সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যেভাবে আপনার দান ব্যবহার করা হয়

অতিরিক্ত বিষয়ের দ্বারা অভাব পূরণ হয়

অতিরিক্ত বিষয়ের দ্বারা অভাব পূরণ হয়

১ অক্টোবর, ২০২০

 যিহোবার সাক্ষিরা ২০০টারও বেশি দেশে ধর্মীয় এবং মানবিক কাজ সম্পাদন করে থাকে। কিন্তু, সেগুলোর মধ্যে মাত্র ৩৫টার মতো দেশই তাদের খরচ মেটানোর জন্য স্থানীয়ভাবে যথেষ্ট দান লাভ করে থাকে। তবে, সীমিত সম্পদ রয়েছে এমন দেশগুলোতে কীভাবে খরচ মেটানো হয়?

 পরিচালকগোষ্ঠী বিবেচনা করে দেখে যে, যিহোবার উপাসনা এবং সুসমাচার প্রচার করার জন্য সারা পৃথিবীতে থাকা যিহোবার সাক্ষিদের কী প্রয়োজন রয়েছে। তাই, কীভাবে প্রাপ্ত দান ব্যবহার করা যায়, সেই বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পনা করা হয়। কোনো কোনো শাখা অফিস স্থানীয় কাজের জন্য যতটা অর্থের প্রয়োজন, সেটার চেয়ে বেশি লাভ করে থাকে। তখন তারা সেই অতিরিক্ত অর্থ এমন দেশগুলোতে পাঠিয়ে দেয়, যেখানে যথেষ্ট অর্থ নেই। এই ব্যবস্থা প্রাথমিক খ্রিস্টানদের উদাহরণ অনুসরণ করে করা হয়েছে, যারা একে অন্যদের সাহায্য করেছিল “যেন তাদের অভাব পূরণ হয়।” (২ করিন্থীয় ৮:১৪) তারা তাদের কাছে থাকা অতিরিক্ত অর্থ অন্য খ্রিস্টানদের দিয়েছিল, যারা অভাবের মধ্যে ছিল।

 আমাদের যে-ভাই ও বোনেরা অন্য শাখা থেকে দানের অতিরিক্ত অর্থ লাভ করে থাকে, তারা কেমন অনুভব করে? উদাহরণ স্বরূপ, তানজানিয়ার জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি লোক দিনে দুই মার্কিন ডলারের চেয়েও কম অর্থে জীবনযাপন করে থাকে। কিন্তু, সেখানে মাফিঙ্গা মণ্ডলীর ভাই-বোনেরা যখন অন্য শাখা থেকে দানের অতিরিক্ত অর্থ লাভ করেছিল, তখন তারা সেটা ব্যবহার করে কিংডম হল মেরামত করেছিল। সেই মণ্ডলী এভাবে লিখেছিল: “মেরামত করার পর থেকে সভায় যোগদানকারীদের সংখ্যায় অসাধারণ বৃদ্ধি হয়েছে! আমরা যিহোবার সংগঠন এবং পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে থাকা আমাদের ভাই-বোনদের দেখানো উদার মনোভাবের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ, যেটার ফলে আমরা উপাসনা করার জন্য এই সুন্দর একটা জায়গা উপভোগ করতে পারছি।”

 শ্রীলঙ্কায় আমাদের কিছু ভাই-বোন মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে খাদ্যাভাবের মুখোমুখি হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে, ইমারা ফার্নান্দো এবং তার ছেলে ইনোশ। অন্যান্য দেশ থেকে প্রাপ্ত দানের ফলে তারা প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী লাভ করে। একটা হাতে তৈরি কার্ডে তারা লিখেছিল: “এই কঠিন সময়ে যে-ভাই ও বোনেরা আমাদের প্রতি প্রেম দেখিয়েছে, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমরা সত্যিই এই পরিবারের অংশ হতে পেরে আনন্দিত এবং আমরা প্রার্থনা করি যেন এই শেষকালে যিহোবা আমাদের সমস্ত ভাই-বোনকে সাহায্য করেন।”

ইমারা ও ইনোশ ফার্নান্দো

 আমাদের ভাই-বোনেরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের কাছে যা-কিছু আছে, সেগুলো তারা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছুক হয়। উদাহরণ স্বরূপ, ইনোশ নিজের জন্য একটা ছোট্ট দানবাক্স তৈরি করে, যাতে সেও অভাবের মধ্যে রয়েছে এমন পরিবারগুলোকে সাহায্য করার জন্য দান করতে পারে। গুয়াদালুপে আলভারেজ একই উদার মনোভাব দেখান। তিনি মেক্সিকোর একটা রাজ্যে বাস করেন, যেখানে খুব কম লোকই ন্যূনতম মজুরি পায় কিংবা এমনকী নিয়মিতভাবে আয় করতে পারে না। তবুও, তিনি যতটুকু পারেন, ততটুকু দান করেন। তিনি লেখেন: “যিহোবার মঙ্গলভাব এবং অনুগত প্রেমের জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি জানি যে, আমার দান অন্যদের দানের সঙ্গে যোগ করা হবে এবং অভাবে রয়েছে এমন ভাই-বোনদের জন্য ব্যবহার করা হবে।”

 বিভিন্ন শাখা অফিস প্রয়োজন রয়েছে এমন জায়গায় টাকা পাঠাতে পেরে খুশি হয়। ব্রাজিলের শাখা কমিটিতে কার্যরত অ্যান্থনি কারভালু বলেন, “অনেক বছর ধরে আমাদের দেশে কাজের জন্য অন্যান্য দেশের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিতে হয়েছিল। এই সাহায্য পাওয়ার পর আমরা অবিশ্বাস্য বৃদ্ধি দেখেছি। এখন আমাদের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে এবং আমরা অন্যদের সাহায্য করার বিশেষ সুযোগ লাভ করেছি। ব্রাজিলে আমাদের ভাইয়েরা বিশ্বব্যাপী প্রচার কাজকে লক্ষ করে এবং যিশুর আত্মত্যাগী শিষ্য হিসেবে এখন অন্যদের সাহায্য করার জন্য কী করতে পারে, তা তারা বুঝতে পেরেছে।”

 কীভাবে যিহোবার সাক্ষিরা তাদের সেই ভাই-বোনদের সাহায্য করতে পারে, যারা অভাবের মধ্যে রয়েছে? সরাসরি কোনো বিদেশি শাখা অফিসে টাকা পাঠানোর মাধ্যমে নয় বরং বিশ্বব্যাপী কাজের জন্য দান দেওয়ার মাধ্যমে। আর মণ্ডলীতে “বিশ্বব্যাপী কাজ” নামক দানবাক্সে দান দিতে পারেন অথবা donate.pr418.com-এর মাধ্যমেও তা করতে পারেন। এই সমস্ত দানের জন্য আমরা অনেক কৃতজ্ঞ।