সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমি যিপ্তহের মেয়ের মতো হতে চেয়েছিলাম

আমি যিপ্তহের মেয়ের মতো হতে চেয়েছিলাম

আমি যিপ্তহের মেয়ের মতো হতে চেয়েছিলাম

বলেছেন জোয়েনা সোন্স

আমি যখন কিশোরী ছিলাম, সেই সময়ই আমি যিপ্তহের মেয়ের মতো হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা গড়ে তুলেছিলাম। আসুন আমি আপনাদের বলি যে, আমার মনে কী ছিল এবং কীভাবে আমি অবশেষে অনেকটা তার মতো হয়ে উঠি।

আমি ভারতের বোম্বেতে (এখন মুম্বই) ১৯৫৬ সালে, যিহোবার সাক্ষিদের সম্মেলনে প্রথম যোগদান করি আর সেটা আমার জীবনকে পালটে দিয়েছিল। সেখানে যিপ্তহের মেয়ে সম্বন্ধে আমি একটা বক্তৃতা শুনেছিলাম, যা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।

আপনি হয়তো বাইবেলে পড়েছেন যে, যিপ্তহের মেয়ে যখন স্পষ্টতই একেবারে কিশোর বয়সি ছিলেন, তখন বিয়ে না করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিলেন। এর ফলে তার বাবা যে-মানত করেছিলেন, তা তার পক্ষে পূরণ করা সম্ভবপর হয়েছিল। তাই, তিনি তার বাকি জীবন যিহোবার গৃহে বা আবাসে অবিবাহিত অবস্থায় সেবা করে গিয়েছিলেন।—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১১:২৮-৪০.

আমি মনেপ্রাণে তার মতো হওয়ার জন্য কতই না আকাঙ্ক্ষী ছিলাম! কিন্তু, আমি একটা বড়ো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম—সেই সময় ভারতে অবিবাহিত থাকা আমাদের সংস্কৃতিবিরুদ্ধ ছিল।

আমার পারিবারিক পটভূমি

আমার বাবার নাম ছিল বেঞ্জামিন এবং মায়ের নাম ছিল মার্সিলিনা, যারা ভারতের পশ্চিম উপকূলের একটা শহর উড়ুপিতে থাকতেন আর তাদের ছয় সন্তানের মধ্যে আমি ছিলাম পঞ্চম। আমাদের মাতৃভাষা ছিল তুলু, যে-ভাষায় প্রায় কুড়ি লক্ষ লোক কথা বলে। তবে, উড়ুপির অধিকাংশ লোকের মতো আমরাও কান্নাড়া ভাষায় লেখাপড়া শিখেছিলাম।

বিয়ে করা আর ছেলেমেয়ের জন্ম দেওয়া সবসময়ই এই এলাকার লোকেদের জীবনের প্রধান বিষয় ছিল। বড়ো হওয়ার সময় আমি কখনো তুলু ভাষায় “অবিবাহিত অবস্থা,” “একাকিত্ব” অথবা “বাড়ির লোকেদের অভাব বোধ করা” অভিব্যক্তিগুলো শিখেছি বলে মনে পড়ে না। এটা এমন ছিল যেন এইরকম কোনো অবস্থাই ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের বাড়িতে ঠাকুরদাদা-ঠাকুরমা, দাদু-দিদিমা, মাসি-পিসি, মামা-কাকা এবং বারো জন মাসতুতো-পিসতুতো ভাইবোন থাকত।

ঐতিহ্যগতভাবে, আমরা মাতৃকুলভিত্তিক ব্যবস্থার অংশ ছিলাম, যেখানে সন্তানদেরকে মায়ের পরিবারের অংশ বলে মনে করা হতো। মায়ের মাধ্যমেই বংশধারাকে চিহ্নিত করা হতো এবং মেয়েরা উত্তরাধিকারের একটা বিরাট অংশ পেত। কিছু কিছু তুলু সমাজে, একটা মেয়ে বিয়ের পরেও তার মায়ের সঙ্গে থাকত এবং পরে তার স্বামীও তার সঙ্গে যোগ দিত।

যেহেতু আমাদের পরিবার নামধারী খ্রিস্টান হয়েছিল, তাই কিছু কিছু বিষয় ভিন্ন ছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যায়, আমার ঠাকুরদাদা পারিবারিক উপাসনায় নেতৃত্ব দিতেন, যেটার অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রার্থনা করা এবং তুলু ভাষার বাইবেল থেকে জোরে জোরে পাঠ করা। যখনই তিনি আমাদের সামনে পাঠ করার জন্য তার ছেঁড়াখোঁড়া বাইবেলটি খুলতেন, তখন সেটি এমনভাবে খুলতেন যেন তিনি মণিমুক্তার একটা বাক্স খুলছেন। এটা খুবই রোমাঞ্চকর ছিল! গীতসংহিতা ২৩:১ পদের কথাগুলো আমার মধ্যে আগ্রহ জাগিয়ে তুলেছিল: “সদাপ্রভু [“যিহোবা,” NW] আমার পালক, আমার অভাব হইবে না।” আমি মনে মনে ভাবতাম যে, ‘কে এই যিহোবা আর কেন তাঁকে একজন পালক বলা হয়েছে?’

আমার চোখ থেকে যেন “আঁইস” পড়ে গিয়েছিল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে আমরা বোম্বে চলে যাই, যা ৫৫০ মাইলেরও (৯০০ কিমি) বেশি দূরে অবস্থিত। সেখানে ১৯৪৫ সালে, দুজন যিহোবার সাক্ষি আমার বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসে এবং তাকে বাইবেল বিষয়ক একটা পুস্তিকা দিয়ে যায়। ঠিক যেমন তপ্ত মাটি বৃষ্টির জল শুষে নেয়, তেমনই বাবা আগ্রহের সঙ্গে এটি পড়েন এবং এটির বার্তাকে গ্রহণ করেন আর তিনি অন্যান্য কান্নাড়াভাষী লোকের কাছে এটির বার্তাকে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন। ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে, একটা ছোট্ট অধ্যয়ন দল বৃদ্ধি পেয়ে বোম্বের প্রথম কান্নাড়াভাষী মণ্ডলীতে পরিণত হয়।

বাবা ও মা সন্তান হিসেবে আমাদেরকে বাইবেলের মনোযোগী ছাত্র ও উত্তম শিক্ষক হতে শিখিয়েছিল। প্রত্যেক দিন, তারা আমাদের সঙ্গে প্রার্থনা ও অধ্যয়ন করার জন্য সুযোগ বের করে নিত। (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬, ৭; ২ তীমথিয় ৩:১৪-১৬) একদিন আমি যখন বাইবেল পড়ছিলাম, রূপকভাবে বললে, তখন আমার চোখ থেকে যেন “আঁইস” পড়ে গিয়েছিল। (প্রেরিত ৯:১৮) আমি শিখেছিলাম যে, যিহোবাকে পালকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, কারণ তিনি তাঁর উপাসকদের পরিচালনা দেন, খাদ্য জোগান এবং সুরক্ষা করেন।—গীতসংহিতা ২৩:১-৬; ৮৩:১৮, NW.

যিহোবা আমার হাত ধরেছেন

১৯৫৬ সালে বোম্বেতে সেই স্মরণীয় সম্মেলন হওয়ার অল্পকিছু সময় পরেই আমি বাপ্তিস্ম নিয়েছিলাম। ছয় মাস পর, আমি আমার দাদা প্রভাকরের উদাহরণ অনুসরণ করেছিলাম এবং পূর্ণসময়ের একজন সুসমাচার প্রচারক হয়ে উঠেছিলাম। যদিও আমি অন্যদেরকে বাইবেলের সত্য জানানোর জন্য উৎসুক ছিলাম কিন্তু যখনই আমি আমার বিশ্বাস সম্বন্ধে কথা বলার চেষ্টা করতাম, তখনই আমার গলা শুকিয়ে যেত। আমি তোতলাতে শুরু করতাম আর আমার গলা কাঁপতে থাকত। ‘একমাত্র যিহোবার সাহায্যেই আমি এই কাজ করতে পারব!’ আমি নিজে নিজে চিৎকার করে বলতাম।

কানাডার মিশনারি দম্পতি হোমার এবং রুথ ম্যাককেইয়ের মাধ্যমে যিহোবার কাছ থেকে সাহায্য এসেছিল, যারা ১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যিহোবার সাক্ষিদের মিশনারি স্কুলে যোগ দিয়েছিল। পরিচর্যা শুরু করার পর আমি যখন অনভ্যস্তভাবে আমার প্রথম পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলাম, তখন তারা রূপকভাবে আমার হাত ধরেছিল। রুথ ঘরে ঘরে তুলে ধরার উপস্থাপনাটি নিয়মিতভাবে আমার সঙ্গে অনুশীলন করতেন। তিনি খুব ভালোভাবেই জানতেন যে, আমার স্নায়ুগুলোকে কীভাবে শান্ত করা যায়। আমার কাঁপতে থাকা হাত ধরে তিনি বলতেন, “ভয়ের কিছু নেই। এসো আমরা পরের ঘরটাতে যাই।” তার আশ্বাসদায়ক স্বর শুনে আমি যেন প্রাণ ফিরে পেতাম।

একদিন, আমাকে জানানো হয় যে, এলিজাবেথ চক্রনারায়ণ নামে একজন বয়স্কা, অভিজ্ঞ বাইবেল শিক্ষিকা, পরিচর্যায় আমার সঙ্গী হবেন। আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল: ‘এই বোনের সঙ্গে আমি কীভাবে থাকব? তিনি তো আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়ো!’ কিন্তু, পরিশেষে তিনি ঠিক সেইরকম একজন সঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন, যেমনটা আমার প্রয়োজন ছিল।

“আমরা আসলে কখনোই একা নই”

আমাদের প্রথম কার্যভার ছিল ঐতিহাসিক শহর ঔরঙ্গবাদে, যা বোম্বে থেকে প্রায় ২৫০ মাইল (৪০০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত। শীঘ্র, আমরা বুঝতে পারি যে, সেই শহরে প্রায় দশ লক্ষ লোকের মধ্যে কেবল আমরা দুজন সাক্ষি। এ ছাড়া, আমাকে মারাঠি ভাষাও শিখতে হয়েছিল, যা সেই শহরের প্রধান ভাষা।

মাঝে মাঝে একাকিত্ব আমাকে গ্রাস করত আর তখন আমি মা-হারা শিশুর মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকতাম। কিন্তু, এলিজাবেথের মাতৃসুলভ স্বর আমাকে উৎসাহ প্রদান করত। “মাঝেমধ্যে আমরা হয়তো একাকী বোধ করতে পারি কিন্তু আমরা আসলে কখনোই একা নই,” তিনি বলতেন। “যদিও তুমি তোমার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার থেকে অনেক দূরে আছ, কিন্তু যিহোবা সবসময়ই তোমার সঙ্গে আছেন। তাঁকে তোমার বন্ধু করে তোলো আর তাহলে শীঘ্র তোমার একাকীত্ব দূর হয়ে যাবে।” আমি এখনও পর্যন্ত তার সেই পরামর্শকে মূল্যবান বলে মনে করি।

আমাদের কাছে যখন গাড়িভাড়ার জন্য বেশি টাকাপয়সা থাকত না, তখন আমাদেরকে প্রতিদিন ধুলোবালি এবং কাদার মধ্যে দিয়ে, গরমে ও ঠাণ্ডার মধ্যে দিয়ে ১২ মাইল (২০ কিমি) পর্যন্ত হাঁটতে হতো। গ্রীষ্মের সময় তাপমাত্রা প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে) পৌঁছাত। বর্ষাকালে সেই এলাকার বেশিরভাগ জায়গায়ই কয়েক মাস ধরে কর্দমাক্ত থাকত। কিন্তু, প্রায়ই আমাদের মনে হতো যে, আবহাওয়ার চেয়ে বরং লোকেদের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল।

আত্মীয় না হলে মহিলারা জনসমক্ষে পুরুষদের সঙ্গে কথাবার্তা বলত না এবং মহিলারা খুব কমই পুরুষদেরকে শিক্ষা দিত। তাই, আমরা উপহাস ও দুর্ব্যবহারের মুখোমুখি হতাম। প্রথম ছয় মাস ধরে সাপ্তাহিক বাইবেল সভার জন্য শুধু আমরা দুজনই মিলিত হতাম। পরবর্তী সময়ে, আগ্রহী ব্যক্তিরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে শুরু করেছিল। শীঘ্র, একটা ছোট্ট দল গঠিত হয়েছিল। কেউ কেউ এমনকী আমাদের সঙ্গে পরিচর্যায়ও যোগ দিত।

“তোমার দক্ষতাকে আরও বাড়িয়ে তোলো”

প্রায় আড়াই বছর পর, আমাদেরকে পুনরায় বোম্বেতে কার্যভার দেওয়া হয়। যদিও এলিজাবেথ প্রচার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু আমাকে বলা হয়েছিল যেন আমি আমার বাবাকে সাহায্য করি, যিনি সেই সময়ে আমাদের বাইবেল সাহিত্যাদি কান্নাড়া ভাষায় অনুবাদ করার জন্য একমাত্র অনুবাদক ছিলেন। তিনি আমার সাহায্য পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিলেন, যেহেতু মণ্ডলীতে তার অনেক দায়িত্ব ছিল।

১৯৬৬ সালে আমার বাবা-মা আমাদের পুরোনো বাড়ি উড়ুপিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বোম্বে ছাড়ার সময় বাবা বলেছিলেন: “শোনো মা, তোমার দক্ষতাকে আরও বাড়িয়ে তোলো। সহজ-সরলভাবে ও স্পষ্টভাবে অনুবাদ কোরো। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখিও না এবং নম্রতা বজায় রাখো। যিহোবার ওপর নির্ভরতা রাখো।” আমার প্রতি এটাই ছিল তার শেষ উপদেশ, কারণ উড়ুপিতে ফিরে যাওয়ার কিছুদিন পরেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। এমনকী এখনও পর্যন্ত আমি আমার অনুবাদের কাজে ঠিক সেটাই করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

“তোমার কি ঘর-সংসার করতে ইচ্ছে হয় না?”

রীতি অনুযায়ী, ভারতের বাবা-মায়েরা তাদের ছেলে ও মেয়েরা বেশ অল্পবয়সি থাকতেই তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে থাকে আর তারা তাদেরকে একটা পরিবার গড়ে তুলতে উৎসাহিত করে। তাই, প্রায়ই আমাকে জিজ্ঞেস করা হতো: “তোমার কি ঘর-সংসার করতে ইচ্ছে হয় না? বয়স হয়ে গেলে তোমাকে কে দেখবে? তুমি কি একাকিত্ব বোধ করবে না?”

বার বার এইরকম মন্তব্য শুনে মাঝেমধ্যে আমি আবেগগতভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তাম। যদিও লোকেদের সামনে আমি আমার অনুভূতিগুলোকে লুকিয়ে রাখতাম, কিন্তু যখনই আমি একা থাকতাম, তখনই আমি হৃদয় উজাড় করে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করতাম। এটা জেনে আমি অনেক সান্ত্বনা লাভ করেছিলাম যে, আমি অবিবাহিত বলে আমার অভাব রয়েছে, যিহোবা এমনটা মনে করেন না। কোনো বিক্ষেপ ছাড়াই তাঁকে সেবা করার বিষয়ে আমার যে-দৃঢ়সংকল্প ছিল, তা পুনরায় শক্তিশালী করার জন্য আমি যিপ্তহের মেয়ে ও সেইসঙ্গে যিশুর কথা—যারা দুজনেই অবিবাহিত ছিল এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা পালনে পুরোপুরি রত ছিল, তাদের কথা—চিন্তা করতাম।—যোহন ৪:৩৪.

যিহোবার কাছ থেকে এক উপহার

এলিজাবেথ এবং আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম। তিনি ২০০৫ সালে, ৯৮ বছর বয়সে মারা যান। বৃদ্ধ বয়সে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির কারণে বাইবেল পড়তে পারতেন না বলে, তিনি দিনের বেশিরভাগ সময়ই ঈশ্বরের কাছে একান্তে ও দীর্ঘসময় ধরে প্রার্থনা করতেন। মাঝে মাঝে আমি মনে করতাম যে, তিনি বুঝি তার ঘরে বসে কারো সঙ্গে শাস্ত্রপদ নিয়ে আলোচনা করছেন, কিন্তু তিনি আসলে যিহোবার সঙ্গে কথা বলতেন। যিহোবা তার কাছে এক বাস্তব ব্যক্তি ছিলেন আর তিনি এমনভাবে জীবনযাপন করতেন যেন তিনি তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। আমি শিখতে পেরেছি যে, এটাই হচ্ছে যিপ্তহের মেয়ের মতো ঈশ্বরের সেবায় অটল থাকার চাবিকাঠি। আমার যৌবনকালে এবং আমার সমস্ত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমাকে প্রশিক্ষণ এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য এইরকম একজন বয়স্কা ও পরিপক্ব বোনকে জোগানোর জন্য আমি যিহোবার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ।—উপদেশক ৪:৯, ১০.

যিহোবার সেবা করতে গিয়ে আমি কত আশীর্বাদই না উপভোগ করেছি, ঠিক যেমন যিপ্তহের মেয়েও করেছিলেন! ‘একাগ্রমনে প্রভুতে আসক্ত থাকিবার’ সময়ে অবিবাহিত থাকা এবং বাইবেলের পরামর্শ মেনে চলা আমাকে এক সমৃদ্ধ ও পরিতৃপ্তিদায়ক জীবনযাপন করতে সমর্থ করেছে।—১করিন্থীয় ৭:৩৫. (w১১-E১২/০১)

[২৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

১৯৫০-এর দশকে বোম্বেতে আমার বাবা জনসাধারণের উদ্দেশে একটা বক্তৃতা দিচ্ছেন

[২৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

এলিজাবেথ মারা যাওয়ার কয়েক দিন আগে তার সঙ্গে

[২৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

১৯৬০ সালে বোম্বেতে বাইবেলভিত্তিক একটা বক্তৃতা সম্বন্ধে প্রচারণা করার সময়

[২৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

আমাদের অনুবাদ অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে