সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিভিন্ন পরিবর্তন সত্ত্বেও ঈশ্বরের অনুগ্রহে থাকা

বিভিন্ন পরিবর্তন সত্ত্বেও ঈশ্বরের অনুগ্রহে থাকা

বিভিন্ন পরিবর্তন সত্ত্বেও ঈশ্বরের অনুগ্রহে থাকা

আপনি কি আপনার জীবনে বিভিন্ন পরিবর্তনের মুখোমুখি হচ্ছেন? সেই পরিবর্তনগুলোকে মেনে নেওয়া কি আপনার কাছে কঠিন বলে মনে হচ্ছে? আমাদের মধ্যে অধিকাংশই সেইরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি অথবা হব। অতীতের কিছু বাস্তব উদাহরণ আমাদের সেই গুণাবলিকে শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে, যেগুলো উপকারজনক হবে।

উদাহরণস্বরূপ, দায়ূদের বিষয় এবং তাকে যে-পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়েছিল, সেগুলো বিবেচনা করুন। শমূয়েল যখন তাকে ভাবী রাজা হিসেবে অভিষিক্ত করেছিলেন, তখন তিনি এক সামান্য মেষপালক বালক ছিলেন। বালক থাকতেই, তিনি পলেষ্টীয় দৈত্যাকৃতি গলিয়াতের সঙ্গে লড়াই করার জন্য স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছিলেন। (১ শমূ. ১৭:২৬-৩২, ৪২) অল্পবয়সি দায়ূদকে রাজা শৌলের রাজবাড়িতে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তার জীবনে এই সমস্ত পরিবর্তনের কথা দায়ূদ এমনকী কল্পনাও করতে পারেননি; কিংবা পরবর্তী সময়ে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা তিনি ধারণাও করতে পারেননি।

শৌলের সঙ্গে দায়ূদের সম্পর্ক খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। (১ শমূ. ১৮:৮, ৯; ১৯:৯, ১০) নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য দায়ূদকে বেশ কয়েক বছর ধরে পলাতক হিসেবে জীবনযাপন করতে হয়েছিল। এমনকী তিনি যখন ইস্রায়েলের ওপর রাজা হিসেবে রাজত্ব করছিলেন, সেই সময়েও তার পরিস্থিতি পুরোপুরি পালটে গিয়েছিল, বিশেষ করে তিনি যখন ব্যভিচার করেছিলেন ও এরপর সেই পাপ ঢাকার চেষ্টায় আরেকজনকে হত্যা করেছিলেন। তার নিজের কৃত পাপের কারণে তার পরিবারের ওপর বিভিন্ন অমঙ্গল নেমে এসেছিল। উদাহরণস্বরূপ, দায়ূদ তার ছেলে অবশালোমের বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছিলেন। (২ শমূ. ১২:১০-১২; ১৫:১-১৪) তবুও, দায়ূদ ব্যভিচার ও হত্যা করার মতো পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার পর, যিহোবা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এবং দায়ূদ আবারও ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেছিলেন।

আপনার পরিস্থিতিগুলোও হয়তো পরিবর্তিত হতে পারে। স্বাস্থ্যগত সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা অথবা পারিবারিক সমস্যা—এমনকী আমাদের নিজেদের কৃতকর্ম—আমাদের জীবনে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসে। কোন গুণাবলি আমাদেরকে এই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করতে পারে?

নম্রতা আমাদের সাহায্য করে

নম্রতার সঙ্গে বশীভূত হওয়ার মনোভাব জড়িত। প্রকৃত নম্রতা আমাদেরকে আমরা প্রকৃতপক্ষে যেমন এবং অন্যেরা প্রকৃতপক্ষে যেমন, ঠিক তেমনভাবে নিজেদের দেখতে সমর্থ করে। অন্যদের গুণাবলি ও সফলতাগুলোকে ছোটো করে না দেখার ফলে আমরা আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করব যে, তারা কারা এবং তারা কী করে। একইভাবে, নম্রতা হয়তো আমাদেরকে এটাও বুঝতে সমর্থ করবে যে, কেন আমাদের প্রতি এমনটা ঘটেছে এবং সেই পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়।

শৌলের ছেলে যোনাথন হলেন এক উত্তম উদাহরণ। তার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল না এমন ঘটনাগুলোর দ্বারা তার পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছিল। শমূয়েল যখন শৌলকে বলেছিলেন যে, যিহোবা তার কাছ থেকে রাজ্য কেড়ে নেবেন, তখন তিনি এটা বলেননি যে, তার জায়গায় যোনাথন রাজা হিসেবে শাসন করবেন। (১ শমূ. ১৫:২৮; ১৬:১, ১২, ১৩) ইস্রায়েলের পরবর্তী রাজা হিসেবে ঈশ্বর যে দায়ূদকে বেছে নিয়েছিলেন, তা যোনাথনকে অধিকারচ্যুত করেছিল। এক অর্থে, শৌলের অবাধ্যতা যোনাথনের ওপর এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। যদিও শৌলের কৃতকর্মের জন্য তিনি দায়ী ছিলেন না, তবুও যোনাথন তার পিতার স্থান নিতে পারেননি। (১ শমূ. ২০:৩০, ৩১) এই পরিস্থিতির প্রতি যোনাথন কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন? তিনি কি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য দায়ূদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে অসন্তোষ পোষণ করেছিলেন? না। দায়ূদের চেয়ে বয়সে বেশ বড়ো ও অধিক অভিজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও, যোনাথন অনুগতভাবে দায়ূদকে সমর্থন করেছিলেন। (১ শমূ. ২৩:১৬-১৮) নম্রতা তাকে বুঝতে সাহায্য করেছিল যে, কার ওপর ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে আর তিনি ‘আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, তদপেক্ষা বড় বোধ করেন নাই।’ (রোমীয় ১২:৩) যোনাথন বুঝতে পেরেছিলেন যে, যিহোবা তার কাছ থেকে কী আশা করেছিলেন এবং এই বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছিলেন।

অবশ্য, অনেক পরিবর্তন কিছু সমস্যা নিয়ে আসে। একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে, যোনাথনকে এমন দুজন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়েছিল, যারা তার ঘনিষ্ঠ ছিল। একজন ছিলেন ভাবী রাজা, তার বন্ধু দায়ূদ, যিনি যিহোবার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিলেন। অন্যজন ছিলেন তার বাবা শৌল, যাকে যিহোবা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন অথচ তখনও তিনি রাজা হিসেবে শাসন করছিলেন। এই পরিস্থিতির কারণে যোনাথন নিশ্চয় যিহোবার অনুগ্রহ বজায় রাখার চেষ্টা করার সময় আবেগগত চাপ ভোগ করেছিলেন। আমাদের যে-পরিবর্তনগুলোর মুখোমুখি হতে হয়, সেগুলো হয়তো আমাদের কিছুটা উদ্‌বিগ্ন ও শঙ্কিত করতে পারে। কিন্তু, আমরা যদি যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করি, তাহলে আমরা বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করার সময় অনুগতভাবে তাঁর সেবা করে যেতে সমর্থ হব।

বিনয়ী হওয়ার গুরুত্ব

বিনয়ী হওয়ার সঙ্গে একজনের সীমাবদ্ধতাগুলো সম্বন্ধে অবগত থাকা জড়িত। বিনয়ী হওয়াকে নম্রতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। একজন নম্র ব্যক্তি হয়তো তার সীমাবদ্ধতাগুলো সম্বন্ধে পুরোপুরিভাবে অবগত না-ও থাকতে পারেন।

দায়ূদ বিনয়ী ছিলেন। যদিও যিহোবা দায়ূদকে রাজা হিসেবে মনোনীত করেছিলেন, তবুও বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত তিনি সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হতে পারেননি। এই আপাত বিলম্বের কারণ সম্বন্ধে দায়ূদ যিহোবার কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যা পেয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়ে বাইবেল কিছু জানায় না। তবে, যদিও এই পরিস্থিতি আপাতদৃষ্টিতে নিরাশাজনক ছিল, কিন্তু তা তাকে বিরক্ত করেনি। তিনি তার সীমাবদ্ধতাগুলো সম্বন্ধে অবগত ছিলেন আর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, যিহোবা যিনি এই পরিস্থিতিকে ঘটতে অনুমতি দিচ্ছিলেন, বিষয়গুলো তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীনে ছিল। তাই, এমনকী তার নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যও দায়ূদ শৌলকে হত্যা করেননি আর তিনি তার সঙ্গী অবীশয়কে তা করা থেকে বিরত করেছিলেন।—১ শমূ. ২৬:৬-৯.

মাঝে মধ্যে আমাদের স্থানীয় মণ্ডলীতে এমন কোনো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে, যেটা আমরা বুঝতে পারি না অথবা যেটা আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বোত্তম বা সবচেয়ে সংগঠিত উপায়ে মীমাংসা করা হয়নি বলে মনে হয়। তখন আমরা কি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করব যে, যিশু হলেন মণ্ডলীর মস্তক আর তাই তিনি নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিযুক্ত প্রাচীন গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করেন? আমরা কি এটা জেনে বিনয়ী হব যে, যিহোবার অনুগ্রহ বজায় রাখার জন্য যিশু খ্রিস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হতে আমাদের তাঁর অপেক্ষা করতে হবে? আমরা কি ‘নম্রতার [‘বিনয়ের,’ বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন]’ সঙ্গে অপেক্ষা করব, এমনকী যদিও তা করা অনেক কঠিন?—হিতো. ১১:২.

মৃদুশীলতা আমাদের ইতিবাচক হতে সাহায্য করে

মৃদুশীলতা আমাদেরকে ধৈর্য সহকারে এবং বিরক্ত, রাগান্বিত, প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয়ে দুর্ব্যবহার সহ্য করতে সমর্থ করে। মৃদুশীলতা হচ্ছে এমন এক গুণ, যা গড়ে তোলা কঠিন। আগ্রহের বিষয় হচ্ছে যে, বাইবেলের একটি পদে ‘পৃথিবীর মৃদুশীল লোকদেরকে মৃদুশীলতার অন্বেষণ করতে’ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। (সফ. ২:৩, NW) মৃদুশীলতার সঙ্গে নম্রতা ও বিনয়ী হওয়া সম্পর্কযুক্ত, তবে এটার সঙ্গে মঙ্গলভাবও জড়িত। একজন মৃদুশীল ব্যক্তি আধ্যাত্মিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারেন, যখন তিনি শিখতে ইচ্ছুক হন ও নিজেকে গঠন করার সুযোগ দেন।

কীভাবে মৃদুশীলতা আমাদেরকে আমাদের জীবনে আসা পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে? আপনি সম্ভবত লক্ষ করেছেন যে, অনেকে পরিবর্তনগুলোর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। কিন্তু বস্তুতপক্ষে, সেগুলো আমাদের জন্য যিহোবার দ্বারা আরও প্রশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ হতে পারে। মোশির জীবন তা তুলে ধরে।

৪০ বছর বয়সে, মোশি ইতিমধ্যেই চমৎকার গুণাবলি অর্জন করেছিলেন। তিনি ঈশ্বরের লোকেদের প্রয়োজনগুলোর প্রতি সংবেদনশীল বলে প্রমাণিত হয়েছিলেন এবং আত্মত্যাগমূলক এক মনোভাব প্রদর্শন করেছিলেন। (ইব্রীয় ১১:২৪-২৬) তবুও, ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বের করে আনার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যিহোবার দ্বারা নিযুক্ত হওয়ার আগে, মোশিকে সেই পরিবর্তনগুলোর মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যেগুলো তার মৃদুশীলতা গুণকে বিশোধিত করেছিল। তাকে মিশর থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল এবং ৪০ বছর ধরে মিদিয়ন দেশে একজন মেষপালক হিসেবে কাজ করে একজন সাধারণ ব্যক্তির মতো জীবনযাপন করতে হয়েছিল। এর ফল কী হয়েছিল? এই পরিবর্তন তাকে আরও উত্তম এক ব্যক্তি করে তুলেছিল। (গণনা. ১২:৩) তিনি ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর চেয়ে আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে শিখেছিলেন।

মোশির মৃদুশীলতার এক উদাহরণ হিসেবে, আসুন আমরা বিবেচনা করি, যিহোবা যখন বলেছিলেন যে, তিনি অবাধ্য জাতিকে প্রত্যাখ্যান করে মোশির বংশধরদের এক বলবান জাতি করে তুলতে চান, তখন কী ঘটেছিল। (গণনা. ১৪:১১-২০) মোশি সেই জাতির হয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন। তার কথাগুলো দেখায় যে, তার নিজ স্বার্থ নয়, বরং ঈশ্বরের সুনাম ও তার ভাইবোনদের মঙ্গলই তার চিন্তার বিষয় ছিল। সেই জাতির নেতা ও মধ্যস্থ হিসেবে মোশির ভূমিকা পালন করার জন্য একজন মৃদুশীল ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল। যদিও মরিয়ম ও হারোণ তার বিরুদ্ধে বচসা করেছিল তবুও বাইবেলের বিবরণ বলে যে, মোশি “মনুষ্যদের মধ্যে সকল অপেক্ষা . . . অতিশয় মৃদুশীল” ব্যক্তি ছিলেন। (গণনা. ১২:১-৩, ৯-১৫) এইরকম মনে হয় যে, মোশি মৃদুশীলতার সঙ্গে তাদের অপমান সহ্য করেছিলেন। মোশি যদি মৃদুশীল না হতেন, তাহলে কী ঘটত?

আরেকটা ঘটনায়, যিহোবার আত্মা কিছু লোকের ওপর অধিষ্ঠান করেছিল ও তাদেরকে ভবিষ্যদ্‌বাণী করতে পরিচালিত করেছিল। মোশির পরিচারক যিহোশূয় মনে করেছিলেন যে, এই ইস্রায়েলীয়রা অনুপযুক্তভাবে কাজ করছিল। কিন্তু, অন্যদিকে মোশি, মৃদুশীলতার সঙ্গে যিহোবার দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলোকে দেখেছিলেন এবং তার কর্তৃত্ব হারানোর বিষয়ে উদ্‌বিগ্ন ছিলেন না। (গণনা. ১১:২৬-২৯) মোশি যদি মৃদুশীল না হতেন, তাহলে তিনি কি যিহোবার ব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটা মেনে নিতেন?

মৃদুশীলতা মোশিকে, তাকে দেওয়া মহান কর্তৃত্ব এবং তার ঈশ্বর নিযুক্ত ভূমিকার সদ্‌ব্যবহার করতে সমর্থ করেছিল। যিহোবা তাকে হোরেব পর্বতে উঠে লোকেদের সামনে দাঁড়ানোর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এক দূতের মাধ্যমে ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং ব্যবস্থা চুক্তির মধস্থ হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেছিলেন। মোশির মৃদুশীলতা তাকে কর্তৃত্বের ক্ষেত্রে এই বিরাট পরিবর্তনকে মেনে নিতে অথচ ঈশ্বরের অনুগ্রহে থাকতে সমর্থ করেছিল।

আমাদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? আমাদের প্রত্যেকের বৃদ্ধির জন্য মৃদুশীলতা গুণটি অপরিহার্য। ঈশ্বরের লোকেদের মাঝে যাদেরকে আস্থা সহকারে বিশেষ সুযোগগুলো ও কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের মৃদুশীল হতে হবে। এটা আমাদেরকে পরিবর্তনগুলোর মুখোমুখি হলে অহংকারী হওয়া থেকে বিরত করে এবং সঠিক মনোভাব নিয়ে পরিস্থিতিগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে সমর্থ করে। আমাদের প্রতিক্রিয়া হল গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কি পরিবর্তনটা মেনে নেব? আমরা কি এটাকে উন্নতি করার এক সুযোগ হিসেবে দেখব? এটাই হয়তো মৃদুশীলতা গড়ে তোলার এক অদ্বিতীয় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে!

আমরা আমাদের জীবনে অবিরত বিভিন্ন পরিবর্তনের মুখোমুখি হব। কখনো কখনো এটা বোঝা কঠিন হয়ে ওঠে যে, কেন বিষয়গুলো ঘটে। ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতাগুলো এবং আবেগগত চাপ হয়তো আমাদের জন্য এক আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখাকে কঠিন করে তুলতে পারে। তা সত্ত্বেও, নম্রতা, বিনয় ও মৃদুশীলতার মতো গুণাবলি আমাদেরকে পরিবর্তনগুলো মেনে নিতে এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহে থাকতে সাহায্য করবে।

[৪ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

প্রকৃত নম্রতা আমাদেরকে আমরা প্রকৃতপক্ষে যেমন, ঠিক তেমনভাবে নিজেদের দেখতে সমর্থ করে

[৫ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

আমাদের প্রত্যেকের বৃদ্ধির জন্য মৃদুশীলতা অপরিহার্য

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

মোশিকে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যেগুলো তার মৃদুশীলতাকে বিশোধিত করেছিল