সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অন্যদের প্রতি সম্মান দেখান

অন্যদের প্রতি সম্মান দেখান

অন্যদের প্রতি সম্মান দেখানো কেন গুরুত্বপূর্ণ?

অন্যদের প্রতি সম্মান দেখালে উত্তেজনা কমে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

  • পবিত্র শাস্ত্র বাইবেলে লেখা আছে: “কোমলভাবে দেওয়া উত্তর রাগ শান্ত করে, কিন্তু কঠোরভাবে বলা কথা একজন ব্যক্তিকে রাগিয়ে তোলে।” (হিতোপদেশ ১৫:১, NW.) আমরা যদি আমাদের কথা বা কাজের মাধ্যমে অন্যদের অসম্মান করি, তা হলে সেটা শুধু আগুনে ঘি ঢালার মতোই হবে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।

  • পবিত্র শাস্ত্রে এও লেখা আছে: “হৃদয় যা দিয়ে পূর্ণ থাকে, মুখ সেটাই বলে।” (মথি ১২:৩৪) তাই, কেউ যখন অসম্মানজনক কথা বলে, তখন সেটা হয়তো আরও বড়ো এক সমস্যার ইঙ্গিত দেয় আর তা হল, সে হয়তো মনে মনে অন্য জাতি, বর্ণ, দেশ বা সামাজিক পটভূমির লোকদের অপছন্দ করে।

    সম্প্রতি ২৮টা দেশে একটা সমীক্ষা করা হয়, যেখানে ৩২,০০০-রেরও বেশি লোক তাদের মতামত জানায়। তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ লোক মন্তব্য করেছে যে, আজ লোকেরা আগের মতো আর একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখায় না।

আপনি কী করতে পারেন?

অন্যদের সঙ্গে একমত না হলেও তাদের প্রতি সম্মান দেখান। সেই বিষয়গুলো খুঁজে বের করুন, যেগুলোর সঙ্গে আপনি একমত হতে পারেন। এইভাবে, আপনি অন্যদের খুঁত ধরা বা বিচার করা এড়িয়ে চলতে পারবেন।

“তোমরা অন্যদের বিচার কোরো না, যাতে তোমরা বিচারিত না হও।”—মথি ৭:১.

আপনি যেমন ব্যবহার পেতে চান, অন্যদের সঙ্গে তেমনই ব্যবহার করুন। আপনি যদি অন্যদের সঙ্গে সদয় আচরণ করেন, তা হলে খুব সম্ভবত তারাও আপনার সঙ্গে সদয় আচরণ করবে।

“লোকেরা তোমাদের প্রতি যা করুক বলে তোমরা চাও, তোমরাও তাদের প্রতি তা-ই কোরো।”—লূক ৬:৩১.

অন্যদের ক্ষমা করুন। কেউ আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে এমনটা চিন্তা করবেন না যে, সে ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেছে। সম্ভব হলে, বিষয়টা ছেড়ে দিন।

“একজন ব্যক্তির বোঝার ক্ষমতা তাকে তাড়াতাড়ি রেগে না যেতে সাহায্য করে আর আঘাত পেলে সেটা উপেক্ষা করা তার জন্য গৌরব নিয়ে আসে।” —হিতোপদেশ ১৯:১১, NW.

আমাদের প্রচেষ্টা

আমরা অর্থাৎ যিহোবার সাক্ষিরা সবাইকে সম্মান করি আর অন্যদেরও তা করার জন্য উৎসাহ দিই।

আমরা বিনা মূল্যে সবাইকে বাইবেল থেকে ভালো বিষয়গুলো শেখাই। কিন্তু এর মানে এই নয়, আমরা আমাদের বিশ্বাস অন্যদের উপর চাপিয়ে দিই অথবা আমাদের শিক্ষাগুলো মেনে চলার জন্য তাদের জোরাজুরি করি। এর পরিবর্তে, লোকদের শেখানোর সময় আমরা বাইবেলে দেওয়া এই পরামর্শ কাজে লাগাই, যেন আমরা “মৃদুতা এবং গভীর সম্মানের সঙ্গে” আমাদের বার্তা জানাই।—১ পিতর ৩:১৫; ২ তীমথিয় ২:২৪.

আমরা ভেদাভেদ করি না। আমরা আমাদের সভাতে আসা সমস্ত লোককে স্বাগত জানাই, তা তারা যেকোনো দেশ, জাতি কিংবা সংস্কৃতিরই হোক না কেন। আমরা যদি তাদের মতামতের সঙ্গে একমত না-ও হই, তারপরও আমরা সকলকে ‘সম্মান করার’ চেষ্টা করি।—১ পিতর ২:১৭. বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন।

আমরা সরকারের প্রতি সম্মান দেখাই। (রোমীয় ১৩:১) আমরা যে-দেশেই থাকি না কেন, আমরা সেখানকার আইনকানুন মেনে চলি এবং সরকারকে ট্যাক্স দিই। যদিও আমরা রাজনৈতিক বিষয়ে কারো পক্ষ নিই না, তবে অন্যেরা যখন এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমরা তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাই।