সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কি জানতেন?

আপনি কি জানতেন?

মোশির ব্যবস্থায় যে-সমস্ত নীতি ছিল, সেগুলো কি প্রাচীন ইস্রায়েলে দৈনন্দিন জীবনে আইন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করার জন্য সত্যিই ব্যবহার করা হতো?

হ্যাঁ, কখনো কখনো ব্যবহার করা হতো। একটা উদাহরণ বিবেচনা করুন। দ্বিতীয় বিবরণ ২৪:১৪, ১৫ পদ বলে: “তোমার ভ্রাতা হউক, কিম্বা তোমার দেশের . . . মধ্যবর্ত্তী বিদেশী হউক, দীন দুঃখী বেতনজীবীর প্রতি উপদ্রব করিবে না। . . . পাছে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুকে ডাকে, আর এই বিষয়ে তোমার পাপ হয়।”

সেই ভাঙা মাটির পাত্রের টুকরোগুলো, যেটার গায়ে ওই খেতের কর্মীর আবেদন লেখা হয়েছিল

এইরকম একটা মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটা আবেদনের লিখিত বিবরণ পাওয়া গিয়েছে, যেটা খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে লেখা হয়েছিল। এটা অস্‌দোদের কাছে পাওয়া গিয়েছে। এই নথিটা একটা ভাঙা মাটির পাত্রের গায়ে লেখা হয়েছিল আর এটা সম্ভবত একজন খেতের কর্মীর জন্য লেখা হয়েছিল, যিনি একদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শস্য দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এটাতে লেখা হয়েছিল: “কয়েক দিন আগে, আপনার দাস [আবেদনকারী ব্যক্তি] ছেদন করা শস্য তুলে রাখার পর শোবাইয়ের পুত্র হোশাইয়াহু এসে আপনার দাসের পোশাক নিয়ে নিয়েছেন। . . . আমার যে-সঙ্গীরা রোদে দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে শস্যচ্ছেদনের কাজ করছিল, তারা এই বিষয়ের সাক্ষ্য দেবে . . . আমি যা বলছি, তা সত্য। আমি একেবারে নির্দোষ। . . . দেশাধ্যক্ষ যদি আপনার এই দাসের পোশাক ফিরিয়ে দেওয়াকে তার কর্তব্য বলে মনে না করেন, তা হলে দয়ার খাতিরে তা করুন! আপনার দাস যখন পোশাকবিহীন অবস্থায় রয়েছেন, তখন আপনি যেন নীরব না থাকেন।”

ইতিহাসবেত্তা সাইমান শামা বলেন, এই আবেদন ‘কেবল একজন শ্রমিকের [নিজের পোষাক] ফিরে পাওয়ার বিষয়ে মরিয়া হয়ে ওঠার বিবরণের চেয়ে আমাদের আরও বেশি কিছু জানায়। এটা এই বিষয়ে ইঙ্গিত দেয় যে, সেই আবেদনকারীর বাইবেলে লিপিবদ্ধ আইনকানুন সম্বন্ধে, বিশেষ করে লেবীয় পুস্তক ও দ্বিতীয় বিবরণ বইয়ে বলা দরিদ্র ব্যক্তিদের উপর নিষ্ঠুর আচরণ না করার আজ্ঞা সম্বন্ধে কিছুটা জ্ঞান ছিল।’