সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কেন ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখবেন?

কেন ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখবেন?

ঈশ্বরের বাক্য থেকে শিখুন

কেন ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখবেন?

এই প্রবন্ধ আপনি হয়তো চিন্তা করেছেন এমন প্রশ্নগুলোকে তুলে ধরে ও আপনার বাইবেলে কোথায় আপনি উত্তরগুলো পেতে পারেন তা দেখায়। যিহোবার সাক্ষিরা আপনার সঙ্গে এই উত্তরগুলো আলোচনা করতে পেরে খুশি হবে।

১. কেন ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখবেন?

ঈশ্বরের কাছে মানবজাতির জন্য ভালো কিছু সংবাদ রয়েছে। তিনি বাইবেলের পাতায় পাতায় আমাদেরকে এই সম্বন্ধে জানিয়েছেন। আমাদের কাছে বাইবেল হল আমাদের প্রেমময় স্বর্গীয় পিতার কাছ থেকে পাওয়া একটা চিঠির মতো।—পড়ুন, যিরমিয় ২৯:১১.

২. ভালো সংবাদ কী?

মানবজাতির উত্তম সরকারের প্রয়োজন। কোনো মানব শাসকই মানবজাতিকে দৌরাত্ম্য, অবিচার, রোগ অথবা মৃত্যু থেকে কখনো স্বস্তি প্রদান করতে পারেনি। কিন্তু, কিছু ভালো সংবাদ রয়েছে। ঈশ্বর মানবজাতিকে এমন একটা উত্তম সরকার প্রদান করবেন, যে-সরকার দুঃখকষ্টের সমস্ত কারণগুলো থেকে স্বস্তি নিয়ে আসবে।—পড়ুন, দানিয়েল ২:৪৪.

৩. ঈশ্বরের কাছ থেকে শেখা কেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ?

যারা দুঃখকষ্ট ঘটায়, ঈশ্বর শীঘ্র সেই লোকেদেরকে পৃথিবী থেকে দূর করবেন। ইতিমধ্যেই ঈশ্বর লক্ষ লক্ষ নম্র লোককে আরও ভালো এক জীবন উপভোগ করার জন্য শিক্ষা দিচ্ছেন, যেটার ভিত্তি হল প্রেম। কীভাবে জীবনের সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়, কীভাবে প্রকৃত সুখ খুঁজে পাওয়া যায় এবং কীভাবে ঈশ্বরকে খুশি করা যায়, সেই বিষয়ে লোকেরা ঈশ্বরের বাক্য থেকে শিখছে।—পড়ুন, সফনিয় ২:৩.

৪. বাইবেলের গ্রন্থকার কে?

বাইবেল ছোটো ছোটো ৬৬টি বই নিয়ে গঠিত। প্রায় ৪০ জন ব্যক্তি সেগুলো লিখেছিল। প্রথম পাঁচটি বই প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে মোশি লিখেছিলেন। শেষ বইটি ১,৯০০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন। কিন্তু বাইবেলের লেখকেরা তাদের নিজেদের চিন্তাধারা নয় কিন্তু ঈশ্বরের চিন্তাধারাকে লিপিবদ্ধ করেছিল। তাই ঈশ্বরই হলেন বাইবেলের গ্রন্থকার।—পড়ুন, ২ তীমথিয় ৩:১৬; ২ পিতর ১:২১.

আমরা জানি যে, বাইবেল ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে কারণ এটি ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে সঠিক ভাববাণী করে। কোনো মানুষই তা করতে পারে না। (যিশাইয় ৪৬:৯, ১০) এ ছাড়া, বাইবেল আমাদের কাছে ঈশ্বরের গুণাবলিকেও প্রকাশ করে। আরও ভালো ব্যক্তি হওয়ার জন্য এটির লোকেদের জীবনকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে। এই বিষয়গুলো লক্ষ লক্ষ লোককে এই বিষয়ে প্রত্যয়ী করে যে, বাইবেল হল ঈশ্বরের বাক্য।—পড়ুন, যিহোশূয়ের পুস্তক ২৩:১৪; ১ থিষলনীকীয় ২:১৩.

৫. কীভাবে আপনি বাইবেল বুঝতে পারবেন?

যিশু ঈশ্বরের বাক্যের একজন শিক্ষক হিসেবে সুপরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। যদিও যে-লোকেদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন তাদের অধিকাংশই বাইবেলের সঙ্গে পরিচিত ছিল কিন্তু তাদের সেটি বোঝার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য যিশু একটার পর একটা বাইবেল পদ উল্লেখ করেছিলেন এবং ‘শাস্ত্রকে’ ব্যাখ্যা করেছিলেন। “ঈশ্বরের বাক্য থেকে শিখুন,” নামক এই বৈশিষ্ট্যটি আপনাকে সাহায্য করার জন্য একই পদ্ধতি ব্যবহার করবে।—পড়ুন, লূক ২৪:২৭, ৪৫.

জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ঈশ্বরের কাছ থেকে শেখার মতো আগ্রহজনক বিষয় খুব কমই রয়েছে। কিন্তু, আপনি বাইবেল পড়ছেন বলে কেউ কেউ হয়তো খুশি হবে না। নিরুৎসাহিত হবেন না। ঈশ্বরকে জানার ওপরই আপনার অনন্তজীবন উপভোগ করার আশা নির্ভর করে।—পড়ুন, মথি ৫:১০-১২; যোহন ১৭:৩. (w১১-E ০১/০১)

আরও তথ্যের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? এই বইয়ের ২ অধ্যায় দেখুন।