কেন যিহোবার সাক্ষিরা তাদের কিছু বোধগম্যতায় রদবদল করেছে?
আমরা সবসময়ই বাইবেলকে আমাদের বিশ্বাসের প্রধান ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে এসেছি আর তাই আমাদের শাস্ত্র সম্বন্ধীয় বোধগম্যতা স্পষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের বিশ্বাসে রদবদল করেছি। a
এই পরিবর্তনগুলো বাইবেলের হিতোপদেশ ৪:১৮ পদে বলা নীতির সঙ্গে মিল রেখে করা হয়ে থাকে যেখানে বলা হয়েছে: “কিন্তু ধার্ম্মিকদের পথ প্রভাতীয় জ্যোতির ন্যায়, যাহা মধ্যাহ্ন পর্য্যন্ত উত্তরোত্তর দেদীপ্যমান হয়।” ঠিক যেমন সূর্য ওঠার সময় চারিদিকের দৃশ্য ধীরে ধীরে দেখা যায়, তেমনই ঈশ্বরও তাঁর নির্ধারিত সময়মতো আমাদেরকে আধ্যাত্মিক বোধগম্যতা ধীরে ধীরে লাভ করতে দেন। (১ পিতর ১:১০-১২) বাইবেলে যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, তিনি ‘শেষকালে’ আধ্যাত্মিক বোধগম্যতা লাভের গতি আরও বাড়িয়েছেন।—দানিয়েল ১২:৪.
তাই আমাদের বোধগম্যতায় কোনো রদবদল ঘটলে, সেটা আমাদেরকে অবাক করে দেয় না অথবা আমাদেরকে বিচলিতও করে না। প্রাচীনকালে ঈশ্বরের উপাসকদেরও কোনো কোনো বিষয়ে ভুল ধারণা ছিল আর তারা ভুল প্রত্যাশাগুলো করেছিল। এইজন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে রদবদল করতে হয়েছিল।
মোশি, ঈশ্বরের নির্ধারিত সময়ের ৪০ বছর আগেই ইজরায়েল জাতির উদ্ধারকর্তা হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলেন।—প্রেরিত ৭:২৩-২৫, ৩০, ৩৫.
শিষ্যেরা, মশীহের মৃত্যু এবং পুনরুত্থান সম্বন্ধে করা ভবিষ্যদ্বাণী বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল।—যিশাইয় ৫৩:৮-১২; মথি ১৬:২১-২৩.
প্রথম শতাব্দীর কিছু খ্রিস্টানের “যিহোবার দিন” কখন আসবে সেই সম্বন্ধে ভুল ধারণা ছিল।—২ থিষলনীকীয় ২:১, ২.
ঈশ্বর পরবর্তী সময়ে তাদের ভুল ধরণাগুলো সংশোধন করেছিলেন আর আমরাও প্রার্থনা করি যাতে আমাদের জন্যও ক্রমাগত তিনি তা করতে থাকেন।—যাকোব ১:৫.
a বাইবেল বোঝার ক্ষেত্রে আমাদের বোধগম্যতায় হওয়া এই রদবদলগুলো আমরা লুকাই না। আসলে আমরা সেগুলোর রেকর্ড রাখি ও প্রকাশ করি। উদাহরণস্বরূপ আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে, সার্চ বক্সে “Beliefs Clarified” লিখে আমাদের সাহিত্যাদির মধ্যে রদবদল হওয়া বোধগম্যতা খুঁজে দেখুন।