সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অধ্যয়ন প্রবন্ধ ৩২

যিহোবার মতো যুক্তিবাদী হোন!

যিহোবার মতো যুক্তিবাদী হোন!

“তোমাদের যুক্তিবাদিতা যেন সবার কাছে প্রকাশ পায়।”—ফিলি. ৪:৫.

গান ১২৩ আমরা যিহোবার ও তাঁর সংগঠনের বশীভূত থাকি

সারাংশ a

আপনি কোন ধরনের গাছের মতো হতে চান? (১ অনুচ্ছেদ দেখুন)

১. কোন অর্থে খ্রিস্টানদের একটা গাছের মতো হওয়া উচিত? (ছবিও দেখুন।)

 “যে-গাছ নুয়ে পড়ে, সেই গাছকে প্রচণ্ড বাতাসও উপড়ে ফেলতে পারে না।” আফ্রিকার এই প্রবাদ বাক্য থেকে আমরা জানতে পারি, কিছু গাছ দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে কারণ সেগুলো প্রয়োজনে নুয়ে পড়তে পারে। একইভাবে, একজন খ্রিস্টান যদি আনন্দের সঙ্গে যিহোবার সেবা করে যেতে চায়, তা হলে তাকে সেই গাছের মতো নুয়ে পড়তে হবে। এর মানে হল, আমাদের পরিস্থিতি যখন পালটে যায়, তখন আমাদের রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত আর যখন অন্যদের চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্ত আমাদের চেয়ে আলাদা হয়, তখন আমাদের তাদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখানো উচিত।

২. (ক) কোন গুণগুলো গড়ে তুললে আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারব? (খ) এই প্রবন্ধে আমরা কী জানতে পারব?

আমরা যিহোবার উপাসক, তাই আমরাও অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখাতে চাই এবং রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকি। এ ছাড়া, আমরা নম্র হতে চাই এবং অন্যদের প্রতি সমবেদনা দেখাতে চাই। এই প্রবন্ধে আমরা জানতে পারব, কীভাবে এই গুণগুলো গড়ে তোলার ফলে কিছু খ্রিস্টান পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে পেরেছিল আর এই গুণগুলো গড়ে তোলার ফলে কীভাবে আমরা উপকার পেতে পারি। তবে প্রথমে আসুন, আমরা যিহোবা ও যিশুর কাছ থেকে শিখি যে, যুক্তিবাদী হওয়ার এবং রদবদল করার ব্যাপারে কীভাবে তাঁরা আমাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম উদাহরণ রেখেছেন।

যিহোবা ও যিশু এক উত্তম উদাহরণ রেখেছেন

৩. কোন বিষয়টা প্রমাণ করে যে, যিহোবা হলেন একজন যুক্তিবাদী ঈশ্বর এবং রদবদল করার জন্যও প্রস্তুত থাকেন?

যিহোবাকে “শৈল” বলা হয়েছে কারণ তিনি দৃঢ় থাকেন। (দ্বিতীয়. ৩২:৪, NW) তবে, তিনি যুক্তিবাদিতাও দেখান এবং প্রয়োজন পড়লে তিনি রদবদল করার জন্যও প্রস্তুত থাকেন। জগতের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ করার ক্ষেত্রে রদবদল করেন। যিহোবা মানুষকে তাঁর প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করেছেন। তাই, আমাদের মধ্যে এমন দক্ষতা রয়েছে যে, আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারি। এ ছাড়া, যিহোবা বাইবেলে এমন নীতিগুলো দিয়েছেন, যেগুলো মাথায় রাখলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, তা আমাদের সামনে যেকোনো পরিস্থিতিই আসুক না কেন। যিহোবার নিজের উদাহরণ এবং তিনি যে-নীতিগুলো দিয়েছেন, সেগুলো প্রমাণ করে যে, তিনি ‘শৈলের’ মতো দৃঢ়, তবে তিনি যুক্তিবাদিতা দেখানোর এবং রদবদল করার জন্যও প্রস্তুত থাকেন।

৪. একটা উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করুন, কীভাবে যিহোবা হলেন একজন যুক্তিবাদী ঈশ্বর। (লেবীয় পুস্তক ৫:৭, ১১)

যিহোবা যেভাবে মানুষের সঙ্গে আচরণ করেন, সেটা থেকেও বোঝা যায়, তিনি একজন যুক্তিবাদী ঈশ্বর। তিনি সবসময় যা সঠিক, তা-ই করেন। তিনি কখনো কোনো মানুষের সঙ্গে কঠোরভাবে আচরণ করেন না বরং রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। লক্ষ করুন, কীভাবে যিহোবা ইজরায়েলীয়দের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখিয়েছিলেন। তিনি সবসময় এমনটা আশা করেননি যে, সমস্ত ইজরায়েলীয় একই ধরনের বলি উৎসর্গ করবে, তা তারা ধনী হোক বা গরিব। কিছু ক্ষেত্রে, তিনি প্রত্যেককে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বলি উৎসর্গ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।—পড়ুন, লেবীয় পুস্তক ৫:৭, ১১.

৫. কেন আমরা বলতে পারি, যিহোবা খুব নম্র এবং অন্যদের প্রতি সমবেদনা দেখান? উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করুন।

যিহোবা যুক্তিবাদিতা দেখান এবং রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকেন কারণ তিনি নম্র এবং তাঁর হৃদয়ে লোকদের জন্য সমবেদনা রয়েছে। একটা উদাহরণের উপর মনোযোগ দিন, যেটা থেকে বোঝা যায়, যিহোবা কতটা নম্র। যিহোবা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন, তিনি সদোমে থাকা দুষ্ট লোকদের ধ্বংস করে দেবেন। তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠিয়ে তিনি তাঁর ধার্মিক উপাসক লোটকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন পার্বত্য এলাকায় পালিয়ে যান। কিন্তু, লোট সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাই, তিনি ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি তার পরিবারকে নিয়ে পাশের ছোট্ট একটা নগর সোয়রে পালিয়ে যেতে পারেন কি না। যিহোবা সোয়রকেও ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি লোটকে বলতে পারতেন, তাকে যা বলা হয়েছে, তিনি যেন শুধু সেটাই করেন। তবে, যিহোবা লোটের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখিয়েছিলেন। তিনি লোটের অনুরোধ মেনে নিয়েছিলেন; তিনি সোয়রকে ধ্বংস করেননি। (আদি. ১৯:১৮-২২) এ ছাড়া, শত শত বছর পর যিহোবা নীনবীর লোকদের প্রতি সমবেদনা দেখিয়েছিলেন। কীভাবে? তিনি সেখানে ভাববাদী যোনাকে একটা বার্তা ঘোষণা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি সেই নগর এবং সেখানে থাকা দুষ্ট লোকদের ধ্বংস করে দেবেন। কিন্তু, নীনবীর লোকেরা অনুতপ্ত হয়েছিল। তাই, তাদের উপর যিহোবার মায়া হয়েছিল এবং তিনি সেই নগরকে ধ্বংস করেননি।—যোনা ৩:১, ১০; ৪:১০, ১১.

৬. উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করুন, কীভাবে যিশু যিহোবার মতো অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখিয়েছিলেন।

যিহোবার মতো যিশুও লোকদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখাতেন। তাঁকে পৃথিবীতে ‘ইজরায়েল জাতির হারানো মেষদের কাছে’ প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে, এই দায়িত্ব পালন করার সময়ে তিনি একগুঁয়ে মনোভাব দেখাননি। একবার, একজন ন-ইজরায়েলীয় মহিলা তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি যেন তার মেয়েকে সুস্থ করে তোলেন কারণ তাকে “মন্দ স্বর্গদূতে পেয়েছে আর সে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে।” যিশুর হৃদয়ে সেই মহিলার জন্য গভীর সমবেদনা বোধ হয়েছিল এবং তিনি সেই মেয়েটিকে সুস্থ করে দিয়েছিলেন। (মথি ১৫:২১-২৮) আরেকটা উদাহরণের উপর মনোযোগ দিন। পৃথিবীতে সেবা করার সময়ে যিশু একবার বলেছিলেন: ‘যে-কেউ আমাকে অস্বীকার করে, আমিও তাকে অস্বীকার করব।’ (মথি ১০:৩৩) তবে, পিতর যখন যিশুকে তিন বার অস্বীকার করেছিলেন, তখন যিশু কী করেছিলেন? যিশু জানতেন, পিতর যা করেছেন, সেটার জন্য তিনি সত্যিই অনুতপ্ত এবং তিনি একজন বিশ্বাসযোগ্য সেবক। তাই, তিনি পিতরকে প্রত্যাখ্যান করেননি। পুনরুত্থিত হওয়ার পর যিশু পিতরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাকে নিশ্চয়ই এই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আর তিনি এখনও তাকে ভালোবাসেন।—লূক ২৪:৩৩, ৩৪.

৭. ফিলিপীয় ৪:৫ পদ অনুযায়ী আমাদের কেমন নাম অর্জন করা উচিত?

এই পর্যন্ত আমরা দেখলাম, যিহোবা ও যিশু অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখান। আর যিহোবা চান যেন আমরাও যুক্তিবাদী হই। (পড়ুন, ফিলিপীয় ৪:৫.) তাই, আমরা নিজেদের জিজ্ঞেস করতে পারি, ‘লোকেরা আমার ব্যাপারে কী চিন্তা করে? আমি কি একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি? আমি কি মেনে নেওয়ার কিংবা রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকি? আমি কি খুব কঠোর অথবা একগুঁয়ে ব্যক্তি? আমি কি অন্যদের জোরাজুরি করি যে, আমি যেটা বলছি, সেটাই সবার শোনা উচিত? না কি আমি অন্যদের কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাকি আর সম্ভব হলে আমি তাদের কথা মেনে নিই?’ আমরা যত বেশি অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখাই কিংবা রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকি, তত বেশি আমরা যিহোবা ও যিশুকে অনুকরণ করি। তাই আসুন, এমন দুটো ক্ষেত্রের উপর মনোযোগ দিই, যেখানে আমাদের রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। প্রথমত, যখন আমাদের পরিস্থিতি পালটে যায় আর দ্বিতীয়ত, যখন অন্যদের চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্ত আমাদের চেয়ে আলাদা হয়।

পরিস্থিতি পালটে গেলে রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকুন

৮. কী করার মাধ্যমে আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব? (পাদটীকাও দেখুন।)

আমাদের সেইসময় রদবদল করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে, যখন আমাদের পরিস্থিতি পালটে যায়। পরিস্থিতি পালটে যাওয়ার কারণে আমাদের সামনে এমন সমস্যাগুলো আসতে পারে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা হয়তো কখনো চিন্তাও করিনি। হতে পারে, হঠাৎ করে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি অথবা আর্থিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে আমাদের জীবন রাতারাতি ওলটপালট হয়ে যায়। (উপ. ৯:১১; ১ করি. ৭:৩১) এ ছাড়া, যিহোবার সংগঠনে আমাদের যে-দায়িত্ব বা কাজ দেওয়া হয়েছে, সেটাতে হয়তো কোনো পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের সামনে যে-ধরনেরই পরিস্থিতি আসুক না কেন, আমরা যদি এই চারটে পদক্ষেপ নিই, তা হলে আমাদের জন্য সেই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়ে যাবে: (১) এটা মেনে নিন যে, পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে, (২) সামনের দিকে এগিয়ে চলুন, (৩) ভালো বিষয়গুলোর উপর মনোযোগ দিন এবং (৪) অন্যদের জন্য কিছু করুন। b এখন আসুন, কিছু ভাই-বোনের উদাহরণের উপর মনোযোগ দিই, যারা এই পদক্ষেপগুলো নেওয়ার ফলে উপকার পেয়েছে।

৯. এক মিশনারি দম্পতির পরিস্থিতি যখন হঠাৎ পালটে গিয়েছিল, তখন তারা কীভাবে সেটার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন?

এটা মেনে নিন যে, পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে। ভাই ইম্ম্যানুয়েল এবং তার স্ত্রী ফ্রান্সিসকাকে অন্য একটা দেশে গিয়ে মিশনারি হিসেবে সেবা করতে বলা হয়েছিল। তারা সবেমাত্র সেখানকার ভাষা শিখতে শুরু করেছিলেন এবং মণ্ডলীর ভাই-বোনদের জানার চেষ্টা করছিলেন আর তখনই কোভিড-১৯ অতিমারি শুরু হয়েছিল। এর কারণে তারা আর ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করতে পারছিলেন না। এরপর, হঠাৎ বোন ফ্রান্সিসকার মা মারা যান। সেই সময়ে বোনের খুব ইচ্ছা করছিল, তিনি তার পরিবারের সঙ্গে থাকবেন, কিন্তু অতিমারির কারণে তিনি তাদের কাছে যেতে পারেননি। বোন এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছিলেন? প্রথমত, ভাই ইম্ম্যানুয়েল এবং বোন ফ্রান্সিসকা প্রতিদিন যিহোবার কাছে প্রজ্ঞা চেয়ে প্রার্থনা করেছিলেন, যাতে তারা কোনোভাবে সেই দিনটা কাটাতে পারেন। যিহোবা তাদের প্রার্থনা শুনেছিলেন এবং সঠিক সময়ে সংগঠনের মাধ্যমে সাহায্য করেছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ, একজন ভাই একটা ভিডিওতে যে-কথাগুলো বলেছিলেন, তা থেকে তারা অনেক উৎসাহিত হয়েছিলেন। ভিডিওতে সেই ভাই বলেছিলেন: “আমরা যত তাড়াতাড়ি নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেব, তত তাড়াতাড়ি আমাদের আনন্দ ফিরে আসবে আর সেইসঙ্গে আমাদের কাছে নতুন পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে ব্যবহার করার সুযোগও থাকবে।” c দ্বিতীয়ত, তারা চিন্তা করেছিলেন, ফোনের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেওয়ার দক্ষতাকে আরও বৃদ্ধি করবেন। তারা যখন এমনটা করেছিলেন, তখন তারা একটা বাইবেল অধ্যয়নও শুরু করতে পেরেছিলেন। তৃতীয়ত, মণ্ডলীর ভাই-বোনেরা যখন তাদের সান্ত্বনা দিয়েছিল এবং তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, তখন তারা আনন্দের সঙ্গে তা গ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়েছিলেন। যেমন, একজন বোন প্রতিদিন তাদের একটা ম্যাসেজ পাঠাতেন, যেটাতে বাইবেলের একটা পদ লেখা থাকত। তিনি এক বছর ধরে তাদের ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন। আমরাও যদি এটা মেনে নিই যে, আমাদের পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে, তা হলে আমরা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব আর আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব, তা করে আনন্দ পাব।

১০. বোন ক্রিস্টিনার পরিস্থিতি যখন পালটে গিয়েছিল, তখন তিনি কোন রদবদল করেছিলেন?

১০ সামনের দিকে এগিয়ে চলুন এবং ভালো বিষয়গুলোর উপর মনোযোগ দিন। রোমানিয়ার একজন বোন ক্রিস্টিনা জাপানে সেবা করেন। প্রথমে, তিনি সেখানে একটা ইংরেজি মণ্ডলীতে সেবা করছিলেন, কিন্তু পরে সেই মণ্ডলী বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটার কারণে বোন একটু দুঃখ পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি এটা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেননি। এর পরিবর্তে, বোন স্থির করেছিলেন যে, তিনি জাপানি ভাষার মণ্ডলীতে যাবেন এবং সেই ভাষাতে ভালোভাবে প্রচার করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করবেন। বোন জাপানি ভাষা ভালো করে শিখতে চেয়েছিলেন। তাই, তিনি একজন মহিলার কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন, যিনি আগে তার সঙ্গেই কাজ করতেন। বোন সেই মহিলাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি তাকে বাইবেল এবং চিরকাল জীবন উপভোগ করুন! বই থেকে জাপানি ভাষা শেখাতে পারবেন কি না। সেই মহিলা রাজি হয়ে যান। এর ফলে, বোন যে শুধু জাপানি ভাষা শিখতে পেরেছিলেন, এমন নয়, কিন্তু সেই মহিলাও বাইবেলের বার্তার প্রতি আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কী শিখি? আমরা যদি সামনের দিকে এগিয়ে চলি এবং ভালো বিষয়গুলোর উপর মনোযোগ দিই, তা হলে আমাদের পরিস্থিতি পালটে গেলেও আমরা এমন আশীর্বাদগুলো লাভ করব, যেগুলোর বিষয়ে আমরা হয়তো কখনো চিন্তাও করিনি।

১১. এক স্বামী-স্ত্রী যখন আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন, তখন কীভাবে তারা সেটার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন?

১১ অন্যদের জন্য কিছু করুন। এক স্বামী-স্ত্রী এমন একটা দেশে থাকেন, যেখানে আমাদের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যখন সেই দেশ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল, তখন তাদের আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কীভাবে তারা সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন? সবচেয়ে প্রথমে, তারা তাদের খরচ কমানোর চেষ্টা করেছিলেন। এরপর তারা স্থির করেছিলেন, তারা নিজেদের সমস্যাগুলোর উপর নয় বরং প্রচার কাজের উপর বেশি মনোযোগ দেবেন আর এভাবে অন্যদের সাহায্য করবেন। (প্রেরিত ২০:৩৫) ভাই বলেন: “প্রচার কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্য আমাদের কাছে সময়ই থাকত না। আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করার উপর বেশি মনোযোগ দিতাম।” এখান থেকে আমরা কী শিখি? আমাদের পরিস্থিতি যখন পালটে যায়, তখন আমাদের মনে রাখা উচিত, ক্রমাগত অন্যদের সাহায্য করা অনেক জরুরি, বিশেষ করে প্রচার কাজ করার মাধ্যমে।

১২. প্রচার কাজে রদবদল করার বিষয়ে আমরা প্রেরিত পৌলের কাছ থেকে কী শিখতে পারি?

১২ আমাদের প্রচার কাজেও রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। আমরা যাদের কাছে প্রচার করি, তারা আলাদা আলাদা পরিবেশে বড়ো হয়েছে, তাদের আচার-আচরণ এবং জীবনযাপন করার ধরনও আলাদা। আর যখন ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করার বিষয়টা আসে, তখন সবার আলাদা আলাদা মতামত রয়েছে। লোকদের পরিস্থিতির বিষয়ে মাথায় রেখে তাদের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে পৌল এক উত্তম উদাহরণ রেখেছিলেন। যিশু খ্রিস্ট পৌলকে ‘প্রেরিত হিসেবে ন-যিহুদিদের কাছে পাঠানোর’ জন্য নিযুক্ত করেছিলেন। (রোমীয় ১১:১৩) কিন্তু পৌল যিহুদি, গ্রিক, লেখাপড়া জানা লোক, গ্রামের লোক, বড়ো বড়ো আধিকারিক এবং রাজাদের কাছে প্রচার করেছিলেন। এইরকম আলাদা আলাদা ধরনের লোকের হৃদয়ে সত্যের বীজ বোনার জন্য পৌল ‘সমস্ত কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন।’ (১ করি. ৯:১৯-২৩) পৌল এই বিষয়ে খেয়াল রাখতেন যে, তিনি যাদের কাছে প্রচার করছেন, তারা কোন সংস্কৃতি থেকে এসেছে, কোন পরিবেশে বড়ো হয়েছে এবং তারা কী বিশ্বাস করে। এরপর, সেই অনুযায়ী তিনি প্রচার করার পদ্ধতিতে রদবদল করতেন। একইভাবে, আমরা যদি চিন্তা করি, আলাদা আলাদা লোকের সঙ্গে আমাদের কীভাবে কথা বলা উচিত আর সেই অনুযায়ী আমাদের প্রচার করার পদ্ধতিতে রদবদল করি, তা হলে আমরা তাদের ভালোভাবে সাক্ষ্য দিতে পারব।

অন্যদের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখান

আমরা যদি একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি হই, তা হলে আমরা অন্যদের চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাব (১৩ অনুচ্ছেদ দেখুন)

১৩. আমরা যদি অন্যদের চিন্তাধারা এবং সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাই, তা হলে ১ করিন্থীয় ৮:৯ পদ অনুযায়ী আমরা কী করা এড়িয়ে চলতে পারব?

১৩ অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখানোর ফলে আমরা তাদের চিন্তাধারা এবং সিদ্ধান্তের প্রতিও সম্মান দেখাতে পারব। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছু বোন মেক-আপ করতে ভালোবাসে, আবার কিছু বোন মেক-আপ করতে ভালোবাসে না। কিছু খ্রিস্টান পরিমিত মাত্রায় মদ খায়, আবার কিছু খ্রিস্টান মদ ছোঁয়েই না। আর আমরা সবাই সুস্থসবল থাকতে চাই, কিন্তু যখন চিকিৎসার বিষয়টা আসে, তখন প্রত্যেক খ্রিস্টানের আলাদা আলাদা মতামত থাকে। আমরা যদি মনে করি, আমরা যা চিন্তা করছি, সেটাই ঠিক এবং নিজেদের মতামত মণ্ডলীর অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি, তা হলে লোকেরা হোঁচট খেতে বা বিঘ্ন পেতে পারে এবং মণ্ডলীর একতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমরা এমনটা কখনোই করতে চাইব না! (পড়ুন, ১ করিন্থীয় ৮:৯; ১০:২৩, ২৪) এখন আসুন, দুটো উদাহরণের উপর মনোযোগ দিই। এগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারব, বাইবেলের নীতিগুলো মাথায় রাখলে কীভাবে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি এবং শান্তি বজায় রাখতে পারি।

আমরা যদি একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি হই, তা হলে আমরা অন্যদের চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাব (১৪ অনুচ্ছেদ দেখুন)

১৪. পোশাক-আশাক ও সাজগোজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে আমাদের বাইবেলের কোন নীতিগুলো মাথায় রাখা উচিত?

১৪ পোশাক-আশাক ও সাজগোজ। আমাদের কোন ধরনের পোশাক পরা উচিত, এই বিষয়ে যিহোবা অনেক নিয়ম তৈরি করেননি। এর পরিবর্তে, তিনি কিছু নীতি দিয়েছেন, যেগুলো মাথায় রাখলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের “উত্তম বিচারবুদ্ধি” ব্যবহার করা উচিত, অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখানো উচিত আর এমন পোশাক-আশাক পরা উচিত, যেগুলো মার্জিত এবং ঈশ্বরের উপাসকদের জন্য “উপযুক্ত।” (১ তীম. ২:৯, ১০; ১ পিতর ৩:৩) তাই, আমরা এমন পোশাক-আশাক পরি না, যেগুলোর কারণে লোকদের মনোযোগ অযথা আমাদের উপর আসবে। যিহোবা বাইবেলে আমাদের জন্য বিভিন্ন নীতি লিখিয়েছেন, সেইজন্য প্রাচীনদের খেয়াল রাখা উচিত যেন তারা পোশাক-আশাক এবং চুলের স্টাইল করার বিষয়ে নিজেদের মতো করে কোনো নিয়ম তৈরি না করেন। লক্ষ করুন, একটা মণ্ডলীর প্রাচীনেরা কী করেছিলেন। সেই মণ্ডলীর কিছু যুবক ভাই তাদের চুলের স্টাইল এমনভাবে করেছিল, যেটা সেইসময় খুবই প্রচলিত ছিল। তাদের চুল ছোটো ছিল ঠিকই, কিন্তু দেখতে খুবই অদ্ভুত লাগছিল। প্রাচীনেরা কোনোরকম নিয়ম তৈরি না করে কীভাবে সেই যুবক ভাইদের সাহায্য করেছিলেন? তাদের সীমা অধ্যক্ষ প্রাচীনদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তারা সেই ভাইদের এইরকম কিছু বলতে পারেন: “ধরো, তুমি স্টেজ থেকে কোনো অংশ তুলে ধরছ। তবে, তোমার কথার উপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে ভাই-বোনেরা এটা লক্ষ করছে যে, তোমাকে দেখতে কেমন লাগছে। তার মানে হল, নিশ্চয়ই কোথাও সমস্যা রয়েছে, তাই না?” এভাবে, সাপও মরল আর লাঠিও ভাঙল না অর্থাৎ সহজেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল আর ভাইদের কোনো নিয়মও তৈরি করতে হয়নি। d

আমরা যদি একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি হই, তা হলে আমরা অন্যদের চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাব (১৫ অনুচ্ছেদ দেখুন)

১৫. বাইবেলে দেওয়া কোন নিয়ম ও নীতি মাথায় রেখে আমরা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি? (রোমীয় ১৪:৫)

১৫ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা। প্রত্যেক খ্রিস্টানের এই বিষয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তিনি কীভাবে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেবেন। (গালা. ৬:৫) চিকিৎসার ব্যাপারে যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টা আসে, তখন এই বিষয়ে বাইবেলে কিছু নীতি দেওয়া আছে। যেমন, আমাদের রক্ত নেওয়া থেকে এবং প্রেতচর্চা থেকে দূরে থাকা উচিত। (প্রেরিত ১৫:২০; গালা. ৫:১৯, ২০) এ ছাড়া, প্রত্যেক খ্রিস্টানকে ব্যক্তিগতভাবে স্থির করতে হবে যে, তিনি কোন ধরনের চিকিৎসা করাবেন। কিছু লোক ডাক্তারদের দিয়ে চিকিৎসা করানোকে সঠিক বলে মনে করে। আবার কিছু লোক হয়তো অন্য কোনো উপায়ে চিকিৎসা করানোকে সঠিক বলে মনে করে। চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো একটা উপায়কে আমাদের যতই সঠিক বা ভুল বলে মনে হোক না কেন, আমাদের কখনোই নিজেদের মতামত অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। আমাদের এটা মনে রাখা উচিত, এই বিষয়ে প্রত্যেক ভাই-বোনের নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই, আমাদের সবার এই চারটে বিষয় মনে রাখা উচিত: (১) একমাত্র ঈশ্বরের রাজ্যের মাধ্যমেই সমস্ত অসুস্থতা দূর হয়ে যাবে এবং আমরা পুরোপুরি সুস্থসবল থাকতে পারব। (যিশা. ৩৩:২৪) (২) প্রত্যেক খ্রিস্টানের “পুরোপুরি নিশ্চিত” হওয়া উচিত যে, তার কোন ধরনের চিকিৎসা করানো সঠিক হবে। (পড়ুন, রোমীয় ১৪:৫.) (৩) আমাদের অন্যদের সিদ্ধান্তের উপর আঙুল তোলা উচিত নয় আর এমন কিছু করা উচিত নয়, যেটার কারণে তারা বিঘ্ন পেতে পারে। (রোমীয় ১৪:১৩) (৪) আমরা ভাই-বোনদের ভালোবাসি আর এই বিষয়ে খেয়াল রাখি, আমাদের পছন্দ-অপছন্দের চেয়ে মণ্ডলীর মধ্যে একতা বজায় রাখা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। (রোমীয় ১৪:১৫, ১৯, ২০) আমরা যদি এগুলো মনে রাখি, তা হলে ভাই-বোনদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে এবং মণ্ডলীতে শান্তি বজায় থাকবে।

আমরা যদি একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি হই, তা হলে আমরা অন্যদের চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাব (১৬ অনুচ্ছেদ দেখুন)

১৬. কীভাবে একজন প্রাচীন অন্যান্য প্রাচীনের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখাতে পারেন? (ছবিগুলোও দেখুন।)

১৬ অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখানোর ব্যাপারে প্রাচীনদের এক উত্তম উদাহরণ রাখা উচিত। (১ তীম. ৩:২, ৩) যেমন, একজন প্রাচীনের এইরকম চিন্তা করা উচিত নয়, তিনি অন্যান্য প্রাচীনের চেয়ে বয়সে বড়ো কিংবা তাদের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ, তাই সবাইকে সবসময় তার কথাই শুনতে হবে। তাকে মনে রাখা উচিত, যিহোবার পবিত্র শক্তি প্রাচীনগোষ্ঠীর যেকোনো প্রাচীনকে এমন কিছু বলার জন্য পরিচালিত করতে পারে, যেটার ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। যদি বেশিরভাগ প্রাচীন কোনো একটা বিষয়ে একমত হন এবং সেটা বাইবেলের নীতিগুলোর বিরুদ্ধে না হয়, তা হলে বাকি প্রাচীনেরা তাদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখান আর আনন্দের সঙ্গে তাদের সমর্থন করেন, তা সেই বিষয়ে তাদের নিজেদের মতামত আলাদা হলেও।

যুক্তিবাদী হোন এবং প্রচুর আশীর্বাদ লাভ করুন

১৭. আমরা যখন একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি হই এবং রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকি, তখন কোন কোন আশীর্বাদ লাভ করি?

১৭ আমরা যখন একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি হই এবং রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকি, তখন আমরা অনেক আশীর্বাদ লাভ করি। ভাই-বোনদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও ভালো হয়ে যায় এবং মণ্ডলীতে শান্তি বজায় থাকে। আমরা আলাদা আলাদা ভাই-বোনের সঙ্গে মিলে যিহোবাকে সেবা করার সুযোগ পাই। আমাদের সবার স্বভাব আলাদা এবং আমরা আলাদা আলাদা সংস্কৃতি থেকে এসেছি, তারপরও আমরা একতাবদ্ধভাবে যিহোবার সেবা করতে পারি, যেটার ফলে আমরা অনেক আনন্দ লাভ করি। আর সবচেয়ে বড়ো বিষয় হল, আমরা যুক্তিবাদী ঈশ্বর যিহোবার মতো হওয়ার চেষ্টা করছি।

গান ৯০ একে অন্যকে উৎসাহিত করো

a যখন যুক্তিবাদিতা দেখানোর এবং রদবদল করার বিষয়টা আসে, তখন যিহোবা ও যিশু সবচেয়ে উত্তম উদাহরণ রেখেছেন আর তাঁরা চান যেন আমরা তাঁদের অনুকরণ করি। আমরা যখন রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকি, তখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হলেও আমরা খুব সহজে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। যেমন, আমাদের স্বাস্থ্য যদি খারাপ হয়ে যায় কিংবা আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা হলে সেগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করা আমাদের জন্য একটু সহজ হয়ে যায়। আর আমরা যখন অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখাই, তখন মণ্ডলীতে শান্তি ও একতা বজায় থাকে।

b ২০১৬ সালের সজাগ হোন! নং ৪ পত্রিকায় দেওয়া “যেভাবে পরিবর্তনের সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়” শিরোনামের প্রবন্ধটা দেখুন।

c এই ভিডিওটা দেখার জন্য jw.org ওয়েবসাইটে “অনুসন্ধান করুন” বাক্সে ভাই দিমিত্রি মিহেলোফের সঙ্গে সাক্ষাৎকার শিরোনামের ভিডিওটা টাইপ করুন।

d পোশাক-আশাক ও সাজগোজের বিষয়ে আরও জানার জন্য চিরকাল জীবন উপভোগ করুন! বইয়ের পাঠ ৫২ দেখুন।