সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

২. খাদ্যের অভাব

২. খাদ্যের অভাব

২. খাদ্যের অভাব

“খাদ্যের অভাব দেখা দেবে।”—মার্ক ১৩:৮.

● একজন ব্যক্তি খাবারের খোঁজে তার ভাই-বোনদের নিয়ে নিজের গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি খাবারের খোঁজ করেন, কিন্তু পান না। খাবার না পেয়ে তিনি এতটাই হতাশ হয়ে পড়েন যে, রাস্তার ধারে বসে পড়েন। কেন তিনি এমন করেছিলেন? গ্রামের প্রধান বলেন, ”তিনি তার পরিবারের জন্য খাবার জোগাড় করতে পারেননি, তাই তার পরিবারের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর সাহস তার হয়নি।”

পরিসংখ্যান যা দেখায়: আমরা যদি সারা পৃথিবীর পরিসংখ্যান দেখি তা হলে দেখব যে, প্রায় সাত জনের মধ্যে এক জন ব্যক্তি প্রতিদিন পেট ভরে খেতে পায় না। আর এর মধ্যে, আফ্রিকার কিছু জায়গায় পরিস্থিতি এত খারাপ যে, সেখানে তিন জনের মধ্যে একজন ব্যক্তি কখনোই পেট ভরে খেতে পায় না। এই পরিস্থিতিটা বোঝার জন্য চিন্তা করুন, একটা পরিবারে তিন জন রয়েছে, মা-বাবা এবং তাদের সন্তান। এই তিন জনের মধ্যে একজনকে তো খালি পেটে থাকতেই হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পরিবারের তিন জনকে প্রতিদিন চিন্তা করতে হয় যে, সেই দিন কে খালি পেটে থাকবে।

লোকেরা সাধারণত যা বলে: ‘পৃথিবীতে প্রচুর খাবার রয়েছে। কেউ বেশি পায় আবার কেউ কম পায়।’

এই কথাগুলো কি সত্য? বর্তমানে যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে, আর তা খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। এর থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, পৃথিবীতে খাদ্যের অভাব হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, সরকারগুলো প্রয়োজন রয়েছে এমন লোকদের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে সরকারগুলো এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা এখনও তা করতে পারেনি।

আপনার কী মনে হয়? বাইবেলে ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল যে, খাদ্যের অভাব দেখা দেবে। বর্তমানে কি তা দেখা যাচ্ছে? টেকনোলজি তো অনেক উন্নত হয়েছে, কিন্তু খাদ্যের অভাব কি দূর হয়ে গিয়েছে?

ভূমিকম্প এবং খাদ্যের অভাব দেখা দেওয়ার পর আরও একটা সমস্যা তৈরি হয়। বাইবেল আমাদের সেই বিষয়েও আগে থেকে জানিয়েছে।

[ব্লার্ব]

অ্যান.এম.ভেনামান যিনি যুক্তরাষ্ট্রের চিলড্রেন্‌স ফান্ডের একজন এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ছিলেন, তিনি বলেন “তিন জনের মধ্যে একজন বাচ্চা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগের কারণে মারা যায়। তারা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পেত, তা হলে তাদের মধ্যে অনেকেই মারা যেত না।”