১ম-এর সঙ্গে পরামর্শ করার পর, রাজা সুরাবি লিপির বদলে রোমান অক্ষর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

১৮২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অনুবাদের কাজ শুরু হয়। জোন্স আদিপুস্তক ও মথি বইয়ের ওপর এবং গ্রিফিথ্‌স্‌ যাত্রাপুস্তক ও লূক বইয়ের ওপর কাজ করেছিল। দুজনেই অক্লান্তভাবে কাজ করেছিল। অধিকাংশ অনুবাদ নিজেরাই করার সঙ্গেসঙ্গে, তারা সকালে ও দুপুরে স্কুলে পড়ানোর কাজও করতে থাকে। এ ছাড়া, তারা গির্জার কার্যক্রম তিনটে ভাষায় প্রস্তুত ও পরিচালনা করেছিল। এই সমস্তকিছু সত্ত্বেও, অনুবাদের কাজ সর্বপ্রথম ছিল।

১২ জন ছাত্রের সাহায্যে, দুজন মিশনারি মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে পুরো গ্রিক শাস্ত্র এবং ইব্রীয় শাস্ত্র-এর বেশ কয়েকটি বই অনুবাদ করেছিল। পরের বছর, পুরো বাইবেলের প্রাথমিক অনুবাদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য, ভুল সংশোধন ও স্পষ্টতর করার প্রয়োজন ছিল। তাই, এই কাজে সাহায্য করার জন্য ইংল্যান্ড থেকে ডেভিড জোন্স ও জোসেফ ফ্রিম্যান নামে দুজন ভাষাবিদকে পাঠানো হয়েছিল।

বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করা

মালাগাসি ভাষায় অনুবাদের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, এলএমএস মাদাগাস্কারে প্রথম ছাপাখানা স্থাপন করার জন্য চালর্স হোভেনডেনকে পাঠান। হোভেনডেন ১৮২৬ সালের ২১ নভেম্বর এসে পৌঁছান। কিন্তু, তিনি সেখানে আসার এক মাসের মধ্যেই ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আর সেই ছাপাখানা চালানোর জন্য সেখানে আর কেউ ছিল না। পরের বছর স্কটল্যান্ড থেকে জেমস ক্যামেরন নামে একজন দক্ষ কারিগর যন্ত্রপাতির মধ্যে থেকে পাওয়া একটি তথ্যগ্রন্থের সাহায্যে মুদ্রণযন্ত্রের বিভিন্ন অংশকে কোনোরকমে জোড়া দিতে সক্ষম হন। অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর, ক্যামেরন ১৮২৭ সালের ৪ ডিসেম্বর, আদিপুস্তক ১ অধ্যায়ের কিছু অংশ ছাপাতে পেরেছিলেন। *

আরেকটা বাধা এসেছিল ১৮২৮ সালের ২৭ জুলাই, রাজা রাদামা ১ম-এর মৃত্যুর পর। রাজা রাদামা অনুবাদের কাজে অনেক সমর্থন জুগিয়েছিলেন। সেই সময়ে ডেভিড জোন্স বলেছিলেন: “রাজা রাদামা হলেন খুবই সদয় ও অমায়িক ব্যক্তি। তিনি শিক্ষার একনিষ্ঠ সমর্থক এবং সভ্যতার কলাকৌশল সম্বন্ধে তার প্রজাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টাকে সোনা ও রুপোর চেয়ে বেশি মূল্যবান বলে গণ্য করেন।” কিন্তু, রাজার পরে তার স্ত্রী রানাভেলোনা রাজপদ গ্রহণ করেছিলেন এবং শীঘ্র এটা স্পষ্ট হয়েছিল যে, এই অনুবাদের কাজে তিনি তার স্বামীর মতো ততটা সমর্থন জোগাবেন না।

রানি সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার কিছু সময় পর, ইংল্যান্ড থেকে আসা একজন পরিদর্শক অনুবাদ সংক্রান্ত কাজ সম্বন্ধে রানির সঙ্গে আলোচনা করার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। আরেকবার, মিশনারিরা যখন রানিকে বলেছিল যে, প্রজাদেরকে ইব্রীয় ও গ্রিক ভাষাসহ এখনও আরও অনেক কিছু শেখানোর আছে, তখন রানি বলেছিলেন: “আমি গ্রিক ও ইব্রীয় ভাষা নিয়ে অতটা চিন্তিত নই, কিন্তু আমি জানতে চাই যে, আপনারা আমার লোকেদেরকে আরও উপকারজনক কিছু, যেমন সাবান তৈরি করার মতো কোন কাজ শেখাতে পারবেন কি না।” মালাগাসি ভাষায় বাইবেলের অনুবাদ শেষ হওয়ার আগেই তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে, এটা বুঝতে পেরে ক্যামেরন রানির কথা ভেবে দেখার জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন।

পরের সপ্তাহে ক্যামেরন স্থানীয় বস্তুসামগ্রী দিয়ে তৈরি দুটো সাবান রানির রাজকীয় দূতদের উপহার দিয়েছিলেন। মিশনারি কারিগরদের দ্বারা সম্পাদিত এই কাজ এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজ রানিকে এতটাই সন্তুষ্ট করেছিল যে, তারা ইব্রীয় শাস্ত্র-এর অল্প কয়েকটি বই ছাড়া প্রায় পুরো বাইবেল ছাপানোর কাজ শেষ করার মতো যথেষ্ট সময় পেয়েছিল।

প্রথমে চমক, পরে হতাশা

শুরুতে মিশনারিদের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও, ১৮৩১ সালের মে মাসে রানি অবাক করে দেওয়ার মতো একটা আদেশ জারি করেছিলেন। তিনি তার প্রজাদের খ্রিস্টান হিসেবে বাপ্তাইজিত হওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন! কিন্তু, এই সিদ্ধান্ত স্বল্পসময় স্থায়ী হয়েছিল। মাদাগাস্কারের এক ইতিহাস (ইংরেজি) নামক বই অনুযায়ী, “বাপ্তিস্মের সংখ্যা রাজসভার কিছু রক্ষণশীল ব্যক্তিকে শঙ্কিত করেছিল, যারা রানিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে, কমুনিয়ন গ্রহণ করা ব্রিটিশদের প্রতি আনুগত্যের শপথ নেওয়ার সমরূপ।” তাই, খ্রিস্টান হিসেবে বাপ্তিস্ম নেওয়ার অনুমতি জারি করার মাত্র ছয় মাস পর, ১৮৩১ সালের শেষের দিকে এটা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।

রানির দ্বিধাগ্রস্ততা ও সেইসঙ্গে সরকারের মধ্যে বাড়তে থাকা রক্ষণশীল ব্যক্তিদের প্রভাব মিশনারিদেরকে বাইবেল ছাপানোর কাজ শেষ করতে প্রেরণা জুগিয়েছিল। ইতিমধ্যে, খ্রিস্টান গ্রিক শাস্ত্র ছাপানো শেষ হয়ে গিয়েছিল ও এটির হাজার হাজার কপি বিতরণ করা হচ্ছিল। কিন্তু, ১৮৩৫ সালের ১ মার্চ আরেকটা বাধা এসেছিল, যখন রানি রানাভেলোনা ১ম খ্রিস্টধর্মকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিলেন এবং আদেশ দিয়েছিলেন যে, সমস্ত খ্রিস্টীয় বইপত্র আধিকারিকদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।

রানির আদেশ এও বুঝিয়েছিল যে, মালাগাসি শিক্ষানবিশরা ছাপানোর প্রকল্পে আর কাজ করতে পারবে না। তাই, কাজটা শেষ করার জন্য অল্প কয়েকজন মিশনারি থাকায়, দিনরাত কাজ করা হয়েছিল এবং অবশেষে ১৮৩৫ সালের জুন মাসে পুরো বাইবেল প্রকাশ করা হয়েছিল। হ্যাঁ, এভাবেই মালাগাসি ভাষার বাইবেলের জন্ম হয়েছিল!

যেহেতু তখনও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল, তাই বাইবেলগুলো দ্রুত বিতরণ করা হয়েছিল এবং সেগুলোকে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য শাস্ত্রের ৭০টি কপি মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। এটা এক সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল কারণ এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে মাত্র দুজন মিশনারি দ্বীপে থেকে গিয়েছিল। কিন্তু, বিশাল লাল দ্বীপে ঈশ্বরের বাক্য ছড়িয়ে পড়ছিল।

বাইবেলের প্রতি মালাগাসি লোকেদের ভালোবাসা

তাদের নিজের ভাষায় ঈশ্বরের বাক্য পড়তে পারা মাদাগাস্কারের লোকেদের জন্য কতই না আনন্দের বিষয় ছিল! অনুবাদে প্রচুর ভুলত্রুটি রয়েছে এবং ভাষাও বেশ পুরোনো। তবুও, বাইবেল নেই এমন কোনো ঘর খুঁজে পাওয়া যায় না এবং অনেক মালাগাসি লোক নিয়মিতভাবে এটি পড়ে। এই অনুবাদের লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, পুরো ইব্রীয় শাস্ত্র-এ ঈশ্বরের নাম যিহোবা অনেকবার ব্যবহৃত হয়েছে। মূল প্রতিলিপিগুলোতে, গ্রিক শাস্ত্র-এও ঐশিক নামটি পাওয়া যায়। এর ফলে, অধিকাংশ মালাগাসি লোকই ঈশ্বরের নামের সঙ্গে পরিচিত।

বস্তুতপক্ষে, গ্রিক শাস্ত্র-এর প্রথম কপিগুলো যখন ছাপানো হয়েছিল, তখন প্রেস অপারেটর মি. বেকার মালাগাসি লোকেদের আনন্দ দেখেছিলেন এবং আবেগাপ্লুত হয়ে বলেছিলেন: “আমি কোনো ভবিষ্যদ্‌বাণী করছি না, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য এই দেশ থেকে কখনো বিলুপ্ত হবে এমনটা আমি বিশ্বাস করি না।” তার কথাগুলো সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। ম্যালেরিয়া, কঠিন একটি ভাষা শেখার প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা শাসকের কঠোর আদেশ, এইরকম কোনো বাধাই মাদাগাস্কারে ঈশ্বরের বাক্য প্রাপ্তিসাধ্য হওয়াকে রোধ করতে পারেনি।

এখন পরিস্থিতি আরও উন্নত হয়েছে। কীভাবে? ২০০৮ সালে, সম্পূর্ণ পবিত্র শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরেজি) বাইবেল মালাগাসি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই অনুবাদটি উন্নতির এক বিরাট পদক্ষেপকে প্রতিনিধিত্ব করে, কারণ এটি আধুনিক, সহজবোধ্য ভাষায় লেখা হয়েছে। তাই, বিশাল লাল দ্বীপে ঈশ্বরের বাক্য এখন আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে স্বীকৃত।—যিশা. ৪০:৮.

[পাদটীকা]

^ দশ আজ্ঞা ও প্রভুর প্রার্থনা যেটি ১৮২৬ সালের এপ্রিল/মে মাসের দিকে মরিশাসে প্রকাশিত হয়েছিল, সেটি ছিল মালাগাসি ভাষায় ছাপানো বাইবেলের সর্বপ্রথম অংশ। তবে, ছাপানো প্রতিলিপিগুলো শুধু রাজা রাদামার পরিবার এবং কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে বিতরণ করা হয়েছিল।

[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র]

মালাগাসি ভাষায় অনুবাদিত “নতুন জগৎ অনুবাদ” বাইবেল ঈশ্বরের যিহোবা নামকে সম্মান করে