সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কীভাবে আপনার পরিবার সুখী হতে পারে?

কীভাবে আপনার পরিবার সুখী হতে পারে?

ঈশ্বরের বাক্য থেকে শিখুন

কীভাবে আপনার পরিবার সুখী হতে পারে?

এই প্রবন্ধ আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করেছেন এমন প্রশ্নগুলোকে তুলে ধরে ও আপনার বাইবেলে কোথায় আপনি উত্তরগুলো পেতে পারেন তা দেখায়। যিহোবার সাক্ষিরা আপনার সঙ্গে এই উত্তরগুলো আলোচনা করতে পেরে খুশি হবে।

১. পরিবারের সুখের জন্য কেন বিয়ে আবশ্যক?

সুখী ঈশ্বর যিহোবা হলেন বিয়ের উদ্যোক্তা। এটা পরিবারের সুখের জন্য আবশ্যক কারণ এর দ্বারা শুধুমাত্র একজন সঙ্গীই পাওয়া যায় তা নয় কিন্তু সেইসঙ্গে এটা এমন এক সুরক্ষিত পরিবেশ নিয়ে আসে, যেখানে সন্তানেরা বড়ো হয়ে ওঠে। ঈশ্বর বিয়েকে কোন দৃষ্টিতে দেখেন? তিনি চান যে, এটা যেন একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে স্থায়ী, আইনগতভাবে রেজিস্ট্রিকৃত বন্ধন হয়। (লূক ২:১-৫) ঈশ্বর চান যেন স্বামী ও স্ত্রীরা একে অপরের প্রতি অনুগত থাকে। (ইব্রীয় ১৩:৪) যিহোবা খ্রিস্টানদের একমাত্র তখনই বিবাহবিচ্ছেদ ও পুনর্বিবাহ করাকে অনুমোদন করেন যখন তাদের সাথি ব্যভিচার করেন।—পড়ুন, মথি ১৯:৩-৬, .

২. স্বামী ও স্ত্রীর একে অপরের প্রতি কীরকম আচরণ করা উচিত?

যিহোবা পুরুষ ও নারীকে বিয়ের মধ্যে একে অপরের অনুরূপ বা পরিপূরক হিসেবে সৃষ্টি করেছিলেন। (আদিপুস্তক ২:১৮) পরিবারের মস্তক হিসেবে একজন স্বামীর, তার পরিবারের বস্তুগত চাহিদাগুলো জোগানোর এবং তাদেরকে ঈশ্বর সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। তার স্ত্রীর প্রতি তাকে আত্মত্যাগমূলক প্রেম দেখাতে হবে। স্বামী ও স্ত্রীর একে অপরকে প্রেম ও সম্মান করা উচিত। যেহেতু সব স্বামী ও স্ত্রী-ই অসিদ্ধ, তাই ক্ষমা করতে শেখা হল বৈবাহিক সুখের এক চাবিকাঠি।—পড়ুন, ইফিষীয় ৪:৩১, ৩২; ৫:২২-২৫, ৩৩; ১ পিতর ৩:৭.

৩. আপনি যদি বিবাহে সুখী না হন, তাহলে কি আপনার সাথিকে পরিত্যাগ করা উচিত?

আপনি ও আপনার সাথি যদি বিভিন্ন সমস্যা ভোগ করে থাকেন, তাহলে একে অপরের সঙ্গে প্রেমপূর্বক আচরণ করার চেষ্টা করুন। (১ করিন্থীয় ১৩:৪, ৫) ঈশ্বরের বাক্য বৈবাহিক সমস্যাগুলোর সমাধান হিসেবে পৃথক থাকাকে সুপারিশ করে না। কিন্তু চরম পরিস্থিতিগুলোতে, একজন খ্রিস্টানকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, পৃথক থাকা বিজ্ঞতার কাজ হবে কি হবে না।—পড়ুন, ১ করিন্থীয় ৭:১০-১৩.

৪. সন্তানেরা, ঈশ্বর তোমাদের জন্য কী চান?

যিহোবা চান যেন তোমরা সুখী হও। কীভাবে তোমরা তোমাদের যৌবনকে উপভোগ করতে পারো, সেই বিষয়ে তিনি তোমাদেরকে সর্বোত্তম উপদেশ দেন। তিনি চান যেন তোমরা তোমাদের বাবা-মার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা থেকে উপকার লাভ করো। (কলসীয় ৩:২০) তাঁর প্রশংসার্থে তোমরা যা-কিছুই করো, যিহোবা সেগুলোকে মূল্যবান বলে গণ্য করেন।—পড়ুন, উপদেশক ১১:৯–১২:১; মথি ১৯:১৩-১৫; ২১:১৫, ১৬.

৫. বাবা-মায়েরা, কীভাবে আপনাদের সন্তানেরা সুখ খুঁজে পেতে পারে?

সন্তানদের খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান জোগানোর জন্য আপনাদের কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। (১ তীমথিয় ৫:৮) কিন্তু আপনাদের সন্তানেরা যাতে সুখ খুঁজে পায়, সেইজন্য আপনাদের তাদেরকে ঈশ্বরকে প্রেম করতে ও তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করতেও শেখাতে হবে। (ইফিষীয় ৬:৪) ঈশ্বরের প্রতি প্রেম দেখানোর ক্ষেত্রে আপনাদের উদাহরণ, আপনাদের সন্তানের হৃদয়কে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আপনাদের নির্দেশনাগুলো যদি ঈশ্বরের বাক্যের ওপর ভিত্তি করে হয়, তাহলে সেগুলো আপনাদের সন্তানের চিন্তাভাবনাকে ইতিবাচকভাবে গঠন করতে পারে।—পড়ুন, দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪-৭; হিতোপদেশ ২২:৬.

আপনারা যখন তাদের উৎসাহ দেন ও প্রশংসা করেন, তখন সন্তানেরা উপকৃত হয়। এ ছাড়া, তাদের সংশোধন ও শাসনেরও প্রয়োজন। এই ধরনের প্রশিক্ষণ তাদেরকে এমন আচরণ করা থেকে বিরত রাখবে, যা তাদের সুখ কেড়ে নিতে পারে। (হিতোপদেশ ২২:১৫) তবে, শাসন কখনোই কঠোর অথবা নিষ্ঠুর হওয়া উচিত নয়।—পড়ুন, কলসীয় ৩:২১.

যিহোবার সাক্ষিরা বেশ কিছু বই প্রকাশ করে, যেগুলো বিশেষভাবে বাবা-মা ও সন্তানদের সাহায্য করার জন্য লেখা হয়ে থাকে। এই বইগুলো বাইবেলভিত্তিক।—পড়ুন, গীতসংহিতা ১৯:৭, ১১. (w১১-E ১০/০১)

আরও তথ্যের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত এই বইয়ের ১৪ অধ্যায় দেখুন।