সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যিহোবার নির্দেশনা মেনে নিয়ে এখনই উপকার লাভ করুন

যিহোবার নির্দেশনা মেনে নিয়ে এখনই উপকার লাভ করুন

পোল্যান্ডে এক সঠিক বাছাই

“আমি ১৫ বছর বয়সে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলাম আর এর ছয় মাস পর সহায়ক অগ্রগামী হিসেবে সেবা করতে শুরু করেছিলাম। এক বছর সহায়ক অগ্রগামী হিসেবে সেবা করার পর, আমি নিয়মিত অগ্রগামী হিসেবে সেবা করার জন্য আবেদন করেছিলাম। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর, আমি এমন এলাকায় সেবা করার জন্য আবেদন করেছিলাম, যেখানে রাজ্যের প্রচারকদের বেশি প্রয়োজন। আমি নিজের শহর ও আমার দিদিমার কাছ থেকে দূরে কোথাও চলে যেতে চেয়েছিলাম। আমি আমার দিদিমার সঙ্গে থাকতে চাইনি কারণ তিনি যিহোবার সাক্ষি ছিলেন না। কিন্তু সীমা অধ্যক্ষ যখন আমাকে বলেছিলেন, আমাকে আমার জন্মস্থানেই কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন আমি খুব দুঃখিত হয়ে পড়েছিলাম! তবে আমি তাকে আমার অনুভূতি বুঝতে দিতে চাইনি। মাথা নীচু করে ফিরে যাওয়ার সময় আমি তার বলা কথাগুলো নিয়ে চিন্তা করেছিলাম। আমি আমার অগ্রগামী সঙ্গীকে বলেছিলাম, ‘মনে হচ্ছে আমি যোনার মতো আচরণ করছি। কিন্তু যোনা শেষপর্যন্ত নীনবীতে গিয়েছিলেন। তাই, যে-এলাকায় আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি সেখানেই সেবা করব।’

“আমি ইতিমধ্যে নিজের শহরে চার বছর ধরে অগ্রগামী সেবা করছি। আমাকে যে-নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল, তা মেনে নেওয়া যে কতটা সঠিক কাজ হয়েছে, তা আমি এখন বুঝতে পারছি। আমার মূল সমস্যা ছিল আমার নেতিবাচক মনোভাব। এখন আমি অনেক আনন্দ উপভোগ করছি। এক মাসে, আমি এমনকী ২৪টা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করতে পেরেছিলাম। যিহোবার সাহায্যে আমি আমার দিদিমার সঙ্গেও বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেছি, যিনি আগে আমার বিরোধিতা করতেন।”

ফিজিতে এক সুখকর ফলাফল

ফিজির একজন বাইবেল ছাত্রীকে বাছাই করতে হয়েছিল, তিনি খ্রিস্টীয় সম্মেলনে যাবেন, না কি তার স্বামীর সঙ্গে তাদের এক আত্মীয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাবেন। তার স্বামী তাকে সম্মেলনে যেতে দিতে রাজি হয়েছিলেন। সেই ছাত্রী তার স্বামীকে বলেছিলেন, তিনি সম্মেলন শেষ হওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। কিন্তু, সম্মেলনের পর তিনি যখন ঘরে ফিরে এসেছিলেন, তখন বুঝতে পেরেছিলেন, যিহোবার সঙ্গে তার সম্পর্ককে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে ঠেলে দেওয়ার পরিবর্তে, সেই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলাই তার পক্ষে ভালো হবে। তাই তিনি সেই অনুষ্ঠানে যাননি।

ইতিমধ্যে, সেই ছাত্রীর স্বামী তার আত্মীয়স্বজনকে বলেছিলেন, তার অনুরোধে তার স্ত্রী “সাক্ষিদের সভার” পর তাদের সঙ্গে যোগ দেবে। তখন তার আত্মীয়রা উত্তর দিয়েছিল, “সে আসবে না; যিহোবার সাক্ষিরা জন্মদিন পালন করে না! *

সেই ছাত্রী নিজের বিশ্বাস ও বিবেকের সঙ্গে মিল রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে তার স্বামী খুব গর্বিত হয়েছিলেন। তার এই বিশ্বস্ত কাজের কারণে তিনি পরে তার স্বামীর কাছে ও সেইসঙ্গে অন্যদের কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এর ফল কী হয়েছিল? সেই স্বামী বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে সভাতে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন।

^ অনু. 7 ২০০১ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রহরীদুর্গ পত্রিকার “পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল” শিরোনামের প্রবন্ধ দেখুন।