সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

মার্ক ‘পরিচর্য্যা বিষয়ে বড় উপকারী’

মার্ক ‘পরিচর্য্যা বিষয়ে বড় উপকারী’

মার্ক ‘পরিচর্য্যা বিষয়ে বড় উপকারী’

আন্তিয়খিয়া মণ্ডলী বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, কিন্তু প্রেরিত পৌল ও বার্ণবার মধ্যে ঘটিত মতভেদ ছিল ভিন্ন প্রকারের। এই ব্যক্তিরা এক মিশনারি যাত্রার জন্য পরিকল্পনা করছিল, কিন্তু কে তাদের সঙ্গে যাত্রা করবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তাদের মধ্যে “বিতণ্ডা” হয়েছিল। (প্রেরিত ১৫:৩৯) দুজনে পৃথক হয়ে নিজ নিজ পথে চলে গিয়েছিল। তাদের বিতর্কের কারণ ছিলেন তৃতীয় আরেকজন মিশনারি—মার্ক।

মার্ক কে ছিলেন? কী দুজন প্রেরিতকে তাকে নিয়ে তর্ক করতে পরিচালিত করেছিল? কেন তারা এত জোরালো ধারণা পোষণ করেছিল? সেই ধারণাগুলো কি কখনো পরিবর্তিত হয়েছিল? আর মার্কের ঘটনা থেকে আপনি কী শিখতে পারেন?

যিরূশালেমে গৃহে

মার্ক, যিনি স্পষ্টতই এক ধনী যিহুদি পরিবার থেকে এসেছিলেন বলে মনে হয়, তিনি যিরূশালেমে বড়ো হয়ে উঠেছিলেন। আমরা প্রাথমিক খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর ইতিহাস পড়ার সময় প্রথমবার নির্দিষ্টভাবে তার সম্বন্ধে জানতে পারি। সা.কা. প্রায় ৪৪ সালে, যিহোবার দূত যখন অলৌকিকভাবে হেরোদ আগ্রিপ্প ১ম-এর কারাগার থেকে প্রেরিত পিতরকে মুক্ত করেছিলেন, তখন পিতর “মরিয়মের বাটীর দিকে” গিয়েছিলেন, “ইনি সেই যোহনের মাতা, যাঁহাকে মার্ক বলে; সেখানে অনেকে একত্র হইয়াছিল ও প্রার্থনা করিতেছিল।”—প্রেরিত ১২:১-১২. *

তাই এটা মনে করা হয় যে, যিরূশালেম মণ্ডলী সভা করার জন্য মার্কের মায়ের গৃহ ব্যবহার করত। সেখানে “অনেকে” সমবেত হয়েছিল, এই কথাগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, সেই গৃহ বেশ বড়ো ছিল। রোদা নামে মরিয়মের একজন দাসী ছিল, যে “বাহিরের দ্বারে” পিতরের আঘাত করার শব্দ শুনে দরজা খুলে দিয়েছিল। এই বিস্তারিত বিবরণগুলো ইঙ্গিত করে যে, মরিয়ম যথেষ্ট ধনী মহিলা ছিলেন। আর সেই গৃহকে তার স্বামীর গৃহের পরিবর্তে তার গৃহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই খুব সম্ভবত তিনি একজন বিধবা ছিলেন এবং সেই সময়ে মার্ক বেশ ছোটো ছিলেন।—প্রেরিত ১২:১৩.

সম্ভবত মার্কও তাদের মধ্যে ছিলেন, যারা প্রার্থনা করার জন্য সেখানে একত্রিত হয়েছিল। তিনি নিশ্চয়ই যিশুর শিষ্যদের ও যারা যিশুর পরিচর্যা সম্বন্ধীয় ঘটনাগুলোর সাক্ষি ছিল, তাদের সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত ছিলেন। বস্তুতপক্ষে, সেই স্বল্পবাস পরিহিত যুবক ব্যক্তি হয়তো মার্কই ছিলেন, যিনি যিশুকে প্রথমবার গ্রেপ্তার করার সময় তাঁকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু যখন তারা তাকে ধরার চেষ্টা করেছিল তখন পালিয়ে গিয়েছিলেন।—মার্ক ১৪:৫১, ৫২.

মণ্ডলীতে বিভিন্ন বিশেষ সুযোগ

পরিপক্ব খ্রিস্টানদের সঙ্গে মেলামেশা করা নিঃসন্দেহে মার্কের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। তিনি আধ্যাত্মিকভাবে বৃদ্ধি লাভ করেছিলেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন। সা.কা. প্রায় ৪৬ সালে, পৌল ও বার্ণবা যখন দুর্ভিক্ষের প্রভাব লাঘব করার জন্য আন্তিয়খিয়া থেকে যিরূশালেম পর্যন্ত ‘পরিচর্য্যার জন্য সাহায্য’ পাঠিয়েছিল, তখন তারা মার্কের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল। পৌল ও বার্ণবা যখন আন্তিয়খিয়াতে ফিরে এসেছিল, তখন তারা মার্ককে তাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল।—প্রেরিত ১১:২৭-৩০; ১২:২৫.

একজন সাধারণ পাঠক হয়তো মনে করতে পারেন যে, এই তিনজনের মধ্যে—আধ্যাত্মিক বন্ধন ছাড়া—আর কোনো বিশেষ বন্ধন ছিল না এবং পৌল ও বার্ণবা শুধু মার্কের দক্ষতা দেখে তাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু, পৌলের একটা পত্র প্রকাশ করে যে, মার্ক বার্ণবার “কুটুম্ব [“কাকাতো ভাই,” NW]” ছিলেন। (কল. ৪:১০) এটা হয়তো মার্কের সঙ্গে জড়িত পরবর্তী ঘটনাগুলোকে ব্যাখ্যা করার জন্য সাহায্য করতে পারে।

প্রায় এক বছরের মতো অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল এবং পবিত্র আত্মা পৌল ও বার্ণবাকে একটা মিশনারি যাত্রা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল। তারা আন্তিয়খিয়া থেকে কুপ্রে যাত্রা করেছিল। যোহন মার্ক “ভৃত্যরূপে” তাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। (প্রেরিত ১৩:২-৫) সম্ভবত মার্ক যাত্রা করার সময়ে ব্যবহারিক প্রয়োজনগুলোর যত্ন নিতেন, যাতে প্রেরিতরা আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারে।

পৌল, বার্ণবা ও মার্ক প্রচার করতে করতে কুপ্র অতিক্রম করেছিল; এরপর তারা এশিয়া মাইনরের দিকে গিয়েছিল। সেখানে যোহন মার্ক একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা পৌলকে নিরুৎসাহিত করেছিল। বিবরণটি বলে যে, যখন দলটি পর্গাতে পৌঁছেছিল, তখন “যোহন তাঁহাদিগকে ছাড়িয়া যিরূশালেমে ফিরিয়া গেলেন।” (প্রেরিত ১৩:১৩) কেন তিনি এমনটা করেছিলেন, সেই বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

কয়েক বছর পর, পৌল, বার্ণবা ও মার্ক আন্তিয়খিয়াতে ফিরে গিয়েছিল। এই দুজন প্রেরিত প্রথম মিশনারি যাত্রায় সম্পাদিত কাজগুলোকে বাড়ানোর জন্য দ্বিতীয় মিশনারি যাত্রা করার বিষয়ে আলোচনা করছিল। বার্ণবা তার কাকাতো ভাই মার্ককে সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পৌল তা একেবারেই চাননি কারণ পূর্বে মার্ক তাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এই বিষয়টাই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, যেটা সম্বন্ধে শুরুতে বর্ণনা করা হয়েছে। বার্ণবা মার্ককে নিয়ে তার নিজের দেশ কুপ্রে কাজ করতে চলে গিয়েছিলেন আর অন্যদিকে পৌল সিরিয়ার দিকে গিয়েছিলেন। (প্রেরিত ১৫:৩৬-৪১) স্পষ্টতই, পৌল ও বার্ণবা মার্কের পূর্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছিল।

পুনরায় সম্মিলিত হওয়া

নিঃসন্দেহে, এই ঘটনার কারণে মার্ক দুঃখ পেয়েছিলেন। তবুও, তিনি একজন বিশ্বস্ত পরিচারক হিসেবে ছিলেন। পৌলের সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটার প্রায় ১১ বা ১২ বছর পর, মার্ক প্রাথমিক খ্রিস্ট ধর্মের ইতিহাসে আবারও আবির্ভূত হন। কোথায়? সম্ভবত যেখানে আপনি তাকে একেবারেই আশা করবেন না—হ্যাঁ, পৌলের সঙ্গে!

সাধারণ কাল ৬০-৬১ সালে, পৌল যখন রোমে বন্দি ছিলেন, তখন তিনি বেশ কয়েকটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যেগুলো এখন পবিত্র শাস্ত্র-এর অংশ। কলসীয়দের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন: “আমার সহবন্দি আরিষ্টার্খ, এবং বার্ণবার কাকাতো ভাই মার্ক—যাঁহার বিষয়ে তোমরা আজ্ঞা পাইয়াছ; তিনি যদি তোমাদের কাছে উপস্থিত হন, তবে তাঁহাকে গ্রহণ করিও— . . . তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছেন; . . . কেবল এই কয়েক জন ঈশ্বরের রাজ্যের পক্ষে আমার সহকারী; ইহাঁরা আমার সান্ত্বনাজনক হইয়াছেন।”—কল. ৪:১০, ১১.

কত বড়ো এক পরিবর্তন! পৌলের চরম অসন্তোষের পাত্র হওয়ার পরিবর্তে মার্ক আবারও এক মূল্যবান সহকর্মী হয়ে উঠেছিলেন। স্পষ্টতই, পৌল কলসীয়দের জানিয়েছিলেন যে, মার্ক হয়তো তাদের পরিদর্শন করবেন। যদি তিনি পরিদর্শন করে থাকেন, তাহলে মার্ক নিশ্চয়ই পৌলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছিলেন।

কয়েক বছর আগে পৌল কি মার্কের বিষয়ে অতিরিক্ত সমালোচনা করেছিলেন? মার্ক কি প্রয়োজনীয় শাসন থেকে উপকার লাভ করেছিলেন? নাকি উভয় সম্ভাবনাই সঠিক ছিল? যা-ই ঘটে থাকুক না কেন, তাদের এই সম্মিলিত হওয়া পৌল ও মার্ক উভয়ের পরিপক্বতার প্রমাণ দেয়। তারা পুরোনো বিষয়গুলো ভুলে গিয়ে আবারও একসঙ্গে কাজ করেছিল। একজন সহখ্রিস্টানের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে এমন যেকারো জন্য কী এক চমৎকার উদাহরণ!

ভ্রমণকারী মার্ক

মার্ক যে-বিভিন্ন যাত্রা করেছিলেন সেগুলো সম্বন্ধে আপনি যখন পড়েন, তখন আপনি বুঝতে পারেন যে, তিনি অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি যিরূশালেম থেকে এসেছিলেন, আন্তিয়খিয়াতে চলে গিয়েছিলেন আবার সেখান থেকে কুপ্র ও পর্গার উদ্দেশে সমুদ্রযাত্রা করেছিলেন। এরপর তিনি রোমে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পৌল তাকে কলসীতে পাঠাতে চেয়েছিলেন। আরও অন্যান্য জায়গাও রয়েছে!

সাধারণ কাল প্রায় ৬২ থেকে ৬৪ সালের মধ্যে, প্রেরিত পিতর তার প্রথম চিঠিটি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “বাবিলস্থা [মণ্ডলী] এবং আমার পুত্ত্র মার্ক তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছেন।” (১ পিতর ৫:১৩) তাই, মার্ক সেই প্রেরিতের সঙ্গে সেবা করার জন্য বাবিলে যাত্রা করেছিলেন, যিনি বহু বছর আগে তার মায়ের গৃহে অনুষ্ঠিত খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যোগদান করতেন।

সাধারণ কাল প্রায় ৬৫ সালে, রোমে পৌল দ্বিতীয়বার কারারুদ্ধ থাকাকালীন, ইফিষ থেকে তীমথিয়কে আসতে বলার জন্য চিঠি লেখার সময়, পৌল আরও বলেছিলেন: “তুমি মার্ককে সঙ্গে করিয়া আইস।” (২ তীম. ৪:১১) অর্থাৎ মার্ক সেই সময় ইফিষে ছিলেন। আর আমাদের এইরকম সন্দেহ করার কোনো কারণ কি রয়েছে যে, তিনি তীমথিয়ের সঙ্গে রোমে আসার বিষয়ে পৌলের ডাকে সাড়া দেননি? সেই সময়ে যাত্রা করা সহজ ছিল না কিন্তু মার্ক স্বেচ্ছায় সেই যাত্রাগুলো করেছিলেন।

আরেকটা বিরাট সুযোগ

একটা বিরাট সুযোগ যা মার্ক উপভোগ করেছিলেন, সেটা ছিল সুসমাচারের একটি বই লেখার জন্য যিহোবার দ্বারা অনুপ্রাণিত হওয়া। যদিও সুসমাচারের দ্বিতীয় বইটিতে কোথাও এটির লেখকের নাম পাওয়া যায় না, কিন্তু প্রাচীন প্রচলিত ধারণাগুলো এটির লেখক হিসেবে মার্ককেই নির্দেশ করে এবং সেই ধারণা অনুসারে পিতরের কাছ থেকে তিনি তথ্য লাভ করেছিলেন। বস্তুতপক্ষে, মার্ক যে-সমস্ত বিষয় লিপিবদ্ধ করেছিলেন, পিতর সেগুলোর চাক্ষুষ সাক্ষি ছিলেন।

মার্কের সুসমাচারের বিশ্লেষকরা মনে করে যে, তিনি পরজাতীয় পাঠকদের জন্য লিখেছিলেন; তিনি যিহুদিদের প্রথাগুলো সম্বন্ধে সাহায্যকারী ব্যাখ্যা প্রদান করেছিলেন। (মার্ক ৭:৩; ১৪:১২; ১৫:৪২) মার্ক অরামীয় পরিভাষাগুলোকে অনুবাদ করেন, যেগুলো অনুবাদ না করা হলে ন-যিহুদি শ্রোতারা হয়তো বুঝতে পারত না। (মার্ক ৩:১৭; ৫:৪১; ৭:১১, ৩৪; ১৫:২২, ৩৪) তিনি অনেক ল্যাটিন পরিভাষাও ব্যবহার করেন আর ল্যাটিন শব্দগুলো ব্যবহার করার দ্বারা তিনি এমনকী প্রচলিত গ্রিক শব্দগুলোকেও ব্যাখ্যা করেন। এই সমস্ত কিছু সেই দীর্ঘস্থায়ী ধারণাগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে, মার্ক রোমে তার সুসমাচারের বইটি লিখেছিলেন।

“পরিচর্য্যা বিষয়ে আমার বড় উপকারী”

মার্ক রোমে অবস্থিতি করে যে শুধু তার সুসমাচারের বইটি লিখেছিলেন, তা নয়। পৌল তীমথিয়কে কী বলেছিলেন, তা স্মরণ করে দেখুন: “তুমি মার্ককে সঙ্গে করিয়া আইস।” কেন পৌল এমনটা বলেছিলেন? “কেননা তিনি পরিচর্য্যা বিষয়ে আমার বড় উপকারী।”—২ তীম. ৪:১১.

মার্ক সম্বন্ধে এই উল্লেখ—শাস্ত্র-এ এই শেষবারের মতো উল্লেখ—তার সম্বন্ধে অনেক কিছু বলে। মণ্ডলীর সঙ্গে মার্কের কার্যাবলির বিবরণে কোথাও তাকে একজন প্রেরিত, একজন নেতা বা একজন ভাববাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। তিনি একজন পরিচারক ছিলেন অর্থাৎ যিনি অন্যদের পরিচর্যা বা সেবা করতেন। আর সেই মুহূর্তে অর্থাৎ পৌলের মৃত্যুর কিছু সময় আগে, এই প্রেরিত নিশ্চিতভাবেই মার্কের সাহায্য থেকে উপকৃত হতে পেরেছিলেন।

মার্ক সম্বন্ধে আমাদের কাছে যে-টুকরো টুকরো তথ্য রয়েছে, সেগুলোকে একত্রিত করলে তা এমন একজন ব্যক্তির চিত্র তুলে ধরে, যিনি পৃথিবীব্যাপী ক্ষেত্রের বিভিন্ন অঞ্চলে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগী ছিলেন, অন্যদের সেবা করে আনন্দিত হতেন। বাস্তবিকই, হাল ছেড়ে দেননি বলে মার্ক কত মূল্যবান সুযোগগুলোই না উপভোগ করেছিলেন!

মার্কের মতো, আজকে আমরা ঈশ্বরের দাস হিসেবে রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার জন্য সেই একই সংকল্প দেখিয়ে থাকি। মার্কের ক্ষেত্রে যেমন ঘটেছিল, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অন্য জায়গায়, এমনকী বিদেশে চলে যেতে সমর্থ হয়। যদিও আমাদের অধিকাংশের পক্ষে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া হয়তো সম্ভব নয়, তবুও আমরা সকলে অন্য আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে মার্ককে অনুকরণ করতে পারি। ঠিক যেমন তিনি তার খ্রিস্টান ভাইবোনদের পরিচর্যা করার জন্য অসাধারণ প্রচেষ্টা করেছিলেন, তেমনই আমরাও আমাদের সহবিশ্বাসীদের ঈশ্বরের প্রতি তাদের সেবা চালিয়ে যেতে ব্যবহারিক উপায়গুলোর মাধ্যমে সাহায্য করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে ইচ্ছুক থাকি। আমরা যখন তা করি, তখন আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, আমরা ক্রমাগত যিহোবার আশীর্বাদ লাভ করব।—হিতো. ৩:২৭; ১০:২২; গালা. ৬:২.

[পাদটীকা]

^ মার্কের সমসাময়িক ব্যক্তিদের মধ্যে ইব্রীয় অথবা বিদেশি ভাষা থেকে দ্বিতীয় নাম রাখা বা গ্রহণ করা সাধারণ বিষয় ছিল। মার্কের যিহুদি নাম ছিল ইয়োহানান—বাংলায় যোহন। তার ল্যাটিন পদবি ছিল মার্কুস বা মার্ক।—প্রেরিত ১২:২৫.

[৮ পৃষ্ঠার মানচিত্র/চিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

কিছু শহর যেগুলো মার্ক পরিদর্শন করেছিলেন

রোম

ইফিষ

কলসী

পর্গা

(সিরিয়ার) আন্তিয়খিয়া

কুপ্র

ভূমধ্যসাগর

যিরূশালেম

বাবিল