সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল: একটি বই আমাদের সঠিক নির্দেশনা দেয়

কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল: একটি বই আমাদের সঠিক নির্দেশনা দেয়

আমরা যা মনে করি অথবা অন্যেরা যা মনে করে, আমরা যখন সেটার উপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নিই, তখন আমরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারি না যে, সেই সিদ্ধান্ত সবসময় সঠিক হবে। পবিত্র শাস্ত্র বাইবেল আমাদের জানায়, কেন এমনটা হয়। এ ছাড়া, বাইবেল আমাদের সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। এই নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা জীবনে সুখী হতে পারি এবং আনন্দ খুঁজে পেতে পারি।

আমাদের ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রয়োজন

বাইবেলে যিহোবা a ঈশ্বর আমাদের জানান, মানুষকে এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়নি যে, তারা নিজে নিজে তাদের সঠিক পথ বাছাই করতে পারে। এর পরিবর্তে তিনি চান, মানুষ যেন তাঁর কথা শোনে। (যিরমিয় ১০:২৩) তাই, তিনি সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য বাইবেলে ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আমাদের ভালোবাসেন আর চান না, আমরা এমন খারাপ সিদ্ধান্ত নিই, যেগুলো আমাদের জীবনে সমস্যা নিয়ে আসে এবং আমাদের দুঃখ দেয়। (দ্বিতীয় বিবরণ ৫:২৯; ১ যোহন ৪:৮) সবচেয়ে বড়ো বিষয় হল, সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তাঁর অগাধ প্রজ্ঞা ও জ্ঞান রয়েছে আর তিনি মানুষের নৈতিক নির্দেশনার জন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন। (গীতসংহিতা ১০০:৩; ১০৪:২৪) তবুও, ঈশ্বর কখনো মানুষকে তাঁর মান অনুযায়ী চলার জন্য জোর করেন না।

যিহোবা ঈশ্বর প্রথম মানব দম্পতি আদম ও হবাকে প্রকৃত সুখ পাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, সেই সবকিছুই জুগিয়েছিলেন। (আদিপুস্তক ১:২৮, ২৯; ২:৮, ১৫) এ ছাড়া, তিনি তাদের কিছু সাধারণ নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং আশা করেছিলেন, যেন তারা সেগুলো মেনে চলে। কিন্তু তারা তাঁর নির্দেশনা মেনে চলবে কি না, সেটা তিনি তাদের উপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন। (আদিপুস্তক ২:৯, ১৬, ১৭) দুঃখের বিষয় হল, ঈশ্বরের মান অনুসরণ করার পরিবর্তে তারা নিজেদের মান অনুযায়ী চলা বেছে নিয়েছিল। (আদিপুস্তক ৩:৬) এর পরিণতি কী হয়েছে? মানুষ যখন নিজেদের জন্য কোনটা ঠিক ও কোনটা ভুল, তা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন কি তারা আরও ভালো কিছু লাভ করেছে? না। ইতিহাস প্রমাণ দেয়, ঈশ্বরের মান অগ্রাহ্য করে তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করেছে।—উপদেশক ৮:৯.

আমরা যেখানেই বসবাস করি না কেন অথবা যে-পরিবারেই বড়ো হয়ে উঠি না কেন, আমরা যদি বাইবেলের নির্দেশনা অনুসরণ করি, তা হলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭; “ সমস্ত লোকের জন্য একটা বই” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।) এই ক্ষেত্রে বাইবেল কীভাবে আমাদের সাহায্য করে, তা বিবেচনা করুন।

কেন বাইবেলকে “ঈশ্বরের বাক্য” বলা হয়, সেই সম্বন্ধে আরও জানুন।—১ থিষলনীকীয় ২:১৩. jw.org ওয়েবসাইটে বাইবেলের গ্রন্থকার কে? শিরোনামের ভিডিওটা দেখুন।

যেভাবে বাইবেল ঈশ্বরের নির্দেশনা সম্বন্ধে জানায়

বাইবেল আমাদের জানায়, শুরু থেকে ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কেমন ছিল। এটি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল; কোনটা উপকারী আর কোনটা ক্ষতিকর। (গীতসংহিতা ১৯:৭, ১১) বাইবেল থেকে আমরা এমন নীতিগুলো পাই, যেগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো হয়ে যায় না আর তা আমাদের রোজকার জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

উদাহরণ হিসেবে, হিতোপদেশ ১৩:২০ পদের পরামর্শ বিবেচনা করুন: “জ্ঞানীদের সহচর হও, জ্ঞানী হইবে; কিন্তু যে হীনবুদ্ধিদের বন্ধু, সে ভগ্ন হইবে।” এই নীতি প্রাচীন কালে যেমন প্রযোজ্য ছিল, বর্তমানেও প্রযোজ্য। বাইবেলে এই ধরনের প্রচুর ব্যাবহারিক এবং মূল্যবান নীতি পাওয়া যায়।—“ বাইবেলের অনন্ত প্রজ্ঞা” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।

কিন্তু আপনি হয়তো অবাক হয়ে এই প্রশ্ন করতে পারেন, “কীভাবে আমি নিশ্চিত হতে পারি যে, বাইবেলের পরামর্শ আমাকে সাহায্য করবে?” পরবর্তী প্রবন্ধে কিছু বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে বিবেচনা করা হবে।

a ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নাম হল যিহোবা।—গীতসংহিতা ৮৩:১৮, NW.