সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যখন আপনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন

যখন আপনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন

“ডাক্তার যখন আমাকে বলেন যে, আমার ফুসফুসে ও কোলোনে ক্যান্সার ধরা পড়েছে, তখন আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে, আমি মরে যাব। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর আমি ভেবেছিলাম: ‘এটা ঠিক যে, আমি কখনো কল্পনাও করিনি আমার প্রতি এমনটা ঘটবে; কিন্তু এখন এটা সহ্য করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।’”—লিন্ডা, বয়স ৭১ বছর।

“আমি এমন একটা যন্ত্রণাদায়ক রোগে ভুগছি যার কারণে আমার মুখের বাঁ-দিকের স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে কষ্ট এতটাই তীব্র হয় যে, আমি ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় ভুগি। অনেক সময় আমি একাকিত্ব বোধ করেছি আর এমনকী আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করেছি।”—এলিজ, বয়স ৪৯ বছর।

যদি আপনি অথবা আপনার কোনো প্রিয়জন এমন এক গুরুতর অসুস্থতায় ভোগেন যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, তাহলে আপনি জানেন যে, এটা কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে। গুরুতর অসুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যক্তির মানসিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। বিশেষ করে, ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় হলে, চিকিৎসা পাওয়া ও তার খরচ জোগানো কঠিন হলে অথবা ওষুধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে আপনার ভয় ও উদ্‌বিগ্নতা আরও বেড়ে যেতে পারে। একজন ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি যে-কষ্ট পান তার সঙ্গে এই মানসিক যন্ত্রণাও কখনো কখনো সহ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা কোথা থেকে সাহায্য পেতে পারি? অনেকে লক্ষ করেছে যে, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা এবং বাইবেলে পাওয়া সান্ত্বনাদায়ক পদগুলো পড়ার মাধ্যমে তারা সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছে। এ ছাড়া, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের দেখানো প্রেম ও সমর্থনের মাধ্যমে আপনি সান্ত্বনা লাভ করতে পারেন।

যে-বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে

৫৮ বছর বয়সি রবার্ট বলেন: “ঈশ্বরের প্রতি আস্থা রাখুন আর তিনি আপনাকে অসুস্থতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবেন। যিহোবার কাছে প্রার্থনা করুন। আপনার অনুভূতি তাঁকে জানান আর তাঁর কাছে পবিত্র আত্মা চান। পরিবারের প্রতি ইতিবাচক ও উৎসাহজনক মনোভাব বজায় রাখা এবং অসুস্থতা সত্ত্বেও শান্ত থাকার জন্য সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করুন।”

রবার্ট বলেন: “আপনার পরিবার যখন আপনার পাশে থাকে তখন আপনার কষ্ট অনেক কমে যায়। প্রতিদিন আমাকে কেউ না কেউ ফোন করে জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছ?’ আমার বন্ধুরাও আমাকে উৎসাহ দেয় আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেক দূরে থাকে। তারা যখন আমার কথা জিজ্ঞেস করে তখন আমার খুব ভালো লাগে আর এটা আমাকে বেঁচে থাকার কারণ জোগায়।”

আপনি যখন আপনার অসুস্থ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান তখন লিন্ডা যা বলেছেন তা মনে রাখুন। তিনি বলেন: “একজন অসুস্থ ব্যক্তিও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চান আর তিনি হয়তো সবসময় তার অসুস্থতা সম্বন্ধে কথা বলতে চান না। তাই তার সঙ্গে সাধারণ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন।”

ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া শক্তি, বাইবেল থেকে পাওয়া সান্ত্বনা আর সেই সঙ্গে পরিবার ও বন্ধুদের জোগানো প্রেমময় সমর্থনের মাধ্যমে আমরা এই আস্থা রাখতে পারি যে, গুরুতর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বেঁচে থাকার কারণ রয়েছে।