সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

নিজের প্রতি সম্মান দেখান

নিজের প্রতি সম্মান দেখান

নিজের প্রতি সম্মান দেখানো কেন গুরুত্বপূর্ণ?

যে-লোকেরা নিজেদের প্রতি সম্মান দেখায়, তারা তাদের জীবনে আসা যেকোনো সমস্যাকে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারে। তারা সহজে হাল ছেড়ে দেয় না।

  • গবেষণা দেখায়, যারা নিজেদের অযোগ্য বলে মনে করে, তারা অনেক বেশি চিন্তা করে এবং ডিপ্রেশনে ভোগে। এই সমস্যার জন্য হয় তারা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয় নতুবা বেশি খেতে শুরু করে। শুধু তা-ই নয়, অনেকে ড্রাগ নিতে এবং অতিরিক্ত মদ খেতেও শুরু করে।

  • যারা নিজেদের প্রতি সম্মান দেখায়, তারা অন্যদের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে না। এই কারণে তারা অন্যদের সঙ্গে সহজে মিশতে পারে এবং দৃঢ় বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারে। এর বিপরীতে, যাদের নিজেদের প্রতি সম্মানের অভাব রয়েছে, তারা অন্যদের খুঁত ধরে। এর ফলে, অন্যদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।

  • যাদের আত্মসম্মান বোধ থাকে, তারা সমস্যার মুখেও দৃঢ় থাকে। জীবনের দৌড়ে তারা যদি কখনো পড়েও যায়, তবুও তারা উঠে দাঁড়ায় এবং লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায়। অন্যদিকে, যাদের আত্মসম্মান বোধের অভাব রয়েছে, তারা যখন ছোটো ছোটো ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, তখন তাদের মনে হয়, ‘আমার দ্বারা জীবনে আর কিছুই হবে না।’ এইজন্য তারা সহজেই হাল ছেড়ে দেয়।

আপনি কী করতে পারেন?

ভালো বন্ধুবান্ধব বাছাই করুন। এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন, যারা আপনার জন্য সত্যিই চিন্তা করে, আপনাকে বিভিন্ন কাজে উৎসাহ দেয় এবং সবার প্রতি সম্মান দেখায়।

“প্রকৃত বন্ধু সবসময় ভালোবাসা দেখায় আর সে বিপদের সময়ে নিজের ভাই বলে প্রমাণিত হয়।” —হিতোপদেশ ১৭:১৭, NW.

অন্যদের সাহায্য করুন। যখন আপনি অন্যদের দয়া দেখাবেন এবং সাহায্য করবেন, তখন আপনি সত্যিই আনন্দিত হবেন আর এমনকী সেইসময়েও যখন এর বিনিময়ে তারা আপনার জন্য কিছুই করতে পারবে না। আপনার সদয় কাজ যদি কেউ লক্ষ না-ও করে কিংবা প্রশংসা না-ও করে, তারপরও আপনি অন্যদের জন্য কিছু করতে পেরেছেন বলে আপনার ভালো লাগবে।

“নেওয়ার চেয়ে বরং দেওয়ার মধ্যে আরও বেশি সুখ।”—প্রেরিত ২০:৩৫.

আপনার সন্তানদের আত্মসম্মান গড়ে তুলতে শেখান। এটা করার একটা উপায় হল, আপনার সন্তানদের বয়স অনুযায়ী নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে দিন। ফলে তারা শিখবে, কীভাবে সমস্যার সমাধান করতে হয়। এভাবে প্রশিক্ষণ পেলে তারা আত্মসম্মান গড়ে তুলতে পারবে এবং পরবর্তী সময়েও উপকৃত হবে।

“শিশুকে সেই পথে চলতে শেখাও, যে পথে তার চলা উচিত, সে বৃদ্ধ হয়ে গেলেও সেই পথ থেকে সরে যাবে না।”—হিতোপদেশ ২২:৬, পাদটীকা, NW.

আমাদের প্রচেষ্টা

অনেকে যিহোবার সাক্ষিদের সভাগুলোতে এসে এবং তাদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করে ভালো ভালো বিষয় শেখে। এই ভালো বিষয়গুলো কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের জীবনকে উন্নত করতে পারে আর এভাবে তাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি পায়।

আমাদের সাপ্তাহিক সভাগুলো

আমাদের সভাগুলোতে কোনো প্রবেশ মূল্য নেই এবং যে-কেউ আসতে পারে। এই সভাগুলোতে বাইবেলের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বক্তৃতা দেওয়া হয়। সেখানে প্রায়ই তুলে ধরা হয়, কীভাবে আমরা আত্মসম্মান গড়ে তুলতে পারি। আমাদের সভাগুলোতে এলে আপনিও এই ধরনের বিষয়গুলো শিখতে পারবেন, যেমন . . .

  • কেন আপনি ঈশ্বরের কাছে মূল্যবান

  • কীভাবে আপনি জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারেন

  • কীভাবে আপনি দৃঢ় ও স্থায়ী বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারেন

সেখানে আপনি এমন বন্ধুদের খুঁজে পাবেন, যারা “একে অপরের প্রতি চিন্তা দেখায়।”—১ করিন্থীয় ১২:২৫, ২৬

আমাদের সভা সম্বন্ধে আরও জানার জন্য jw.org ওয়েবসাইট থেকে কিংডম হলে কী হয়? শিরোনামের সংক্ষিপ্ত ভিডিওটা দেখুন। আপনি jw.org ওয়েবসাইটে ‘অনুসন্ধান করুন’ নামক বাক্সে এই ভিডিওর নাম টাইপ করে খুঁজতে পারেন।

আমাদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন

আমরা চিরকাল জীবন উপভোগ করুন! বই থেকে লোকদের সঙ্গে বিনা মূল্যে বাইবেল অধ্যয়ন করি। এখানে দেওয়া বিষয়বস্তু এবং শাস্ত্রপদগুলো ব্যবহার করে আমরা একজন ব্যক্তিকে যুক্তি করতে সাহায্য করি। বইতে দেওয়া ভিডিওগুলো আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করে। বাইবেলের সাহায্যে একজন ব্যক্তি আরও ভালোভাবে জীবনযাপন করতে এবং আত্মসম্মান গড়ে তুলতে পারে।

যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করলে কীভাবে আপনি উপকৃত হতে পারেন, সেই সম্বন্ধে জানার জন্য jw.org ওয়েবসাইট থেকে কেন বাইবেল অধ্যয়ন করবেন? শিরোনামের সংক্ষিপ্ত ভিডিওটা দেখুন। আপনি jw.org ওয়েবসাইটে ‘অনুসন্ধান করুন’ নামক বাক্সে এই ভিডিওর নাম টাইপ করে খুঁজতে পারেন।