সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বয়স্ক খ্রিস্টানরা​—⁠যিহোবা আপনাদের আনুগত্যকে মূল্যবান বলে মনে করেন

বয়স্ক খ্রিস্টানরা​—⁠যিহোবা আপনাদের আনুগত্যকে মূল্যবান বলে মনে করেন

বিশ্বব্যাপী প্রাচীনরা, ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে তাদের সেবা করার যে-সুযোগ রয়েছে, সেটাকে উচ্চমূল্য দেন। তারা আমাদের সকলের কাছে কতই-না আশীর্বাদ স্বরূপ! তবে, কিছুদিন আগে একটা রদবদল করা হয়েছে। বয়স্ক প্রাচীনদের বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের গুরু দায়িত্বগুলো তাদের চেয়ে কমবয়সি প্রাচীনদের হাতে অর্পণ করেন। কীভাবে?

নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, ৭০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর সীমা অধ্যক্ষ ও ক্ষেত্রের পরিচর্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন স্কুলের নির্দেশকদের তাদের দায়িত্বভার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া, যে-প্রাচীনদের বয়স ৮০ বছর হয়ে গিয়েছে, তারা যেন তাদের চেয়ে কমবয়সি প্রাচীনদের বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পণ করেন, যেমন শাখা কমিটি অথবা স্থানীয় মণ্ডলীর প্রাচীনগোষ্ঠীর কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্ব। কীভাবে এই রদবদলের প্রতি বয়স্ক প্রাচীনরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন? তারা যিহোবা ও তাঁর সংগঠনের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন!

ভাই কেন, যিনি প্রায় ৪৯ বছর ধরে এক শাখা কমিটির কোঅর্ডিনেটর ছিলেন, তিনি এই মন্তব্য করেন, “আমি এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণরূপে মেনে নিয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “যে-দিন সকালে আমি এই ব্যবস্থা সম্বন্ধে জানতে পারি, সেই দিনই আমি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করে জানাই, কোঅর্ডিনেটর হিসেবে সেবা করার জন্য একজন কমবয়সি ভাইয়ের প্রয়োজন।” ভাই কেনের মতো বিশ্বব্যাপী অনেক বিশ্বস্ত বয়স্ক ভাই একইরকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তবে, যেহেতু তারা তাদের ভাইদের সেবা করতে ভালোবাসেন, তাই প্রথম প্রথম তারা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন।

ভাই এসপেরানডিও, যিনি তার মণ্ডলীতে প্রাচীনগোষ্ঠীর কোঅর্ডিনেটর ছিলেন, তিনি বলেন, “আমি কিছুটা দুঃখিত হয়ে পড়ি।” কিন্তু তিনি স্বীকার করেন, “আমার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছিল আর আমাকে সেই দিকে আরও নজর দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।” আমরা যেমনটা আশা করেছিলাম, সেই অনুযায়ী ভাই এসপেরানডিও যিহোবাকে বিশ্বস্তভাবে সেবা করে চলেছেন এবং তিনি তার মণ্ডলীর কাছে সত্যিই আশীর্বাদ স্বরূপ!

সেইসমস্ত ভ্রমণ অধ্যক্ষদের বিষয়ে কী বলা যায়, যারা বহুবছর ধরে সেবা করে চলার পর অন্য ধরনের সেবায় নিযুক্ত হয়েছেন? ভাই আ্যলান ৩৮ বছর ধরে ভ্রমণ অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি স্বীকার করেন, “আমি যখন এই বিষয়ে প্রথম জানতে পারি, তখন আমি হতবাক হয়ে যাই।” তা সত্ত্বেও, তিনি তার চেয়ে কমবয়সি ব্যক্তিদের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উপকারিতা সম্বন্ধে বুঝতে পারেন আর তিনি নিজে বিশ্বস্তভাবে সেবা করে চলেন।

ভাই রাসেল ভ্রমণ অধ্যক্ষ ও ক্ষেত্রের পরিচর্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন স্কুলের নির্দেশক হিসেবে মোট ৪০ বছর কাজ করেছেন। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম তিনি ও তার স্ত্রী হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি স্বীকার করেন, “আমরা আমাদের সেবা করার সুযোগকে খুবই মূল্যবান বলে মনে করতাম আর ভাবতাম, আমাদের এখনও এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।” ভাই রাসেল ও তার স্ত্রী স্থানীয় মণ্ডলীতে তাদের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন, যেটা সেখানকার ভাই-বোনদের অনেক আনন্দের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আগে উল্লেখিত ভাইদের মতো আপনার যদি একইরকম কোনো ব্যক্তিগত অনুভূতির অভিজ্ঞতা না-ও হয়ে থাকে, তা সত্ত্বেও ২ শমূয়েলের বিবরণ আপনাকে সেই ভাইদের অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করবে।

একজন বিনয়ী ও বাস্তববাদী ব্যক্তি

সেই সময়ের কথা চিন্তা করুন, যখন রাজা দায়ূদের সন্তান অবশালোম তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। রাজা দায়ূদ যিরূশালেম থেকে যর্দন নদীর পূর্ব দিকে, মহনয়িমে পালিয়ে যান। সেখানে দায়ূদ ও তার সঙ্গীদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রীর দরকার হয়ে পড়ে। আপনাদের কি মনে আছে, কী হয়েছিল?

সেই অঞ্চলের তিন জন উদার ব্যক্তি তাদের জন্য বিছানা, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আর সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় বাসনপত্র নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন বর্সিল্লয়। (২ শমূ. ১৭:২৭-২৯) অবশালোমের বিদ্রোহ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, দায়ূদ আবার যিরূশালেমে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পান আর বর্সিল্লয় দায়ূদের সঙ্গে যর্দন নদী পর্যন্ত যান। দায়ূদ তাকে যিরূশালেমে আসতে অনুরোধ করেন। তিনি যদি সেখানে আসেন, তা হলে রাজা তাকে খাদ্য জোগাবার প্রতিশ্রুতি দেন, এমনকী যদিও বর্সিল্লয় “খুব বড় মানুষ” অর্থাৎ একজন ধনী ব্যক্তি ছিলেন, যাকে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। (২ শমূ. ১৯:৩১-৩৩) কিন্তু দায়ূদ সম্ভবত বর্সিল্লয়ের গুণাবলি ও তার কাছ থেকে পাওয়া যেকোনো পরামর্শের প্রতি উপলব্ধি প্রকাশ করেছিলেন। তার সঙ্গে রাজদরবারে থাকা ও কাজ করা দায়ূদের কাছে এক উত্তম সুযোগ বলে মনে হয়েছিল!

একজন বিনয়ী ও বাস্তববাদী ব্যক্তি হওয়ায় বর্সিল্লয় দায়ূদকে জানান যে, তার বয়স এখন ৮০ বছর। সেইসঙ্গে তিনি নিজের সম্বন্ধে এই কথা বলেন: “এখন কি ভাল মন্দের বিশেষ বুঝিতে পারি?” তিনি আসলে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন? বর্সিল্লয় তার দীর্ঘ জীবনে নিশ্চয়ই অনেক প্রজ্ঞা অর্জন করেছিলেন। আর তিনি তখনও উত্তম পরামর্শ জোগাতে পারতেন, ঠিক যেমন পরবর্তী সময়ে “বৃদ্ধগণ” রাজা রহবিয়ামকে পরামর্শ জুগিয়েছিলেন। (১ রাজা. ১২:৬, ৭; গীত. ৯২:১২-১৪; হিতো. ১৬:৩১) তাই ভালো ও মন্দের বিষয়ে বুঝতে পারার ক্ষেত্রে বর্সিল্লয় যে-মন্তব্য করেছেন, সেটা হয়তো বয়সের কারণে তার শারীরিক অবস্থা বা সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে জানায়। তিনি স্বীকার করেন, বৃদ্ধ বয়সের জন্য তিনি আগের মতো খাদ্যের স্বাদ পান না এবং কানে শুনতেও পান না। (উপ. ১২:৪, ৫) তাই, বর্সিল্লয় নিজে থেকে দায়ূদকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন তার চেয়ে কমবয়সি কিম্‌হমকে যিরূশালেমে নিয়ে যান, যিনি সম্ভবত বর্সিল্লয়ের ছেলে ছিলেন।—২ শমূ. ১৯:৩৫-৪০.

ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা

শুরুতে বয়সের কারণে যে-বিভিন্ন রদবদলের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো বর্সিল্লয়ের মতো একই মনোভাবের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটা ঠিক যে, আমরা এখন যেটা বিবেচনা করছি, সেটা একজন মানুষের পরিস্থিতি ও ক্ষমতার চেয়ে আরও বেশি কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে, ঠিক যেমন বর্সিল্লয়ের ক্ষেত্রে ঘটেছিল। এখন বাস্তবসম্মতভাবে বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে যে, কোনটা বিশ্বব্যাপী বিশ্বস্ত প্রাচীনদের জন্য সর্বোত্তম।

এই বিনয়ী বয়স্ক খ্রিস্টান ব্যক্তিরা সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন, তারা এত দিন ধরে যে-দায়িত্বগুলো পালন করেছেন, তা যদি তাদের চেয়ে কমবয়সি ভাইয়েরা পালন করেন, তা হলে ভবিষ্যতে বৃদ্ধির জন্য যিহোবার সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, সেই বয়স্ক ভাইয়েরা তাদের চেয়ে কমবয়সি ভাইদের প্রশিক্ষণ দেন, ঠিক যেমন বর্সিল্লয় তার ছেলেকে আর প্রেরিত পৌল তীমথিয়কে দিয়েছিলেন। (১ করি. ৪:১৭; ফিলি. ২:২০-২২) এই কমবয়সি ভাইয়েরা প্রমাণ করেছেন, তারা এখন ‘মনুষ্যদিগের নানা বর’ বা দানরূপ মানুষ, যারা ‘খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তুলিতে’ সাহায্য করতে সমর্থ।—ইফি. ৪:৮-১২; তুলনা করুন, গণনাপুস্তক ১১:১৬, ১৭, ২৯.

ভাগ করে নেওয়ার মতো বিভিন্ন সুযোগ

ঈশ্বরের লোকেদের বিশ্বব্যাপী মণ্ডলীর অনেকে, যারা নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব অন্যদের অর্পণ করেছেন, তারা যিহোবার কাজের নতুন নতুন অথবা আরও বিস্তৃত সুযোগগুলোর সদ্‌ব্যবহার করতে পেরেছেন।

মার্কো, যিনি ১৯ বছর ধরে ভ্রমণ অধ্যক্ষের কাজ করেছেন, তিনি বলেন: “আমাদের স্থানীয় মণ্ডলীর যে-বোনেদের স্বামীরা যিহোবার সাক্ষি নয়, সেই ব্যক্তিদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমার নতুন কার্যভার আমাকে সাহায্য করেছে।”

জেরাল্ডো, যিনি ২৮ বছর ধরে ভ্রমণ অধ্যক্ষের কাজ করেছেন, তিনি বলেন, “আমাদের নতুন লক্ষ্য হল, নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের সাহায্য করা ও সেইসঙ্গে আরও বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করা।” ভাই জানান, তিনি ও তার স্ত্রী এখন পর্যন্ত ১৫টা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করছেন এবং নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েক জন সভাতে যোগদান করতে শুরু করেছে।

পূর্বে উল্লেখিত ভাই আ্যলান মন্তব্য করেন: “এখন আমরা প্রচার কাজে আগের চেয়ে আরও বেশি সময় ব্যয় করার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা জনসাধারণ্যে, ব্যাবসায়িক এলাকায় ও প্রতিবেশীদের কাছে সাক্ষ্যদান করাকে উপভোগ করছি আর সেই প্রতিবেশীদের মধ্যে থেকে দু-জন ব্যক্তি কিংডম হলে এসেছে।”

একজন যোগ্য ও অনুগত ভাই হিসেবে আপনি যদি ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে নতুন কার্যভার পেয়েছেন, তা হলে আরেকটা বিশেষ উপায়ে আপনি অবদান রাখতে পারেন। আপনার যে-অমূল্য অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা আপনি মণ্ডলীর কমবয়সি ব্যক্তিদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে যিহোবার কাজকে সমর্থন করতে পারেন। ভাই রাসেল, যার বিষয়ে আগে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন, “যিহোবা এই অপূর্ব মেধাবী কমবয়সি ভাইদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ও ব্যবহার করেছেন। ফল স্বরূপ, এই কমবয়সি ভাইদের উদ্যোগের সঙ্গে শিক্ষাদান ও পালকীয় কাজ করা থেকে ভাই-বোনেরা উপকৃত হচ্ছে!”—“ কমবয়সি ভাইদের মধ্যে থাকা সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে বিকশিত করতে সাহায্য করুন” শিরোনামের বাক্স দেখুন।

যিহোবা আপনাদের আনুগত্যকে মূল্যবান বলে মনে করেন

আপনি যদি সেবা করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি কোনো ভিন্ন ধরনের কার্যভার পান, তা হলে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। আপনারা ইতিমধ্যে আপনাদের আন্তরিক কাজের দ্বারা অগণিত লোকের জীবনে প্রভাব বিস্তার করেছেন আর এই কাজ এখনও শেষ হয়নি। অন্যেরা আপনাদের ভালোবাসে আর সেই ভালোবাসা কখনো শেষ হবে না।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আপনি যিহোবার হৃদয়ে এক স্থায়ী ছাপ ফেলেছেন। তিনি ‘আপনাদের কার্য্য, এবং আপনারা পবিত্রগণের যে পরিচর্য্যা করিয়াছেন ও করিতেছেন, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত আপনাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।’ (ইব্রীয় ৬:১০) এই অনুপ্রাণিত বার্তা আমাদের সবাইকে আশ্বাস দেয় যে, আমরা পূর্বে যত পরিশ্রম করেছি তার চেয়ে যিহোবা আমাদের আরও বেশি কিছু দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। যিহোবাকে খুশি করার জন্য আপনারা আগে যে-প্রচেষ্টা করেছেন এবং এখন করে চলেছেন, সেগুলোর জন্য আপনারা যিহোবার কাছে এতটাই মূল্যবান যে, তিনি কখনো আপনাদের ভুলে যাবেন না।

উপরে আলোচিত ব্যক্তিদের মতো আপনার যদি ব্যক্তিগতভাবে কার্যভার পরিবর্তন না হয়ে থাকে, তাহলে? তখনও এই বিষয়টা আপনাকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে। কীভাবে?

আপনি যদি এমন একজন বিশ্বস্ত বয়স্ক ভাইকে জানেন, যার কার্যভার পরিবর্তন হয়েছে, তার পরিপক্বতা ও বহু বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আপনি উপকার পেতে পারেন। সেই বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে পরামর্শ নিন আর কোথায় উন্নতি করতে হবে, তা তাকে জিজ্ঞেস করুন। আর লক্ষ রাখুন, কীভাবে তিনি অনুগতভাবে তার বর্তমান কার্যভারে সেই অভিজ্ঞতাগুলো ব্যবহার করছেন।

আপনি হয়তো একজন বয়স্ক ভাই, যিনি কোনো নতুন উপায়ে সেবা করছেন কিংবা এমন একজন ভাই অথবা বোন, যিনি বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছ থেকে উপকার লাভ করতে পারেন। যা-ই হোক না কেন, এই বিষয়টা মাথায় রাখবেন যে, যারা বহু বছর ধরে যিহোবার সেবা করছে ও এখনও তা করে চলেছে, তাদের আনুগত্যকে তিনি মূল্যবান হিসেবে দেখেন।