সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য

স্কুলে যেতে ভালো না লাগলে আমি কী করব?

স্কুলে যেতে ভালো না লাগলে আমি কী করব?

 তুমি হয়তো বলতে পার, কড়া শিক্ষক, সঙ্গীসাথিদের চাপ, পরীক্ষার প্রচণ্ড চাপ এবং পাহাড় সমান হোমওয়ার্কের কারণে তোমার স্কুলে যেতে ভালো লাগে না আর তোমার এমনটা মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক। a রেচেল b নামে এক কিশোরী মেয়ে বলে:

 “স্কুল ছাড়া যেকোনো জায়গায় যেতে আমার ভালো লাগে, যেমন সমুদ্রের বিচে ঘোরা, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, এমনকী ঘরে বাব-মাকে রান্নার কাজে বা ঘরবাড়ি পরিষ্কারে সাহায্য করা!”

 রেচেলের মতো তোমারও একইরকম মনে হতে পারে যে, স্কুলের বছরগুলো জেলে কাটানোর মতো আর যতক্ষণ না তুমি স্কুলের পড়া শেষ করছ, ততক্ষণ তোমাকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতেই হবে। তাই, স্কুলের এই বছরগুলোকে কি তুমি আরও সহজ করে দেখতে পারো?

 তুমি কি জান? যখন স্কুলের প্রতি তুমি এক সঠিক মনোভাব গড়ে তুলবে তখন দেখবে, পরিস্থিতি একেবারে তোমার নিয়ন্ত্রণে আছে এবং স্কুলের বছরগুলো কাটানো তোমার কাছে আর ধৈর্যের পরীক্ষা বলে মনে হবে না। অন্যভাবে বলতে গেলে তুমি দেখতে পাবে, ভবিষ্যতে তোমার প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো আরও বাড়াতে ও উন্নত করতে তোমার স্কুল-ই তোমাকে সাহায্য করছে।

 স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে আরও ভালো মনোভাব গড়ে তুলতে নীচের বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দাও:

 তোমার পড়াশোনা। স্কুলে তুমি যত ভালো করে পড়াশোনা করবে, তত দেখবে যে, ভবিষ্যতে কাজের জায়গায় বা অন্য ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধান করার জন্য অন্যের উপর নির্ভর না করে বরং নিজেই তা করতে পারবে। তাই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখো,’যদিও স্কুলে এমন কিছু বিষয় আছে যা আমার ভালো লাগে না, তারপরও আমার পড়াশোনা থেকে আমি কোন কোন উপকার পাচ্ছি?’

 বাইবেলের নীতি: “উপকারজনক প্রজ্ঞা এবং চিন্তা করার ক্ষমতাকে রক্ষা করো।”—হিতোপদেশ ৩:২১.

 আরও তথ্য জানার জন্য, “What if I’m Failing at School?” শিরোনামের প্রবন্ধটি দেখো।

 তোমার অভ্যাস। স্কুলের সমস্ত শিক্ষা তোমাকে এমন গুণ ও অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে, যেগুলো বড়ো হয়ে তোমার কাজে লাগবে যেমন, সঠিকভাবে সময় ব্যবহার করা, আত্মশাসন করা এবং এক পরিশ্রমী ব্যক্তি হতে শেখা। তাই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখো:’কোন কোন উপায়ে স্কুলের রুটিনে চলা আমাকে আত্মশাসন করতে আর কাজে দক্ষ হয়ে উঠতে সাহায্য করছে? এই বিষয়গুলোতে আমি কীভাবে আরও উন্নতি করতে পারি?’

 বাইবেলের নীতি: “সব ধরনের পরিশ্রম থেকেই ভালো ফল লাভ করা যায়।”—হিতোপদেশ ১৪:২৩.

 আরও তথ্য জানার জন্য, “How Can I Manage My Time?” শিরোনামের প্রবন্ধটি দেখো।

 অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করা। স্কুলে সহপাঠীদের সঙ্গে মেলামেশা, তোমাকে সহমর্মিতা ও অন্যদের প্রতি সম্মান গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। জোসুয়া নামের এক যুবক বলে, “সবার সঙ্গে ভাববিনিময় করতে শেখা, ইতিহাস ও বিজ্ঞান পড়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। এই দক্ষতা তুমি সারাজীবন ধরে কাজে লাগাতে পারো।” নিজেকে প্রশ্ন করে দেখো, ’অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করার ব্যাপারে স্কুলে আমি কী শিক্ষা পেয়েছি, এমনকী তাদের সঙ্গেও, যাদের জীবনযাপনের ধরন ও বিশ্বাস আমার থেকে আলাদা?’

 বাইবেলের নীতি: “সকল লোকের সঙ্গে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করো।”—ইব্রীয় ১২:১৪.

 আরও তথ্য জানার জন্য, “How Can I Improve My Conversation Skills?” শিরোনামের প্রবন্ধটি দেখো।

 তোমার ভবিষ্যৎ। তোমার যা ক্ষমতা রয়েছে সেই অনুযায়ী তুমি কিছু লক্ষ্য স্থাপন করতে পারো আর সেক্ষেত্রে স্কুল তোমাকে সাহায্য করতে পারে। ব্রুক নামে এক যুবতী বলে: ”আমি যেমন ট্রেনিং পেয়েছিলাম, স্কুলে তোমাদেরও কোনো নির্দিষ্ট বিষয় ট্রেনিং দেওয়া হতে পারে, যাতে পড়াশোনা শেষ হলে তোমরা একটা কাজ খুঁজে পেতে পারো।” তাই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখো: ’স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর, কীভাবে আমি আমার খরচ চালাতে পারি? আর ওই ধরনের কাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য কোন ট্রেনিং নিলে ভালো হবে?’

 বাইবেলের নীতি: “তোমার পথের প্রতি ভালোভাবে মনোযোগ দাও”—হিতোপদেশ ৪:২৬, পাদটীকা।

a এই প্রবন্ধে আলোচিত নীতিগুলো সেইসমস্ত ছেলে-মেয়েদেরও সাহায্য করবে, যারা স্কুলে না গিয়ে ঘরে থেকেই পড়াশোনা করে।

b কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।