এক বিস্ময়কর উপাদান
নেচারস্ বিল্ডিং ব্লকস্ নামক বই বলে, “কার্বনের মতো আর কোনো উপাদান জীবনের জন্য এতটা অপরিহার্য নয়।” কার্বনের প্রত্যেকটা পরমাণুর অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যের কারণে এটা পরস্পরের সঙ্গে এবং অন্যান্য অনেক রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে সংযুক্ত হয় আর এভাবে লক্ষ লক্ষ যৌগিক পদার্থ গঠিত হয়ে থাকে, যেগুলোর বেশিরভাগই এখনও আবিষ্কৃত হচ্ছে অথবা সংশ্লেষিত হচ্ছে।
এখানে তুলে ধরা উদাহরণগুলো দেখায় যে, কার্বনের বিভিন্ন পরমাণু সংযুক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন আকৃতি গঠন করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে, শিকলাকৃতি, পিরামিডাকৃতি, বলয়াকৃতি, পরতাকৃতি এবং নলাকৃতি। সত্যিই, কার্বন হচ্ছে এক বিস্ময়কর উপাদান! ◼ (g16-E No. 5)
হিরে
কার্বনের পরমাণু সংযুক্ত হয়ে যখন পিরামিড আকারে গঠিত হয়, যেটাকে বলা হয় চতুস্থলক, তখন সেটা প্রচণ্ড অনমনীয় হয়ে উঠে হিরে উৎপন্ন করে, যেটা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট সবচেয়ে কঠিন বস্তু। একেবারে নিখুঁত হিরে উৎপন্ন হওয়ার জন্য মূলত কার্বনের পরমাণুর একটা অণু প্রয়োজন।
গ্র্যাফাইট
দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত কার্বনের পরমাণুগুলো এমন আলগা স্তরের সৃষ্টি করে, যেটা কাগজের শিটের মতো একটার উপর থেকে আরেকটা সহজেই পিছলে যেতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে গ্র্যাফাইট একইসঙ্গে খুবই পিচ্ছিল পদার্থ এবং পেনসিলের সিস তৈরির এক মুখ্য উপাদান। a
গ্র্যাফিন
এটা কার্বনের পরমাণুর একটা স্তরকে বোঝায়, যা বিন্যস্ত হয়ে ষড়ভুজাকৃতি জাল গঠিত করে। গ্র্যাফিনের চাপ সহনীয় ক্ষমতা স্টিলের চেয়ে বহু গুণ বেশি। পেনসিলের দাগে অল্প পরিমাণে গ্র্যাফিনের এক বা একাধিক স্তর পাওয়া যেতে পারে।
ফুলারিন
কার্বনের এই ফাঁপা অণুগুলো বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে ন্যানোটিউব নামে পরিচিত বিভিন্ন আণুবীক্ষণিক বল ও নল। এগুলোর আকার পরিমাপ করার একক হল ন্যানোমিটার, যা এক মিটারের এক-শো কোটি ভাগের এক ভাগ।
জীবজগৎ
যে-সমস্ত কোষ নিয়ে গাছপালা, জীবজন্তু ও মানব দেহ গঠিত হয়, সেগুলো কার্বনের কাঠামোর উপর ভিত্তি করেই গঠিত। এই কার্বন শর্করা, চর্বি এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে পাওয়া যায়।
“[ঈশ্বরের] অদৃশ্য গুণ, . . . তাঁহার বিবিধ কার্য্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে।” —রোমীয় ১:২০.
a ২০০৭ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসের সচেতন থাক! পত্রিকার “কারো কাছে কি একটা পেনসিল আছে?” শিরোনামের প্রবন্ধটা দেখুন।