সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অধ্যয়ন প্রবন্ধ ৩৫

‘তোমরা একে অন্যকে শক্তিশালী’ করে চলো

‘তোমরা একে অন্যকে শক্তিশালী’ করে চলো

“তোমরা এখন যেমন করছ, তেমনই একে অন্যকে উৎসাহিত ও শক্তিশালী করো।”—১ থিষল. ৫:১১.

গান ৫৩ একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা

সারাংশ *

১. প্রথম থিষলনীকীয় ৫:১১ পদ অনুযায়ী আমাদের সবাইকে কী করতে হবে?

 আপনি কি কখনো কিংডম হল নির্মাণ কাজে সাহায্য করেছেন? যখন সেটা তৈরি হয়েছিল আর আপনি প্রথম বার সভায় এসেছিলেন, তখন আপনি নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছিলেন, তাই না? আর গান গাওয়ার সময় আপনার চোখে হয়তো জলও চলে এসেছিল। অথবা আপনি যদি কিংডম হলের রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতের কাজে সাহায্য করে থাকেন, তা হলেও আপনি হয়তো অনেক খুশি হয়েছেন। যখন আমাদের কিংডম হলের অবস্থা খুব ভালো থাকে এবং দেখতে খুব সুন্দর লাগে, তখন যিহোবার অনেক গৌরব হয়। কিন্তু, আরেকটা কাজ আছে, যেটা বিল্ডিং মেরামত করার এবং সেটাকে শক্তিশালী রাখার চেয়ে আরও বেশি জরুরি। সেটা হল, একে অন্যকে উৎসাহিত ও শক্তিশালী করা। এটার মাধ্যমেও যিহোবার গৌরব হয়। প্রেরিত পৌল থিষলনীকীর খ্রিস্টানদের এমনটাই করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি তাদের যা বলেছিলেন, সেটা আমরা ১ থিষলনীকীয় ৫:১১ পদে পড়তে পারি। আর এটাই হল এই প্রবন্ধের মূল শাস্ত্রপদ।—পড়ুন।

২. এই প্রবন্ধে আমরা কী জানতে পারব?

পৌল ভাই-বোনদের জন্য চিন্তা করতেন এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতেন। এই কারণে তিনি তাদের উৎসাহিত ও শক্তিশালী করতে পেরেছিলেন। এই প্রবন্ধে আমরা জানতে পারব, কীভাবে তিনি ভাই-বোনদের সাহায্য করেছিলেন, যাতে তারা (১) পরীক্ষা সহ্য করতে পারে, (২) একে অন্যের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে পারে এবং (৩) যিহোবার উপর তাদের বিশ্বাস বাড়াতে পারে। আমরা এও শিখতে পারব, কীভাবে আমরা পৌলের মতো ভাই-বোনদের উৎসাহিত করতে পারি।—১ করি. ১১:১.

পৌল পরীক্ষা সহ্য করার জন্য ভাই-বোনদের সাহায্য করেছিলেন

৩. কীভাবে পৌল মনপ্রাণ দিয়ে যিহোবার সেবা করে গিয়েছিলেন?

পৌল ভাই-বোনদের খুব ভালোবাসতেন এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতেন। যখন অন্য ভাই-বোনেরা পরীক্ষার সঙ্গে লড়াই করছিল, তখন তিনি তাদের পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছিলেন কারণ তিনি নিজেও বিভিন্ন পরীক্ষা সহ্য করেছিলেন। একবার, পৌল আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই সময় তাকে নিজের এবং তার সঙ্গীদের চাহিদা মেটানোর জন্য কাজ করতে হয়েছিল। (প্রেরিত ২০:৩৪) পৌল তাঁবু নির্মাণের কাজ জানতেন। তাই, তিনি যখন করিন্থে এসেছিলেন, তখন তিনি আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লার সঙ্গে মিলে তাঁবু নির্মাণের কাজ করেছিলেন। কিন্তু, তিনি “প্রতি বিশ্রামবারে” সমাজগৃহে যেতেন এবং যিহুদি ও গ্রিকদের কাছে প্রচার করতেন। পরে, যখন সীল ও তীমথিয় সেখানে এসেছিলেন, তখন পৌল আরও উদ্যোগের সঙ্গে ‘ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করতে লাগলেন।’ (প্রেরিত ১৮:২-৫) পৌল অনেক পরিশ্রমী ছিলেন এবং নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য কাজও করেছিলেন। তবে, যিহোবার সেবা করা তার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর তিনি সেটা মনপ্রাণ দিয়ে করে গিয়েছিলেন। এই কারণেই তিনি ভাই-বোনদের এমনটা করার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। পৌল তাদের বলেছিলেন, তারা যেন জীবনের বিষয়ে এবং পরিবারের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো পূরণ করার বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে। এর পরিবর্তে, তারা যেন ‘বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর’ উপর মনোযোগ রাখে।—ফিলি. ১:১০.

৪. কীভাবে পৌল ও তীমথিয় পরীক্ষা সহ্য করতে ভাই-বোনদের সাহায্য করেছিলেন?

যখন থিষলনীকীতে নতুন নতুন মণ্ডলী তৈরি হয়েছিল, তখন এর কিছুসময় পর সেখানকার ভাইদের উপর বিরোধিতা করা হয়। জনতার একটা দল পৌল ও সীলকে ধরতে চেয়েছিল। যখন তারা তাদের ধরতে পারল না, তখন তারা কিছু ভাইদের ধরে ফেলল এবং তাদের ‘টানতে টানতে নগরাধ্যক্ষদের কাছে নিয়ে গেল এবং চিৎকার করে বলল: “এরা সকলে কৈসরের আইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।”’ (প্রেরিত ১৭:৬, ৭) একটু কল্পনা করুন, যখন এই সমস্ত কিছু নতুন ভাই-বোনেরা দেখছিল, তখন তারা কতটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। পৌল চাননি, তাদের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে যাক এবং তারা যিহোবার সেবা করা থেকে সরে পড়ুক। পৌল ও সীল ভাই-বোনদের সাহায্য করার জন্য সেখানে থাকতে পারতেন না। তাই, তারা একটা ব্যবস্থা করেছিলেন। তারা ভাই-বোনদের শক্তিশালী করার জন্য এবং তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তীমথিয়কে তাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। পৌল থিষলনীকীর ভাই-বোনদের উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘আমরা আমাদের ভাই ও সেইসঙ্গে ঈশ্বরের সেবক, যিনি খ্রিস্ট সম্বন্ধে সুসমাচার প্রচার করেন, সেই তীমথিয়কে তোমাদের কাছে পাঠালাম, যেন তিনি তোমাদের সান্ত্বনা প্রদান করেন আর এভাবে তোমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করেন। আর তোমাদের মধ্যে কেউই যেন এইসমস্ত ক্লেশের কারণে দুর্বল হয়ে না পড়ে।’ (১ থিষল. ৩:২, ৩) তীমথিয় নিজেও হয়তো লুস্ত্রায় এইরকমই তাড়না সহ্য করেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন, পৌল কীভাবে সেখানকার ভাই-বোনদের শক্তিশালী করেছিলেন। তাই, তীমথিয় থিষলনীকীর ভাই-বোনদের এই আশ্বাস দিতে পেরেছিলেন যে, যিহোবা তাদেরও সাহায্য করবেন আর একদিন সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যাবে।—প্রেরিত ১৪:৮, ১৯-২২; ইব্রীয় ১২:২.

৫. কীভাবে ভাই টোনি ব্রায়েন্টকে সাহায্য করেছিলেন? এর ফলে ব্রায়েন্ট কীভাবে উপকার পেয়েছিলেন?

পৌল আরেকটা উপায়ে ভাই-বোনদের শক্তিশালী করেছিলেন। যখন তিনি এবং বার্ণবা লুস্ত্রা, ইকনিয় ও আন্তিয়খিয়ায় ফিরে এসেছিলেন, তখন তারা “প্রতিটা মণ্ডলীতে প্রাচীনদের নিযুক্ত করেছিলেন।” (প্রেরিত ১৪:২১-২৩) সেই প্রাচীনেরা নিশ্চয়ই কঠিন সময়ে সেখানকার ভাই-বোনদের শক্তিশালী করেছিলেন। আজও প্রাচীনেরা এইরকমটাই করে থাকেন। ব্রায়েন্ট নামে একজন ভাই বলেন, কীভাবে একজন প্রাচীন তাকে শক্তিশালী করেছিলেন। তিনি বলেন: “যখন আমার বয়স ১৫ বছর ছিল, তখন বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে যায় এবং মাকে সমাজচ্যুত করা হয়। এমনটা মনে হচ্ছিল, যেন আমার আপন বলে আর কেউ নেই। আমি খুব দুঃখের মধ্যে থাকতাম।” সেই কঠিন সময়ে কোন বিষয়টা ব্রায়েন্টকে সাহায্য করেছিল? তিনি বলেন: “সেই সময় টোনি নামে একজন প্রাচীন আমাদের মণ্ডলীতে ছিলেন। সভাগুলোতে এবং অন্যান্য সময়ে যখনই তার সঙ্গে দেখা হত, তখনই তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতেন। তিনি আমাকে এমন ব্যক্তিদের সম্বন্ধে বলতেন, যারা পরীক্ষা সহ্য করেছিল, কিন্তু তারপরও আনন্দে ছিল। তিনি আমার সঙ্গে গীতসংহিতা ২৭:১০ পদ পড়েছিলেন। এ ছাড়া, তিনি আমার সঙ্গে হিষ্কিয়ের বিষয়ে প্রায়ই কথা বলতেন। হিষ্কিয়ের বাবা যিহোবার সেবা করতেন না। তারপরও, হিষ্কিয় যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন।” ভাই টোনির কথাগুলো থেকে ব্রায়েন্ট অনেক সাহায্য পেয়েছিলেন। তিনি বলেন: “ভাই টোনি আমাকে অনেক উৎসাহিত করেছিলেন আর এই কারণে, আমি পরবর্তী সময় পূর্ণসময়ের সেবা করতে শুরু করি।” প্রাচীনেরা, মণ্ডলীর ভাই-বোনদের উপর মনোযোগ দিন এবং চিন্তা করুন, আপনারা কাকে “উত্তম বাক্য” বলার দ্বারা উৎসাহিত করতে পারেন।—হিতো. ১২:২৫.

৬. কীভাবে পৌল প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানদের উৎসাহিত করেছিলেন?

পৌল প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানদের অতীতের বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে বলেছিলেন, যারা যিহোবার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা সহ্য করেছিল। পৌল তাদের “এক বড়ো সাক্ষিমেঘ” বলেছিলেন। (ইব্রীয় ১২:১, পাদটীকা) পৌল জানতেন, ভাই-বোনেরা যখন সেই বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সম্বন্ধে চিন্তা করবে, তখন তারা পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সাহস লাভ করবে এবং তারা তাদের মনোযোগ “জীবন্ত ঈশ্বরের নগর” অর্থাৎ ঈশ্বরের রাজ্যের উপর বজায় রাখতে পারবে। (ইব্রীয় ১২:২২) আজ আমরাও যখন এই বিষয়ে পড়ি যে, যিহোবা কীভাবে গিদিয়োন, বারক, দায়ূদ, শমূয়েল এবং অন্য উপাসকদের সাহায্য করেছিলেন, তখন আমরা অনেক সাহস লাভ করি। (ইব্রীয় ১১:৩২-৩৫) আমাদের সময়েও যিহোবা অনেক ভাই-বোনকে সাহায্য করেছেন। আমরা যখন তাদের বিষয়ে পড়ি, তখনও আমরা উৎসাহিত হই। যিহোবার সাক্ষিদের বিশ্বপ্রধান কার্যালয়ে প্রায়ই এমন চিঠি আসে, যেখানে ভাই-বোনেরা বলেছে যে, যখন তারা অন্য ভাই-বোনদের জীবনকাহিনি পড়ে, তখন তাদের বিশ্বাস কতটা শক্তিশালী হয়।

পৌল ভাই-বোনদের শিখিয়েছিলেন, কীভাবে শান্তি বজায় রাখা যায়

৭. রোমীয় ১৪:১৯-২১ পদে পৌল যে-পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেখান থেকে আপনি কী শিখতে পারেন?

আমরা যখন এমন কথা বলি এবং কাজ করি, যেটার মাধ্যমে মণ্ডলীতে শান্তি বজায় থাকে, তখন তা ভাই-বোনদের উৎসাহিত ও শক্তিশালী করে। যদি কোনো বিষয়ে অন্যদের মতামত আমাদের মতামতের চেয়ে আলাদা হয় এবং সেটা যদি বাইবেলের নীতিগুলোর বিরুদ্ধে না হয়, তা হলে আমরা একগুঁয়ে মনোভাব দেখাব না। প্রথম শতাব্দীর রোম মণ্ডলীতে এইরকম একটা বিষয় দেখা দিয়েছিল। সেখানে ন-যিহুদি আর সেইসঙ্গে যিহুদি খ্রিস্টানেরাও ছিল। সেই সময় পর্যন্ত মোশির ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গিয়েছিল এবং কোনো খাবারই অশুচি ছিল না। (মার্ক ৭:১৯) তাই, কিছু যিহুদি খ্রিস্টান সব কিছু খেতে শুরু করেছিল। কিন্তু, কিছু যিহুদি খ্রিস্টান এই বিষয়টা মেনে নিতে পারছিল না। এই কারণে ভাই-বোনেরা দু-দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। পৌল জানতেন, এইরকম বিষয়গুলোর কারণে অন্যদের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং মণ্ডলীর ভাই-বোনদের মধ্যে দূরত্ব চলে আসতে পারে। তাই, তিনি সেখানকার ভাই-বোনদের পরামর্শ দিয়েছিলেন: “মাংস খাওয়া বা দ্রাক্ষারস পান করা বা কোনো কিছু করা যদি তোমার ভাইয়ের বিশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়, তা হলে এইসমস্ত বিষয় না করাই উত্তম।” (পড়ুন, রোমীয় ১৪:১৯-২১.) পৌল চেয়েছিলেন যেন মণ্ডলীতে শান্তি বজায় থাকে। তাই, তিনি নিজেকেও পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, যাতে কারোরই বিশ্বাস দুর্বল হয়ে না পড়ে। (১ করি. ৯:১৯-২২) আমরাও এমনটা করতে পারি। যদি কোনো বিষয়ে অন্যদের মতামত আমাদের চেয়ে আলাদা হয় এবং সেটা বাইবেলের নীতিগুলোর বিরুদ্ধে না হয়, তা হলে আমরা একগুঁয়ে মনোভাব দেখাব না। এভাবে আমরা শান্তি বজায় রাখতে পারব।

৮. যখন মণ্ডলীতে একটা বড়ো বিষয় দেখা দিয়েছিল, তখন শান্তি বজায় রাখার জন্য পৌল কী করেছিলেন?

যখন মণ্ডলীতে কিছু বড়ো বিষয় দেখা দিয়েছিল, তখনও পৌল শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন। যেমন, কিছু ভাইয়ের মনে হচ্ছিল, যে-ন-যিহুদি ব্যক্তিরা খ্রিস্টান হয়েছিল, তাদেরও ত্বকচ্ছেদ করানো উচিত। আর এই বিষয়টা তারা যেকোনোভাবেই হোক রাজি করাতে চেয়েছিল। তাদের ভয় ছিল, এই ন-যিহুদি ব্যক্তিরা যদি এমনটা না করে, তা হলে বাইরের লোকেরা তাদের উপর আঙুল তুলবে। (গালা. ৬:১২) পৌল জানতেন, তারা অযথা বিষয়টা টেনে আনছে। ন-যিহুদি খ্রিস্টানদের ত্বকচ্ছেদ করানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু, পৌল নম্র ছিলেন। তাই, তিনি তার মতামত অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে অন্য “প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের” কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছিলেন, যারা সেই সময় জেরুসালেমে ছিলেন। (প্রেরিত ১৫:১, ২) এমনটা করার মাধ্যমে ভাইদের মধ্যে শান্তি বজায় ছিল এবং মণ্ডলীতেও এক আনন্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল।—প্রেরিত ১৫:৩০, ৩১.

৯. কীভাবে আমরা পৌলের মতো মণ্ডলীতে শান্তি বজায় রাখতে পারি?

আমাদের মণ্ডলীতেও কোনো বড়ো বিষয় দেখা দিতে পারে। এইরকম ক্ষেত্রে আমাদের কী করা উচিত? অন্যদের উপর নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে ভালো হবে যেন আমরা সেই ভাইদের কাছ থেকে পরামর্শ নিই, যাদের যিহোবা মণ্ডলীকে দেখাশোনা করার জন্য নিযুক্ত করেছেন। এ ছাড়া, আমরা আমাদের প্রকাশনাগুলো থেকে গবেষণা করতে পারি আর সংগঠন যে-নির্দেশনাগুলো দিয়েছে, তা পড়তে পারি। সেই নির্দেশনাগুলো মেনে চলার মাধ্যমে আমরা মণ্ডলীতে শান্তি বজায় রাখতে পারব।

১০. পৌল মণ্ডলীতে এক প্রেমময় ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আর কী করেছিলেন?

১০ পৌল মণ্ডলীতে এক প্রেমময় ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আরও কিছু করেছিলেন। তিনি ভাই-বোনদের দুর্বলতাগুলোর উপর নয় বরং তাদের ভালো গুণগুলোর উপর মনোযোগ দিয়েছিলেন। যেমন, তিনি যখন রোমের খ্রিস্টানদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছিলেন, তখন তিনি সেই চিঠির শেষে সেখানকার কিছু ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তাদের প্রশংসা করেছিলেন কিংবা তাদের সম্বন্ধে কিছু ভালো ভালো বিষয় লিখেছিলেন। পৌলের মতো আমাদেরও ভাই-বোনদের ভালো গুণগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং তাদের হৃদয় থেকে প্রশংসা করা উচিত। আমরা যদি তা করি, তা হলে আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী হবে, আমরা একে অন্যের নিকটে থাকতে পারব এবং আমাদের মধ্যে ভালোবাসা আরও গভীর হবে।

১১. আমাদের যদি কারো সঙ্গে মতের অমিল দেখা দেয়, তা হলে আমাদের কী করা উচিত?

১১ কখনো কখনো অভিজ্ঞ খ্রিস্টানদের মধ্যেও কোনো বিষয়ে মতের অমিল দেখা দিতে পারে। পৌল ও বার্ণবা খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু, একবার তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছিল। যখন তারা মিশনারি যাত্রার জন্য বের হচ্ছিলেন, তখন বার্ণবা মার্ককে তার সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পৌল এই বিষয়ে একদম রাজি ছিলেন না। এই বিষয়ে ‘তাদের মধ্যে এমন ঝগড়া হল যে, তারা একে অন্যের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেলেন।’ (প্রেরিত ১৫:৩৭-৩৯) কিন্তু, তারা জানতেন, মণ্ডলীতে শান্তি ও একতা বজায় রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই, তারা একে অন্যকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। পরে, পৌল তার চিঠিগুলোতে বার্ণবা ও মার্কের ভালো গুণগুলোর বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন। (১ করি. ৯:৬; কল. ৪:১০, ১১) পৌলের কাছ থেকে আমরা শিখতে পারি, আমাদের যদি কারো সঙ্গে মতের অমিল দেখা দেয়, তা হলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত আর তার ভালো গুণগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। এভাবে, মণ্ডলীতে শান্তি ও একতা বজায় থাকবে।—ইফি. ৪:৩.

পৌল ভাই-বোনদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করেছিলেন

১২. আমাদের ভাই-বোনদের কোন ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়?

১২ ভাই-বোনদের শক্তিশালী করার আরেকটা উপায় হল, যিহোবার উপর তাদের বিশ্বাসকে বাড়ানো। আজ অনেক ভাই-বোনের আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও সহপাঠী তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করে এবং তাদের সম্বন্ধে খারাপ কথা বলে বেড়ায়। কিছু ভাই-বোন হয়তো কোনো বড়ো রোগের সঙ্গে লড়াই করছে। আবার কিছু ভাই-বোন দুঃখের মধ্যে রয়েছে কারণ কোনো বিষয়ে তাদের হয়তো খুব খারাপ লেগেছে। কিছু ভাই-বোন দীর্ঘসময় ধরে যিহোবার সেবা করছে এবং অনেক বছর ধরে শেষ আসার জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছে। এগুলোর জন্য তাদের বিশ্বাস হয়তো দুর্বল হয়ে পড়ছে। প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানেরাও এইরকম কিছু পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছিল। এইরকম ক্ষেত্রে পৌল তাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার জন্য কী করেছিলেন?

কীভাবে আপনি পৌলের মতো অন্যদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করতে পারেন? (১৩ অনুচ্ছেদ দেখুন) *

১৩. কীভাবে পৌল সেই খ্রিস্টানদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করেছিলেন, যাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করা হত?

১৩ পৌল শাস্ত্র থেকে যুক্তি করে ভাই-বোনদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করেছিলেন। যে-যিহুদি লোকেরা খ্রিস্টান হয়েছিল, তাদের পরিবারের সদস্যেরা হয়তো তাদের টিটকারি দিত এবং উপহাস করে বলত, ‘আমাদের যিহুদি ধর্মই তো এত পুরোনো, তোমাদের এমন কী সমস্যা হয়েছিল যে, তোমাদের খ্রিস্টান হতে হয়েছে?’ সেই খ্রিস্টানেরা হয়তো বুঝতে পারত না, তারা তাদের কী উত্তর দেবে। কিন্তু, তারা যখন ইব্রীয়দের উদ্দেশে দেওয়া পৌলের চিঠিগুলো পড়েছিল, তখন তাদের বিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। (ইব্রীয় ১:৫, ৬; ২:২, ৩; ৯:২৪, ২৫) পৌল তার চিঠিতে অনেক জোরালো যুক্তি তুলে ধরেছিলেন। আর এখন সেই খ্রিস্টানেরাও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে সেই যুক্তি তুলে ধরতে পারত। আজও কিছু লোক আমাদের ভাই-বোনদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করে এবং তাদের সম্বন্ধে খারাপ কথা বলে বেড়ায়। পৌলের মতো আমরাও সেই ভাই-বোনদের সাহায্য করতে পারি, যাতে তারা আমাদের প্রকাশনাগুলো ব্যবহার করে তাদের সঙ্গে যুক্তি করতে পারে। হতে পারে, আমাদের মণ্ডলীতে এমন কোনো অল্পবয়সি আছে, যাকে নিয়ে তার স্কুলের ছেলে-মেয়েরা হাসিঠাট্টা করে কারণ সে জন্মদিন পালন করে না। এই ক্ষেত্রে আমরা চিরকাল জীবন উপভোগ করুন! বইয়ের পাঠ ৪৪-এ দেওয়া তথ্য থেকে তাদের যুক্তি করতে শেখাতে পারি।

কীভাবে আপনি পৌলের মতো অন্যদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করতে পারেন? (১৪ অনুচ্ছেদ দেখুন) *

১৪. পৌল প্রচার করার এবং শেখানোর কাজে ব্যস্ত থাকতেন, তারপরও তিনি কী করেছিলেন?

১৪ পৌল “উত্তম কাজ” করেছিলেন আর ভাই-বোনদেরও তা করার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। (ইব্রীয় ১০:২৪) পৌল কেবল যুক্তি করেই ভাই-বোনদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করেননি। এর পরিবর্তে, তিনি এমন কিছু কাজও করেছিলেন, যেগুলোর মাধ্যমে ভাই-বোনদের বিশ্বাস শক্তিশালী হয়েছিল। যেমন, একবার যখন যিহূদিয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, তখন পৌল সেখানকার ভাই-বোনদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছিলেন। (প্রেরিত ১১:২৭-৩০) পৌল প্রচার করার এবং শেখানোর কাজে ব্যস্ত থাকতেন, তারপরও তিনি দরিদ্র ভাই-বোনদের সাহায্য করার জন্য পিছিয়ে যেতেন না। (গালা. ২:১০) এমনটা করার মাধ্যমে তিনি তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, যিহোবা সবসময় তাদের যত্ন নেবেন। আমরা যখন ত্রাণ কাজে আমাদের দক্ষতা, সময় ও শক্তি ব্যবহার করি, তখন আমরাও ভাই-বোনদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করি। এ ছাড়া, আমরা যখন বিশ্বব্যাপী কাজে দান দিই এবং অন্যান্য উপায়ে ভাই-বোনদের সাহায্য করি, তখন আমরা এই বিষয়ে তাদের বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করি যে, যিহোবা কখনো তাদের একা ছেড়ে দেবেন না।

কীভাবে আপনি পৌলের মতো অন্যদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করতে পারেন? (১৫-১৬ অনুচ্ছেদ দেখুন) *

১৫-১৬. যাদের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাদের আমরা কীভাবে উৎসাহিত করতে পারি?

১৫ পৌল সেই ভাই-বোনদের উৎসাহিত করেছিলেন, যাদের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তিনি এমনটা মনে করেননি, তারা একেবারেই অযোগ্য আর তাদের দিয়ে কোনো কিছুই হবে না। এর পরিবর্তে, তিনি তাদের সঙ্গে প্রেম সহকারে এবং খুব ভালোভাবে কথা বলেছিলেন। (ইব্রীয় ৬:৯; ১০:৩৯) যেমন, তিনি যখন ইব্রীয়দের উদ্দেশে চিঠি লিখেছিলেন, তখন তাদের পরামর্শ দেওয়ার সময় তিনি “আমরা” শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন। এভাবে, তিনি তাদের নীচু চোখে দেখেননি। এর পরিবর্তে, তিনি তাদের বুঝতে সাহায্য করেছিলেন, তাকে নিজেকেও সেই পরামর্শ কাজে লাগাতে হবে। (ইব্রীয় ২:১, ৩) আসুন, পৌলের মতো আমরাও সেই ভাই-বোনদের উৎসাহিত করি, যাদের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনটা করার একটা উপায় হল, তাদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং তাদের সঙ্গে কথা বলা। এভাবে আমরা তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা দেখাতে পারব। এ ছাড়া, আমাদের এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, আমরা কীভাবে কথা বলি কারণ তা থেকেও ভাই-বোনেরা উৎসাহিত হতে পারে।

১৬ পৌল ভাই-বোনদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, তারা বিগত বছরগুলোতে যে-পরিশ্রম ও ভালো কাজ করেছে, সেগুলো সবই যিহোবার স্মরণে আছে। (ইব্রীয় ১০:৩২-৩৪) আমরা যদি দেখি, কোনো ভাই কিংবা বোনের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়ছে, তা হলে আমরাও এইরকমটা করতে পারি। আমরা তাদের জিজ্ঞেস করতে পারি, তারা যখন সত্য সম্বন্ধে শুনেছিল, তখন কোন বিষয়টা তাদের হৃদয় ছুঁয়েছিল এবং কীভাবে তারা একজন যিহোবার সাক্ষি হয়েছিল। এ ছাড়া, আমরা তাদের এমন কোনো ঘটনার কথা জিজ্ঞেস করতে পারি, যখন তারা কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছিল এবং যিহোবা তাদের সাহায্য করেছিলেন। আমরা তাদের আশ্বাস দিতে পারি, তারা যিহোবার জন্য যা-কিছু করেছে, তিনি কখনো সেগুলো ভুলে যাবেন না আর কখনো তাদের একা ছেড়ে দেবেন না। (ইব্রীয় ৬:১০; ১৩:৫, ৬) আমরা যদি তাদের এইরকম কথা বলি, তা হলে তাদের বিশ্বাস বাড়তে পারে এবং তারা আবারও উদ্যোগের সঙ্গে যিহোবার সেবা করার জন্য এগিয়ে আসতে পারে।

‘একে অন্যকে উৎসাহিত করো’

১৭. আমাদের ক্রমাগত কী শিখতে হবে?

১৭ যে-লোকেরা বিল্ডিং তৈরি করে, তারা সেটাকে আরও ভালো এবং শক্তিশালী করার জন্য নিজেদের দক্ষতাকে ক্রমাগত বাড়ায়। একইভাবে, আমাদের ক্রমাগত শিখতে হবে যে, কীভাবে আমরা ভাই-বোনদের উৎসাহিত ও শক্তিশালী করতে পারি। যে-ভাই-বোনেরা কষ্ট সহ্য করছে, তাদের আমরা এমন ব্যক্তিদের উদাহরণ স্মরণ করিয়ে দিতে পারি, যারা পরীক্ষার সময়েও বিশ্বস্ত ছিল। আমরা হৃদয় থেকে ভাই-বোনদের প্রশংসা করতে পারি। কোনো বিষয়ে একগুঁয়ে মনোভাব রাখার পরিবর্তে আমরা অন্যদের কথা মন দিয়ে শুনতে পারি। আর যদি কারো সঙ্গে মতের অমিল দেখা দেয়, তা হলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারি। এভাবে, আমরা মণ্ডলীতে এক প্রেমময় ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পারব। আমাদের ভাই-বোনদের বিশ্বাস শক্তিশালী করার জন্য বাইবেলে যে-সত্যগুলো আছে, তা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারি, প্রয়োজনের সময় তাদের সাহায্য করতে পারি এবং যাদের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাদের উৎসাহিত করতে পারি।

১৮. আপনি কী করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ?

১৮ যে-ভাই-বোনেরা নির্মাণ কাজে সাহায্য করে, তারা এই কাজ করে খুব খুশি হয়। ঠিক একইভাবে, আমরা যখন ভাই-বোনদের উৎসাহিত ও শক্তিশালী করি, তখন আমরাও খুশি হই এবং আমাদের খুব ভালোও লাগে। একটা বিল্ডিং যতই শক্তিশালী হোক না কেন, একটা সময়ে সেটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে আর এমনকী পড়েও যেতে পারে। কিন্তু, আমরা যদি ভাই-বোনদের শক্তিশালী করি, তা হলে তারা সবসময় উপকার লাভ করবে। তাই আসুন, আমরা সবাই “একে অন্যকে উৎসাহিত ও শক্তিশালী” করে চলি।—১ থিষল. ৫:১১.

গান ৫০ ঈশ্বরীয় প্রেমের উদাহরণ

^ আজ এই জগতে এক একটা দিন কাটানো সহজ নয়। আমাদের অনেক ভাই-বোন বিভিন্ন কষ্ট সহ্য করছে। এইরকম সময়ে, আমরা যদি তাদের উৎসাহিত করি, তা হলে তারা সাহসের সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষার মোকাবিলা করতে পারবে। এই প্রবন্ধে আমরা জানতে পারব, পৌল কীভাবে ভাই-বোনদের উৎসাহিত করেছিলেন এবং তার কাছ থেকে আমরা কী শিখতে পারি।

^ ছবি সম্বন্ধে বর্ণনা: একজন বাবা তার মেয়েকে বোঝাচ্ছে, কেউ বড়োদিন পালন করার জন্য তাকে চাপ দিলে কীভাবে সে আমাদের প্রকাশনাগুলোতে দেওয়া পরামর্শগুলো ব্যবহার করে তার সঙ্গে যুক্তি করতে পারে।

^ ছবি সম্বন্ধে বর্ণনা: এক দম্পতি নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অনেক দূরে অন্য একটা জায়গায় গিয়ে ত্রাণ কাজে সাহায্য করছে।

^ ছবি সম্বন্ধে বর্ণনা: একজন প্রাচীন এমন এক ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন, যার বিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি সেই ভাইকে অগ্রগামীদের স্কুল-এর কিছু ছবি দেখাচ্ছেন, যেখানে তারা দু-জনে অনেক বছর আগে যোগ দিয়েছিলেন। সেগুলো দেখে ভাইয়ের পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ছে। ভাই অনেক উৎসাহিত হন এবং আবারও যিহোবার সেবা করার কথা চিন্তা করেন। কিছুসময় পর, তিনি মণ্ডলীতে ফিরে আসেন।