সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমার কুকুরের জন্য বিস্কুট

আমার কুকুরের জন্য বিস্কুট

যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন শহরে নিক নামে একজন ব্যক্তি থাকেন। তিনি বলেন, “এটা ২০১৪ সালের কথা; আমার দুটো কুকুর ছিল, যাদের আমি ব্যাবসায়িক এলাকায় ঘোরাতে নিয়ে যেতাম। সেখানে আমি প্রায়ই যিহোবার সাক্ষিদের দেখতে পেতাম। তারা ট্রলির পাশে দাঁড়িয়ে থাকত। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো জামাকাপড় পরে থাকত আর সবসময় হাসিমুখে থাকত।

তারা আমার কুকুর দুটোকে আদর করত। একদিন, ইলেন নামে একজন সাক্ষি, যিনি ট্রলির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি আমার কুকুরকে বিস্কুট খাওয়ান। এরপর থেকে আমরা যখনই সেখান দিয়ে যেতাম, আমার কুকুর দুটো টানতে টানতে তাদের দিকে নিয়ে যেত কারণ ওরা জানত, সেখানে গেলেই ওরা বিস্কুট পাবে।

কয়েক মাস ধরে এমনটাই চলে। আমার কুকুর দুটো বিস্কুট খেতে পছন্দ করত আর আমি সাক্ষিদের সঙ্গে দু-চারটে কথা বলতে পছন্দ করতাম। তবে, আমি তাদের সঙ্গে খুব বেশি কথা বলতাম না। এক তো আমি জানতাম না, যিহোবার সাক্ষিরা কী বিশ্বাস করে আর ইতিমধ্যেই আমার বয়স ৭০-রেরও বেশি ছিল। তার উপর আমি মনে করতাম, শুধু বাইবেল পড়লেই চলবে কারণ চার্চগুলোর উপর থেকে আমার ভরসা উঠে গিয়েছিল।

সেই সময় আমি শহরের অন্যান্য এলাকাতেও যিহোবার সাক্ষিদের দেখতাম। তারাও ট্রলির পাশে দাঁড়িয়ে থাকত আর সবার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলত। আমি তাদের যা প্রশ্ন করতাম, তারা বাইবেল থেকেই সেগুলোর উত্তর দিত। এই কারণে আমি ধীরে ধীরে তাদের উপর ভরসা করতে শুরু করি।

একদিন, ইলেন আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার কী মনে হয়, ঈশ্বর কি মানুষের আনন্দের জন্য জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন?’ আমি বলি, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই!’ তিনি আমাকে যিশাইয় ১১:৬-৯ পদ দেখান। এরপর থেকে আমি বাইবেলের বিষয়ে আরও জানতে চাইতাম। কিন্তু, তখনও আমি ভাবতাম, সাক্ষিদের কাছ থেকে বইপত্র নেব কি নেব না।

এরপর, ইলেন এবং তার স্বামী ব্রেন্টের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে আমার ভালো কথাবার্তা চলে। যদিও আমরা অনেকক্ষণ ধরে কথা বলতাম না, কিন্তু আমি তাদের কাছ থেকে বাইবেলের বিষয়ে অনেক কিছু শিখি। তারা আমাকে মথি থেকে প্রেরিত বই পর্যন্ত পড়ে দেখতে বলেন কারণ তা হলে আমি জানতে পারব, খ্রিস্টের শিষ্য হওয়ার অর্থ কী। আমি বাইবেলের সেই বইগুলো পড়ি। এর কিছুদিন পর, আমি ব্রেন্ট আর ইলেনের সঙ্গে অধ্যয়ন করতে শুরু করি। এটা ২০১৬ সালের কথা।

প্রতি সপ্তাহে বাইবেল অধ্যয়ন করতে এবং সভায় যেতে আমার খুব ভালো লাগত। এগুলো থেকে আমি শিখতাম, বাইবেল আসলে কী বলে আর এর ফলে, আমি খুব খুশি হতাম। এর প্রায় এক বছর পর আমি বাপ্তিস্ম নিই এবং একজন যিহোবার সাক্ষি হয়ে উঠি। এখন আমার বয়স ৭৯ বছর আর আমি বলতে পারি যে, আমি সঠিক পথ খুঁজে পেয়েছি। আমি যিহোবাকে ধন্যবাদ দিই যে, তিনি আমাকে তাঁর পরিবারে গ্রহণ করেছেন।”