কেন বাংলা শিখবেন?
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের কুইন্সে, ২৩ জন যিহোবার সাক্ষি একটা কোর্সে যোগ দিয়েছে, যাতে তারা বাংলা ভাষা বলতে ও পড়তে পারে, যে-ভাষায় বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু অংশের লোকেরা কথা বলে থাকে। এই সাক্ষিরা ভাষা শেখার এমন কোর্সে যোগ দিয়েছে, যেটা খুবই দ্রুত কোনো নতুন ভাষা শেখার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এই কোর্সে সহসাক্ষিরাই তাদের ভাষা শিখতে সাহায্য করেছে।
এই বাংলা ভাষা শেখার কোর্স ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে আয়োজিত ভাষা শেখার বিভিন্ন কোর্সগুলোর মধ্যে কেবল একটা। এই ধরনের কোর্সে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? এর উদ্দেশ্য হল এমন ব্যক্তিদের বাইবেলের বার্তা জানানো, যারা অন্য ভাষায় কথা বলে।
মাগালি নামে একজন ছাত্রী, যিনি বাংলা কোর্সে যোগ দিয়েছিলেন, বলেন: “আমাদের এলাকায় বাংলায় কথা বলে এমন লোকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। লোকেরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খোঁজে যেমন, কেন এত দুঃখকষ্ট রয়েছে? আমি যখন ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ঈশ্বরের চমৎকার প্রতিজ্ঞাগুলোর বিষয়ে লোকদের বলি, তখন তারা আরও জানতে চায়। কিন্তু, ভাষা সবসময়ই একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।”
ছাত্ররা যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিখতে পারে, সেটার জন্য প্রশিক্ষকরা ভাষা শেখানোর জন্য এমন পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেছিল, যেগুলো ছাত্ররা খুবই উপভোগ করেছে। যেমন একটা পদ্ধতি হল স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, যেমন হাত-পা ব্যবহার করতে করতে ভাষা শেখা।
প্রতিটা ক্লাসের শেষে, ছাত্ররা নতুন ভাষা সম্বন্ধে যা-কিছু শেখে, সেগুলো দ্রুত কাজে লাগায়। তারা তাদের এলাকার বাংলাভাষী লোকদের সঙ্গে দেখা করে এবং বাইবেলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানায়। মাগালি বলেন: “লোকেরা অবাক হয়ে যায় এবং জানতে চায়, কেন আমি তাদের ভাষা শিখছি। আমি যে এই ভাষা শেখার জন্য সময় ব্যয় করছিলাম, এটা তাদের বুঝতে সাহায্য করেছিল যে, আমাদের বার্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”
যিহোবার সাক্ষিরা যে শুধুমাত্র ভিন্ন ভাষা শেখে এমন নয়, কিন্তু তারা ভাষা শেখানোর কোর্সে প্রশিক্ষক হওয়ার জন্যও প্রশিক্ষণ লাভ করে। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র শাখার এলাকাতেই ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় ৩৮টা ভাষা শেখানোর সেমিনারে ২,২৪৪ জন ব্যক্তিকে প্রশিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র শাখার এলাকায় ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যিহোবার সাক্ষিরা ১,৫০০-রেরও বেশি কোর্সের আয়োজন করেছে, যেগুলোর মাধ্যমে ৩৭টা ভাষা শেখানো হয়েছে।