সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সত্যের অন্বেষণ করা

সত্যের অন্বেষণ করা

সত্য জানা আমাদের জীবন রক্ষা করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, বিবেচনা করে দেখুন যে, এই প্রশ্নটার উত্তর আমাদের জীবনের উপর কোন প্রভাব ফেলেছে: সংক্রামক রোগ কীভাবে ছড়ায়?

হাজার হাজার বছর ধরে কেউই এই প্রশ্নের উত্তর জানত না আর এর পাশাপাশি বিভিন্ন মহামারি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু, একসময় বিজ্ঞানীরা সত্য জানতে পেরেছে। তারা প্রমাণ দিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইসমস্ত রোগের মূল কারণ হল জীবাণু—অণুজীব, যেমন ব্যাকটিরিয়া অথবা ভাইরাস। এই একটা সত্য জানার ফলে লোকেরা অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে এবং অনেক রোগের চিকিৎসা করতে সমর্থ হয়েছে আর এভাবে লক্ষ লক্ষ লোক আগের চেয়ে আরও বেশি দিন বেঁচে থাকতে এবং আরও উত্তম স্বাস্থ্য উপভোগ করতে পেরেছে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের বিষয়ে কী বলা যায়? পরবর্তী প্রশ্নগুলো সম্বন্ধে সত্যের অন্বেষণ করা আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

  • ঈশ্বর কে?

  • যিশু খ্রিস্ট কে?

  • ঈশ্বরের রাজ্য কী?

  • ভবিষ্যতে কী রয়েছে?

লক্ষ লক্ষ মানুষ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেয়েছে এবং তাদের জীবনের মান উন্নত করেছে। আপনিও এই প্রশ্নগুলোর উত্তর থেকে উপকার লাভ করতে পারেন।

আপনি কি সত্য খুঁজে পেতে পারেন?

আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, ‘কোনো বিষয়ে সত্য খুঁজে বের করা কীভাবে সম্ভব?’ সত্যি বলতে কী, অনেক বিষয়ে সত্য খুঁজে বের করা যেন আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠছে। কেন?

সরকার, ব্যাবসায়িক জগৎ অথবা প্রচারমাধ্যম সত্য কথা বলে, এমনটা অনেক লোকই বিশ্বাস করে না। তাদের সামনে যে-সমস্ত মতামত, অর্ধসত্য অথবা সম্পূর্ণ মিথ্যা বিষয়কে নির্ভরযোগ্য তথ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়, সেগুলো থেকে সত্য বিষয়টা আলাদা করাকে তারা কঠিন বলে মনে করে। এই জগতের লোকেরা একে অন্যকে বিশ্বাস করে না এবং বেশিরভাগ তথ্যই ভুল। তাই কোনটা আসলে সত্য আর এমনকী তাদের জন্য সেটার অর্থ কী, সেই বিষয়েও লোকেদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

এইরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা সম্ভব। কীভাবে? আপনি কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য যা-কিছু করে থাকেন, সেই একই বিষয়গুলো করার মাধ্যমে।

আপনি যেভাবে সত্যের অন্বেষণ করতে পারেন

প্রতিদিনই আপনি কিছুটা হলেও সত্যের অন্বেষণ করেন। জেসিকার পরিস্থিতি বিবেচনা করুন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের চিনাবাদামে অ্যালার্জি আছে আর তা এতটাই মারাত্মক যে, এমনকী সামান্য একটু চিনাবাদামের প্রোটিনও ওর জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।’ তাই, কোনো খাবার কেনার আগে জেসিকাকে নিশ্চিত হয়ে নিতে হয় যে, সেই খাবার তার মেয়ের জন্য নিরাপদ কি না। তিনি বলেন, “খাবারে কী কী উপকরণ রয়েছে, তা পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে আমি খাবারের গায়ে দেওয়া লেবেল খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি। এরপর আমি আরও গবেষণা করি আর কোনোভাবে সেই খাবারের সঙ্গে চিনাবাদামের প্রোটিন মিশিয়ে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য আমি এমনকী সেই খাবার প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গেও যোগাযোগ করি। এ ছাড়া, কোম্পানি যেভাবে খাবার প্রস্তুত করে, সেটার উপর আমি নির্ভর করতে পারি কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য আমি অন্যান্য নির্ভরযোগ্য উৎসগুলোতেও গবেষণা করে দেখি।”

আপনার ক্ষেত্রে প্রতিদিন সত্যের অন্বেষণ করা জেসিকার মতো ততটা গুরুত্বপূর্ণ না-ও হতে পারে। কিন্তু, জেসিকার মতো আপনিও আপনার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য পরবর্তী পদ্ধতিটা কাজে লাগাতে পারেন:

  • সঠিক তথ্য কী, তা জানুন।

  • অতিরিক্ত গবেষণা করুন।

  • তথ্যের উৎসগুলো বিশ্বাসযোগ্য কি না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হোন।

এই একই পদ্ধতি আপনাকে জীবনের বড়ো বড়ো প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্য সাহায্য করতে পারে। কীভাবে?

সত্যের এক অদ্বিতীয় বই

বাইবেলের সত্যের অন্বেষণ করার সময়ও জেসিকা একইরকম পদ্ধতি কাজে লাগান, যেটা তিনি তার মেয়ের খাবারের অ্যালার্জির বিষয়ে গবেষণা করার সময় করে থাকেন। তিনি বলেন, “মনোযোগ দিয়ে পড়া এবং ভালোভাবে গবেষণা করা আমাকে বাইবেলের সত্য খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।” জেসিকার মতোই লক্ষ লক্ষ লোক, এই প্রশ্নগুলোর বিষয়ে বাইবেল কী বলে, তা জানতে পেরেছে:

  • আমরা কেন এই পৃথিবীতে আছি?

  • আমরা মারা গেলে আমাদের কী হয়?

  • দুঃখকষ্টের কারণ কী?

  • সমস্ত দুঃখকষ্ট শেষ করার জন্য ঈশ্বর কী করছেন?

  • আমরা কীভাবে সুখী পারিবারিক জীবন লাভ করতে পারি?

আপনি বাইবেল পড়ার এবং অনলাইনে www.pr418.com-এ অতিরিক্ত গবেষণা করার মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলোর এবং অন্যান্য প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পেতে পারেন।