সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

জনমতের চাপকে প্রতিরোধ করুন

জনমতের চাপকে প্রতিরোধ করুন

জনমতের চাপকে প্রতিরোধ করুন

কোনটা উপযুক্ত বা অগ্রহণযোগ্য আর কোনটা প্রশংসনীয় বা নিন্দনীয়, সেই সম্বন্ধে ধারণা একেক জায়গায় একেক রকম। এ ছাড়া, এগুলো সময়ের প্রবাহে পরিবর্তিতও হয়। তাই, সুদূর অতীতে ঘটা বিভিন্ন শাস্ত্রীয় ঘটনা পড়ার সময়, সেগুলোর ওপর আমাদের নিজস্ব মানগুলো চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে বরং বাইবেলের সময়কার জনপ্রিয় মতামত ও মূল্যবোধগুলো আমাদের বিবেচনা করা প্রয়োজন।

উদাহরণস্বরূপ, দুটো ধারণার কথা চিন্তা করুন, যেগুলো খ্রিস্টান গ্রিক শাস্ত্র-এ বার বার উল্লেখ করা হয়েছে আর সেগুলো হল সম্মান এবং লজ্জা। যে-বিবরণগুলোতে সম্মান ও লজ্জা সম্বন্ধে তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের সেই সময়ে বসবাসরত লোকেরা সেগুলোকে কোন দৃষ্টিতে দেখত, তা গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিত।

প্রথম শতাব্দীর মূল্যবোধগুলো

“গ্রিক, রোমীয় এবং যিহুদিরা সকলেই সম্মান ও লজ্জাকে তাদের সংস্কৃতির অতি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হিসেবে বিবেচনা করত,” একজন পণ্ডিত ব্যক্তি বলেন। “মানুষের জীবনের ধ্যানজ্ঞানই ছিল সম্মান, সুনাম, খ্যাতি, অনুমোদন এবং মর্যাদা লাভের প্রচেষ্টা করা।” এই মূল্যবোধগুলোর কারণে অন্যদের মতামত তাদের ওপর অনেক প্রভাব ফেলত।

যে-সমাজে উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত পর্যন্ত সকলেই তাদের সামাজিক অবস্থান সম্বন্ধে খুবই সচেতন ছিল, সেই সমাজে প্রতিষ্ঠা, পদমর্যাদা এবং সম্মানই ছিল সবকিছু। সম্মান বলতে একজন ব্যক্তির নিজস্ব মূল্যবোধের চেয়েও আরও বেশি কিছুকে বুঝিয়েছিল, এর সঙ্গে অন্যেরা তার সম্বন্ধে কী মনে করে, সেটাও জড়িত ছিল। একজন ব্যক্তিকে সম্মান করার অর্থ ছিল, প্রকাশ্যে এই বিষয়টা স্বীকার করা যে, তিনি এমনভাবে আচরণ করেছেন, যেমনটা তার কাছ থেকে আশা করা হয়েছে। এ ছাড়া, সম্মান করার অর্থ এও ছিল যে, একজন ব্যক্তির ধনসম্পদ, পদমর্যাদা অথবা আভিজাত্য দেখে প্রভাবিত হওয়া আর তাই তার প্রতি উপযুক্ত মনোযোগ দেওয়া। ভালো কাজগুলো সম্পাদন করার অথবা অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ার মাধ্যমে সম্মান অর্জন করা যেত। অন্যদিকে, লজ্জা বা অসম্মান বলতে লোকেদের কাছে ছোটো হওয়া বা তাদের উপহাসের পাত্র হওয়াকে বুঝিয়েছিল। এটা ব্যক্তিগত অনুভূতি বা বিবেকের প্রতি সাড়া দেওয়ার চেয়ে আরও বেশি কিছু ছিল, এটা ছিল সমাজের দ্বারা নিন্দিত হওয়ার ফল।

যিশু যখন একজন ব্যক্তিকে ‘প্রধান আসন’ অথবা ‘নিম্নতম স্থানে’ বসানোর বিষয়ে বলেছিলেন, তখন এটা সেই সময়কার সংস্কৃতি অনুযায়ী সম্মান বা লজ্জার বিষয় ছিল। (লূক ১৪:৮-১০) অন্তত দু-বার যিশুর শিষ্যরা “তাঁহাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ বলিয়া গণ্য,” তা নিয়ে তর্ক করেছিল। (লূক ৯:৪৬; ২২:২৪) তারা আসলে সেই সমাজের প্রধান চিন্তার বিষয়টা প্রকাশ করছিল, যেখানে তারা বাস করত। সেই সময়ে, গর্বিত ও প্রতিযোগিতাপরায়ণ যিহুদি ধর্মীয় নেতারা যিশুর প্রচার কাজকে তাদের সম্মান ও কর্তৃত্বের ক্ষেত্রে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে দেখেছিল। কিন্তু, জনতার সামনে বিতর্কের মধ্যে নিজেদেরকে তাঁর চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার বিষয়ে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।—লূক ১৩:১১-১৭.

প্রথম শতাব্দীর যিহুদি, গ্রিক ও রোমীয় চিন্তাভাবনার মধ্যে বিদ্যমান আরেকটা ধারণা ছিল যে, “অন্যায় কাজের জন্য বন্দি হওয়া বা জনসমক্ষে অভিযুক্ত হওয়া” লজ্জার বিষয়। কাউকে ধরে বন্দি করাকে অপমানজনক হিসেবে দেখা হতো। এইরকম ব্যবহার একজন ব্যক্তিকে তার বন্ধুবান্ধব, পরিবার ও সমাজের সকলের কাছে অপমানের পাত্র করে তুলত—তা তিনি কোনো অপরাধে দণ্ডিত হোন বা না-ই হোন। এর ফলে, তার সুনামের ওপর যে-কলঙ্কচিহ্ন লেগে যেত, তা তার আত্মসম্মানকে খর্ব করতে এবং অন্যদের সঙ্গে তার সম্পর্ককেও নষ্ট করে দিতে পারত। তবে, বস্ত্রহীন করা বা মারধরের শিকার হওয়া ছিল বন্দি হওয়ার চেয়ে আরও বেশি লজ্জাজনক। এই ধরনের আচরণ তাকে অবজ্ঞা ও উপহাসের পাত্র করে তুলত এবং ব্যক্তির সম্মান কেড়ে নিত।

যাতনাদণ্ডে মৃত্যুদণ্ডের শিকার হওয়া একজন ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে অপমানজনক বিষয় ছিল। এইরকম দণ্ড ছিল “দাসদের শাস্তি,” পণ্ডিত ব্যক্তি মার্টিন হেঙ্গেল বলেন। “তাই, এটা চরম অপমান, লজ্জা ও যাতনাকে চিত্রিত করত।” এভাবে অপমানিত হয়েছেন এমন একজন ব্যক্তিকে পরিত্যাগ করার জন্য সমাজ থেকে পরিবার ও বন্ধুদের ওপর চাপ আসত। যেহেতু খ্রিস্ট এভাবে মারা গিয়েছিলেন, তাই সা.কা. প্রথম শতাব্দীতে যারা খ্রিস্টান হতে চাইত, তাদের সকলকেই গণউপহাসের মুখোমুখি হতে হতো। খুব সম্ভবত অধিকাংশ লোকের কাছে নিজেকে এমন একজন ব্যক্তির অনুসারী হিসেবে শনাক্ত করা অদ্ভুত বলে মনে হতো, যিনি কি না বিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন, “আমরা ক্রুশে হত [“যাতনাদণ্ডে বিদ্ধ,” NW] খ্রীষ্টকে প্রচার করি; তিনি যিহূদীদের কাছে বিঘ্ন ও পরজাতিদের কাছে মূর্খতাস্বরূপ।” (১ করি. ১:২৩) কীভাবে প্রাথমিক খ্রিস্টানরা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিল?

এক ভিন্ন ধরনের মূল্যবোধ

প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানরা আইন মেনে চলত এবং সেই লজ্জা এড়িয়ে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করত, যা অন্যায় করার কারণে ভোগ করতে হতো। “তোমাদের মধ্যে কেহ যেন নরঘাতক কি চোর কি দুষ্কর্ম্মকারী কি পরাধিকারচর্চ্চক বলিয়া দুঃখভোগ না করে,” প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন। (১ পিতর ৪:১৫) কিন্তু, যিশু ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন যে, তাঁর অনুসারীরা তাঁর নামের জন্য তাড়িত হবে। (যোহন ১৫:২০) “যদি কেহ খ্রীষ্টীয়ান বলিয়া দুঃখভোগ করে,” পিতর লিখেছিলেন, “তবে সে লজ্জিত না হউক; কিন্তু এই নামে ঈশ্বরের গৌরব করুক।” (১ পিতর ৪:১৬) তাই, খ্রিস্টের একজন অনুসারী হিসেবে দুঃখভোগ করার সময় লজ্জিত বোধ না করা, তখনকার সময়ের সমাজে প্রচলিত ধারণাকে অস্বীকার করার সমরূপ ছিল।

খ্রিস্টানরা অন্য লোকেদের মানগুলোকে তাদের আচরণের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে দিত না। প্রথম শতাব্দীর সমাজের কাছে এমন একজন ব্যক্তিকে মশীহ হিসেবে বিবেচনা করা মূর্খতা স্বরূপ ছিল, যিনি যাতনাদণ্ডে বিদ্ধ হয়েছিলেন। সেই দৃষ্টিভঙ্গি, তখনকার সময়ে গ্রহণযোগ্য চিন্তাধারা মেনে নেওয়ার জন্য খ্রিস্টানদের ওপর চাপ নিয়ে আসতে পারত। কিন্তু, যিশুই যে মশীহ ছিলেন, এটা বিশ্বাস করার জন্য তাদের তাঁকে অনুসরণ করা আবশ্যক ছিল, এমনকী যদিও এরজন্য তাদেরকে উপহাসের পাত্রও হতে হতো। যিশু বলেছিলেন: “যে কেহ এই কালের ব্যভিচারী ও পাপিষ্ঠ লোকদের মধ্যে আমাকে ও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, মনুষ্যপুত্ত্র তাহাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করিবেন, যখন তিনি পবিত্র দূতগণের সহিত আপন পিতার প্রতাপে আসিবেন।”—মার্ক ৮:৩৮.

আজকে, আমরা হয়তো এমন চাপগুলোর মুখোমুখি হতে পারি, যেগুলো আমাদেরকে খ্রিস্টধর্ম পরিত্যাগ করার দিকে পরিচালিত করতে পারে। এই চাপগুলো হয়তো সেইসমস্ত সহছাত্রছাত্রী, প্রতিবেশী বা সহকর্মীদের কাছ থেকে আসতে পারে, যারা আমাদেরকে অনৈতিক, অসৎ অথবা অন্য কোনো আপত্তিকর কাজগুলোতে জড়িত করার জন্য প্রচেষ্টা করে থাকে। এই ধরনের ব্যক্তিরা হয়তো আমাদেরকে সঠিক নীতিগুলোর পক্ষে আমাদের অবস্থানের কারণে লজ্জিত বোধ করানোর প্রচেষ্টা করতে পারে। আমাদের কেমন প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত?

সেই ব্যক্তিদের অনুকরণ করুন, যারা লজ্জাকে অগ্রাহ্য করেছিল

যিহোবার প্রতি তাঁর নীতিনিষ্ঠা বজায় রাখার জন্য যিশু সম্ভাব্য সবচেয়ে অপমানজনক মৃত্যু ভোগ করেছিলেন। ‘তিনি ক্রুশ [“যাতনাদণ্ড,” NW] সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন।’ (ইব্রীয় ১২:২) যিশুর শত্রুরা তাঁকে চড় মেরেছিল, তাঁর গায়ে থুথু দিয়েছিল, তাঁর বস্ত্র ছিঁড়ে ফেলেছিল, তাঁকে মারধর করেছিল, তাঁকে বিদ্ধ করেছিল এবং তাঁকে নিন্দা করেছিল। (মার্ক ১৪:৬৫; ১৫:২৯-৩২) কিন্তু, যিশু সেই অপমান বা লজ্জাকে অগ্রাহ্য করেছিলেন, যা তারা তাঁর ওপর নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল। কীভাবে? তিনি এই ধরনের আচরণের কাছে নতিস্বীকার করেননি। যিশু জানতেন যে, যিহোবার দৃষ্টিতে তিনি কোনো মর্যাদা হারাননি আর নিশ্চিতভাবেই তিনি মানুষের কাছ থেকে কোনো গৌরব লাভের চেষ্টা করেননি। এমনকী যদিও যিশু একজন দাসের মতো মৃত্যুবরণ করেছিলেন, কিন্তু যিহোবা তাঁকে পুনরুত্থিত করার এবং তাঁর পাশে সবচেয়ে সম্মাননীয় স্থান প্রদান করার দ্বারা তাঁকে মর্যাদা দিয়েছিলেন। ফিলিপীয় ২:৮-১১ পদে আমরা পড়ি: “[খ্রিস্ট যিশু] আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্য্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় [“যাতনাদণ্ডে,” NW] মৃত্যু পর্য্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন। এই কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে অতিশয় উচ্চপদান্বিতও করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমুদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ; যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্ত্য পাতালনিবাসীদের ‘সমুদয় জানু পাতিত হয়, এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে’ যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।”

তাঁর মৃত্যুদণ্ডের কারণে যে-অপমানজনক অনুভূতি হয়েছিল, সেই ব্যাপারে যিশু অসংবেদনশীল ছিলেন না। ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে যিশুর অভিযুক্ত হওয়ার কারণে তাঁর পিতার ওপর যে-অপমান আসতে পারে, সেটা ঈশ্বরের পুত্রের কাছে এক চিন্তার বিষয় ছিল। যিশু যিহোবার কাছে অনুরোধ করেছিলেন যেন তিনি তাঁর প্রতি এইরকম অমর্যাদাকর বিষয় ঘটতে না দেন। “আমার নিকট হইতে এই পানপাত্র দূর কর,” তিনি প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু যিশু ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি বশীভূত হয়েছিলেন। (মার্ক ১৪:৩৬) তা সত্ত্বেও, যিশু তাঁর ওপর আসা চাপকে প্রতিরোধ করেছিলেন এবং লজ্জাকে অগ্রাহ্য করেছিলেন। সর্বোপরি, তাদেরই শুধু এইরকম লজ্জাবোধ ছিল, যারা তাঁর দিনে প্রচলিত মূল্যবোধগুলোকে পুরোপুরিভাবে গ্রহণ করে নিয়েছিল। স্পষ্টতই, যিশু তা গ্রহণ করে নেননি।

যিশুর শিষ্যদেরও গ্রেপ্তার এবং মারধর করা হয়েছিল। এইরকম আচরণ তাদেরকে অনেকের চোখে ছোটো করেছিল। তাদেরকে নিচু দৃষ্টিতে দেখা হয়েছিল এবং অবজ্ঞা করা হয়েছিল। কিন্তু, তবুও তারা নিরুৎসাহিত হয়নি। প্রকৃত শিষ্যরা জনমতের চাপকে প্রতিরোধ করেছিল এবং লজ্জাকে অগ্রাহ্য করেছিল। (মথি ১০:১৭; প্রেরিত ৫:৪০; ২ করি. ১১:২৩-২৫) তারা জানত যে, তাদেরকে ‘আপন ক্রুশ [“যাতনাদণ্ড,” NW] তুলিয়া লইতে, এবং যিশুর পশ্চাদ্গামী হইতে’ হবে।—লূক ৯:২৩, ২৬.

আজকে, আমাদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? জগৎ যে-বিষয়গুলোকে মূর্খতা, দুর্বলতা এবং নীচ হিসেবে গণ্য করে, ঈশ্বর সেগুলোকে বিজ্ঞ, পরাক্রমী এবং সম্মানজনক হিসেবে দেখে থাকেন। (১ করি. ১:২৫-২৮) সম্পূর্ণরূপে জনমতের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া কি আমাদের জন্য মূর্খতা এবং অদূরদর্শিতা হবে না?

সম্মান পেতে চায় এমন যেকোনো ব্যক্তি, জগৎ তাদের সম্বন্ধে কী মনে করে, সেই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, যিশু ও তাঁর প্রথম শতাব্দীর অনুসারীদের মতো, আমরা যিহোবাকে আমাদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই। তাই, আমরা সেই বিষয়গুলোকে সম্মান করি, যেগুলো তাঁর দৃষ্টিতে সম্মানজনক এবং সেই বিষয়গুলোকে লজ্জাজনক হিসেবে দেখি, যেগুলো তাঁর দৃষ্টিতে লজ্জাজনক।

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

লজ্জা সম্বন্ধে জগতের ধারণাগুলোর দ্বারা যিশু প্রভাবিত হননি