সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অধ্যয়ন প্রবন্ধ ৩৩

দানিয়েলের উদাহরণ থেকে শেখো

দানিয়েলের উদাহরণ থেকে শেখো

“তুমি অতিশয় প্রীতি-পাত্র।”—দানি. ৯:২৩.

গান ৭৩ সাহস জোগাও দিতে সাক্ষ্য

সারাংশ a

১. কেন ব্যাবিলনের লোকদের দানিয়েলকে ভালো লেগেছিল?

 ভাববাদী দানিয়েল যখন কিশোরবয়সি ছিলেন, তখন তাকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে জেরুসালেমে তার ঘর থেকে অনেক দূরে ব্যাবিলনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে, ব্যাবিলনের আধিকারিকেরা যখন তার “বাইরের চেহারা” দেখেছিল আর সেইসঙ্গে দেখেছিল যে, তিনি “নিষ্কলঙ্ক” এবং দেখতে “সুন্দর” আর এক বিশিষ্ট পরিবার থেকে এসেছেন, তখন তাদের দানিয়েলকে খুব ভালো লেগেছিল। (১ শমূ. ১৬:৭) তাই, তারা দানিয়েলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, যাতে তিনি রাজপ্রাসাদে সেবা করতে পারেন।—দানি. ১:৩, ৪, ৬.

২. যিহোবার দানিয়েলকে কেমন লাগত? ব্যাখ্যা করুন। (যিহিষ্কেল ১৪:১৪)

যিহোবাও দানিয়েলকে ভালোবাসতেন। এর কারণ এটা ছিল না যে, তিনি দেখতে খুব সুন্দর ছিলেন বা এক উচ্চ পদে ছিলেন বরং যিহোবা দেখেছিলেন, দানিয়েল ভিতর থেকে কেমন, তার হৃদয় কেমন। তিনি দানিয়েলের বিষয়ে বলেছিলেন যে, নোহ এবং ইয়োবের মতো দানিয়েলও একজন ধার্মিক ব্যক্তি। ইয়োব ও নোহ দীর্ঘসময় ধরে অনুগতভাবে যিহোবার সেবা করেছিলেন এবং তাঁর দৃষ্টিতে এক সুনাম অর্জন করেছিলেন। কিন্তু, যিহোবা যখন দানিয়েলের বিষয়ে এই কথা বলেছিলেন, তখন তার বয়স হয়তো মাত্র ১৯ বা ২০ ছিল! (আদি. ৫:৩২; ৬:৯, ১০; ইয়োব ৪২:১৬, ১৭; পড়ুন, যিহিষ্কেল ১৪:১৪.) দানিয়েল দীর্ঘসময় বেঁচে ছিলেন আর তার জীবনে অনেক উত্থান-পতন এসেছিল। তবে, যিহোবা কখনো তাকে একা ছেড়ে দেননি। এর পরিবর্তে, তিনি সবসময় তার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে গিয়েছিলেন।—দানি. ১০:১১, ১৯.

৩. এই প্রবন্ধে আমরা কী নিয়ে আলোচনা করব?

এই প্রবন্ধে আমরা দানিয়েলের এমন দুটো গুণ নিয়ে আলোচনা করব, যেগুলোর কারণে যিহোবা তাকে মূল্যবান হিসেবে দেখেছিলেন। প্রথমে আমরা সেই গুণগুলোর বিষয়ে একটু আলোচনা করব আর দেখব যে, কোন পরিস্থিতিতে দানিয়েল সেই গুণগুলো দেখিয়েছিলেন। এরপর লক্ষ করব, দানিয়েল কীভাবে সেই গুণগুলো বৃদ্ধি করেছিলেন। শেষে দেখব, আমরা কীভাবে দানিয়েলের মতো হতে পারি আর সেই গুণগুলো কীভাবে দেখাতে পারি। এই প্রবন্ধটা যদিও কিশোর-কিশোরীদের কথা চিন্তা করে লেখা হয়েছে, তবে আমরা সবাই দানিয়েলের উদাহরণ থেকে শিখতে পারি।

দানিয়েলের মতো সাহসী হও

৪. দানিয়েল কীভাবে সাহসের সঙ্গে কাজ করেছিলেন? একটা উদাহরণ দিন।

কখনো কখনো সাহসী ব্যক্তিরাও ভয় পায়। কিন্তু, এই কারণে তারা সঠিক কাজ করা থেকে পিছিয়ে যায় না। দানিয়েল খুবই সাহসী একজন ব্যক্তি ছিলেন। এখন এমন দুটো ঘটনার উপর মনোযোগ দাও, যেখানে দানিয়েল সাহসের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। প্রথম ঘটনাটা হয়তো সেই সময়ে ঘটেছিল, যখন ব্যাবিলনের হাতে জেরুসালেম ধ্বংস হয়ে প্রায় দু-বছর কেটে গিয়েছিল। ব্যাবিলনের রাজা নবূখদ্‌নিৎসর স্বপ্নে একটা বিশাল মূর্তি দেখেছিলেন, যেটার কারণে তিনি খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন। তিনি তার জ্ঞানী ব্যক্তিদের বলেছিলেন, যেন তারা সেই স্বপ্ন এবং সেটার অর্থ তাকে বলে। আর যদি তারা বলতে না পারে, তা হলে তিনি তাদের মেরে ফেলবেন। দানিয়েলের জীবনও ঝুঁকির মুখে ছিল। (দানি. ২:৩-৫) তাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হত কারণ অনেক লোকের জীবন ঝুঁকির মুখে ছিল। তিনি “রাজার নিকটে গিয়া এই প্রার্থনা করিলেন, আমার জন্য সময় নিরূপণ করিতে আজ্ঞা হউক, যেন আমি মহারাজকে স্বপ্নটীর তাৎপর্য্য জ্ঞাত করিতে পারি।” (দানি. ২:১৬) এখান থেকে বোঝা যায়, দানিয়েল কতটা সাহসী ছিলেন এবং ঈশ্বরের উপর তার কতটা বিশ্বাস ছিল। কেন আমরা তা বলতে পারি? কারণ বাইবেলে এমনটা লেখা নেই যে, দানিয়েল আগে কখনো কারো স্বপ্নের অর্থ বলেছিলেন। দানিয়েলের তিন জন বন্ধু ছিল, যাদের ব্যাবিলনীয়দের ভাষায় নাম ছিল, শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্‌-নগো। দানিয়েল তার সেই বন্ধুদের বলেছিলেন, “যেন তাঁহারা ঐ নিগূঢ় বিষয় সম্বন্ধে স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে করুণা প্রার্থনা করেন।” (দানি. ২:১৮) যিহোবা তাদের প্রার্থনা শুনেছিলেন। ঈশ্বরের সাহায্যে দানিয়েল নবূখদ্‌নিৎসরের স্বপ্নের অর্থ বলে দিয়েছিলেন। এর ফলে, দানিয়েল এবং তার বন্ধুদের জীবন রক্ষা পেয়েছিল।

৫. দানিয়েল কোন পরিস্থিতিতে আরেক বার সাহসের সঙ্গে কাজ করেছিলেন?

দানিয়েল যখন রাজার বিশাল মূর্তির স্বপ্নের অর্থ বলেছিলেন, সেই ঘটনার কিছুসময় পর এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল, যখন তাকে আরেক বার সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হত। রাজা নবূখদ্‌নিৎসর একটা ভয়াবহ স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই বার তিনি স্বপ্নে একটা উঁচু এবং বিশাল গাছ দেখেছিলেন। দানিয়েল সাহসের সঙ্গে কাজ করেছিলেন এবং রাজাকে সেই স্বপ্নের অর্থ বলেছিলেন। তিনি রাজাকে বলেছিলেন, কিছুসময়ের জন্য তিনি পাগল হয়ে যাবেন এবং রাজা হিসেবে শাসন করতে পারবেন না। (দানি. ৪:২৫) রাজা চিন্তা করতে পারতেন, দানিয়েল তার বিরুদ্ধে রাজদ্রোহ করছেন আর তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারতেন। তারপরও, দানিয়েল সাহসের সঙ্গে কাজ করেছিলেন এবং তাকে এই বার্তা জানিয়েছিলেন।

৬. দানিয়েল হয়তো কোন কারণে সাহসের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছিলেন?

দানিয়েল সারাজীবন ধরে সাহসের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। কীভাবে তিনি তা করতে পেরেছিলেন? তিনি যখন ছোটো ছিলেন, তখন তিনি নিশ্চয়ই তার বাবা-মায়ের উত্তম উদাহরণ থেকে শিখেছিলেন। যিহোবা ইজরায়েলীয় বাবা-মায়েদের যে-নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার বাবা-মায়েরাও হয়তো সেগুলো মেনেছিলেন এবং দানিয়েলকে ঈশ্বরের ব্যবস্থা সম্বন্ধে শিখিয়েছিলেন। (দ্বিতীয়. ৬:৬-৯) এই কারণে দানিয়েল কেবল ব্যবস্থার বড়ো বড়ো বিষয়ই জানতেন না, যেমন দশ আজ্ঞার বিষয়ে। কিন্তু সেইসঙ্গে, তিনি ছোটো ছোটো বিষয়ও জানতেন, যেমন ইজরায়েলীদের কী খাওয়া উচিত এবং কী খাওয়া উচিত নয়। b (লেবীয়. ১১:৪-৮; দানি. ১:৮, ১১-১৩) দানিয়েল এও জানতেন, অতীতে ঈশ্বরের লোকদের সঙ্গে কী ঘটেছিল। আর যখন তারা ঈশ্বরের মান অনুযায়ী জীবনযাপন করেনি, তখন তাদের কোন পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল। (দানি. ৯:১০, ১১) আর দানিয়েলের নিজের জীবনেও এমন অনেক কিছু ঘটেছিল, যেগুলো থেকে তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, যা-ই ঘটুক না কেন, যিহোবা এবং তাঁর স্বর্গদূতেরা তার সঙ্গে রয়েছেন।—দানি. ২:১৯-২৪; ১০:১২, ১৮, ১৯.

দানিয়েল শাস্ত্র নিয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন, প্রার্থনা করেছিলেন এবং যিহোবার উপর আস্থা রেখেছিলেন। এই কারণে তিনি সাহসের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছিলেন (৭ অনুচ্ছেদ দেখুন)

৭. দানিয়েল আর কোন কারণে সাহসী হতে পেরেছিলেন? (ছবিও দেখুন।)

দানিয়েল ঈশ্বরের ভাববাদীদের লেখা কথাগুলো নিয়েও অধ্যয়ন করতেন। যেমন, ভাববাদী যিরমিয়ের লেখা ভবিষ্যদ্‌বাণী। এই কারণে তিনি পরবর্তী সময়ে বুঝতে পেরেছিলেন, যে-যিহুদিরা দীর্ঘসময় ধরে ব্যাবিলনে বন্দি রয়েছে, তারা খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের দেশে ফিরে যাবে। (দানি. ৯:২) দানিয়েল যখন দেখেছিলেন, বাইবেলে লেখা ভবিষ্যদ্‌বাণীগুলো কীভাবে পরিপূর্ণ হচ্ছে, তখন যিহোবার উপর তার নির্ভরতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। আর যারা ঈশ্বরের উপর পুরোপুরি নির্ভর করে, তাদের মধ্যে এক অসাধারণ সাহস দেখা যায়। (তুলনা করুন, রোমীয় ৮:৩১, ৩২, ৩৭-৩৯.) সবচেয়ে বড়ো বিষয় হল, দানিয়েল বার বার যিহোবা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন। (দানি. ৬:১০) তিনি ঈশ্বরের সামনে নিজের পাপ স্বীকার করতেন, তার মনের প্রতিটা কথা তাঁকে বলতেন এবং তাঁর কাছ থেকে সাহায্যও চাইতেন। (দানি. ৯:৪, ৫, ১৯) দানিয়েল আমাদের মতোই সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন, তিনি জন্ম থেকে সাহসী ছিলেন না। তিনি শাস্ত্র নিয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন, প্রার্থনা করেছিলেন এবং যিহোবার উপর আস্থা রেখেছিলেন। এই কারণে তিনি সাহসী হতে পেরেছিলেন।

৮. কীভাবে আমরা সাহসী হতে পারি?

তাহলে, কীভাবে আমরা সাহসী হতে পারি? আমাদের বাবা-মা হয়তো বলতে পারে, আমাদের সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কিন্তু, সাহস এমন কোনো বিষয় নয়, যেটা আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করি। আমাদের নিজেদেরই সাহসী হতে হবে। সত্যি বলতে কী, সাহসী হওয়া কোনো একটা নতুন দক্ষতা শেখার মতো। কোনো নতুন দক্ষতা শেখার একটা উপায় হল, আমরা যেন শিক্ষককে মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করি আর তিনি যেভাবে করেন, ঠিক সেভাবেই করার চেষ্টা করি। একইভাবে, সাহসী হওয়ার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যেন আমরা লক্ষ করি যে, অন্যেরা কীভাবে সাহসের সঙ্গে কাজ করছে এবং তাদের মতো হওয়ার চেষ্টা করি। তাহলে, আমরা দানিয়েলের কাছ থেকে কী শিখেছি? তার মতো আমাদের ঈশ্বরের বাক্যে লেখা কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে। আমাদের যিহোবার কাছে মন খুলে এবং ক্রমাগত প্রার্থনা করতে হবে। এভাবে তাঁর সঙ্গে একটা দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আমাদের যিহোবার উপর আস্থা রাখতে হবে আর পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হতে হবে যে, তিনি সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন, কখনোই আমাদের একা ছেড়ে দেবেন না। এরপর, আমাদের বিশ্বাস যখনই পরীক্ষিত হবে, তখনই আমরা সাহসের সঙ্গে কাজ করতে পারব।

৯. সাহসের সঙ্গে কাজ করলে কোন কোন উপকার লাভ করা যায়?

আমরা যখন সাহসের সঙ্গে কাজ করি, তখন অনেক উপকার লাভ করি। বেন নামে একজন ভাইয়ের উদাহরণের উপর মনোযোগ দাও। সে জার্মানির একটা স্কুলে পড়াশোনা করত, যেখানে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করত। তারা মনে করত, বাইবেলে সৃষ্টির বিষয়ে যা লেখা আছে, তা সত্য হতে পারে না। একবার ভাই বেনের কাছে পুরো ক্লাসের সামনে এটা বলার সুযোগ এসেছিল, সে কেন এটা বিশ্বাস করে যে, গাছপালা, জীবজন্তু ও মানুষকে কেউ সৃষ্টি করেছেন। সে সাহসের সঙ্গে সবাইকে তার বিশ্বাস সম্বন্ধে বলেছিল। এর ফলাফল কী হয়েছিল? বেন বলে: “আমার শিক্ষক খুবই মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনেছিলেন। আমি যে-প্রবন্ধের উপর ভিত্তি করে আমার কথা বলেছিলাম, তিনি সেটার অনেক কপি তৈরি করে ক্লাসের সবাইকে দিয়েছিলেন।” বেনের ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল? বেন বলে: “তাদের মধ্যে অনেকে আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছিল এবং আমার প্রশংসা করেছিল।” বেনের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, যারা সাহসের সঙ্গে কাজ করে, লোকেরা প্রায়ই তাদের সম্মান করে। তাদের কারণে হয়তো সৎহৃদয়ের ব্যক্তিরা যিহোবা সম্বন্ধে জানতে চাইবে। তাই, এসো আমরা সবাই সাহসী হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করি।

দানিয়েলের মতো সবসময় অনুগত থাকো

১০. ব্যাখ্যা করুন, অনুগত থাকার মানে কী।

১০ বাইবেলে যে-ইব্রীয় শব্দকে “আনুগত্য” কিংবা “অটল প্রেম” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, সেটা প্রায়ই ঈশ্বর তাঁর উপাসকদের কতটা ভালোবাসেন, সেই ধারণাকে তুলে ধরে। আর এই শব্দকে তখনও ব্যবহার করা হয়েছে, যখন ঈশ্বরের উপাসকদের মধ্যে একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর বিষয়টা আসে। (২ শমূ. ৯:৬, ৭, NW) সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কারো প্রতি আমাদের অনুগত থাকার সংকল্প আরও দৃঢ় হতে পারে। এসো লক্ষ করি, দানিয়েলের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা কীভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল।

যিহোবা দানিয়েলের আনুগত্য দেখে খুশি হয়েছিলেন, তাই তিনি একজন স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে সিংহের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন (অনুচ্ছেদ ১১ দেখুন)

১১. দানিয়েল যখন বয়স্ক হয়ে গিয়েছিলেন, তখন তার আনুগত্য কীভাবে পরীক্ষিত হয়েছিল? (প্রচ্ছদে দেওয়া ছবিটা দেখুন।)

১১ দানিয়েলের জীবনে অনেক বার এমন সময় এসেছিল, যখন তার পক্ষে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে, যখন তার বয়স ৯০ বছরেরও বেশি ছিল, তখন তার সামনে অনেক বড়ো এক সমস্যা এসেছিল। সেইসময় পর্যন্ত মাদীয়-পারস্যের লোকেরা ব্যাবিলনকে দখল করে নিয়েছিল এবং রাজা দারিয়াবস সেখানে শাসন করতে শুরু করেছিলেন। তার রাজ-কর্মচারীরা দানিয়েলকে পছন্দ করত না আর সেইসঙ্গে তারা তার ঈশ্বরের প্রতি কোনো সম্মান দেখাত না। সেই কারণে তারা দানিয়েলকে ফাঁদে ফেলার এবং মেরে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা রাজাকে দিয়ে একটা আদেশ জারি করিয়েছিল, যেটার মাধ্যমে এই বিষয়টা প্রমাণিত হয়ে যেত যে, দানিয়েল কার প্রতি অনুগত, রাজার প্রতি না কি ঈশ্বরের প্রতি। দানিয়েল যদি ৩০ দিন ধরে যিহোবার কাছে প্রার্থনা না করতেন, তা হলে সহজেই এটা প্রমাণ হয়ে যেত যে, তিনি রাজার প্রতি অনুগত আর তিনি কারো চোখে ধরা পড়তেন না। কিন্তু, দানিয়েল আপোশ করেননি বরং প্রার্থনা করে গিয়েছিলেন। তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতেই যিহোবার প্রতি অনুগত থাকার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। এর পরিণতি কী হয়েছিল? তাকে সিংহের গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, যিহোবা দানিয়েলের আনুগত্য দেখে খুশি হয়েছিলেন। সেইজন্য তিনি তাকে সিংহের মুখ থেকে রক্ষা করেছিলেন। (দানি. ৬:১২-১৫, ২০-২২) কীভাবে আমরা দানিয়েলের মতো প্রতিটা পরিস্থিতিতে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে পারি?

১২. কেন দানিয়েল যেকোনো পরিস্থিতিতে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে পেরেছিলেন?

১২ আমরা যেমনটা দেখলাম, আমরা সেইসময়ও কারো প্রতি অনুগত থাকতে পারি, যখন তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকে। দানিয়েল যেকোনো পরিস্থিতিতে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে পেরেছিলেন। কেন? কারণ তিনি তার পিতা যিহোবাকে খুব ভালোবাসতেন। কীভাবে তিনি এই ভালোবাসা বৃদ্ধি করতে পেরেছিলেন? তিনি নিশ্চয়ই এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেন, যিহোবা কেমন ঈশ্বর, তাঁর মধ্যে কোন কোন গুণ রয়েছে আর তিনি এই গুণগুলো কীভাবে দেখিয়েছেন। (দানি. ৯:৪) দানিয়েল এও চিন্তা করতেন, যিহোবা তার জন্য এবং তাঁর লোকদের জন্য কত কিছু করেছেন। তিনি এগুলোর জন্য যিহোবার প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ ছিলেন।—দানি. ২:২০-২৩; ৯:১৫, ১৬.

দানিয়েলের মতো আপনিও যদি যিহোবাকে ভালোবাসেন, তা হলে আপনি যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁর প্রতি অনুগত থাকতে পারবেন (১৩ অনুচ্ছেদ দেখুন)

১৩. (ক) কোন পরিস্থিতিতে আমাদের কিশোর-কিশোরীদের পক্ষে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকা কঠিন হয়ে পড়ে? একটা উদাহরণ দিন। (ছবিও দেখুন।) (খ) যদি কেউ তোমাকে জিজ্ঞেস করে, যিহোবার সাক্ষিরা কি সমকামী ব্যক্তিদের সমর্থন করে, তা হলে তুমি কী বলবে? (jw.org ওয়েবসাইটে শান্তিই ধার্মিকতার কার্য্য হইবে শিরোনামের ভিডিওটা দেখুন।)

১৩ দানিয়েলের মতো আজ আমাদের কিশোর-কিশোরীদের এমন লোকদের মুখোমুখি হতে হয়, যারা যিহোবা এবং তাঁর মানগুলোর প্রতি একেবারেই উপলব্ধি দেখায় না। তারা হয়তো এমন লোকদের একদমই পছন্দ করে না, যাদের ধর্ম অথবা চিন্তাভাবনা তাদের চেয়ে আলাদা। আর কিছু লোক আমাদের কিশোর-কিশোরীদের এতটাই বিরক্ত করে যে, তাদের পক্ষে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকা হয়তো কঠিন হয়ে পড়ে। লক্ষ করো, অস্ট্রেলিয়ায় থাকা গ্রেহাম নামে একজন কিশোরের প্রতি কী ঘটেছিল। সে যখন স্কুলে পড়ত, তখন তাকে একটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। একবার তার শিক্ষক ক্লাসের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আচ্ছা, তোমাদের কোনো বন্ধু যদি তোমাকে এসে বলে, সে একজন সমকামী, তা হলে তোমরা কী করবে?’ তারপর, শিক্ষক বলেছিলেন, “যারা মনে কর, সমকামী হওয়া ভুল নয়, তারা বাঁ-দিকে এসে দাঁড়াও আর যারা মনে কর, সমকামী হওয়া ভুল, তারা ডান দিকে এসে দাঁড়াও।” গ্রেহাম বলে, “আমি এবং আরেক জন সাক্ষি ছাড়া ক্লাসের সবাই বাঁ-দিকে গিয়ে দাঁড়ায়। আমরা দু-জনেই শুধু ডান দিকে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই ছেলে-মেয়েরা মনে করত, সমকামী হওয়া ভুল নয়।” এরপর যা ঘটেছিল, সেটা গ্রেহামের আনুগত্যকে আরও পরীক্ষিত করেছিল। সে বলে, “প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পুরো ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষক আমাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে থাকে। আমি শান্ত হয়ে আমাদের বিশ্বাস সম্বন্ধে তাদের বলার অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু, তারা কেউই আমাদের কথা শুনতে চাইছিল না।” সেইসময় গ্রেহামের কেমন লেগেছিল? সে বলে, “তারা আমাকে অনেক কিছু বলেছিল। সেগুলো শুনতে যদিও আমার ভালো লাগেনি, তবে এটার জন্য আমি খুবই খুশি ছিলাম যে, আমি যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে পেরেছি আর আমি যা বিশ্বাস করি, সেই বিষয়ে তাদের বলতে পেরেছি।”

১৪. যেকোনো পরিস্থিতিতে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকার একটা উপায় কী?

১৪ তুমিও যেকোনো পরিস্থিতিতে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে পার। কীভাবে? যদি তুমি দানিয়েলের মতো যিহোবার প্রতি তোমার ভালোবাসা বৃদ্ধি কর। এরজন্য, তোমাকে তাঁর সৃষ্টির বিষয়গুলো নিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। (রোমীয় ১:২০) তুমি যত বেশি তা করবে, তত বেশি তাঁকে ভালোবাসতে পারবে এবং সমাদর করতে পারবে। তুমি চাইলে jw.org ওয়েবসাইটে এটা কি সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট? শিরোনামের প্রবন্ধগুলো পড়তে এবং ভিডিও দেখতে পার। অথবা জীবনকে কি সৃষ্টি করা হয়েছিল? (ইংরেজি) ব্রোশার এবং জীবনের উৎপত্তি—জিজ্ঞেস করা যথার্থ এমন পাঁচটা প্রশ্ন (ইংরেজি) ব্রোশার পড়তে পার। লক্ষ করো, এই ধরনের প্রকাশনার বিষয়ে ডেনমার্কে থাকা আমাদের একজন কিশোরী বোন এস্টার কী বলেছিল: “আপনাদের বলে বোঝাতে পারব না, এই প্রকাশনাগুলোতে কোনো বিষয়ের পিছনে থাকা যুক্তি কত অপূর্বভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এখানে এটা বলা হয়নি যে, আপনার কী বিশ্বাস করা উচিত আর কী বিশ্বাস করা উচিত নয়। এর পরিবর্তে, এখানে কেবল সঠিক তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনি নিজে স্থির করতে পারেন, আপনার কী বিশ্বাস করা উচিত।” বেন, যার বিষয়ে আগে বলা হয়েছিল, বলে: “এই তথ্যগুলো পড়ে আমার বিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছিল। এর ফলে, আমি নিশ্চিত হয়েছিলাম, ঈশ্বরই প্রতিটা জীবন সৃষ্টি করেছেন।” এই প্রকাশনাগুলোতে দেওয়া তথ্য পড়ে তুমিও নিশ্চয়ই বাইবেলে লেখা এই কথাগুলোর সঙ্গে একমত হবে: “হে আমাদের ঈশ্বর যিহোবা, তুমিই গৌরব ও সমাদর ও ক্ষমতা পাওয়ার যোগ্য, কারণ তুমিই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছ।”—প্রকা. ৪:১১. c

১৫. যিহোবার সঙ্গে তোমার বন্ধুত্ব দৃঢ় করার আরেকটা উপায় কী?

১৫ যিহোবার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করার আরেকটা উপায় হল, তাঁর পুত্র যিশুর জীবনে হওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে অধ্যয়ন করা। জার্মানিতে থাকা একজন কিশোরী বোন সামিরা এমনটাই করেছিল। সে বলে: “যিশুর বিষয়ে জানার ফলে আমি যিহোবাকে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছি।” সে যখন ছোটো ছিল, তখন এই বিষয়টা বোঝা তার জন্য কঠিন ছিল যে, যিহোবা তার বন্ধু হতে পারেন এবং তাকে ভালোবাসতে পারেন। তবে, যিশু সম্বন্ধে তার এক ভিন্ন ধারণা ছিল। সে বলে, “যিশু সবার সঙ্গে খুব ভালোভাবে আচরণ করতেন এবং বাচ্চাদের খুব ভালোবাসতেন, তাই আমার তাঁকে খুব ভালো লাগে।” যত বেশি সে যিশু সম্বন্ধে জেনেছিল, তত সে যিহোবাকে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছিল এবং তাঁর প্রতি তার ভালোবাসা আরও বেড়ে গিয়েছিল। বোন বলে: “ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারি, যিশু সব কিছু ঠিক তাঁর পিতার মতো করেন। তাঁরা দু-জনেই ঠিক একইরকম। আমি বুঝতে পারি, এটা একটা কারণ ছিল যে, কেন যিহোবা যিশুকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন, যাতে তাঁর মাধ্যমে সমস্ত লোক যিহোবাকে আরও ভালোভাবে জানতে পারে।” (যোহন ১৪:৯) তুমি যদি যিহোবার সঙ্গে তোমার বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করতে চাও, তা হলে যতবেশি সম্ভব যিশুকে জানার চেষ্টা করো। তুমি যখন তা করবে, তখন যিহোবার প্রতি তোমার ভালোবাসা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তুমি সবসময় তাঁর প্রতি অনুগত থাকতে চাইবে।

১৬. অনুগত থাকার ফলে আমরা কোন কোন উপকার লাভ করি? (গীতসংহিতা ১৮:২৫; মীখা ৬:৮)

১৬ যারা অন্যদের প্রতি অনুগত থাকে, তারা প্রায়ই ভালো বন্ধুদের খুঁজে পায় এবং সেই বন্ধুরা তাদের সবসময় সমর্থন করে। (রূৎ. ১:১৪-১৭) আর যারা যিহোবার প্রতি অনুগত থাকে, তারা মনের শান্তি এবং স্বস্তি লাভ করে। কেন? কারণ যিহোবা প্রতিজ্ঞা করেছেন, যে-কেউ তাঁর প্রতি অনুগত থাকবে, তিনিও তার প্রতি অনুগত থাকবেন। (পড়ুন, গীতসংহিতা ১৮:২৫; মীখা ৬:৮.) একটু চিন্তা করো, এটা কত বড়ো বিষয় যে, পুরো নিখিলবিশ্বের প্রভু আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চান! তাঁর সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব যখন দৃঢ় হয়, তখন কোনো সমস্যা, বিরোধিতা আর এমনকী মৃত্যুও সেই বন্ধুত্বকে ভেঙে ফেলতে পারে না। (দানি. ১২:১৩; লূক ২০:৩৭, ৩৮; রোমীয় ৮:৩৮, ৩৯) তাই এসো, আমরা সবাই দানিয়েলের মতো হই এবং সবসময় যিহোবার প্রতি অনুগত থাকি!

ক্রমাগত দানিয়েলের কাছ থেকে শেখো

১৭-১৮. দানিয়েলের কাছ থেকে আমরা আর কী শিখতে পারি?

১৭ এই প্রবন্ধে আমরা দানিয়েলের দুটো গুণের বিষয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু, আমরা তার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু শিখতে পারি। যেমন, যিহোবা দানিয়েলকে অনেক দর্শন এবং স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং তিনি তাকে ভবিষ্যতে হওয়া কথাগুলোর মানে বোঝানোরও ক্ষমতা দিয়েছিলেন। সেগুলোর মধ্যে অনেক ভবিষ্যদ্‌বাণী পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর অন্যান্য ভবিষ্যদ্‌বাণীতে পরবর্তী সময়ে হওয়া এমন ঘটনাগুলোর বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোর মুখোমুখি পৃথিবীতে থাকা সমস্ত মানুষকে হতে হবে।

১৮ পরের প্রবন্ধে আমরা দানিয়েলের লেখা দুটো ভবিষ্যদ্‌বাণী নিয়ে আলোচনা করব, সেগুলো বোঝার ফলে যুবক ও বৃদ্ধ সমস্ত লোকই উপকার পাবে এবং আমরা সবাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। সেই ভবিষ্যদ্‌বাণীগুলো অধ্যয়ন করার মাধ্যমে আমরা আরও সাহসের সঙ্গে কাজ করতে পারব এবং অনুগত থাকার ব্যাপারে আমাদের সংকল্প আরও দৃঢ় হয়ে যাবে। এর ফলে, আমরা সেই ঘটনাগুলোর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারব, যেগুলো খুব শীঘ্রই ঘটতে চলেছে।

গান ১১৯ বিশ্বাস থাকতে হবে

a বর্তমানে যে-কিশোর-কিশোরীরা যিহোবার সেবা করে, তাদের সামনে এমন পরিস্থিতি আসে, যেখানে সাহসের সঙ্গে কাজ করা এবং যিহোবার প্রতি অনুগত থাকা তাদের জন্য কঠিন হতে পারে। তাদের ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা তাদের নিয়ে হয়তো হাসিঠাট্টা করে কারণ সেই কিশোর-কিশোরীরা বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। অথবা অন্য ছেলে-মেয়েরা হয়তো তাদের এইরকমটা মনে করানোর চেষ্টা করে যে, তারা খুবই বোকা কারণ তারা ঈশ্বরের সেবা করে এবং সঠিক ও ভুলের বিষয়ে তাঁর মান অনুযায়ী জীবনযাপন করে। তবে, এই প্রবন্ধে আমরা লক্ষ করব, যারা দানিয়েলের মতো সাহসের সঙ্গে কাজ করে এবং অনুগতভাবে যিহোবার সেবা করে চলে, তারা সত্যিই প্রজ্ঞাবান।

b দানিয়েল হয়তো তিনটে কারণে ব্যাবিলনের লোকদের খাবার খাওয়া প্রত্যাখ্যান করেছিলেন: (১) সেগুলো হয়তো এমন জীবজন্তুর মাংস ছিল, যেগুলো মোশির ব্যবস্থায় খাওয়া নিষেধ ছিল। (দ্বিতীয়. ১৪:৭, ৮) (২) সেগুলোর রক্ত হয়তো ভালোভাবে ঝরানো হয়নি। (লেবীয়. ১৭:১০-১২) (৩) সেগুলো খাওয়াকে মিথ্যা দেব-দেবীদের উপাসনা করা হিসেবে দেখা হত কারণ সেখানে মিথ্যা দেব-দেবীদের সামনে প্রায়ই পশুকে উৎসর্গ করা হত।—তুলনা করুন, লেবীয় পুস্তক ৭:১৫ এবং ১ করিন্থীয় ১০:১৮, ২১, ২২.

c যিহোবার প্রতি তোমার ভালোবাসা বৃদ্ধি করার জন্য তুমি যিহোবার নিকটবর্তী হোন বই নিয়ে অধ্যয়ন করতে পার, যেখানে যিহোবার গুণাবলি ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করা হয়েছে।