যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য
কেন বাবা-মা আমাকে আমার মতো করে কোনো মজাই করতে দেয় না?
ছুটির দিনে তোমার বন্ধুরা তোমাকে একটা পার্টিতে ডেকেছে। তুমি যখন বাবা-মায়ের কাছে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস কর, তখন তারা দৃঢ়ভাবে “না” বলে দেয় আর তাতে তুমি একটুও অবাক হওনি কারণ আগের বারও তারা একই উত্তর দিয়েছিল।
এই প্রবন্ধে জানা যাবে
কেন আমার বাবা-মা সবসময় না বলে?
তোমার হয়তো মনে হতে পারে যে, তোমার বাবা-মা সবসময় তোমাকে না বলছে আর তারা যেন তোমাকে কোনো মজাই করতে দিতে চায় না।
মারিয়া নামের এক কিশোরী মেয়ে যখন প্রথমবারের মতো ফোন হাতে পায়, তারও একইরকম মনে হয়েছিল। সে বলে: “প্রথম থেকেই আমার বাবা আমাকে অনেক নিয়ম দিয়ে দিয়েছিল যেমন, কোন কোন অ্যাপ ডাউনলোড করব, কাদের সঙ্গে কথা বলব আর এমনকী কতক্ষণ ধরে কথা বলব। আর অন্যদিকে, আমার বন্ধুরা তাদের ফোন নিয়ে যা-খুশি তাই করতে পারত।”
একটু চিন্তা করে দেখো: মারিয়ার বাবা কি তাকে সত্যিই মজা করতে বারণ করছিলেন, না কি তার বারণ করার পিছনে অন্য কোনো কারণ ছিল?
এটা করে দেখো: মা-বাবার জায়গায় নিজেকে রেখে কল্পনা কর যে, তুমি তোমার কিশোর বয়সি সন্তানকে একটা নতুন ফোন কিনে দিয়েছ। এখন তুমি কোন কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত হবে? তোমার সন্তানকে রক্ষা করার জন্য তুমি কোন কোন নিয়ম দেবে? আর সে যদি বলে, তুমি তাকে মজা করতে দাও না, তা হলে তুমি কী করবে?
“বাবা সবসময় বলতেন, ‘নিজেকে আমার জায়গায় রেখে দেখো।’ এভাবে চিন্তা করার ফলে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, বাবার দেওয়া নিয়মগুলোর পিছনে কোন কারণগুলো ছিল আর সেগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, যদি আমার সন্তান থাকত, তা হলে বাবার মতো আমিও তাদের জন্য একই নিয়ম তৈরি করতাম।”—তানিয়া।
কীভাবে আমি বাবা-মাকে রাজি করাতে পারি?
“চিৎকার চ্যাঁচামেচি করে তেমন কোনো লাভ হয় না আর এতে তোমার আর তোমার বাবা-মায়ের মন আরও খারাপ হবে। তুমি যদি তর্ক কর, তা হলে তোমার বাবা-মায়ের মনে হবে যে, তুমি এখনও ছোটোই আছ এবং তোমাকে আর বেশি স্বাধীনতা দেওয়া যাবে না।”—রিচার্ড।
“বাবা-মায়ের দেওয়া যে-কোনো নিয়মের পিছনে ভালো উদ্দেশ্যই থাকে। আমার মা-বাবা আমাকে মজা করতে বারণ করতেন না বরং তারা চাইতেন, আমি যেন মজা করতে গিয়ে কোনো সমস্যায় না পড়ি।”—আইভি।
বাইবেলের নীতি: “মূর্খ ব্যক্তি তার মনের সমস্ত রাগ প্রকাশ করে দেয়, কিন্তু বিজ্ঞ ব্যক্তি শান্তভাবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।”—হিতোপদেশ ২৯:১১.
”বাবা আমাকে ফোন ব্যবহারে কিছু নিয়ম দিয়েছিলেন, তবে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে সেগুলোই করতাম। আমি মাঝরাতে বন্ধুদের ম্যাসেজ পাঠানোর আর সেই অ্যাপগুলো ডাউনলোড করার চেষ্টা করতাম, যেগুলো বাবা আমাকে বারণ করেছিল। পরে বাবা বিষয়গুলো জানতে পেরে আরও নিয়ম চাপিয়ে দেয় কারণ বাবা আমার উপর আর ভরসা রাখতে পারছিল না। তাই, নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করা হল বোকামির কাজ।”—মারিয়া।
“ধৈর্য ধরো। কোনো একটা নিয়মের রদবদল করতে হলে তোমার বাবা-মায়ের সময় লাগতে পারে কিন্তু তারা যদি দেখে তুমি সেগুলো ঠিকঠাক মেনে চলছ, তা হলে তারা তোমাকে আরও বেশি স্বাধীনতা দিতে পারে।”—মেলিন্ডা।
বাইবেলের নীতি: “তোমরা সমস্ত বিষয়ে নিজ নিজ বাবা-মায়ের বাধ্য হও।”—কলসীয় ৩:২০.
“একটা বিষয় নিয়ে বেশি টানাহ্যাঁচড়া করতে থাকলে পরিস্থিতি ভালো হবে না আর তুমি যা চাইছ, সেটাও পাবে না।”—নাতালিয়া
“বাবা-মায়েরা চায় যেন তুমি চিন্তাভাবনা করে একটা ভালো সিদ্ধান্ত নাও। তাই, আমি যখন বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলি, তখন আবেগ না দেখিয়ে বরং যুক্তি দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি। যখন এভাবে আমি কথা বলি, তখন তারা আমার কথা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে।”—যোষেফ।
বাইবেলের নীতি: “তোমার বাবা এবং তোমার মাকে সমাদর কোরো।”—ইফিষীয় ৬:২.