সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ভাই রাদারফোর্ড ১৯১৯ সালে ওহাইওর সিডার পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন

১৯১৯—এক-শো বছর আগে

১৯১৯—এক-শো বছর আগে

উনিশ-শো উনিশ সালে মহাযুদ্ধ (পরবর্তী সময়ে যেটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হিসেবে পরিচিত হয়) শেষ হয়, যেটা চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল। এর আগের বছরের শেষের দিকে জাতিগুলো লড়াই করা বন্ধ করে দেয় এবং ১৯১৯ সালে ১৮ জানুয়ারি প্যারিস শান্তি সম্মেলন শুরু হয়। সেই সম্মেলনে ভার্সাইল চুক্তি করা হয়, যেটার ফলে জার্মানির বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনীর যুদ্ধ বন্ধ হয়। সেই চুক্তিপত্রে ১৯১৯ সালে ২৮ জুন স্বাক্ষর করা হয়।

এ ছাড়া, সেই চুক্তি লিগ অব নেশন্‌স নামে এক নতুন সংগঠন গঠন করে। সেই সংগঠনের লক্ষ্য ছিল, “আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রবর্তন করা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা অর্জন করা।” খ্রিস্টীয়জগতের বেশিরভাগ ধর্মই সেই সংগঠনকে সমর্থন করে। আমেরিকার ফেডারেল কাউন্সিল অফ দ্যা চার্চ অফ ক্রাইস্ট সেই সংগঠন সম্বন্ধে এই বলে প্রশংসা করে, “পৃথিবীতে ঈশ্বরের রাজ্যের রাজনৈতিক প্রকাশ।” এই কাউন্সিল প্যারিস শান্তি সম্মেলনে তার প্রতিনিধিদের পাঠানোর মাধ্যমে সেই সংগঠনকে সমর্থন করে। সেই প্রতিনিধিদের মধ্যে একজন বলেন, এই সম্মেলন ছিল “মানবইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের শুরু।”

এক নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছিল ঠিকই কিন্তু সেটার পিছনে সেই শান্তি সম্মেলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের হাত ছিল না। ১৯১৯ সালে প্রচার কাজের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়, যখন যিহোবা তাঁর লোকেদের আগের চেয়েও বেশি প্রচার করার শক্তি জোগান। কিন্তু, এর আগে বাইবেল ছাত্রদের একটা বাধা অতিক্রম করতে হতো।

এক কঠিন সিদ্ধান্ত

জোসেফ এফ. রাদারফোর্ড

ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি-র পরিচালকদের বার্ষিক নির্বাচন ১৯১৯ সালে ৪ জানুয়ারি, শনিবারে হবে বলে ঠিক করা হয়। সেই সময়ে, ভাই জোসেফ এফ. রাদারফোর্ড যিহোবার লোকেদের নেতৃত্ব নিচ্ছিলেন এবং তাকে ও সেইসঙ্গে অন্যান্য সাত জন ভাইকে অন্যায্যভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টার কারাগারে বন্দি করা হয়। ভাইদের এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হতো, কারাগারে থাকা পরিচালকদেরই কি আবার নির্বাচন করা উচিত? অথবা তাদের জায়গায় কি অন্য ভাইদের নির্বাচন করা উচিত?

ইভ্যান্ডার জে. কাওয়ার্ড

কারাকক্ষে থাকাকালীন ভাই রাদারফোর্ড সংগঠনের ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি জানতেন, কোনো কোনো ভাই এইরকম মনে করে যে, অন্য কোনো ভাইকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করা সবচেয়ে ভালো হবে। এই কারণে যারা নির্বাচন করার জন্য একত্রিত হয়েছিল, তাদের উদ্দেশে তিনি একটা চিঠি লেখেন, যেখানে ভাই ইভ্যান্ডার জে. কাওয়ার্ডকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করার বিষয়ে তিনি সুপারিশ করেন। ভাই কাওয়ার্ডের বিষয়ে ভাই রাদারফোর্ড বলেন, তিনি একজন “শান্ত,” “বুদ্ধিমান,” এবং “প্রভুর প্রতি অনুগত” ব্যক্তি। তবে, ভাইদের মধ্যে অনেকে এই নির্বাচন ছয় মাস পরে করতে চায়। কারাগারে থাকা ভাইদের মুক্তির জন্য যে-ব্যক্তিরা আইনি বিষয়টা দেখাশোনা করছিল, তারাও এই পরামর্শের সঙ্গে একমত হয়। তারা কী করবে, সেই বিষয়ে তারা যখন আলোচনা করছিল, তখন কোনো কোনো ভাই নিরুৎসাহিত হয়ে যায়।

রিচার্ড এইচ. বারবার

এরপর যা ঘটেছিল, সেই বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ভাই রিচার্ড এইচ. বারবার বলেন, সেখানে উপস্থিত একজন ভাই এমন কিছু বলেন, যার ফলে উত্তেজনার পারদ একেবারে নীচে নেমে যায়। তিনি বলেন: “আমি আইনি বিষয়ে সমস্ত কিছু জানি না কিন্তু অনুগত থাকার জন্য কী প্রয়োজন, তা জানি। আর ঈশ্বর চান যেন আমরা ‘সদয় [‘অনুগত,’ NW]’ হই। আমরা সর্বোত্তম যে-উপায়ে ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য দেখাতে পারি, সেটা হল নির্বাচনের মাধ্যমে ভাই রাদারফোর্ডকে আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা।”—গীত. ১৮:২৫.

আলেকজান্ডার এইচ. ম্যাকমিলান

সহবন্দি ভাই এ. এইচ. ম্যাকমিলান পরবর্তী সময়ে স্মরণ করে বলেন, পরের দিন ভাই রাদারফোর্ড তার কারাকক্ষের দেওয়ালে নক করে বলেন, “হাত বাড়ান।” ভাই রাদারফোর্ড তারপর তার হাতে একটা টেলিগ্রাম দেন। ভাই ম্যাকমিলান দেখেন, সেটার মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত বার্তা আছে এবং তিনি দ্রুত সেটার অর্থ বুঝে যান। বার্তায় লেখা ছিল: “রাদারফোর্ড ওয়াইজ ভ্যান বারবার অ্যান্ডারসন বুলি অ্যান্ড স্পিল ডিরেক্টর ফার্স্ট থ্রি অফিসারস্‌ লাভ টু অল্‌।” এর অর্থ হল সমস্ত পরিচালককে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়েছে এবং ভাই জোসেফ রাদারফোর্ড ও ভাই উইলিয়াম ভ্যান অ্যামবার্গ পরিচালক হিসেবেই রয়েছেন। তাই, ভাই রাদারফোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেবা করে যাবেন।

মুক্তি!

সেই আট জন ভাই কারাগারে থাকার সময়ে বিশ্বস্ত বাইবেল ছাত্ররা ভাইদের মুক্তির জন্য সরকারের উদ্দেশে একটা আবেদনপত্রে লোকেদের স্বাক্ষর করতে বলে। সেই সাহসী বাইবেল ছাত্ররা ৭,০০,০০০ স্বাক্ষর একত্রিত করে। সেই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগেই ১৯১৯ সালের ২৬ মার্চ, বুধবার ভাই রাদারফোর্ড ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইদের মুক্তি দেওয়া হয়।

ভাই রাদারফোর্ডকে যারা বাড়িতে স্বাগত জানায়, তাদের উদ্দেশে একটা বক্তৃতায় তিনি বলেন: “আমি নিশ্চিত, আমরা সবাই যে-পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, সেটার অভিজ্ঞতা আমাদের আরও কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত করেছে। . . . আপনাদের লড়াই আপনাদের ভাইদের কারাগার থেকে মুক্ত করানো নয়। এই সমস্ত কাজের প্রকৃত উদ্দেশ্য সেটা নয়। . . . আপনারা যে-লড়াই করছেন, সেটার উদ্দেশ্য হল যিহোবাকে গৌরবান্বিত করা এবং যারা তা করেছে, তারা চমৎকার আশীর্বাদ লাভ করেছে।”

আমাদের ভাইদের পরীক্ষার আগের ও পরের পরিস্থিতিগুলো হয়তো এই ইঙ্গিত দেয় যে, যিহোবা বিষয়গুলো নির্দেশিত করছিলেন। ১৯১৯ সালের ১৪ মে, আপিল কোর্ট রায় দেয়: “এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের . . . পক্ষপাতহীনভাবে বিচার করা হয়নি, যা পাওয়ার অধিকার তাদের ছিল আর এই কারণে এই মামলা খারিজ করা হচ্ছে।” ভাইয়েরা গুরুতর অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল আর তাই, তাদের যদি কেবল রেহাই দেওয়া হতো অথবা তাদের শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হতো, তারপরও তাদের অপরাধী হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু, তাদের উপর থেকে মামলা তুলে নেওয়া হয় আর তাদের সমস্ত অপরাধের অভিযোগ থেকে মুক্ত করা হয়। আইনের চোখে তারা আর অপরাধী ছিল না। এর ফলে, ভাই রাদারফোর্ড মুক্তি পাওয়ার পর নিজের ওকালতি চালিয়ে যেতে পারেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি অনেক বার যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে যিহোবার লোকেদের হয়ে লড়েন।

প্রচার করার বিষয়ে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হওয়া

ভাই ম্যাকমিলান স্মরণ করে বলেন, “আমাদের প্রভু যতদিন না আমাদের স্বর্গে নিয়ে যাচ্ছেন, ততদিন আমরা চুপ করে বসে থাকতে চাই না। আমরা এটা উপলব্ধি করি, প্রভুর ইচ্ছা কী, তা বোঝার জন্য আমাদের কিছু করতে হবে।”

কিন্তু, প্রধান কার্যালয়ের ভাইয়েরা তাদের কাজ পুনরায় শুরু করতে পারছিল না, যেটা তারা বহু বছর ধরে করে এসেছে। কেন? কারণ তারা যখন কারাগারে ছিল, সেইসময়ে সাহিত্যাদি ছাপানোর জন্য ব্যবহৃত প্রিন্টিং প্লেটগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়। এটা খুবই হতাশাজনক ছিল আর কোনো কোনো ভাই এই বিষয়ে চিন্তিত ছিল যে, প্রচার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে কি না।

বাইবেল ছাত্রদের দ্বারা প্রচারিত রাজ্যের বার্তার প্রতি কি এখনও কোনো ব্যক্তির আগ্রহ রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ভাই রাদারফোর্ড একটা বক্তৃতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সবাইকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। ভাই ম্যাকমিলান বলেন, “যদি সেই সভায় কোনো ব্যক্তি না আসে, তা হলে আমরা জানব যে, প্রচার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।”

উনিশ-শো উনিশ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের খবরের কাগজে ভাই রাদারফোর্ডের “দুর্দশাগ্রস্ত মানবজাতির জন্য আশা” শিরোনামের বক্তৃতার বিজ্ঞাপন

১৯১৯ সালের ৪ মে, রবিবার, ভাই রাদারফোর্ড গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে “দুর্দশাগ্রস্ত মানবজাতির জন্য আশা” শিরোনামের একটা বক্তৃতা দেন। প্রায় ৩,৫০০ জন ব্যক্তি সেই বক্তৃতা শুনতে আসে এবং লোকেদের জায়গা দিতে না পারার কারণে শত শত ব্যক্তিকে ফিরে যেতে হয়। পরের দিন আরও ১,৫০০ জন ব্যক্তি বক্তৃতা শুনতে আসে। ভাইয়েরা তাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায়—লোকেরা আগ্রহী ছিল!

এরপর ভাইয়েরা যা করে, সেটা যিহোবার সাক্ষিদের প্রচার কাজকে প্রভাবিত করে, যা আজও আমরা দেখতে পাই।

ভবিষ্যতের বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত হওয়া

১৯১৯ সালের ১ আগস্ট প্রহরীদুর্গ পত্রিকায় ঘোষণা করা হয়, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ওহাইওর সিডার পয়েন্টে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মিজৌরি থেকে আসা ক্ল্যারেন্স বি. বিটি নামে একজন অল্পবয়সি বাইবেল ছাত্র স্মরণ করে বলেন, “সবাই এটা উপলব্ধি করেছিল যে, তাদের সেখানে যেতেই হবে।” ৬,০০০রেরও বেশি ভাই-বোন সেই সম্মেলনে যোগ দেয়। তারা যা আশা করে, সেটার চেয়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। যে-বিষয়টা এই সম্মেলনকে আরও বেশি রোমাঞ্চকর করে তোলে, সেটা হল ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি এরি লেকের কাছে বাপ্তিস্ম নেয়।

নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে স্বর্ণযুগ পত্রিকা বোঝাই করা একটা ট্রাকের সামনে ভাইয়েরা

১৯১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, সম্মেলনের পঞ্চম দিনে ভাই রাদারফোর্ড “সহশ্রমিকদের উদ্দেশে” শিরোনামের বক্তৃতায় একটা নতুন পত্রিকার বিষয়ে ঘোষণা করেন, যেটার নাম ছিল স্বর্ণযুগ * (ইংরেজি)। এটা “সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো জানাবে এবং কেন বড়ো বড়ো ঘটনাগুলো ঘটছিল, সেই বিষয়ে শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা দেবে।”

সমস্ত বাইবেল ছাত্রকে এই নতুন প্রকাশনা ব্যবহার করে সাহসের সঙ্গে প্রচার কাজ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়। কীভাবে সেই কাজ সংগঠিত করা হবে, সেই বিষয়ে একটা চিঠিতে ব্যাখ্যা করা হয়। সেটাতে লেখা ছিল: “প্রত্যেক বাপ্তাইজিত ব্যক্তি যেন এটা স্মরণে রাখে যে, এটা হল সেবা করার এক বিশেষ সুযোগ এবং তারা যেন এখনই এই সুযোগকে কাজে লাগায় আর জগতে প্রচার করার জন্য যথাসাধ্য করে।” অনেকে প্রচার করার এই আমন্ত্রণে সাড়া দেয়! ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যের উদ্যোগী প্রকাশকরা সেই নতুন পত্রিকার ৫০,০০০রেরও বেশি গ্রাহক লাভ করে।

উনিশ-শো উনিশ সালের ১ অক্টোবরে প্রকাশিত হওয়া স্বর্ণযুগ পত্রিকার প্রথম সংখ্যার প্রচ্ছদচিত্র

১৯১৯ সালের শেষের দিকে যিহোবার লোকেরা পুনরায় সংগঠিত হয় এবং শক্তি লাভ করে। এর পাশাপাশি, শেষকাল সম্বন্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্‌বাণী পরিপূর্ণ হয়। মালাখি ৩:১-৪ পদের ভবিষ্যদ্‌বাণী অনুযায়ী ঈশ্বরের লোকেদের পরীক্ষা করা এবং পরিশোধন করার কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়, যিহোবার লোকেরা ‘মহতী বাবিলের’ রূপক বন্দিত্ব থেকে মুক্ত হয় এবং যিশু ‘বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাসকে’ নিযুক্ত করেন। * (প্রকা. ১৮:২, ৪; মথি ২৪:৪৫) বাইবেল ছাত্ররা এখন যিহোবার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার জন্য প্রস্তুত।

^ অনু. 22 স্বর্ণযুগ পত্রিকার নাম পরিবর্তন করে ১৯৩৭ সালে সান্ত্বনা (ইংরেজি) এবং ১৯৪৬ সালে সচেতন থাক! (ইংরেজি) নাম দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমানে বাংলা ভাষায় সজাগ হোন! নামে পরিচিত।