ঘৃণার চক্র থেকে বেরিয়ে আসা
৩ | ঘৃণাকে মন থেকে মুছে ফেলুন
বাইবেলের শিক্ষা:
“তোমাদের চিন্তাভাবনাকে পরিবর্তন করার মাধ্যমে রূপান্তরিত হও, যেন তোমরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কী: তাঁর ইচ্ছা উত্তম, প্রীতিজনক ও নিখুঁত।”—রোমীয় ১২:২.
এর অর্থ:
আমরা যা নিয়ে চিন্তা করি, তা ঈশ্বরের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। (যিরমিয় ১৭:১০) ঘৃণার বশে এসে শুধুমাত্র কিছু বলা বা করা এড়িয়ে চলাই যথেষ্ট নয়, আমাদের আরও কিছু করতে হবে। ঘৃণার চক্র মন ও হৃদয় থেকে শুরু হয়। তাই, আমাদের মনে ঘৃণা জাগিয়ে তোলার মতো কোনো চিন্তা আসলে, তক্ষুণি তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র তারপরই, আমরা সত্যি সত্যি ‘রূপান্তরিত হতে’ পারব এবং ঘৃণার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।
আপনি যা করতে পারেন:
আপনি অন্যদের সম্বন্ধে কেমন অনুভব করেন, তা নিয়ে ভালোভাবে চিন্তা করে দেখুন, বিশেষ করে অন্য বর্ণ বা জাতির লোকদের সম্বন্ধে। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘তাদের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন? সেটা কি আমি তাদের সম্বন্ধে যা জানি, সেটার উপর ভিত্তি করে, না কি বৈষম্যের কারণে?’ তাহলে, এমন যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা, সিনেমা দেখা কিংবা বিনোদনে অংশ নেওয়া এড়িয়ে চলুন, যেগুলো ঘৃণা ও হিংসাকে প্রশ্রয় দেয়।
ঈশ্বরের বাক্য আমাদের মনে ও হৃদয়ে থাকা ঘৃণা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে
আমাদের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিকে নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষা করে দেখা সবসময় সহজ হয় না। কিন্তু, ঈশ্বরের বাক্য আমাদের “হৃদয়ের চিন্তা ও প্রবণতা বুঝতে” আমাদের সাহায্য করতে পারে। (ইব্রীয় ৪:১২) তাই, বাইবেল পরীক্ষা করতে থাকুন। আপনার চিন্তাধারাকে বাইবেলের শিক্ষার সঙ্গে তুলনা করে দেখুন। আর তারপর, সেগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নিজের চিন্তাধারা পরিবর্তন করার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করুন। ঘৃণা আমাদের মনে ও হৃদয়ে “দূর্গের মতো দৃঢ়” হলেও ঈশ্বরের বাক্য আমাদের তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।—২ করিন্থীয় ১০:৪, ৫.