সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

তিনি একগুঁয়ে ছিলেন কিন্তু শেষে বাধ্য হয়েছিলেন

তিনি একগুঁয়ে ছিলেন কিন্তু শেষে বাধ্য হয়েছিলেন

আপনাদের সন্তানদের শিক্ষা দিন

তিনি একগুঁয়ে ছিলেন কিন্তু শেষে বাধ্য হয়েছিলেন

তুমি কি কখনো একগুঁয়ে হয়েছো এবং বাধ্য হতে চাওনি? * তুমি হয়তো টেলিভিশনে এমন একটা অনুষ্ঠান দেখেছো, যেটা দেখতে তোমার বাবা কিংবা মা তোমাকে বারণ করেছিল। তুমি হয়তো পরে এটা নিয়ে চিন্তা করেছো ও অবাধ্য হওয়ার জন্য তোমার খারাপ লেগেছে। প্রথমে বাধ্য হতে চাননি এরকম একজন ব্যক্তি হলেন নামান। এসো আমরা দেখি যে, কীভাবে তাকে আর একগুঁয়ে না হতে সাহায্য করা হয়েছিল।

কল্পনা করো, আমরা ৩,০০০ বছরেরও বেশি আগে বাস করছি। নামান হলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ অরামীয় সেনাপতি। তিনি সৈন্যদেরকে আদেশ দিতেন আর তারা তার কথা মেনে চলত। কিন্তু নামান এক ভয়ঙ্কর চর্মরোগে আক্রান্ত হন, যেটাকে কুষ্ঠরোগ বলা হয়। এর কারণে তাকে বিভৎস দেখায় আর সম্ভবত তিনি খুব কষ্টও পান।

নামানের স্ত্রীর ইস্রায়েল থেকে নিয়ে আসা ছোট্ট এক পরিচারিকা রয়েছে। একদিন সেই মেয়েটি তার কর্ত্রীকে তার দেশে থাকা ইলীশায় নামে একজন ব্যক্তির কথা বলে। সে বলে যে, তিনি নামানকে ভালো করে দিতে পারেন। নামান যখন এ কথা শোনেন, তখন তিনি সঙ্গেসঙ্গে ইলীশায়ের কাছে যেতে চান। অনেক উপহার নিয়ে তিনি তার সৈন্যদের সঙ্গে ইস্রায়েলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি ইস্রায়েলের রাজার কাছে গিয়ে তাকে জানান যে, কেন তিনি সেখানে এসেছেন।

ইলীশায় এ কথা শোনেন এবং রাজার কাছে এক বার্তা পাঠিয়ে জানান যে, তিনি যেন নামানকে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। নামান যখন ইলীশায়ের বাড়িতে আসেন, তখন তিনি শুধুমাত্র একজন বার্তাবাহককে পাঠিয়ে তাকে জানান যে, তিনি যেন যর্দন নদীতে গিয়ে সাত বার স্নান করেন। ইলীশায় বলেন যে, তা করলে নামান ভালো হয়ে যাবেন। এতে নামানের কেমন লেগেছিল বলে তুমি মনে করো?

তিনি রেগে যান। তাই তিনি একগুঁয়ে হন এবং ঈশ্বরের ভাববাদীর বাধ্য হতে চান না। তিনি তার সৈন্যদের বলেন: ‘স্নান করার জন্য আমাদের দেশে এর চেয়ে আরও ভালো নদী রয়েছে।’ নামান ফিরে যেতে শুরু করেন। কিন্তু তুমি কি জানো তার সৈন্যরা তাকে কী জিজ্ঞেস করে? ‘সেই ভাববাদী যদি আপনাকে কোনো কঠিন কাজ করতে বলতেন, তাহলে আপনি কি তা করতেন না? তাই তিনি যখন আপনাকে এরকম একটা সহজ কাজ করতে বলছেন, তখন সেটার বাধ্য হোন না কেন?’

নামান তার সৈন্যদের কথা শোনেন এবং তারা যা বলে, তিনি তা করেন। তিনি ছয় বার জলে নামেন ও ডুব দেন। সাত বারের বার জল থেকে উঠে নামান অবাক হয়ে যান—তার চর্মরোগ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে! তিনি আবার ভালো হয়ে যান! তক্ষুণি তিনি ইলীশায়কে ধন্যবাদ জানানোর জন্য প্রায় ৩০ মাইল (৪৮ কিলোমিটার) দূরে তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি ইলীশায়কে অনেক মূল্যবান উপহার দিতে চান কিন্তু ভাববাদী কোনোকিছুই নিতে চান না।

তাই নামান ইলীশায়ের কাছে কিছু চান। তুমি কি জানো সেটা কী? ‘আমাকে দুটো অশ্বতরের’ বা খচ্চরের ‘ভারযোগ্য মৃত্তিকা নিয়ে যেতে দিন।’ তুমি কি জানো কেন তিনি সেটা চান? নামান বলেন যে, তিনি ঈশ্বরের লোকেদের দেশ, ইস্রায়েল থেকে নেওয়া মাটির ওপরে ঈশ্বরের উদ্দেশে উপহার উৎসর্গ করতে চান। এরপর নামান প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি যিহোবা ছাড়া অন্য কোনো দেবতাকে আর কখনো উপাসনা করবেন না! এখন আর তিনি একগুঁয়ে নন বরং সত্য ঈশ্বরের বাধ্য হতে ইচ্ছুক রয়েছেন।

তাহলে তুমি কি বুঝতে পারছো, কীভাবে তুমিও নামানের মতো হতে পারো? তুমি যদি কখনো তার মতো একগুঁয়ে হয়ে থাকো, তাহলে তুমিও নিজেকে পরিবর্তন করতে পারো। তুমি সাহায্য নিতে পারো আর তাহলে তুমি আর কখনো একগুঁয়ে থাকবে না। (w১২-E ০৬/০১)

তোমার বাইবেল থেকে পড়ো

২ রাজাবলি ৫:১-১৯

লূক ৪:২৭

[পাদটীকা]

^ আপনি যদি সন্তানের সঙ্গে এই প্রবন্ধটি পড়েন, তাহলে ড্যাশগুলো আপনাকে একটু থামতে ও সন্তানকে তার মনের কথা প্রকাশ করার জন্য উৎসাহ দেওয়ার বিষয়টা মনে করিয়ে দেয়।